রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
রাজশাহী শাহ মখদুম (রহঃ) ঈদগাহ

রাজশাহী শাহ মখদুম (রহঃ) ঈদগাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজশাহীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল ৮টায় নগরীর ঐতিহ্যবাহী হযরত শাহ্ মখদুম (রহ:) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৈরী আবহাওয়া হলে একই সময় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহমখদুম (র.) দরগা মসজিদে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট সূত্র জানায়, নগরীতে প্রথম দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। নগরীর আমচত্বর আহলে হাদিস মাঠ এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই দুটি ঈদ জামাত। এছাড়া সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর উপশহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বড়বনগ্রাম আল ফারুক জামে মসজিদ, শালবাগান গণপূর্ত মাঠ, বিনোদপুর আহলে হাদিস জামে মসজিদ এবং মেহেরচন্ডি নতুনপাড়া ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/11/1565510744323.jpg

নগরীর বালিয়াপুকুর জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ৮টায়। সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরীর সাহেব বাজার বড় রাস্তা, টিকাপাড়া ঈদগাহ মহানগর ঈদগাহ, হাজী লাল মুহাম্মদ ঈদগাহ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, লোকনাথ স্কুল মাঠ, পাঁচানীমাঠ ঈদগাহ, ডাঁশমারি পূর্বপাড়া ঈদগাহ, ডাঁশমারি বাইতুল মারেফত মাঠ, সাতবাড়িয়া ঈদগাহ, মেহেরচন্ডি ঈদগাহ, মির্জাপুর ঈদগাহ, মির্জাপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, বুলনপুর ঈদগা, মসজিদ-ই-নূর ঈদগাহ, কয়েরদাড়া ঈদগাহ, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা মাঠ, ডিঙ্গাডোবা ঈদগাহ মাঠ, কাশিয়াডাঙ্গা সিটি গেইট ঈদগাহ, কাশিয়াডাঙ্গা ঈদগাহ, মির্জাপুর পূর্ব পাড়া ঈদগাহ, ফিরোজাবাদ ঈদগাহ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/11/1565510756481.jpg

সকাল সোয়া ৮টায় রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম (তেরখাদিয়া) ঈদগাহ, শিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ঈদগাহ, মালদা কলোনী ঈদগাহ এবং রামচন্দ্রপুর মহলদার পাড়া ঈদগাহে ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সাড়ে ৮টায় রাজশাহী জজ কোর্ট ঈদগাহ ময়দান, লক্ষীপুর ভাটাপাড়া ঈদগাহ, রায়পাড়া বসরী ঈদগাহ, কাঠালবাড়ীয়া ঈদগাহ, রায়পাড়া ঈদগাহ, রাজশাহী কোর্ট স্টেশন ঈদগাহ, মোল্লাপাড়া ঈদগাহ, লক্ষীপুর ভাটাপাড়া ঈদগাহ মাঠ, কোর্ট বুলনপুর ঈদগাহ মাঠ, খোজাপুর গোরস্থান ঈদগাহ মাঠ, জাহাজঘাট মোড় ঈদগাহ মাঠ, খোজাপুর ১ নম্বর ঈদগাহ, শহীদবাগ জামে মসজিদ এবং ধরমপুর মধ্যপাড়া ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া উপশহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ঈদগাহ, চৌদ্দপাই মোড় ঈদগাহ, বুধপাড়া ঈদগাহ ময়দান, খাদেমুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজ এবং তালাইমারী বাজার ঈদগাহ ময়দানে একই সময়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহী নগরীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি)মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দাস জানান, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তায় পুলিশের টহল টিম কাজ করবে। এছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/11/1565510772898.jpg

অপরদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার প্রধান নামাজ আদায়ের জন্য রাজশাহীর শাহ্ মখদুম রূপোস ঈদগাহ মাঠে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন সকাল এখানে রাজশাহীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা এই ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। তাই নেওয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা। এবার ঈদগাহে টয়লেট ও অজুর ব্যবস্থা থাকায় ঈদগাহে নামাজে আসা মুসল্লিদের ভোগান্তি পোহাতে হবে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান জামাতের জন্য শাহ মখদুম ঈদগাহ মাঠে প্যান্ডেল তৈরির মূল কাজ প্রায় শেষ। ঈদ বর্ষার মধ্যে হওয়ায় বৃষ্টিনিরোধক ত্রিপল লাগানো হয়েছে শামিয়ানার উপরে। প্যান্ডেলের খুঁটিগুলোতে কাপড় ও শামিয়ানার সঙ্গে বৈদ্যুতিক পাখা এবং বাতি লাগানোর কাজ এখনও শুরু হয়নি। অজুর স্থানসহ চারপাশ পরিষ্কার করতে কাজ করছেন শ্রমিকেরা।

   

ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে ভূমিকম্পের ঝুঁকি: গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে ভূমিকম্পের ঝুঁকি: গণপূর্তমন্ত্রী

ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে ভূমিকম্পের ঝুঁকি: গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাতে দিন দিন ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এজন্য ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং ভূমিকম্প সহনশীল নগরায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সবাইকে একসঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সমাজের প্রত্যেক স্তরের অংশীজনকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

দ্রুত নগরায়ন, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ঝুঁকি সংবেদনশীল ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন নীতি ও কৌশলসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাটিয়ে একটি স্থায়ী ও ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ে তোলা যেতে পারে।

রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম।

এ ছাড়া গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

;

বালিয়াকান্দিতে ফেনসিডিলসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
বালিয়াকান্দিতে ফেনসিডিলসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার

বালিয়াকান্দিতে ফেনসিডিলসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা থেকে ফেনসিডিলসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর। এ সময় ৮৪ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের পাথিলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (২৪), ঝিনাইদহের মহেশপুরের চারাতলা পাড়ার মতিয়ার রহমানের ছেলে আবু সাঈদ আব্দুল্লাহ (৪৪) ও একই উপজেলার মাইল বাড়ীয়া গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে মো: খোকন মিয়া (৪২)।

শনিবার (১ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০, সিপিসি-৩ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার।

তিনি জানান, শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে র‍্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বালিয়াকান্দি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের মূল্য আনুমানিক ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

;

ঢাকায় পাট চাষিদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হবে: পাটমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকায় পাট চাষিদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হবে: পাটমন্ত্রী

ঢাকায় পাট চাষিদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হবে: পাটমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা পাট খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। এ বছরের শেষ নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঢাকায় পাট চাষিদের নিয়ে সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

শনিবার (১ জুন) নরসিংদীতে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে পাট অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পাট চাষি, মিল মালিক, ব্যবসায়ী এবং পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত পণ্যের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাটপণ্যে বৈচিত্র্য আনতে এবং পাটশিল্পকে লাভজনক করার উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভার প্রথম সভায় পাট ও পাটজাত পণ্যকে পোশাক শিল্পের ন্যায় গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বক্তব্যে পোশাক শিল্পের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কাটিয়ে পাট, চামড়া ইত্যাদি শিল্পকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে পাটের হারানো ঐতিহ্য পুনঃরুদ্ধার এবং পরিবেশ বান্ধব পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অনুশাসন ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ও দিক নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আজকের মত বিনিময় সভার মতো অনুষ্ঠানগুলো অত্যন্ত ফলপ্রসূ অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, এখান থেকে প্রাপ্ত সুচিন্তিত মতামত আমাদের সমৃদ্ধ করছে।

পাট চাষিদের সাথে একমত হয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে বক্তারা ঠিকই বলেছেন। পাট জাগ দেয়া সমস্যা। পুকুর নাই, খালে পানি নাই। আমরা এসমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছি।

তিনি আরও বলেন, পাট বীজ উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভর হতে চাই। প্রতিবেশী দেশ থেকে পাটবীজ আমদানি নির্ভরতা কমাতে কাজ করে যাচ্ছি।

পাট সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী আরও বলেন, আমি ছোটবেলায় আমার বাবাকে পাট চাষ করতে দেখেছি। পাটের গন্ধ এখনো আমার মনে পড়ে। আমাদের ছয় ভাই বোনের পড়াশোনা হয়েছে পাট চাষের টাকায়।

নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্ণেল (অবঃ) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৫ এর সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, জুট মিল মালিক প্রতিনিধি, চালকল মালিক প্রতিনিধি এবং পাট চাষিবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন।

;

সেচপাম্প রূপান্তরে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশে কৃষি জমির সেচের পাম্প নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে পারলে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। সরকার গ্রিন, ক্লিন ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। জমির স্বল্পতার কারণে পুকুর বা জলশয়ে ভাসমান সোলার প্যানেল করে নিচে মাছ চাষ করার অথবা বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের আয়োজনে ২য় ঢাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগে আমরা বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছি। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে। এই লক্ষ্যটি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই ভিশন অর্জনে সমাজের সব খাতের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে, সৌর, বায়ু, বায়োমাস এবং জলবিদ্যুৎ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অপরিহার্য। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে, আমাদের আর্থিক প্রণোদনা এবং স্বচ্ছতার সাথে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেবল কার্বন নির্গমন হ্রাসই করে না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি এবং জীবনমান উন্নত করে।

মন্ত্রী এই রূপান্তরে উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণ যেমন গ্রিন বন্ড, জলবায়ু তহবিল এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের কাছে, লোন নয় অনুদান প্রত্যাশা করি। এই খাতে গবেষণা ও উন্নয়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার এবং সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে আমাদের জাতির অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি করতে পারি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেইফ আলহুমুদ; পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান; টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক এ. কে. এনামুল হক, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অলটারনেটিভ ল ইক্লেক্টিভের গবেষণা পরিচালক জেইন মৌলভী।

অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের পুরস্কার দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ফাস্টের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সাদিকুর রহমান পুরস্কার পান।

;