রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্ধ হচ্ছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক!



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান ও মুহিবুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প | বার্তাটোয়েন্টিফোর ফাইল ছবি

কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প | বার্তাটোয়েন্টিফোর ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হচ্ছে না। সেখানে মোবাইল অপারেটরগুলোর টু-জি সেবা সার্ভিস সবসময় চালু থাকবে। থ্রি-জি ও ফোর-জি সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সচল থাকা ৮/৯ লাখ সিম নিষ্ক্রিয় করা ও নতুন করে সিম বিক্রি ঠেকাতে তৎপর রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

রোহিঙ্গারা যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা না পায়, তা সাতদিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সব মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে গত ১ সেপ্টেম্বর জরুরি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মোবাইল ফোন সংযোগ বন্ধের জরুরি নির্দেশ

বিটিআরসির পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়, “রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যাতে মোবাইল সুবিধা না পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আপনাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকারী কমিটি এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে কমিশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কর্তৃক ব্যাপক হারে সিম/রিম ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামী ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো প্রকার সিম বিক্রি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কর্তৃক সিম ব্যবহার বন্ধ তথা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সুবিধাদি প্রদান না করা সংক্রান্ত সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বিটিআরসিকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হল।”

বিটিআরসি নির্ধারিত সেই সাতদিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিপূর্ণভাবে চালু ছিল মোবাইল নেটওয়ার্ক। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হবে সেটি ভুল। এমন কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা সেখানে সবসময় টু-জি সেবা চালু রাখব। তবে থ্রি-জি ও ফোর-জি সেবা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত থ্রি-জি ও ফোর-জি সেখানে চালু থাকবে। তবে রোহিঙ্গাদের কাছে নতুন করে সিম বিক্রি কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে।


মন্ত্রীর কথার সত্যতা পাওয়া যায় ক্যাম্পগুলোতে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ক্যাম্পে অবস্থানরত একাধিক রোহিঙ্গার সঙ্গে ফোনে কথা বলা সম্ভব হয়েছে।

কুতুপালং ক্যাম্প-৩ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা যুবক সাদ্দাম হোসেন বলেন, সকাল থেকে নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ইন্টারনেটে একটু সমস্য ছিল। কিছুক্ষণ আসে আবার চলে যায়।

বালুখালী ক্যাম্প-১৭ এর বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক ও এয়ারটেল আছে। তবে গ্রামীণফোন একেবারে নেই। ফোনে কথা বলা যাচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ভিডিও কলেও কথা বলা যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেটওয়ার্ক চালু রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত ক্যাম্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিবন্ধক হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে বিভিন্ন মহলে।

তারা বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চত করতে হলে নেটওয়ার্কের মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাংলাদেশি অপারেটদের নেটওয়ার্ক নাকি মিয়ানমারেও পাওয়া যায়। এসব অব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে হবে।

এ দিকে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প এলাকায় ব্যবহার করা সিমের সংখ্যা ৮ থেকে ৯ লাখ। নতুন সিম বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হলেও এ ৮-৯ লাখ সিম নিষ্ক্রিয় করার উপায় খুঁজতে শুরু করেছে বিটিআরসি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে কক্সবাজার প্রশাসন এবং পুলিশের প্রত্যক্ষ সহায়তা চাওয়া হয়েছে বিটিআরসির পক্ষ থেকে।

রোহিঙ্গাদের সিমকার্ড ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় ডিলারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কাছে কোন অবস্থাতেই সিম বিক্রি করা যাবে না। যদি কোন এলাকা থেকে সিম এনে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পে নেটওয়ার্ক কিছুটা সচল রয়েছে বলে তার কাছে খবর আছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী।


টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোবাইল নেটওয়ার্কের বিষয় নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে। কিছুটা দুর্বল হলেও কয়েকটি ক্যাম্পে আগের মতোই নেটওয়ার্ক পাওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং পরবর্তী নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এখন নেটওয়ার্ক সচল রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে বিটিআরসিকে চিঠি দেওয়া হবে। যাতে দ্রুত সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ‘জাতিগত নিধন‘ অভিযান পরিচালনা করে। তখন প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।

আগে থেকেই আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরাসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তবে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

   

১৫ বছরে দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে ১১৯ গুণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে চতুর্থবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন। এর আগে তিনি প্রথমবার ২০০৯ সালে দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ৩ মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এরমধ্যে গত ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ১১৯ দশমিক ৪০ গুণ। ২০০৯ সালে বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ টাকা থাকলেও ২০২৪ সালে এসে বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৬ টাকায়। এই সময়ে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ দশমিক ২০ গুণ। ২০০৯ এবং ২০২৪ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০০৯ সালে দাখিল করা হলফনামায় তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৮ টাকা। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৪ টাকায়। সেই হিসেবে, গত ১৫ বছরে মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ দশমিক ২০ গুণ।

হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দিদারুল কবির রতন ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন। সেই সময় হলফনামায় নিজেকে ব্যবসায়ী দেখালেও ব্যবসার ধরনের কথা উল্লেখ ছিল না। ছিল না শেয়ার সঞ্চয়পত্র থেকে কোনো আয়। কৃষি থেকে ৬০ হাজার টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া ৩৬ হাজার টাকা এবং ব্যবসা হতে ৬০ হাজার টাকা আয় দেখানো হয়েছিল।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় দেখা গেছে, তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৬ টাকা। আয়ের খাত হিসেবে তিনি কৃষি খাতে ২৫ হাজার ৭৮০ টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৬৭ হাজার ২১৬ টাকা, মৌসুমী মাল বিক্রি বাবদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা, ঠিকাদারি হতে ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা, জনশক্তি রপ্তানি করে ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র এক কোটি টাকা, পেশা খাত হতে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মৎস চাষ করে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৭৫০ টাকা আয় দেখিয়েছেন।

২০০৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী দিদারের যৌথ মালিকানাধীন ৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ থাকলেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, স্থাবর সম্পদের মধ্যে দিদারুল কবির রতনের (অর্জনকালীন সময়ের আর্থিক মূল্য) ২ লাখ টাকার কৃষি জমি, ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার অকৃষি জমি, ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৬ টাকা মূল্যের একটি ভবন, ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বাড়ি এবং ১১ লাখ ৭২ হাজার ৭৫০ টাকা সমমূল্যের চা-রাবার বাগান ও মাছের খামার রয়েছে।

এবারের হলফনামা অনুযায়ী, দিদারের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩০ টাকা, বীমা ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৮ টাকা, ডিপিএস ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৮০ টাকা, একটি মোটরকার ৩০ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এক লাখ টাকা, আসবাবপত্র এক লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। তার রয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার পিস্তল, শর্টগান, কার্তুজ ও বুলেট।

২০০৯ সালে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৫১ হাজার ৫৮৮ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ৯০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছিল। একই হলফনামায় দিদারুল কবির রতনের ১০ লাখ টাকার ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। ১৫ বছর পর এবারের হলফনামায় স্বর্ণালংকারের পরিমাণ ১০ ভরি কমিয়ে ৩০ ভরির দাম দেখানো হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।

দিদারুল কবির রতন ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন তিনি।

দিদারুল কবির রতন ১৯৯০ সালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আতাতুর্ক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার পরেই দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। পরবর্তী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি থেকে পর্যায়ক্রমে ২০০৩ সালে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। দিদার ২০১১ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ও ২০১৬ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন।

;

কুকি-চিন আর্মির নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুকি-চিন আর্মির সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি জোনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বম কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, লাইমী পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫।

তবে এবিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র‍্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী।

;

২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, সুস্থ ১১



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের। এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ২২৩ জন।

শুক্রবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৬৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৭টি।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

;

জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাজ্জাত হোসেন কামাল (৫৫) নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন জাকারিয়া (৩৫), মহিবুল্লাহ (১৮) ও তার মা (৫০)।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বওলা ইউনিয়নের পুরাননগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সাজ্জাত হোসেন কামাল ওই এলাকার ছালাম ফকিরের ছেলে। সে ধোবাউড়া উপজেলার গোয়তলা রঘুরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন ।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মাহাবুবুর রহমান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে নিহত সাজ্জাত হোসেন কামালের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে চাচা আবুল খায়ের ও চাচাতো ভাইদের সাথে বিরোধ চলছিল। তীব্র তাপদাহে ফসলের জমি শুকিয়ে যাওয়ায় শুক্রবার সকালে সেচ পাম্প দিয়ে নিজ পুকুর থেকে জমিতে পানি নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসময় চাচাতো ভাই ও ভাতিজা ও ভাইয়ের স্ত্রী বাধা দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাত হোসেন কামালের শরীরে আঘাত করেন তারা। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সময় তার গলাটিপে ধরা হয়।

পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খরব পেয়ে ফুলপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচাতো ভাই, ভাতিজা ও চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে আটক করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছালাম ফকির বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ফুলপুর থানা ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;