কেন থামছে না অবৈধ আইফোনের স্রোত?



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: স্মার্টফোন জগতে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় হ্যান্ডসেট তালিকার সবার উপরে আইফোনের অবস্থান। ক্রেতাদের চাহিদাকে সামনে রেখে বিশ্বের স্বনামধন্য গেজেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’ এখন পর্যন্ত আইফোনের ১৮ টি সংস্করণ বাজারে এনেছে।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ ফোনটির চাহিদা ব্যাপক। তবে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেশি দামের কারণে অধিকাংশ ক্রেতার হাতের নাগালের বাইরে রয়ে যায় ফোনটি।

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাভাবিক দামের তুলনায় ৩০-৪০ হাজার টাকা কমে আইফোন বিক্রি হচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দাদের তথ্য মতে, ব্যবসায়ীরা কর ফাঁকি দিয়ে আইফোন দেশে আনছেন বলেই এই কমমূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

শুল্ক গোয়েন্দারা বিভিন্ন সময় রাজধানীর নানা মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এ সব অবৈধ আইফোন জব্দ করছেন। সর্বশেষ রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার একটি টিম ১৫০ টির মতো অবৈধ আইফোন জব্দ করা হয়েছে।

তবে শুল্ক গোয়েন্দাদের অবৈধ আইফোন জব্দের অভিযান রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটগুলোতেই সীমাবদ্ধ। বিমানবন্দর দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে নানা কায়দায় কর ফাঁকি দিয়ে আসা আইফোন জব্দের তেমন কোনো নজির নেই।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র মতে, প্রতিদিন শুধুমাত্র শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে ৫০-১০০ টি আইফোন হ্যান্ডসেট কর ফাঁকি দিয়ে দেশে ঢুকছে। এছাড়া আরেকটি তথ্য মতে, গত দুই মাসে ৭০০ টির মতো আইফোন কর ফাঁকি দিয়ে দেশে ঢুকেছে বলেও জানা যায়।

দেশের বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে জব্দ হলেও বিমানবন্দরে আসা এসব অবৈধ আইফোন না আটকানোর পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও মোবাইল ব্যবসায়ীরা।

কয়েকজন মোবাইল ফোন বিক্রেতা ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুইভাবে এসব আইফোন হ্যান্ডসেট দেশে আসছে।

 

এর মধ্যে সাধারণ যাত্রীরা নিজে বা পরিবারের ব্যবহারের কথা বলে কিছু আইফোন কর ছাড়া নিয়ে আসেন। পরে তারা এগুলো নিজেরা ব্যবহার না করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। যদিও আইন অনুযায়ী নিজের জন্য বিদেশ থেকে পণ্যে এনে সেটি বিক্রয় করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ, এতে সরকার রাজস্ব হারায়।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা শপিংমলের স্মার্টফোন ক্যাফের মালিক মাকসুদ আজেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, নিজের ব্যবহারের কথা বলে বিদেশ থেকে আনা আইফোন ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে বিক্রি করছেন। তাই ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক দাম থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকা কমে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। আর এতে বৈধ স্মার্টফোন ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

তবে কাস্টমস কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে তৈরি চক্রটির মাধ্যমেই সব থেকে বেশি অবৈধ আইফোন দেশে আসছে বলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের বিভিন্ন সূত্রে মধ্যমে জানা যায়।

চক্রটি হংকং, সিঙ্গাপুর ,মালয়েশিয়া, দুবাই ও চীন থেকে বিভিন্ন পণ্য আনতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে আইফোন দেশে আনছেন। চক্রটি প্রতি আইফোনের জন্য ব্যবসায়ীদের ২-৩ হাজার টাকা দিয়ে থাকেন। পরে বিমানবন্দরে কাস্টমস অফিসারদের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়ে এসব আইফোন দেশের বাজারে ঢুকছে। ফলে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, কাস্টমসকে ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ অবৈধ আইফোন দেশে নিয়ে আসছেন। জনবল কম থাকায় ও নিয়মের কারণে সকল যাত্রীকে তল্লাশী করা সম্ভব হয় না। এই সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কয়েকটি চক্র যোগসাজশ করে চোরাই আইফোনের ব্যবসা চালাচ্ছেন।

আমরা সতর্ক থাকার পরো বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে পারছি না। তবে ব্যবস্থা নিচ্ছি ও অভিযানও চলবে বলে জানান তিনি।

   

লক্ষ্মীপুরে এমপির বোন জামাই ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলের জয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে লক্ষ্মীপুরে দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রভিত্তিক গননাকৃত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে রায়পুর উপজেলায় আনারস প্রতীকে স্থানীয় এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বোন জামাই ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ এবং রামগঞ্জ উপজেলায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ আরাফাত বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এর মধ্যে রায়পুর উপজেলায় আনারস প্রতীকে মো. মামুনুর রশিদ ৩৬ হাজার ৫৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাষ্টার ৩৩ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়েছেন।

রামগঞ্জে মো. ইমতিয়াজ আরাফাত আনারস প্রতিক নিয়ে ৪৪ হাজার ০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মো. বাচ্চু মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ২৬ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাচনী কন্ট্রোলরূম থেকে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত বেসরকারিভাবে এই ঘোষণা দেন।

ফলাফল ঘোষণার পরই দুই উপজেলাতেই বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে পৃথক আনন্দ মিছিল ও পথসভা করেন। রায়পুরে আনন্দ মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য দেন লক্ষ্মীপুর-২ আসবের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলী সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। এসময় তিনি বিজয়ী প্রার্থী মামুনের পক্ষের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অতিউৎসাহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হওয়ার আহবান জানান। একই সাথে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন।

এই দুই উপজেলার মধ্যে রায়পুরে ৭৯ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০২ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৬ জন।
রামগঞ্জে ১০২ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১০ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ২৮ হাজার ১৮ জন।

;

কটিয়াদীতে বিজয়ী দুজনেই নতুন মুখ, একজন সাবেক



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন দুজন বিজয়ী হয়েছেন৷ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক একজন বিজয়ী হয়েছেন৷

মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফল দেওয়া হয়েছে রাত সাড়ে এগারোটায়।

এর আগে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় কোন অঘটন ছাড়াই শেষ হয় ভোটগ্রহণ৷ তাই কোন চাপ ছাড়াই ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্টরা স্বাভাবিক দিনপার করেছেন। খোশমেজাজে সময় কাটান নিয়জিত নিরাপত্তা কর্মীরা।

এতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন,মইনুজ্জামান অপু (ঘোড়া) ৪৪৩০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলী আকবর (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ১৯৮৮৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বদরুল আলম নাঈম (চশমা) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩০৫৮ ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শিকদার (তালা) পেয়েছেন ২৯৪৫৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাথী বেগম (কলস) ৩৮৭৩৫ ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রোকসানা।

কটিয়াদী সম্মেলন কক্ষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান৷

১০১ টি মোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১,৮৬ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৯.১১৪ জন। মহিলা ভোটার ১,৬৩,৫১২ জন।

;

জামালপুরে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জামালপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, বকশিগঞ্জ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকে নজরুল ইসলাম সাত্তার উপজেলা ৫৩টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের চার বারের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট।

এই উপজেলায় মো: শাহজামাল টিউবওয়েল প্রতীকে ৩০ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে ভাইস এবং জহুরা বেগম হাঁস প্রতীকে ৩০ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৩০ হাজার ৭০৩ ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক সোলাইমান হোসেন ২৫ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে ইসলামপুর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট আব্দুস ছালাম।

৯৩ টি ভোট কেন্দ্রে ১৮ হাজার ২৫৫ টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পেয়ে পুনরায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল খালেক আখন্দ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকে ফারুক ইকবাল হিরো ৪ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ১২ হাজার ১২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবিদা সুলতানা যুথি ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের আঞ্জুমানয়ারা বেগম ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

;

চুয়াডাঙ্গার দুটি উপজেলাতেই নতুন মুখ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ভাস্তে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী কে এম মঞ্জিলুর রহমান। ভোট গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ৫০ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুল হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৬ হাজার ১৭২ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, পরপর তিনবার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪১৯টি।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪০ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী কে এম মঞ্জিলুর রহমান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. জিল্লুর রহমান ২৬ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আইয়ুব হোসেন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৩০৬ ভোট, মো. মোমিন চৌধুরী ডাবু আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১০৭ ভোট ও মো. নুরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১৪ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৭ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৮ জন। উপজেলার মোট ৯৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এখানে মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬০৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৫ জন। উপজেলার মোট ১১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এ উপজেলায় মোট ভোট প্রদত্ত হয়েছে ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

;