রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৫ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। এ সময় ডাকাতির সরঞ্জামাদি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর তেজগাঁও কলেজের তিনরাস্তার মোড়ের সামনে ফাঁকা জায়গায় দেশীয় অস্ত্র, ডাকাতির সরঞ্জামাদিসহ ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এক দল ডাকাত। এমন সময় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে র্যাব।
আটককৃতরা হলেন মোঃ কাজল (৩৬), নাজির হাওলাদার (২০), মোঃ সুজন (২৫), মোঃ সাইফুল (২২), মোঃ স্বাধীন শেখ (১৯)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানায়, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। বিশেষ করে দিনের বেলায় তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নগদ অর্থ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে। এছাড়াও রাতের বেলায় তারা এরকম দুই বা ততোধিক দল একত্রিত হয়ে নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটে বা ফাঁকা বাড়িতে গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে প্রবেশ করে ডাকাতি করে থাকে।
আটককৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা শহরের সুবিধাজনক স্থানে বিভিন্ন লোকজনদের চাপাতি, ছোরা, চাকু ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে জনশক্তি প্রেরণ বন্ধ হবে না: প্রতিমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
জাতীয়
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে জনশক্তি প্রেরণ বন্ধ হবে না।
তিনি বলেছেন, আবারও কোটা পেতে সরকার কাজ করছে। আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না। মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার খোলা হবে এবং খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের সেন্ড-অফ প্রোগ্রাম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান কোটার আওতায় মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশসহ ১৪টি কর্মী প্রেরণকারী দেশ থেকে আগামী ৩১ মে মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোটা অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কাজ করছে সরকার।
আগামী ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কোটা অনুযায়ী সকল কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন করে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। তবে আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে তারা যদি সময় না বাড়ায় তাও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা আগামী ৩১ মে লক্ষ্য করে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যে ৩১ তারিখের মধ্যে কোটার সকল কর্মী যেন পাঠাতে পারি। কোটার মধ্যে যতজন কর্মী বাকি রয়েছেন তাদের সবার মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড মল্লিক আনোয়ার হোসেন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর শুরু হয়। অদ্যাবধি ১ হাজার ৩০৮ জন কর্মী পাঠিয়েছে বোয়েসেল। আজ আরও ৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্ল্যান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্ল্যান্টেশন (ইউপি) বারহাতে গমন করবে। সম্পূর্ণ বিনা ব্যয়ে বোয়েসেলের মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মীরা মালয়েশিয়া গমন করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ও ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয়
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি সাম্বল রিজভি (Sumbul Rizvi) এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিনশেত্রু (Gabriel Chinchetru)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাম্বল রিজভি মন্ত্রীকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সেনাবাহিনী ও বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর চলমান সশস্ত্র সংঘাত, মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জীবনযাত্রার ওপর আলোকপাত করেন।
ড. হাছান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত প্রায় শত বছরের পুরোনো। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর কার্যকর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। ভারত ও চীনকে এ বিষয়ে আরও তৎপর করতে ইউএনএইচসিআর কাজ করতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউনিটে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আশ্রিতদের দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা যেতে পারে যা নিজ দেশে ফিরে গিয়ে তাদের পেশাগত জীবন গড়তে সহায়ক হবে।
ভাসানচরে আরও রোহিঙ্গা স্থানান্তর ও সেখানকার স্থাপনা নিয়মিত মেরামতের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন হাছান।
এরপরই বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিনশেত্রুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়াবলী নিয়ে আন্তরিক আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশের রফতানি গন্তব্য হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ স্পেনকে দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আইটি ভিলেজগুলোতে বিনিয়োগের আহবান জানান মন্ত্রী।
পাশাপাশি স্পেনের সাথে 'মাইগ্রেশন মোবিলিটি এগ্রিমেন্ট' করার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হন মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ্য, বর্তমানে গ্রিসের সঙ্গে এই চুক্তি রয়েছে এবং ইতালি, অস্ট্রিয়া ও মাল্টার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলাপ চলছে।
রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল জানান, সেখানে প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে, যারা স্পেনের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সুবিধাজনক সময়ে স্পেন সফরের আমন্ত্রণ জানান।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
জাতীয়
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কক্সাবাজার সমুদ্র সৈকতের আদলে গড়ে তোলার বিষয়ে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১৬টি সিদ্ধান্তও হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নগরীর পতেঙ্গা ও আনোয়ারার পারকিসহ জেলার সকল সমুদ্র সৈকতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, পর্যটন উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। একইসঙ্গে সমুদ্র সৈকতগুলোর নিরাপত্তা, শৃংখলা পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাদির ব্যবস্থা, অবকাঠামো নির্মাণ, সৈকতের সার্বিক উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনার জন্য মহাপরিকল্পনা তৈরি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আদলে গড়ে তোলার বিষয়ে কমিটির সদস্যরা মতামত দেন।
১৬ সিদ্ধান্ত
আলোচনা সভা শেষে ১৬টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলো হলো বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পর্যটকদের সুবিধাজনক অবকাঠামো নির্মাণ করা, বিচ এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, স্থায়ী/অস্থায়ী অফিস স্থাপন, সমুদ্র সৈকতের জন্য মহাপরিকল্পনা তৈরি, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত সৈকতের দোকানসমূহ সুশৃংখল ও পুনর্বাসন করা, সৈকত এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য পোশাকধারী সেবক নিয়োগ, গাড়ি পার্কিং, সেবা গুলোকে জোন ভিত্তিতে ভাগ করা, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আদলে সাজানো, বিচের গেজেটভুক্ত এলাকা চিহ্নিত করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও অবৈধ দখলদারদের পুনর্বাসন করে উচ্ছেদ করা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ব্যবস্থা নেওয়া, পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধাদির ব্যবস্থাসহ সৈকতের সার্বিক উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনাসহ বিদেশী পর্যটকদের জন্য সৈকতে এক্সক্লুসিভ জোন নির্ধারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, পর্যাপ্ত টয়লেট, শৌচাগার, চেঞ্জিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ, বি এলাকায় ফটোগ্রাফারসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীদের সংখ্যা নির্দিষ্টকরণ, সাময়িক পরিচয়পত্র প্রদান, সেবা মূল্য নির্ধারণ ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা, সৈকত এলাকায় খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বাজার মূল্যের সঙ্গে মিল রেখে বিক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। এছাড়া পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের উন্নয়নের বিষয়ে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। সৈকত এলাকায় পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ট্যুরিষ্ট পুলিশের শেড/অফিস নির্মাণের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
সভায় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ, সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক ইমন, সিএমপির কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আসিফ মাহমুদ গালিব, জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মনীষ দাশ, পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েদ, দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, চ্যানেল আইর ব্যুরো চিফ চৌধুরী ফরিদ, হোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম দাশ, সিডিএর স্থপতি মো. গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, চট্টগ্রাম ট্যুরিস্ট গ্যাংয়ের সিইও সাকিব নাবিল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা দীপক কুমার সরকার প্রমুখ।
ভূমি সেবায় মানুষের দুর্ভোগ দূর করায় পুরস্কার পেলেন এসিল্যান্ড আলাউদ্দিন
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
জাতীয়
উপজেলা ভূমি অফিস মানেই যেন দুর্ভোগ আর ভোগান্তি, দিনের পর দিন সেবা পেতে অপেক্ষা। বোয়ালখালী উপজেলা ভূমি অফিসও তার বাইরে ছিল না। একটা সময় এখানে নথি গায়েবের ঘটনা ঘটতো। সেই নথি খুঁজে পেতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ার দশা হতো মানুষদের।
কিন্তু উপজেলায় সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসিল্যান্ড) হিসেবে যোগদান করেই সেই চিত্র বদলে দেন মো. আলাউদ্দিন। নথি যেন সহজে খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য তিনি উদ্যোগ নিয়ে গড়ে তোলেন বোয়ালখালীতে ‘ডিজিটাল রেকর্ড রুম’। এর আওতায় উপজেলার সব বিএস এবং আরএস মৌজা ম্যাপ ডিজিটাইজ করা হয়। সেই মৌজা ম্যাপের সঙ্গে ভূমি সংক্রান্ত রেকর্ডগুলো সংযুক্ত করে একটি স্মার্ট ভূমি ম্যাপও প্রস্তুত করেন। এই স্মার্ট ভূমি ম্যাপের মাধ্যমে অফিসে বসেই জমির অবস্থান, অবস্থা, পরিমাণসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে। এতে একদিকে মানুষের হয়রানি দূর হয়েছে অন্যদিকে সময় ও অর্থের অপচয়ও কমেছে। বোয়ালখালী উপজেলা থেকে বিদায় নিয়ে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ড উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেবে যোগ দেন আলাউদ্দিন। এরপর সেখানেও একইভাবে সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেন।
মো. আলাউদ্দিনের জনগণের দুর্ভোগ ও হয়রানি কমিয়ে দেওয়ার সেই প্রচেষ্টা এবার হলো পুরস্কৃত। শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন এই এসিল্যান্ড। প্রযুক্তির প্রসার ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক সেবায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) ভূমি সংস্কার বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট ভুমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা ও ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে আলাউদ্দিনকে 'শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ পুরস্কার ২০২৪' তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়রাম্যান (সচিব) মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল।
প্রতি বিভাগ থেকে দুই জন করে আট বিভাগের ১৬ জন সহকারী কমিশনার-ভূমি তাদের নিজ নিজ উপজেলায় নেওয়া উদ্ভাবনী উদ্যোগ উপস্থাপন করেন। সেখানে তিন জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এরমধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুমি আলাউদ্দিনের উদ্যোগটি সবার সেরা হয়েছে।
মো. আলাউদ্দিনের পুরস্কারে দারুণ উচ্ছ্বসিত চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন। এটি আমাদের জন্য গর্বের। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইডিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হাতে নিয়ে পুরস্কৃত হওয়া মো. আলাউদ্দিন বলেছেন, ‘সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেছি কীভাবে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাপ্রার্থীদের সহজে সেবা দেওয়া যায়। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বোয়ালখালী এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করি। ভূমি সংস্কার বোর্ড কর্তৃক আমার উদ্যোগটি শ্রেষ্ঠ উদ্যোগ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে।’
এসময় এসিল্যান্ড যারা তাকে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তারা আমার সব কাজে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যুগিয়েছেন। ভবিষ্যতেও মানুষের জন্য ভালো কিছু করে যেতে চাই।’