বিশ্বজুড়ে রোহিঙ্গারা গণহত্যার বিচার চাইছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের দু’বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বজনদের গণহত্যার বিচার চেয়েছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গারা।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত নৃশংসতার বিচার নিশ্চিত করার জন্য দেশটি থেকে নিপীড়িত রোহিঙ্গারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এ বিচার আহ্বান করে।

ডাচ-ভিত্তিক রোহিঙ্গা গোষ্ঠী ইইউ রোহিঙ্গা কাউন্সিলরকে টুইট করে মিয়ানমারের গণহত্যার অপরাধীদের বিচারের জন্য জাতিসংঘ, ইইউ, মার্কিন, ওআইসি (ইসলামী সহযোগী সংস্থা) এবং দক্ষিণ পূর্ব এশীয় জাতিসংঘের সমর্থন চায়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নৃশংসতা বন্ধে কাজ না করার অভিযোগ তুলে তারা বলেছে, বিশ্ব মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের অধিকার অর্জনে নীরব ভূমিকা পালন করছে। তবুও রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার পেতে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। কিন্তু বিশ্ব অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে রেখেছে।

নির্বাসিত রোহিঙ্গা কর্মী রো জা জা নইং টুইট করে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। দুঃখের বিষয় হলো মিয়ানমারে এই জালিম মানুষদের সংখ্যা এখন অনেক বেশি।

আরও পড়ুন: রাখাইনে বিদ্রোহী দমন নামে শিশু হত্যায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী

আইরিশ-ভিত্তিক রোহিঙ্গা অ্যাডভোকেসি গ্রুপ স্টেটলেস রোহিঙ্গা এবং রোহিঙ্গা অ্যাকশন আয়ারল্যান্ডও রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে টুইট করেছে।

রোহিঙ্গা অ্যাকশন আয়ারল্যান্ড রোহিঙ্গাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমারের একটি অনন্য জাতিগোষ্ঠী বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, রোহিঙ্গা মূলত মুসলিম জাতিগোষ্ঠী, যারা বহু শতাব্দী ধরে স্বাধীন আরাকান রাজ্যের বাসিন্দা ছিল। তাদের আলাদা ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বিশ্বাস বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে একটি অনন্য সংখ্যালঘু জাতী হিসেবে গড়ে তোলে।

ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের প্রধান মং জার্নি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়মুক্তির রায় ঘোষণা করার জন্য দেশটির প্রধান নেতাকে অপরাধী বলে অভিহিত করেছেন। তিনি টুইট করে জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মৃতি দিবসের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে একটি নোবেলজয়ী ব্যাক্তি অং সান সু চি’কে নুরেমবার্গ-যোগ্য অপরাধী হিসেবে দাঁড় করানো উচিৎ।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভিত্তিক ফরটিফাই রাইটস রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে তাদের অপরাধের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, গণধর্ষণ ও অন্যান্য নির্যাতন করেছিল।

গত সপ্তাহে প্রায়ি ৩ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা উল্লেখ করে গবেষক আজিম ইব্রাহিম টুইট করেছেন, ‘কোনো রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়নি। কারণ, তারা তাদের ভাগ্য নিয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। জাতিসংঘে তাদের নিয়ে যে চিন্তাভাবনা ও কাজ করেছে তাতেও তারা কোনো আশা রাখতে পারেনি।’

গণহত্যার বেঁচে থাকা এবং ব্রিটিশ ভিত্তিক বার্মিজ রোহিঙ্গা সংস্থার প্রধান তুন খিন ২০১৭ সাল থেকে দুই বছরের রোহিঙ্গাদের কষ্টের জীবন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে টুইটারে লিখেছেন, সংকট দেখা দেওয়ার শেষ নেই।

   

গাইবান্ধায় পাপিয়া হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় পাপিয়া হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার

গাইবান্ধায় পাপিয়া হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে পাপিয়া হত্যা মামলার এক নম্বর আসামিসহ তিন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা।

রোববার (২ মে) সকাল পৌনে দশটার দিকে র‍্যাবের স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ আল বশির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে শনিবার দিনগত ভোর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার চর কাশিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাপিয়া হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি রাব্বি মিয়া (২৬), চার নম্বর আসামি পাপুল মিয়া (৩০) ও ৮ নম্বর নারী আসামি ইসমত আরা বেগম (২৬)। তাদের মধ্যে রাব্বি ও পাপুল উপজেলার বিরামের ভিটা এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে। এছাড়া আসামি পাপুল ও ইসমত আরা বেগম স্বামী-স্ত্রী।

মামলার এজাহার ও র‍্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে নিহত পাপিয়া ও তার আপন চাচা দুলা মিয়ার সাথে বিরোধ চলছিল। গত ১৮ মে সকালে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ রোপন করতে যান দুলা মিয়াসহ তার লোকজন। এ সময় পাপিয়া গাছ রোপনে বাঁধা দিলে প্রথমে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে চাচা দুলা মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভাতিজি পাপিয়ার গলায় প্রচন্ডভাবে আঘাত করে ৷ এতে পাপিয়ার শ্বাসনালি কেটে গিয়ে প্রচন্ড রক্তাপাত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা গুরতর আহত পাপিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পরদিন ১৯ মে নিহত পাপিয়ার ভাই আরিফুজ্জামান (৪৫) বাদি হয়ে মৃত শায়েখ আলীর ছেলে চাচা চাঁন মিয়া (৬০) ও দুলা মিয়া (৬২), চাঁন মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া (২৬) ও পাপুল মিয়া (৩০), রাব্বি মিয়ার স্ত্রী পারভিন আক্তার (২৩), দুলা মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৪৮), পাপুল মিয়ারর স্ত্রী ইসমোতারা বেগম (২৬) এবং মৃত নয়া মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (৪০) সহ আরও ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পলাশবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতার হওয়া আসামিরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। পরে ছায়া তদন্তে র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা ও র‍্যাব-১১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল শনিবার ভোর রাতে নারায়ণগঞ্জের চর কাশিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, ঘটনার দিনই অপর এক অভিযুক্ত নারী পারভিন আক্তারকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ।

;

নোয়াখালীতে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
নোয়াখালীতে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

নোয়াখালীতে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১।

শনিবার (১ জুন) রাতে উপজেলার মিরওয়ারিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আবুল কাশেম বাবুল (২৭) উপজেলার আমানউল্যাপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের আরিফুর রহমানের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, আসামি বাবুল একজন অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবত সে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা এলাকায় অস্ত্র এবং মাদক ব্যবসা করে আসছিল। ২০১৯ সালের ৩০ মে তাকে আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ ১টি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ২টি কার্তুজ ও ৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বেগমগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র ও একটি মাদক মামলা রুজু হয়।

ওই অস্ত্র মামলায় আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি বাবুলকে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে সে গ্রফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

সিলেটে সীমান্তে পড়ে ছিল যুবকের মরদেহ, শরীরে আঘাতের চিহ্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নারাইনপুর সীমান্ত থেকে নুরুজ্জামিন (২৩) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২ জুন) সকালে পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত যুবক চিকাডহর গ্রামের মৃত হানিফ আলীর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ।

স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় স্থানীয় কয়েকজন নারায়নপুর সীমান্তের কাছে মাছ ধরতে যান। সেখানে গিয়ে তারা নদীতে একটি ভাসমান মরদেহ দেখে এলাকায় খবর দেয়। পরে বিজিবি ও পুলিশে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, রাতে কে বা কারা যেন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। শরীরের বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

;

‘দেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতাকারীদের নয়, সহযোগীদের নিয়ে এগিয়ে চলব’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী কিন্তু তারা সব সময় দেশের অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাদের দিকে তাকানোর সুযোগ নেই আমাদের। বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়ে চলব। আর সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

রোববার (২ জুন) গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া, সেটা আমার দেখার দরকার নাই। আমার দরকার উন্নয়ন। যারা এ উন্নয়নে সহযোগিতা করবে তাদেরকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।

সরকার প্রধান বলেন, দেশে একশ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে বেশি তাকায়। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে–এটা তারা মানতে পারে না, পছন্দ করে না।

তিনি বলেন, তারা সবসময় এটা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো। যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না।

ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একদল মানুষ চেয়েছিল এদেশের ইতিহাস বিকৃতি করতে। কিন্তু সেটা তারা পারেনি। ইতিহাস বিকৃতি এখন মুছে গেছে। মানুষের সামনে সঠিক ইতিহাস উঠে এসেছে। 

১৫ আগস্টে স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর, জার্মানিতে ৬ বছর নির্বাসনে থাকাকালীন জয়-পুতুল খুব দেশে আসতে চাইত। সারা দিন কান্নাকাটি করত। ইন্দিরা গান্ধীও অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমাদের দেশে আসতে দেয়া হয়নি।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। পরিবারের সবাই সেটা জানতেন, কিন্তু স্বাধীনতার কথা মুখে বলা বারণ ছিল।

প্রতিযোগীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না। তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা। এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না। কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেয়া যায় না।’

;