রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহানগর ও জেলার ৯টি উপজেলার সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়।

সকাল ৮টার দিকে রাজশাহী নগর ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বেলা ১০টার দিকে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীতে একটি শোক পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রা শেষে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এতে বঙ্গবন্ধুসহ ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

সকাল ৯টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। পরে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় পার্টির মহানগর ও জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে নগরীর এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার সামনে থেকে শোক পদযাত্রা বের করে জেলা প্রশাসন। পদযাত্রায় অংশ নেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এদিকে, বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। পরে জেলা পরিষদে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিবসহ সকল সদস্য, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দরগা এস্টেট ও হেতেমখাঁ বড় মসজিদে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। আর পুরো নগরীজুড়ে ভোর থেকেই মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, কোরআন তেলাওয়াত ও দেশাত্মবোধক গান।

বাদ আসর রাজশাহী জেলা ও মহানগরের সকল মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় বিকেলে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড় ও শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে বঙ্গন্ধুর জীবনীর ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ।

দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার রাজশাহী কেন্দ্র থেকে প্রচার হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোও প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। শিশু সদন, সেফহোম, শিশু বিকাশ, হাসপাতাল, কারাগারেও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। এসব স্থানেও অনুষ্ঠিত হবে দোয়া মাহফিল।

   

বগুড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে গলাকেটে হত্যা

বগুড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে গলাকেটে হত্যা

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী আশামনি (২২) ও ১১ মাস বয়সী সন্তান আব্দুল্লাহেল রাফীকে গলাকেটে হত্যার পর পালানোর সময় আটক করা হয়েছে সেনা সদস্য আজিজুল হককে (২৪)।

রোববার ( ২ জুন) বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

আটক সেনা সদস্য আজিজুল হক বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে। তিনি সেনা সদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত আছেন।

তার স্ত্রী আশামনি বগুড়া শহরের নারুলী তালপট্টি এলাকার আসাদুল ইসলামের মেয়ে।

শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে আজিজুল নিজেকে মিরাজ ও তার স্ত্রীকে তমা এবং তাদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ পরিচয় দিয়ে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া করেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুল হক রুমে ছেড়ে দিবে বলে ভাড়া পরিশোধ করতে চান। এসময় হোটেলের ম্যানেজার তার স্ত্রী-সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা সকালে চলে গেছেন। এসময় ম্যানেজার রুম দেখে বুঝে নেওয়ার কথা বললে আজিজুল হক স্ত্রী- সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করলে তাকে আটক করে থানায় খবর দেন হোটেল ম্যানেজার।

এদিকে আশামনির বাবা আসাদুল জানান, তিন বছর আগে আজিজুল হকের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে সন্তান প্রসবের আগে থেকেই বাবার বাড়িতে বসবাস করে। জামাই দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। রোববার তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার জামাই আজিজুল নারুলীতে শ্বশুরবাড়ি আসেন। সেখানে দুই দিন থাকার পর শনিবার বিকেলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শহরে মার্কেট করার জন্য বের হয়। রাত ১০টার দিকে আজিজুল হক ফোন করে তার শ্বশুরকে জানান, রাত ৮টার দিকে তিনি স্ত্রী সন্তানকে নারুলী যাওয়ার জন্য রিকশায় তুলে দিয়েছেন। এর পর থেকেই মেয়ের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরদিন রোববার সকালে তিনি তার মেয়ের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিং করার ব্যবস্থা করেন এবং সদর থানায় জিডি করতে গেলে বনানীতে হোটেলে মা ও সন্তানের লাশ উদ্ধারের খবর পান।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, রাতে যেকোন সময় আজিজুল তার স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষের বাথরুমে রাখে এবং ছেলের মাথা বিচ্ছিন্ন করে সকালে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশের একটি দল মাথা উদ্ধারের জন্য আজিজুলকে সাথে নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, কক্ষ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি রামদা ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আজিজুল হক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রী- সন্তানকে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক বলেছেন দাম্পত্য কলহের কারণে তিনি স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করেছেন। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

অর্থ আত্মসাৎ: সভাপতির বিরুদ্ধে ‘চেষ্টা’ সংগঠনের সদস্যের সংবাদ সম্মেলন



স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীভিত্তিক সংগঠন 'চেষ্টা'র ভাবমূর্তি রক্ষার্থে বিতর্কিত সভাপতি লাইলা নাজনীন হারুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও সেইসঙ্গে বহিষ্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংগঠনটির সদস্যরা।

রোববার (২ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বীরাঙ্গনা ও নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নিবেদিত নারী সংগঠন 'চেষ্টা' সভাপতি লাইলা নাজনীন হারুনের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সদস্য সাদেকুন নাহার পাপড়ি।

তিনি বলেন, 'চেষ্টা' একটি নারী-সংগঠন। ২০১৩ সালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার থেকে নিবন্ধিত একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী, জনকল্যাণ ও নারী কল্যাণমূলক সংগঠন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সাহায্য করে মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে সংগঠনটি। বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের এবং সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিতের মধ্যে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। এ কাজে সংগঠনের সদস্য চাঁদা ছাড়াও সরকার ও বিত্তবানদের অনুদানে চলছে সংগঠনটি।

‘চেষ্টা’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নির্বাচিত একটি কমিটিসহ সাধারণ সদস্যদের নিয়ে কাজগুলো করে আসছিল কিন্তু সংগঠনের বর্তমান সভাপতি নির্বাহী কমিটির কোনো মিটিং না ডেকে তার পছন্দের দুই তিনজন সদস্যকে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে সংগঠনের টাকা তছরুপ করেছেন, যা স্বনামে পরিচিত সংগঠনটির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সেই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করছিল, তা বাদ দিয়ে সভাপতি ও একজন উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তে অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। তারা এখন নাচগানের সংগঠনে পরিণত করেছেন ‘চেষ্টা’কে।

তিনি আরো বলেন, সভাপতি লায়লা নাজনীন ও সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা বেগম এবং তার ভাইয়ের মেয়ে কোষাধ্যক্ষ সিফাত ই নূর একক সিদ্ধান্তে কাজ করছেন। আমরা আমাদের সংগঠনে বিতর্কিত উপদেষ্টা না রাখার আপত্তি জানালেও সভাপতি অজ্ঞাত কারণে তাকে বাদ দিচ্ছেন না। সংগঠনের টাকা তছরুপ এবং অগঠনতান্ত্রিকভাবে গায়ের জোরে কমিটি বহাল রাখায় আমরা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করি। মন্ত্রণালয় তদন্ত সাপেক্ষে কমিটি বিলুপ্ত করার নির্দেশ দেয় এবং পাঁচজনকে দিয়ে এডহক কমিটি গঠন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে নতুন কমিটি গঠনের কথা বলে কিন্তু সভাপতি কোনো আইন না মেনে ইচ্ছেমতো টাকা ব্যয় করছেন। অনুদানের কোনো সঠিক হিসাব দিচ্ছেন না, স্বেচ্ছাচারিতা করছেন।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিনা বেগম শেলী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাফেয়া আবেদীন, সাধারণ সদস্য ভিকারুননিসা চিনু, সাজেদা বেগমসহ অনেকে।

;

সংসদ নির্বাচন কয়েক ধাপে হলে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে পারলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।

রোববার (২ জুন) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই তথ্য জানান।

সিইসি বলেন, আমরা টিআইবিকে বলেছি জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করা যায় কিনা। কারণ ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সহজ করতে আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা যাবে।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন শেষ পর্যায়ে: সিআইডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন শেষ পর্যায়ে। দু-এক মাসের মধ্যেই মধ্যেই চার্জশিট দিয়ে দিব।

রোববার (২ জুন) রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত অবৈধ অর্থ স্থানান্তর এবং অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত গবেষণা ফলাফলের প্রচার ও দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোপূর্বে মাদকের ইউজার (ব্যবহারকারী) এবং খুচরা বিক্রেতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতাম। আমরা স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের যত অর্থ-সম্পদ আছে সেগুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কোনটা ফ্রিজ করেছি আবার কোনটা সিজ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা মানব পাচার সেল আছে। সেলটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এবং আমাদের একটি ব্রাঞ্চ আছে এয়ারপোর্টে। যারা বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে রিফ্রেক্টেড হয় রিপোর্ট করার সাথে সাথে আমরা তাদের সমস্ত ডাটা সংগ্রহ করি। মামলা হলে আমরা কিন্তু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

কোন ভিকটিম ব্যক্তি যদি মামলার রজু করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

তিনি আরও বলেন, গত পরশুদিন মালয়েশিয়া শ্রমিক যাওয়ার বিষয়ে এয়ারপোর্টে আমরা যেটা দেখেছি সেটার বিষয়ে যদি কোন সংক্ষুব্ধ কেউ মামলা করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা শুধু পাচার মামলা নয় এর পাশাপাশি যেটা আছে অবৈধভাবে শ্রমিক পাঠানো বা অবৈধভাবে অর্থ আয় করে হস্তান্তর করেছে সেগুলো আমরা মানি লন্ডারিং মামলার আওতায় নিয়ে আসব।

গত এক বছরে কি পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয়েছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এবিষয়ে এক্সাক্টলি আমাদের কাছে ওইভাবে তথ্য নেই। এটাতো বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরিং করে। আমরা বলতে পারব মানি লন্ডারিং রিলেটেড যেসব মামলা হয়েছে সেগুলোর ডাটা আমাদের কাছে আছে। অনেক মামলা হয়েছে আমরা অনেক রিকভারিও করেছি।

;