আজও ঢাকায় ফিরছে মানুষ, ভোগান্তি ট্রেনে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ট্রেনেও ভোগান্তির স্বীকার যাত্রীরা,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ট্রেনেও ভোগান্তির স্বীকার যাত্রীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ শেষে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তকে স্মৃতি করে কাজের টানে আজও ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষেরা। ট্রেনে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। ফিরতি পথে যাত্রীদের ঢাকা আসতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখন পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছে। প্রতিটি ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ভিড় ঠেলে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই ফিরছেন ব্যস্ত নগরীতে।

সারাদেশ থেকে ঈদের জন্য স্পেশালসহ মোট ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566021234853.jpg

 

সিলেট থেকে ঢাকা আসা মুরাদ হাসান নামে এক যাত্রী বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন,'ঈদের সময় ঢাকা থেকে ট্রেনে যেতে যে ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরতেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। পথে নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফিরতি ট্রেনেও যাত্রীদের অধিক চাপ। গরমে হাঁসফাঁস করার মতো অবস্থা। ট্রেনের আসন সংখ্যার তুলনায় দাঁড়ানো যাত্রী বেশি থাকার ফলে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566021292882.jpg

 

চট্টগ্রাম থেকে আসা সামিয়া রহমান নামে এক যাত্রী অভিযোগ করে বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে অফিস। তাই আজ ঢাকায় আসলাম। নারী যাত্রী হিসেবে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু নির্বিঘ্নে যাত্রা করার জন্য ট্রেনকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু পথে বিভিন্ন দুর্ভোগের পর অবশেষে ঢাকায় পৌঁছলাম। প্রতিটা স্টেশনেই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশিক্ষণ বিরতি ছিল, ফলে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে ঢাকায় পৌঁছেছে ট্রেন। এই গরমে ট্রেনের ভিতরে সবচেয়ে বেশি কষ্টে, পোহাতে হচ্ছে মহিলা ও শিশুদের।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566021309180.jpg

 

কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এবার ঈদের আগে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের যাত্রীদের আমরা সময়মতো তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারিনি। এতে তাদের কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিলো।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566021365667.jpg

 

তিনি আরো বলেন, ’যেসব যাত্রীরা গ্রামে ঈদ করতে গিয়েছিল তারা আবার ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। আমরা হয়তো তাদের সেবা দিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারিনি। পরবর্তীতে তাদের কোন ধরনের অভিযোগ ছাড়াই ভালো ট্রেন সার্ভিস দিতে পারব বলে আশা করছি।'

উল্লেখ্য, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ট্রেনের পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। ফিরতি পথের মানুষের ভিড় বলে দিচ্ছে, রোববার থেকে আগের কর্মব্যস্ত রূপে ফিরবে যানজটের এ নগরী।

   

২৭শ ভোটারের কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১২৭টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকেই অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে ধারণা করছেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।

সরজমিনে দেখা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার বালার হাট ইউনিয়নের খোর্দ্দ শেরপুড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১২৭টি। এখানে মোট ভোটার ২৭০৪ জন।

শেরুডাঙ্গ স্কুল এন্ড কলেজ, মাঝগ্রাম দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা, আরিফপুড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমড়া পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

রংপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ্ আল মোতাহসিম জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি, বিজিবি, আনসার ও ডিবি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ হওয়ায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৩৫। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুজ্জামান কামরু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ডল মাওলা ও সাবেক এমপি শাহ সোলায়মান আলমের ছেলে সাদমান ইশরাক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপরদিকে পীরগঞ্জ উপজেলায চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় এবার মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭২ জন।

তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে দু’জন আওয়ামী লীগের ও একজন জাতীয় পার্টির। তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ মণ্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন চৌধুরী জাহাঙ্গীর এবং জাতীয় পার্টির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম যাদু মিয়া।

তবে দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। কাকে ভোট দেবেন সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। তবে প্রার্থীরা বলছেন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাদের পক্ষে কাজ করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

কৃষি অঞ্চল হওয়ায় অনেক ভোটারই ব্যস্ত ধান কাটতে বলে দাবি করেছে মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মন্ডল মাওলা ও কামরুজ্জামান কামরু। তবে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে কাজ করছেন বলে তারা জানান।

এদিকে পীরগঞ্জের প্রার্থী নূর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, ১০ বছর সংসদ সদস্য এবং ১০ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি মানুষের সেবা করার। আশাবাদী জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবে।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান রুমি জানান, দুই উপজেলায় রয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার বাহিনী নিয়োজিত করার পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং র‌্যাব ও বিজিবির টহল রয়েছে।

;

সংকট-সমস্যায় জর্জরিত সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল



রাজু আহম্মেদ ও গুলশান জাহান সারিকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর কয়েক কোটি মানুষের স্বল্প মূল্যে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এটি। প্রতিদিন দিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা নেয় হাসপাতালটিতে। শুধুমাত্র বহির্বিভাগেই চিকিৎসা নেয় অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ কম খরচে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলেও এ হাসপাতালে নানা ভোগান্তিতে পড়েন রোগী ও স্বজনরা। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ওষুধ সংকট, ডাক্তার সংকটের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষায় পোহাতে হয় ভোগান্তি। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, পর্যাপ্ত ওষুধ না দেওয়া, স্যানিটেশন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ আছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ।

এছাড়া দালাল ও সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। পাশাপাশি সিট বাণিজ্য, রোগীর সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ ও অর্থের বিনিময়ে ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্ম্যে সহযোগিতা করার অভিযোগ আছে সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে। আনসারদের সাথে সিন্ডিকেটে জড়িয়ে আছে আউটসোর্সিং ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বলেও অভিযোগ আছে সেখানে।

অভিযোগগুলোর বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে টিম বার্তা২৪। খোঁজ নিয়ে মেলে হাসপাতালটির বিভিন্ন সংকট ও সমস্যার চিত্র। সাথে সিন্ডিকেট ও দালালের দৌরাত্ম্যের চিত্রও ওঠে আসে অনুসন্ধানে।

সংকটে জর্জরিত সোহরাওয়ার্দী

দেশব্যাপী চিকিৎসা জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া ও দক্ষ ডাক্তার গড়ে তোলার জন্য ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় হাসপাতালটি। গেল বছরে ৮৭৫ শয্যা থেকে উন্নীত হয়ে ১৩৫০ শয্যার সেবা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালটিতে।

ঢাকা ও আশপাশের বেশিরভাগ জেলার কয়েক কোটি মানুষের বিপরীতে ১৩৫০ সিট হওয়ায় সব সময় সিট সংকট থাকে হাসপাতালটিতে। এছাড়া চিকিৎসার ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ওষুধই মেলে না হাসপাতালে। ফলে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে রোগীদের। অ্যান্টিবায়োটিক, স্যালাইন, ইনজেকশনসহ বেশ কয়েক ধরনের ওষুধ সংকট আছে হাসপাতালটিতে।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, প্যারাসিটামল, নাপা, গ্যাসের ওষুধ ছাড়া বেশিরভাগ ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হয়। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে বাঁচা তো দূর, এমন সংকটে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে তাদের।

মায়ের অপারেশনের জন্য ১০ দিন ধরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আছেন নোয়াখালীর জিসান। প্রথমদিন ভর্তির পরেই প্রায় ১৮ হাজার টাকার ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে তাকে।

জিসান বলেন, আমার মায়ের অপারেশন। কম খরচ হবে ভেবে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় এসেছি চিকিৎসা নিতে। এখানে এসে আরও বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। সব জায়গায় দুর্নীতি। টাকা দিলে সেবা মেলে। ওষুধ শুধু নাপা দেয়। যে ওষুধের দাম বেশি সেটাই স্লিপ ধরায় দিয়ে বলে বাইরে থেকে আনতে। প্রথম দিন এসেই আমার ১৮ হাজার টাকার ওষুধ কেনা লাগছে। আমরা তো অসহায়।

ফাতেমা নামের এক নারী জানান, বাবাকে নিয়ে ১৬ দিন ধরে আছি হাসপাতালে। বেশিরভাগ ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। প্যারাসিটামল ও গ্যাসের ট্যাবলেট দিচ্ছে এখান থেকে। ওষুধ নাকি সাপ্লাই নেই বলে। থাকলেও দেয় না, নাকি জানি না।

এদিকে, কাগজেকলমে হাসপাতালটিতে ৩২৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছে ২৯৮ জন। ডাক্তার সংকট আছে হাসপাতালটিতে। এতে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে হাসপাতালের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসক দিয়ে সেবা দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছে বিপুল জুনিয়র ডাক্তার প্রয়োজন হাসপাতালে।

নন-মেডিকেল কর্মকর্তা ৩ জন, উপ-সেবা তত্ত্বাবধায়ক ১ জন, নার্সিং সুপারভাইজার ৩ জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১২ জন, স্টাফ নার্স ৪ জনসহ মোট ২৩ জন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ১০১ জন কর্মচারীর সংকট রয়েছে হাসপাতালটিতে।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকট থাকায় টয়লেট ও বহির্ভাগের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। নোংরা আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে হাসপাতালের নিচতলার বেশিরভাগ টয়লেট। পুরুষ ও মহিলার ওয়ার্ডের কিছু টয়লেটেও দেখা গেছে একই চিত্র। এছাড়া বাহিরে রোগী অপেক্ষার বেঞ্চের পাশেই রাখা হয়েছে ডাস্টবিন। ডাস্টবিনগুলো পরিষ্কার না করায় গন্ধ ছড়াচ্ছে। তবে ওয়ার্ডগুলোতে স্বাভাবিক পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে।

অন্যদিকে হাসপাতালে ভিতর ও বাহিরের বেশিরভাগ ড্রেনের অবস্থা নাজুক। ময়লা পানি ও আবর্জনা জমে গেছে। এতে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের বেডের কাপড় অপরিষ্কার ও ছারপোকার উপদ্রব আছে হাসপাতালে এমন অভিযোগও করেছেন রোগীরা।

আবু বক্কর নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা খুব খারাপ। ওয়ার্ডের পরিবেশ ভালো থাকলেও টয়লেট ব্যবহার করা যায় না। এছাড়া বিছানায় ছারপোকার জন্য রাতে রোগীরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। মাসে অন্তত একবার বিছানাপত্র পরিষ্কার করা উচিত।

টাকা দিলে মেলে সিট, টাকা ছাড়া মেলে না হুইল চেয়ার ও স্ট্রেচার সেবা

বহু চাহিদার বিপরীতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালে মাত্র ১৩৫০ সিট থাকায় সব সময় পূর্ণ থাকে বরাদ্দের সিট। তবে দালাল মারফতে টাকা দিলে সংকটের মধ্যেও ব্যবস্থা হয় সিটের। এছাড়া টাকা ছাড়া হাসপাতালে মেলে না ট্রলি, স্ট্রেচার ও হুইল চেয়ার সেবা।

রোগীর স্বজন সেজে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছে টিম বার্তা২৪। মূলত সিট বাণিজ্য ও সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের সহযোগিতা করেন ট্রলি ও হুইল চেয়ারের দায়িত্বে থাকারা। আড়াল থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে আনসার সদস্যরা। তাদের সাথে জড়িত হয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব থাকা কর্মচারীরা।

হাসপাতালে বিনামূল্যে স্ট্রেচার ও হুইল চেয়ার সেবা মেলার কথা থাকলেও। হাসপাতালের বাহিরে মেলে না সে সেবা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জেবিসি ও অন্বেষা নামের দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সেবা নিশ্চিত করছেন তারা। তবে হুইল চেয়ারধারী ও স্ট্রেচার মালিকরা বলছেন রোগী বহনের সামগ্রী তাদের নিজস্ব কেনা। কোনো বেতন পান না হাসপাতাল কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে। অথচ হাসপাতালে হুইল চেয়ার ব্যবসার জন্য সকাল-বিকাল ও রাতে ৩ ধাপে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করতে হয় তাদের। আর এ সুযোগ নাকি তাদের দিয়েছেন খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে জানান হুইল চেয়ারধারী নারী হ্যাপি বেগম।

রোগীর স্বজন সেজে জানতে চাইলে হ্যাপি বেগম জানান, তার মতো ৩০ জন হুইল চেয়ারধারী আছেন হাসপাতালে। তিন ধাপে ১০ জন করে হুইল চেয়ারের রোগী বহনের কাজ করেন তারা। বিনিময়ে ১৫০-২৫০ টাকা নেন। তবে ৫০০ টাকা দিলে কোন ঝামেলা ছাড়াই ‍সিট ম্যানেজ করে দেবেন তিনি। আমাদের (রোগীর স্বজনদের) কোনো কাজই করতে হবে না। ৫০০ টাকার বিনিময়ে রোগী বেডে তোলা পর্যন্ত সব দায়িত্ব তার।

তবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই ও ওষুধ সংকট অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাফিউর রহমান বলেন, হাসপাতালের কোন স্টাফ বা কর্মচারী হোক আর আউটসোর্সিং হোক রোগীর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নাই। এক সময় এমন পরিস্থিতি ছিল। আমরা অভিযান চালিয়ে সেটা বন্ধ করেছি। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সার্ভিস দিয়ে কেউ টাকা নেবে এটা আমরা কখনোই বরদাস্ত করব না। আমরা ইতিপূর্বে ব্যবস্থা নিয়েছি, আগামীতেও নেবো।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট আছে। এখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আসে। প্রায় ১ হাজার টয়লেট আছে। সেগুলো পরিষ্কার করে রাখার মতো জনবল আমাদের নেই। জনবলে ব্যাপক ঘাটতি আছে।

ডাক্তার সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যাপক ডাক্তার সংকট আছে। বিশেষ করে মিড লেভেলের ডাক্তার সংকট আছে। জুনিয়র ডাক্তারের সংকটের কারণ পদ সৃষ্টি না করেই ডিপার্টমেন্ট খোলা হয়েছে। ফলে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সেখানে একটা গ্যাপ রয়ে গেছে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সংকট নিরসনে সার্বক্ষণিকভাবে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ রাখছি।

;

প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৭-৮ শতাংশ: ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট শুরুর প্রথম ২ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে ইসির অতিরিক্ত সচিব এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় সকাল ৮টায় সুষ্ঠুভাবে ভোট শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এক আনসার সদস্য শারীরিক অসুস্থতায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়।

অশোক কুমার বলেন, ভোট শুরু হয়েছে মাত্র দু'ঘণ্টা। বিভিন্ন জেলার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী একেক অঞ্চলে বিভিন্ন হারে ভোট পড়ছে। কোথাও বেশি কোথাও কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই হার আরও বাড়বে।

১৫৬ উপজেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯। অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে আট হাজার ৮৪১টি। এই ধাপের মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন। নারী ভোটার রয়েছে এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৩৭ জন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় তফশিল ঘোষণায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানান সংস্থাটি।

;

হবিগঞ্জে জাল ভোটের অপরাধে একজনের কারাদণ্ড, আটক ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় দুর্জয় কর্মকার নামে একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজোলার কামাইছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই আদেশ দেন। ‌

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে কামাইছড়া ভোটকেন্দ্র থেকে দুর্জয় কর্মকারকে এক বছরের সাজা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলিম। এ ঘটনায় আরো দুজনকে আটক করা হয়। তাৎক্ষনিক আটককৃত দুজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

তাদের দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ১৭১ ‘চ’ ধারার দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড ঘোষণা করেন। এর মধ্যে আরো দুজনকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়। কামাইছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার রিংকু দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;