‘নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশু কোরবানি করলে ব্যবস্থা’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্ধারিত স্থানের বাইরে উন্মুক্ত জায়গায় পশু কোরবানি করলেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।

তিনি বলেছেন, ‘ঈদের দিন দুপুর থেকেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মাঠে থাকবেন। কাউন্সিলররা পুরো বিষয়টি সমন্বয় করবেন। সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা প্রতিটি ওয়ার্ড, মহল্লা ঘুরে ঘুরে দেখবেন। কোনো অবস্থাতেই উন্মুক্ত স্থানে পশু কোরবানি করা যাবে না। যারা নির্দেশ অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাইকরণ ও বর্জ্য দ্রুত অপসারণ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা ও বাস্তবায়ন’ বিষয়ক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সিটি করপোরেশন।

ময়মনসিংহ পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার আগে গত ৬ বছর যাবত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পশু বর্জ্য অপসারণে সুনাম কুঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিনের অর্জিত এ সুনাম এবারও ধরে রাখার আহ্বান জানান মেয়র টিটু। তিনি বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজের সুযোগ নাই।’

শুধুমাত্র মশার ওষুধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু নির্মুল সম্ভব নয় এজন্য জনসচেতনতাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ারও আহ্বান জানান মসিক মেয়র। তিনি বলেন, ‘এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’

সভায় ময়মনসিংহের ডেপুটি সিভিল সার্জন পরিক্ষিত কুমার পাল, মসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম মিয়া, স্বাস্থ্য শাখার প্রধান এইচ কে দেবনাথ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দীপক মজুমদার, কনজারভেটিভ ইন্সপেক্টর মহব্বত আলী, চিফ সুপারভাইজার রবিউল ইসলামসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

   

ভূমি সেবায় মানুষের দুর্ভোগ দূর করায় পুরস্কার পেলেন এসিল্যান্ড আলাউদ্দিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা ভূমি অফিস মানেই যেন দুর্ভোগ আর ভোগান্তি, দিনের পর দিন সেবা পেতে অপেক্ষা। বোয়ালখালী উপজেলা ভূমি অফিসও তার বাইরে ছিল না। একটা সময় এখানে নথি গায়েবের ঘটনা ঘটতো। সেই নথি খুঁজে পেতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ার দশা হতো মানুষদের।

কিন্তু উপজেলায় সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসিল্যান্ড) হিসেবে যোগদান করেই সেই চিত্র বদলে দেন মো. আলাউদ্দিন। নথি যেন সহজে খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য তিনি উদ্যোগ নিয়ে গড়ে তোলেন বোয়ালখালীতে ‘ডিজিটাল রেকর্ড রুম’। এর আওতায় উপজেলার সব বিএস এবং আরএস মৌজা ম্যাপ ডিজিটাইজ করা হয়। সেই মৌজা ম্যাপের সঙ্গে ভূমি সংক্রান্ত রেকর্ডগুলো সংযুক্ত করে একটি স্মার্ট ভূমি ম্যাপও প্রস্তুত করেন। এই স্মার্ট ভূমি ম্যাপের মাধ্যমে অফিসে বসেই জমির অবস্থান, অবস্থা, পরিমাণসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে। এতে একদিকে মানুষের হয়রানি দূর হয়েছে অন্যদিকে সময় ও অর্থের অপচয়ও কমেছে। বোয়ালখালী উপজেলা থেকে বিদায় নিয়ে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ড উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেবে যোগ দেন আলাউদ্দিন। এরপর সেখানেও একইভাবে সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেন।

মো. আলাউদ্দিনের জনগণের দুর্ভোগ ও হয়রানি কমিয়ে দেওয়ার সেই প্রচেষ্টা এবার হলো পুরস্কৃত। শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন এই এসিল্যান্ড। প্রযুক্তির প্রসার ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক সেবায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) ভূমি সংস্কার বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট ভুমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা ও ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে আলাউদ্দিনকে 'শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ পুরস্কার ২০২৪' তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়রাম্যান (সচিব) মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল।

প্রতি বিভাগ থেকে দুই জন করে আট বিভাগের ১৬ জন সহকারী কমিশনার-ভূমি তাদের নিজ নিজ উপজেলায় নেওয়া উদ্ভাবনী উদ্যোগ উপস্থাপন করেন। সেখানে তিন জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এরমধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুমি আলাউদ্দিনের উদ্যোগটি সবার সেরা হয়েছে।

মো. আলাউদ্দিনের পুরস্কারে দারুণ উচ্ছ্বসিত চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন। এটি আমাদের জন্য গর্বের। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইডিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হাতে নিয়ে পুরস্কৃত হওয়া মো. আলাউদ্দিন বলেছেন, ‘সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেছি কীভাবে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাপ্রার্থীদের সহজে সেবা দেওয়া যায়। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বোয়ালখালী এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করি। ভূমি সংস্কার বোর্ড কর্তৃক আমার উদ্যোগটি শ্রেষ্ঠ উদ্যোগ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে।’

এসিল্যান্ড যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান মহোদয়হ সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তারা আমার সব কাজে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যুগিয়েছেন। ভবিষ্যতেও মানুষের জন্য ভালো কিছু করে যেতে চাই।’

;

লামায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে মো. ওসমান (৪০) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড হাছনাপাড়া এলাকার নেইচ্চার ঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । নিহত মো. ওসমান (৪০) একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে ওসমানের পরিবারের সঙ্গে কবিরের পরিবারের বিরোধ চলছিল। এনিয়ে দুপুরে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের নিকটস্থ লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওসমানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস জানান, তাদের মধ্যে ২০ শতক জমি ও ১০-১২টি গাছ নিয়ে বিরোধের বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদে মীমাংসা প্রক্রিয়া চলমান ছিলো। তবুও উভয় পরিবারের মধ্যে বিবাদের পরিস্থিতিতে আজ সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওসমান নামে একজনের মৃত্যু হয়।

লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম শেখ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে তিনি ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে অবস্থান করছেন, মামলা হওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এখনও কাউকে আটক হয়নি তবে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

সিলেটে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের মতো সিলেটেও গত কয়েক দিনের চলছে তাপপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সিলেটে সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গত ৩ দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা বিকেল ৪টায় ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেকর্ড করা।আর সন্ধ্যা ৬টায় ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা চলতি বছরে শুধু সিলেটে সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো.সজীব হোসাইন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টায় সিলেটে রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তীব্র গরমে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় মো.শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক শেয়ার বাজারের ব্যবসায়ী মাথা ঘুরে পড়ে মারা যান। তিনি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার নয়া গ্রামের আবু আহমেদের ছেলে।

এ ব্যাপারে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী বলেন, আমরা খবর পেয়ে সিটি সেন্টারে গিয়ে ওই যুবককে পাইনি। পরে অনেক খোঁজাখুজি করেও তথ্য পাইনি।

শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ওই যুবককে আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় নিয়ে এসেছেন পরিবারের লোকেরা। পরিবারের সদস্যরা আমাদের শুধু বলেছেন, মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হাঁটা অবস্থায় কেউ পড়ে মারা গেলে তাকে হিটস্ট্রোক বলা যাবে না। ওই লোক মাথা ঘুরে পড়ে মারা গেছেন।

;

‘তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের ফলে সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।

আগামীকাল ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। রূপকল্প-২০২১ ঘোষণার পর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে।”

তিনি বলেন, সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এসেছে ৫জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। আর এগুলোকে জনকল্যাণে ব্যবহার করাই হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে দেয়া নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন এবং এর ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ খাতের সুষ্ঠু বিকাশে প্রণয়ন করা হয়েছে আইসিটি নীতিমালা, আইসিটি আইন, তথ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন ও তথ্য অধিকার আইন।

তিনি বলেন, ‘আমরা টেলিযোগাযোগ খাতের সকল সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছি। ইন্টারনেট ডেনসিটি ও সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে নতুন সাবমেরিন ক্যাবল। আমরা ফোর-জি প্রযুক্তি চালু করেছি। ফাইভ-জি প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করার প্রস্তুতি চলছে। দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। জনগণ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র, উপজেলা ই-সেন্টার এবং জেলা ই-সেবা কেন্দ্র ছাড়াও মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা গ্রহণ করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটি স্থাপন করেছি। এর ফলে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন গ্রোথ সেন্টারসমূহে অর্থাৎ প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষু ও টেলিমেডিসিন সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। করোনার ভয়াবহতম সময়ে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিং চালু থাকার ফলে খুব অল্প সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং সরকারি দিকনির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে পদার্পণ করেছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা ঘরে তুলতে এবং জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে আমি সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাই। আসুন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা উন্নততর তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ পরিণত করি।’

তিনি ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

সূত্র: বাসস 

;