উত্তরপত্র সঠিক মূল্যায়নের ফলে কমেছে পাসের হার: শিক্ষামন্ত্রী



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease

এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কিছুটা কমেছে। উত্তরপত্রের সঠিক মূল্যায়নের ফলেই গেলবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করে একথা জানান মন্ত্রী। তবে আস্তে আস্তে এটার উন্নতি হবে। সাধারণভাবে একটা কথা প্রচলিত হয়ে গেছে ওজন করে খাতার মূল্যায়ন করা হয়, এখন সেই সুযোগটা আর নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফলাফল বিশ্পালেষণে দেখা যায়, এবার গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক নয় এক শতাংশ। গত বছরের চেয়ে পাসের হার কমেছে পাঁচ দশমিক সাত নয় শতাংশ। সারাদেশে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-ফাইভ পাওয়ার সংখ্যাও কমেছে ২০ হাজার ৫৫০। পাসের হারে এবারো ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে মেয়েরা। রোববার সকালে ফলাফল প্রকাশের পর পরই খুদেবার্তা ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ফলাফল সংগ্রহ করেন শিক্ষার্থীরা। এবছর মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ তেষট্টি হাজার ৩৭০ জন। পাস করেছেন, ৮ লাখ ১ হাজার ৭১১ জন। ৮টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৬৬ দশমিক আট চার শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক তিন তিন শতাংশ। বোর্ড ভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায় রাজশাহীতে পাসের হার ৭১ দশমিক তিন শূন্য শতাংশ। দিনাজপুরে পাসের হার ৬৫ দশমিক চার চার শতাংশ। বরিশালে পাসের হার ৭০ দশমিক দুই আট শতাংশ। সিলেটে ৭২ দশমিক শূন্য শতাংশ। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক শূন্য ০২ শতাংশ। রাজশাহীতে ৫,২৯৪ জন। দিনাজপুরে ২,৯৮৭ জন, বরিশালে ৮১৫ জন, সিলেটে ৭শ’ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক দুই শূণ্য শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১,৮১৫জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক তিন তিন শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২,৬৬৯ জন। রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময়, সেখানে সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

   

নজরুলের বলিষ্ঠ লেখনীতে মানুষ মুক্তি-সংগ্রামে অনুপ্রাণিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবি নজরুল তাঁর প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনও প্রাসঙ্গিক।

আগামীকাল শনিবার (২৫ মে) ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ মে) দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘কবি নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তারই প্রতিফলন আমরা পাই জাতির পিতার সংগ্রাম ও কর্মে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”

তিনি বলেন, উনবিংশ শতাব্দীর বিদায় এবং বিংশ শতাব্দীর আগমন লগ্নে নজরুলের জন্ম। তখন বাংলাদেশসহ গোটা উপমহাদেশ পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি। একদিকে দারিদ্র্য অন্যদিকে দেশমাতার পরাধীনতা কবিকে মুক্তির আকাক্সক্ষায় পাগলপ্রায় করে তুলেছিল। কবি অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করেন। রাজদ্রোহের অপরাধে কারাবরণ করেন। কবিতাকে বেছে নেন প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কবি নজরুলের লেখনীতে ফুটে ওঠে আর্ত-পীড়িত, ব্যথিত ও উপেক্ষিত মানব মনের কথা। কবি নজরুলের আজীবন সাধনা ছিল সমাজের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এবং মানুষের সামাজিক মর্যাদার স্বীকৃতি অর্জন। তিনি অন্যায়, অসত্য, নির্যাতন-নিপীড়ন, নানামাত্রিক অসাম্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যুগে যুগে মানুষকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর কাছে ধর্ম, গোত্র, জাত-কুল, ধনী গরিব সব শ্রেণির মানুষ ছিল সমান। তাঁর গানে প্রেম ও প্রকৃতি অপরূপ রূপে ধরা দিয়েছে। তাই কবি নজরুল একাধারে দ্রোহ ও মানবতার কবি; সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার কবি; সত্য, সুন্দর, কল্যাণ, প্রেম ও হৃদয়াবেগের কবি।

তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক, কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুল তাঁর স্বল্পকালীন সৃষ্টিশীল জীবনে রচনা করেছেন প্রেম, প্রকৃতি, বিদ্রোহ ও মানবতার অনবদ্য সব কবিতা, গান, প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং সঙ্গীত ও সংস্কৃতিতে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান স্বাতন্ত্র্য মহিমায় সমুজ্জ্বল। কবি নজরুলের সাহিত্য ও সঙ্গীত শোষণ, বঞ্চনা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে মুক্তির দীক্ষাস্বরূপ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নজরুলের ক্ষুরধার লেখনীর স্ফুলিঙ্গ যেমন ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল, তেমনি তাঁর বাণী ও সুরের অমিয় ঝর্ণাধারা সিঞ্চিত করেছে বাঙালির হৃদয়কে। তিনিই প্রথম বাঙালি কবি যিনি ব্রিটিশ অধীনতা থেকে ভারতকে মুক্ত করার জন্য স্বরাজের পরিবর্তে পূর্ণ স্বাধীনতার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজীবন তিনি মানবতার জয়গান গেয়েছেন, নারীর অধিকারকে করেছেন সমুন্নত।

সরকার প্রধান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কবির প্রতি একান্ত অনুরক্ত। স্বাধীনতা পরবর্তী পর্যায়ে তাঁরই ঐকান্তিক আগ্রহে কবিকে কলকাতা হতে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির সম্মানে অধিষ্ঠিত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবির জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের সরকার গত ১৫ বছরে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা নজরুলের সৃষ্টিসমূহের সংগ্রহ, সংকলন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নজরুল জাদুঘর সংস্কার ও মেরামত, নজরুল অ্যালবাম প্রকাশ, নজরুল সঙ্গীতের সিডি প্রকাশ, শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুল সঙ্গীতের প্রশিক্ষক তৈরির বিশেষ কোর্স চালু এবং নজরুলের অপ্রচলিত গানের সুর সংগ্রহ, স্বরলিপি প্রণয়ন, সংরক্ষণ, প্রচার ও নবীন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধকরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নজরুল সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া, কুমিল্লায় নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র স্থাপন, ঢাকাস্থ নজরুল ইনস্টিটিউটের ১১তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় বিদ্যমান ভবনের সংস্কার করেছি। আমাদের সরকারের এসকল কার্যক্রম নজরুল-চর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে যা অসাম্প্রদায়িক, ন্যায়, সমতাভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথকে প্রশস্ত করবে বলে আমি আশা করি।

তিনি বলেন, মহান মানবতাবাদী কবি নজরুলের সংগ্রামশীল জীবন এবং তাঁর অবিনাশী রচনাবলি বাঙালি জাতির জন্য অন্তহীন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের কর্ম, চিন্তা ও মননে কাজী নজরুল ইসলামের অবিনশ্বর উপস্থিতি সকল কূপম-কতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

কৈলাশটিলা ৮ কূপে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলবে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৈলাশটিলা ৮ নম্বর খনন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। কূপটি থেকে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাপেক্স এখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে। কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের মালিকানায় রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড (এসজিএফসিএল)। কোম্পানিটি জানিয়েছে, গ্যাস গ্যাদারিং পাইপ নির্মাণ শেষ আগামী ৩ মাসের মধ্যে কূপটি থেকে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এসজিএফসিএল আরও জানিযেছে, কৈলাশটিলার অবশিষ্ট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস রয়েছে ১৯০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ৮ নম্বর কূপে প্রাপ্ত হরাইজোন-৪ এর গ্যাস মজুদ ২৪-২৫ বিলিয়ন ঘনফুট, যা নতুন মজুদ হিসাবে যুক্ত হলো। নতুন সংযোজিত গ্যাসের দাম ১৬২০ কোটি টাকা (প্রতি ঘনমিটার ২২.৮৭ টাকা বিবেচনায়)। অন্যদিকে কূপটির খনন কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭২ কোটি টাকা।

বাপেক্সের বিজয়-১২ রিগ চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি খনন কাজ শুরু করে। ৩৫০০ মিটার খনন করা হয়েছে। ৮ নম্বর কূপে প্রাপ্ত হরাইজোন-৪ এর নতুন গ্যাস স্তরের অবস্থান ৩৪৩৮ থেকে ৩৪৪৭ মিটার পর্যন্ত। ২৪ মে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) করা হয়, এতে কূপমুখে ফ্লোয়ং পেশার ৩৩৮৩ পিএসআই (প্রেসার বর্গ ইঞ্চি) পাওয়া গেছে। এতে করে দৈনিক ২১মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ গ্যাস সংকটের নাকাল অবস্থা। বিদেশ থেকে উচ্চদরে এলএনজি আমদানি করে সামাল দিতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে। তেমন একটি সময় দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিশাল স্বস্তির খবর বলে মানতে হবে।

;

ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ যুবকের খোঁজ মেলেনি ৮ ঘণ্টায়, অভিযান সমাপ্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে পড়ে যুবক কামরুল ইসলাম নিখোঁজ হওয়ার ৮ ঘন্টা পার হলেও এখনো সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় লোকজন, ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এবং রংপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল তাকে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন। নদীতে স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযানে অনেকটাই বেগ হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। চার ঘণ্টার অভিযানে নিখোঁজ যুবকের সন্ধান না পেয়ে অভিযান সমাপ্তও করেছেন তারা।

শুক্রবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের কাউয়াবাধা নামক এলাকায় কামরুল ইসলামের নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। ১৮ বছর বয়সী নিখোঁজ কামরুল ইসলামের ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিযনের হরিচন্ডি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। যুবক কামরুল কৃষি কাজ করতেন।

বিষয়টি মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কাজল মিয়া। এসময় নৌকার যাত্রী ও নিহতের স্বজনদের বরাতে তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হরিচন্ডি ঘাট হতে ৩০ থেকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বালাসিঘাটে আসছিলো। এ সময় নৌকাটি কাউয়াবাধা এলাকায় আসলে গাইবান্ধা শহরে চিকিৎসা নিতে আসা কামরুল ইসলাম নামে এক যুবক হঠাৎ করে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে যায় এবং তৎক্ষণাত ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। কিন্তু তার কোন সন্ধান না পেয়ে তারা ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

পরে দুপুর ১২ টার নিখোঁজ কামরুলকে উদ্ধারে ব্রহ্মপুত্র নদে ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলে ১৫ থেকে ২০ ফুট পানির গভীরতায় নদীতে স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে স্রোতের পানিতে মরদেহ অনেক দুরে ভেসে গিয়ে থাকতে পারে। দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।

;

‘রেমাল’ প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে, নজর বাংলাদেশের দিকে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিম-মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে পূর্বমধ্য ও পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি। এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে সেটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, তবে এর নাম হবে ‘রেমাল’। নামটি ওমানের দেওয়া। এর অর্থ ‘বালু’।  

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক শামীম হাসান বলেন, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে বাংলাদেশের সুন্দরবন, খুলনা এবং তৎসংলগ্ন কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চল দিয়ে ঝড়টি অতিক্রম করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী রোববার (২৬ মে) ঝড়টি হতে পারে। তবে এখনও এটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এর প্রভাবে শনিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। রোববার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ নিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, এটি সৃষ্টি হলে তা বাংলাদেশের উপকূলের দিকেই আসতে পারে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে ‘সুপারসাইক্লোন’ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সাগরে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে বলা হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে ‘ঘূর্ণিঝড়’ বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে প্রবল ‘ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তা হয় ‘সুপারসাইক্লোন’।

আজ বেলা তিনটার পর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

;