খুমেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমা বেগম (৫০) নামে এক ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে মারা যান তিনি। এ নিয়ে খুলনায় ১১ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হলো।

রহিমা বেগম সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার আজরাইল গ্রামের বাসিন্দা।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) চিকিৎসক শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, গত সোমবার বিকেলে রহিমা বেগম ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে খুমেকে ভর্তি হন। মঙ্গলবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

   

ডিএমপির ‘রোড সেফটি স্লোগান কনটেস্ট-২০২৪’ শুরু 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে জাইকার সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন  বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ‘রোড সেফটি স্লোগান কনটেস্ট-২০২৪’ শুরু হয়েছে।

ঢাকা মহানগরীর যানযট নিরসনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ট্রাফিক সচেতনতা কার্যক্রম বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত নানাবিধ প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন।

এর আগে, গত ১৪ মে রাজধানীর আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস  প্রোগ্রাম এন্ড রোড সেফটি স্লোগান কনটেস্ট-২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার। এসময় উপস্থিত ৮০০ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই যাত্রা শুরু হয়। 

পরবর্তীতে ঢাকা মহানগরীতে অবস্থিত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধির এ কার্যক্রমে ও রোড ট্রাফিক সেফটি কনটেস্ট-২০২৪-এ যেন সকল ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করতে পারেন সেজন্য ডিএমপি মিডিয়া, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ  প্রিন্ট- ইলেকট্রনিকস মিডিয়া ও জাইকা ব্যাপকভাবে প্রচার করে।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-এ্যাডমিন এন্ড রিসার্চ) ও ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা মহানগরীর যানযট নিরসনে ডিএমপির কমিশনারের এ উদ্যোগকে আরো বেগবান করতে প্রতিদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও রেজিস্ট্রারগণের সাথে সার্বিক সমন্বয় করেন। যেন ছাত্র-ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ট্রাফিক সচেতনতামূলক এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় ‘রোড সেফটি স্লোগান কনটেস্ট-২০২৪’ সফল করতে এরই মধ্যে ডিএমপির এডিসি (ট্রাফিক-এ্যাডমিন এন্ড রিসার্চ) ও ডিআরএসপি'র প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম জাইকা প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইইউবি'র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর এর কাছে স্লোগান কনটেস্ট এর লিফলেট হস্তান্তর করেন। এছাড়াও বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ডিএমপি কমিশনার পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদানের বিষয়টি অবগত করেন।

এসময় ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সকলের সহযোগিতা ও সচেতনতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ঢাকা মহানগরবাসী ও বিশ্বিবদ্যালয় কর্তৃপক্ষরা ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের  ব্যাপক প্রশংসা করেন।

;

রোগীর গোপনীয়তা নষ্ট করছে ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা, সহযোগিতায় আনসার



রাজু আহম্মেদ ও আল আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর জাতীয় শিশু হাসপাতালে বেড়েছে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য। রোগীদের গোপনীয়তা নষ্ট করাসহ নানা অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিক্রয় প্রতিনিধিদের যত্রতত্র বাইক পার্কিংয়েও জটলার সৃষ্টি হচ্ছে হাসপাতালের বহির্বিভাগ সামনে। এতে রোগী চলাচলের পথ সংকুচিত হওয়াসহ অ্যাম্বুলেন্স অথবা রোগী পরিবহনেও বেগ পেতে হচ্ছে চালকদের বলে অভিযোগ অনেকের।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিয়ে ডক্টরস চেম্বার থেকে বের হতেই ঘিরে ফেলেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। নানা আলোচনায় ওষুধ নির্দেশিকার নাম করে তুলে নেন প্রেসক্রিপশনের ছবি। ফলে রোগীর গোপন রোগ বা ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। এতে গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে রোগীদের। এছাড়া নিজ কোম্পানির ওষুধ কিনতে নানাভাবে হয়রানিরও অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করে টিম বার্তা২৪.কম। সরেজমিন অভিযোগের সত্যতাও মেলে শিশু হাসপাতালে গিয়ে। গত বৃহস্পতিবার দিনভর শিশু হাসপাতালে অবস্থান করে দেখা যায়, রোগী বের হলেই কিছু বিক্রয় প্রতিনিধি ঘিরে ধরে তাদের। হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে তুলছে ছবি। বেশিরভাগ রোগী বিরক্ত হলেও বিক্রয় প্রতিনিধির সংখ্যা বেশি থাকায় কেউ করতে পারছে না প্রতিবাদ।

কেউ কেউ অভিযোগ করলেও আমলে নিচ্ছে না শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা। অভিযোগ আছে হাসপাতাল বোর্ডের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অর্থ নিয়ে আনসার সদস্যরা বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রবেশে করে সহযোগিতা। ফলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে না রোগীর অভিযোগ।

এদিকে কর্তৃপক্ষের কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শিশু হাসপাতালের সামনে যত্রতত্র বাইক রাখেন ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এতে রোগী পরিবহনে যেমন অসুবিধায় পড়ে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা, তেমনি জরুরি অবস্থায় ওষুধ নিয়ে যাতায়াত কিংবা রোগী নিয়ে যেতে বিপাকে পড়েন স্বজনরা। এমন অবস্থায় বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

আকলিমা আক্তার নামের এক ভুক্তভোগী জানান, রুম থেকে বের হতেই দুই তিনজন আসল। কিছু বোঝার আগে আমার চিকিৎসা সেবা পত্রের ছবি নিলো। আমার সন্তানকে জরুরিভাবে ডক্টর দেখাতে নিয়ে আসছি। তাদের কারণে এর জন্য আমার ১০ মিনিট গেলো। নিজের কোম্পানির ওষুধ কিনতে নানা ভাবে জানালো। এভাবে এক প্রকার হয়রানির শিকার হচ্ছি আমরা।

মোজাম্মেল নামের আরেকজন বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে জরুরিভাবে অক্সিজেন দিতে বলেছে ডাক্তার। আমি চেম্বার থেকে বের হয়ে তাড়াহুড়ো করছিলাম। কোথা থেকে আসল কজন, আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড় করালো। তাদের ফোন দিয়ে ছবি নিল। আমি প্রতিবাদ করলে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আমাকে যেতে বললেন। এমন হলে আমাদের গোপনীয়তা থাকে কোথায়?’  

এ বিষয়ে বার্তা২৪.কম কথা বলার চেষ্টা করে উপস্থিত অভিযুক্ত বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে রোগীর স্বজন পরিচয় দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ওষুধ বিক্রেতারা। নিমিষেই শৃঙ্খলা ফিরে আসে বহির্বিভাগে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি উপস্থিত আনসার সদস্যরা। তবে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) হালিম শেখ কথা বলতে রাজি হলেও তিনি জানান কোন অভিযোগ নেই তাদের বিরুদ্ধে। এদিকে, আনসার সদস্যরা নিজেদের দোষের ঊর্ধ্বে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। বিক্রয় প্রতিনিধিসহ আনসারদের কার্যকলাপে বিরক্ত খোদ হাসপাতাল পরিচালক।

এ বিষয়ে  শিশু হাসপাতালের পরিচালক জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘আমরা বোর্ডে সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাসপাতালে শুধু দুইদিন বিক্রয় প্রতিনিধিরা প্রবেশ করবে। তাদের মোটর সাইকেল পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে তারা কীভাবে প্রবেশ করে আমাদের বোধগম্য নয়। আনসারদের সহযোগিতায় এমনভাবে প্রবেশ করে বলে আমরাও অভিযোগ পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, আনসারদের আনসারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এর আগেও এক ঘটনায় দুইজন গ্রেফতার হয়েছে। আমরা বোর্ড মিটিংয়ে এসব আলোচনা করেছি। তাদের অপরাধের পরিধি বাড়ছে। আসলে তাদের (আনসার) কোন চরিত্র নেই। তারা এমন অপরাধ করছে,  যা সিকিউরিটি গার্ডদের থেকেও নীচ। আমরা আনসারের বিপরীতে অন্য কিছু ভাবছি। সম্ভব হলে আনসারের সেবাটি অন্যভাবে ব্যবস্থা করার আহ্বান করব হাসপাতালের বোর্ডে।

;

ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করবেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুদিনের সফরে ঢাকায় আসবেন তিনি। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শন করতে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সোমবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থ এগিয়ে নিতে আমি এ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করব। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর এই সময়ে বাংলাদেশে আমার প্রথম সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরের কাজ করছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি কাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রেও।

পেনি ওং বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের জনগণের বেশ ভালো সখ্যতা রয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ হাজারে বেশি মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা কীভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাস্তবিক সহযোগিতা করছে সেখানে আমি তা দেখব।

;

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু আজিজ আহমেদ নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) (২০ মে) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আজিজ আহমেদ তাঁর ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।

আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

;