বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের দিনপঞ্জিকা গুরুত্বপূর্ণ দলিল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বিশ্লেষণ করে তার আদর্শ থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয়, অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধু আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে গেছেন। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন করা।’

রোববার (২৫ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন- সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. মোল্লা মো. আবু কাওছার।

স্পিকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি দিন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- তিনি মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তার সংগ্রামী জীবনের দিনপঞ্জিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল।’

স্পিকার আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ ২৩ বছর আপসহীন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নজরদারিতে ছিলেন। পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিটি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের পরতে পরতেই মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ত্যাগ।’

তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। জনগণের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন। তিনি অসীম সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা এবং সংবিধান।’

স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল সূচকে উন্নয়নের রোলমডেল।’ এ সময় জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে তারই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় আত্মনিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বাবু মুকুল বোস এবং নার্গিস রহমান এমপি বক্তব্য দেন।

পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

   

বাবার স্বপ্নপূরণে দেশে ফিরে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এ দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় পরিণত করা। বাবার সেই স্বপ্নপূরণের জন্যই এদেশে ফিরে এসেছি।

তিনি বলেন, মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগুতে পারে না। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে। জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।

শুক্রবার (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারা শুভেচ্ছা জানাতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদেশ যাওয়ার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানতাম না যে, আমাকে এতবড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।

ছোটবোন শেখ রেহানার বিয়েতে অংশ নিতে পারেননি বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু যখন তার বাচ্চা হবে, মিসেস গান্ধী আবার ক্ষমতায় এলেন, তিনি সব ব্যবস্থা করে দিলেন, আমি গেলাম। এরপর আবার দিল্লিতে ফেরত এলাম।

তখন আমাকে লন্ডন থেকে আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুবুর রহমান টেলিফোন করে বললেন আপনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। আমি তাকে বললাম আমি তো আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চাই না, আমাকে কেন করবে? আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আছে।

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ঝড়-ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সেই দিনে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরেন তখন যুদ্ধাপরাধী ও জাতির পিতার হত্যাকারীরা ক্ষমতায় ছিল। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমার পাশে ছিল বাংলাদেশের জনগণ। আমি জানতাম আমাকেও আমার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে। কিন্তু দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। 

সরকারপ্রধান বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলবো- আমার সব শক্তি ও সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি। আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এত বড় সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা আমার ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। তারা বরং শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা করেনি। ভবিষ্যৎ কী সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ যেন আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

নেতাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, এটাই মনে রাখবেন একটা দল করি শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম। এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকার পেয়েছিল, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও জয় বাংলা স্লোগানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জয় বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে যেমন স্থান করে নিয়েছে। তেমনি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

;

সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ে বাঙ্গালি সংস্কৃতি আরও ঋদ্ধ হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছে, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বাঙ্গালি সংস্কৃতি আরও ঋদ্ধ হবে। বাঙ্গালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সাথে জাপানীজ কৃষ্টি, শিক্ষাদীক্ষা চর্চা ও অনুশীলন করতে পারলে আমাদের সংস্কৃতি আরও মার্জিত হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) কেরানীগঞ্জে হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও জাপান দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতির উপাদানসমূহের প্রদর্শনী বাড়ানো গেলে সাংস্কৃতিক সম্পর্কও জোরদার হয়। এই ক্যালিগ্রাফি কর্মসূচির মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীরতর হবে। সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অভিব্যক্তি বিনিময় বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া অংশগ্রহণকারীরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাপানি ক্যালিগ্রাফির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারবে। ক্যালিগ্রাফি করতে একাগ্রতা ও স্থির হতে হয় , যার মাধ্যমে নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার মাধ্যমে এই গুণটাও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি বলেন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হবে।

কর্মশালাটির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জাপানি ক্যালিগ্রাফির রাজ্যে প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন। কর্মশালাটি পাঁচটি দলে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ২০ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে এবং প্রতিটি সেশন ৩০ মিনিট স্থায়ী হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিখ্যাত জাপানি ক্যালিগ্রাফি শিল্পী মিসেস সাতোকো আজুমা বক্তব্য রাখেন।

;

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাজশাহী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, রাজশাহীতে আমের ফলন কম হওয়ায় দাম বাড়তে পারে। আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর করমপুর গ্রামে আম বাগান পরিদর্শন ও চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ জন কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে রপ্তানিযোগ্য আমের মান ও গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারত বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বছর আমের ফলন ভালো হওয়ায় আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আম রপ্তানির পরিকল্পনা করছি। নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটি বিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষি ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

;

বেঁচে থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান অপু, দরকার সাহায্যের



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী রাসেল সিদ্দিক অপু। তারমাথা, পা ও মেরুদণ্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে।

এ অবস্থায় নিজের অবস্থান ও জীবন নিয়ে দুঃস্বপ্নে দিন কাটছে তার।

অপু বরিশাল জেলা স্কুলের ২০০৮ ব্যাচের প্রভাতি শাখার সাবেক শিক্ষার্থী।

পড়ালেখা করেছেন সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে (২০১০ ব্যাচ)। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিজ কর্মস্থল রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

সারা শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত অপুকে ভর্তি করা হয়েছিল কার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান তার মেরুদণ্ডের কয়েকটি হাড় ভেঙে গেছে।

স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে দিয়ে যে নার্ভ সিস্টেম থাকে তা ছিঁড়ে গেছে। ফলে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত প্যারালাইজড হয়ে যায়।

অপুর স্কুল জীবনের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তার ফিরে আসার স্বপ্ন এখনও শেষ হয়নি। বিদেশে উন্নত সার্জারি, নিউরো-ট্রান্সমিটার চিপ স্থাপন ও অ্যাডভান্সড থেরাপির মাধ্যমে তিনি আবার নিয়মিত জীবনধারায় ফিরে আসতে পারবেন।

অপুর মামাতো ভাই মো. সালাউদ্দীন আহমেদ রিফাত জানান, চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ পরিমাণ অর্থের সংস্থান করা বাংলাদেশের যেকোনো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যই প্রায় অসম্ভব। অপুর পরিবারের জন্যও তাই।

অপুর বন্ধু মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান) জানান, চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে অপু ও তার পরিবার।

অপুর বিষয়ে যেকোনো তথ্যের জন্য ০১৮২৭৬৯৪০৪৬ ও ০১৬৮৫৫৩৯৩৬৩ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন তারা।


ডোনেশনের জন্যঃ

ব্যাংকের তথ্যঃ

একাউন্ট নেম: MD SALAHUDDIN AHMED, MAHAMUD HASAN RAJU AND HAFIJ UDDIN AHMED RAIYAN

একাউন্ট নং: 011931100005755

ব্রাঞ্চ নেম: NRBC BANK PLC, Barishal Branch. Or NRB COMMERCIAL BANK, Barishal branch.

রাউটিং নাম্বার: 260060280

সুইফট কোড: NRBBBDDH

একাউন্ট হোল্ডারদের পরিচয়ঃ

১. মো: সালাউদ্দীন আহমেদ (রিফাত), উদয়ন স্কুল ২০০৮ ব্যাচ। (অপুর মামাতো ভাই)

২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান), বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (দিবা শাখা)। (অপুর বন্ধু)

৩. হাফিজউদ্দিন আহমেদ রাইয়ান, বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (প্রভাতি শাখা)। (অপুর বন্ধু)

মোবাইল ব্যাংকিং তথ্যঃ

১.শান্তনু অঙ্গন। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01689-024978 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান)। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ

01827-694046< পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


৩. কাজী মিরাজুল ইসলাম নিশান। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01685-539363 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।

৪. তনু মিত্র। বরিশাল জিলা স্কুল, প্রভাতি শাখা, ২০০৮ ব্যাচ।

বিকাশঃ 01719-936837 (পারসোনাল)

নগদঃ 01913-142801

বি.দ্র: বিকাশ/নগদে সেন্ড মানি করতে হবে।

রেফারেন্সে নিজের নাম বা FFO লিখে দিবেন।

paypal: https://www.paypal.com/pools/c/94hEOCK9ZX

www.paypal.com

;