উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী সবই করবেন: তাজুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক শপিং কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও অতিথিরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক শপিং কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও অতিথিরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি আন্তরিক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, 'রংপুরসহ সারাদেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। তাঁর কারণে আজ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে। কাউকে তিনি নিরাশ করেননি। উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী সবই করবেন।'

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ৫৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, 'সমবায় একটি আন্দোলন। এটি সুপরিকল্পিত আর্থিক কর্মসূচি। ঋণ প্রদান কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, বিশেষ করে কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ছাড়াও পেশাজীবী শ্রেণীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।'

সভায় রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির ব্ক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার।

অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সহ-সভাপতি সরোয়ার আলম মুকুল, পরিচালক আলী রেজা মোঃ সাকের, পরিচালক আমিনুর রহমান, বাবলু মিয়া, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন, পরিচালক আবু সাদাৎ হোসেন শাওন প্রমুখ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/06/1562412308431.jpg

সমবায় কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ভূয়সি প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, ‘রংপুর বিভাগের সবচেয়ে বড় সমবায় ব্যাংক কমপ্লেক্স রংপুরে নির্মিত হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বেকারত্ব ঘুচবে।’

সভা শেষে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্মাণাধীন ১৭ হাজার বর্গফুটের ১১তলা বিশিষ্ট রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক শপিং কমপ্লেক্সের কাজ পরিদর্শন করেন।

এরপর মন্ত্রী পীরগঞ্জের ফতেহপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও তার কবর জিয়ারত করেন।

এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সেখানে রংপুর আসার পথে তারাগঞ্জে নির্মাণাধীন পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ভবন এবং গঙ্গাচড়ায় নির্মানাধীন গৃহায়ন প্রকল্প পল্লী জনপদ পরিদর্শন করেন।

   

চেক প্রত্যাখ্যান : ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার কারাদণ্ড



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

তিন বছর আগে ইভ্যালি থেকে মোটর সাইকেল কিনতে টাকা দেওয়া এক ব্যক্তির মামলায় রবিবার (২ জুন) চট্টগ্রামের সপ্তম যুগ্ম ও দায়রা জজ মো. মহিউদ্দিন এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহরিয়ার ইয়াছির আরাফাত তানিম বলেন, ‘মোটর সাইকেল কেনার ঘটনায় চেক প্রতারণার মামলায় আদালত এ রায় দিয়েছেন। রায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকার জসিম উদ্দিন আবিদ ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দিতে না পারায় তারা একটি চেক দেয়।

সেই চেক সুনির্দিষ্ট ব্যাংকে জমা দিলে প্রত্যাখাত হয়। এরপর আবিদ ২০২১ সালের ২ অক্টোবর চট্টগ্রামের আদালতে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

গত ২৩ মে ঢাকায় একই ধরনের একটি মামলায় বাদীর সঙ্গে আপস রফায় গিয়ে সাজা থেকে রেহাই পান ইভ্যালির দুই শীর্ষ কর্তা।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পর গাড়ি, মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনের মত পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালি।

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটির চটকদার অফারের প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অঙ্কের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়। কিন্তু, মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও তাদের অনেকে পণ্য বুঝে পাননি এবং ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া টাকাও ফেরত দেয়নি।

এক পর্যায়ে ক্রেতা ও পণ্য সরবরাহকারীদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইভ্যালিসহ আরও বেশ কিছু ইকমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভে নামে গ্রাহকরা।

মামলার বোঝা নিয়ে আগেই জেল খেটেছেন রাসেল ও শামীমা। ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল শামীমা এবং ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাসেল জামিনে কারামুক্ত হন। তারা আবার ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু করেছেন। তবে এখন অগ্রিম টাকা নিয়ে অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টে পণ্য বিক্রি করা হয় না। ক্যাশ অন ডেলিভারির ভিত্তিতে বিক্রি হচ্ছে পণ্য।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ১৯ মে ঢাকার কারওয়ান বাজারে তাদের কার্যালয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থ পরিশোধ বিষয়ে পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে। সেই সভাতেও যোগ দেন ইভ্যালির রাসেল।

সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘ইভ্যালিতে গ্রাহকরা অলরেডি কেনাকাটা শুরু করেছে। আমি আশা করছি ইভ্যালির কোনো গ্রাহক কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। যারা আমাদের কাছে টাকা পায়, আমরা আমাদের মুনাফা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তাদের দিয়ে দিয়েছি। বাকি সবাইকে দিতে একটু সময় লাগবে শুধু।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে আমরা সকলের টাকা ফেরত দেব। ৬ মাসের ভেতরে একটা বড় পরিবর্তন দেখবেন আপনারা। আর সবার টাকা ফেরত দিতে আমাদের ২ বছর সময় লাগবে।’

;

চেম্বারে ডেকে নিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, ভুয়া ডাক্তার গ্রেপ্তার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম নোয়াখালী
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর চাটখিলে ভুয়া ডাক্তারের হাতে এক কলেজ ছাত্রী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

রবিবার (২ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সঙ্গে এই ভুয়া ডাক্তারের চেম্বার সীলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এর আগে, গত রবিবার (২৬ মে ) চাটখিল পৌর বাজারের হাসপাতাল রোডে এই ভুয়া ডাক্তারের নিজস্ব চেম্বারে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার নুর হোসেন পলাশ (৪৫) উপজেলার চাটখিল পৌরবাজারের রক্তিম রোজ মেডিসিন পার্কের মালিক ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া সাব বাড়ির খোরশেদের ছেলে।

ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগে জানান, গত রবিবার (২৬ মে) ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল চারটার দিকে তার কিছু মেডিকেল রিপোর্ট দেখার জন্য তাকে তার চেম্বারে ডেকে নেন নুর হোসেন পলাশ। চেম্বারে যাওয়ার পর তার মাস্ক খুলে তার নাকের কাছে কিছু একটা ধরে তাকে অবচেতন করে তার চেম্বারের পেছনে আলাদা কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

ওই তরুণী বলেন, ‘বারবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও আমি তার হাত থেকে রক্ষা পাইনি। ধর্ষণ শেষে অভিযুক্ত নুর হোসেন আমাকে ছুরি দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন।’

ভুক্তভোগী শুরুতে ভয়ের কারণে পরিবারের কাছে বিষয়টি গোপন রাখলেও, কয়েকদিন পর চিরকুট লিখে মাকে ঘটনাটি জানান।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, 'আমি ছোট একটা চাকরি করে সংসার চালাই। যে আমার এই এতিম সন্তানকে এভাবে নির্যাতন করছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।'

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

ওই মামলায় সোমবার (৩ জুন) সকালে আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

;

আনার হত্যা মামলার তদারক কর্মকর্তাসহ ২৩ পুলিশের বদলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কলকাতায় নিহত সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার তদন্তে বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে নেপালে অবস্থান করা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহিদুর রহমানসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) পদ মর্যাদার ২৩ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

কয়েক দিন আগে একই মামলার তদন্তের কাজে ভারতে গিয়েছেন এই কর্মকর্তা। রবিবার (২ জুন) পুলিশ সদর দফতর থেকে তাকে বদলি করা হয়।

শাহিদুর রহমানকে বরিশাল জেলা পুলিশের বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া বদলির আদেশ পাওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদের কর্মকর্তারা হলেন-ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আতিকুল ইসলামকে খুলনা জেলা পুলিশে, এপিবিএনের এ এইচ এম কামরুল ইসলামকে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আরএমপি এডিসি ড. মো. রুহুল আমিন সরদারকে নোয়াখালীর পিটিসি, ডিএমপির এডিসি রাশেদ হাসানকে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ সার্কেলে, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই সার্কেলের মু. সাইফুল ইসলামকে রাঙ্গামাটি সদর সার্কেলে, মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের মো. আজমল হোসেনকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামার সার্কেলে, একই সার্কেলের মহসীন আল মুরাদকে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলে, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ হোসেনকে পাবনা সদর সার্কেল, রাঙ্গামাটি সদর সার্কেলের মো. জাহেদুল ইসলামকে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই সার্কেলে বদলি করা হয়েছে।

বদলির আদেশ পাওয়া সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদের কর্মকর্তারা হলেন- রাজবাড়ীর পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহাকে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার, এসপিবিএনের মো. শাহীনকে রাজবাড়ী পাংশা সার্কেল, ঢাকার ১৩ এপিবি্এনের জান্নাতুল ফেরদৌসকে ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি), সিআইডির লোপামুন্ডু মহাজনকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে ডিআইজির কার্যালয়ে, পুলিশ স্টাফ কলেজের মো. আসলাম সাগরকে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)’র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি), বরিশাল মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. শাহজাহানকে ডিএমপিতে, সিলেটের আরআরএফের মো. শামছুল আলম চৌধুরীকে ঢাকার পুলিশ টেলিকম সংস্থায়, এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) মো. আলী হোসেন খানকে ডিএমপিতে, সাতক্ষীরার তালা সার্কেলের মো. সাজ্জাদ হোসেন মোল্যাকে ডিএমপিতে, র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার হাম্মাদ হোসেনকে সিআইডিতে, কক্সবাজার ৮ এপিবিএনের রসুল আহমদ নিজামীকে র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার এবং র‌্যাবের মো. শামসুল আলম খানকে ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

একই আদেশে আগামী ৫ জুনের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে ৬ তারিখ নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

;

খুলনায় চাহিদার চেয়ে বেশি ২১ হাজার পশু



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট বার্তা২৪.কম খুলনা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা বা কোররবানীর ঈদ। আর ঈদকে সামনে রেখে খুলনা জেলায় কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুতিতে ব্যস্ত স্থানীয় কৃষক এবং খামারীরা।

এ মৌসুমে খুলনা জেলায় কোরবানির পশু প্রয়োজন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৩টি। এর বিপরীতে খুলনায় মজুদ রয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৮শ’ পশু। যা চাহিদার চেয়ে ২১ হাজার ৮৩৫টি পশু বেশি। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় পাঠানো যাবে অতিরিক্ত পশু।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, খুলনা জেলায় এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৮টি পশু। এর মধ্যে গরু ৬৬ হাজার ৯৫৭, ছাগল ৭৪ হাজার ৩৬৪, ভেঁড়া ১৪ হাজার ৮৩৪, মহিষ ৯৭, অন্যান্য ২৬।

অন্যদিকে, খুলনা জেলায় কোরবানির জন্য প্রয়োজন ৫৮ হাজার ৩৫৬টি গরু, ৬৪ হাজার ১৬০টি ছাগল, ১১ হাজার ৮৩২টি ভেঁড়া এবং ৯৫টি মহিষ।

আর খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিপ্ততর সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় প্রায় ১০ লাখ ৫ হাজার ৭৭০টি পশু কোরবানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর বিপরীতে খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে এ বিভাগে ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৫টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৮টি, সাতক্ষীরায় প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ৬৫৯টি, বাগেরহাটে প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার ৪১৩টি, যশোরে প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার ৬১৭টি, নড়াইলে প্রায় ৫২ হাজার ৫৪৭টি, মাগুরায় প্রায় ৭৮ হাজার ৫৯১টি, মেহেরপুরে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৮৩৮টি, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪০২টি, কুষ্টিয়ায় প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৯টি এবং ঝিনাইদহ জেলায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৪৩১টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এর আগে অর্থাৎ গতবছর কোরবানির ঈদে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১১ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৮টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত ছিল। তখন চাহিদা ছিল প্রায় ৮লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮টি পশু।

ডুমুরিয়ার শাহাপুর এলাকার গরু খামারী মোঃ জালাল গাজী জানান, ‘আরো আগে থেকে শাহপুর পশুর হাটে কোরবারিনর পশু আসতেছে। ক্রেতারা মনে করে কম দামে গরু কিনবে। কিন্তু আমরা যারা ছোট গরু কিনে ছয় থেকে ৮ মাস লালন পালন করে গুরু বিক্রি করি, আমরা বুঝতেছি। গবাদি পশুর খাবারের কি পরিমান দাম। সেই তুলনায় গরুর দাম হচ্ছে না। তারপরও সামান্য লাভে গরু বিক্রি করতে হবে।’

খুলনার আঠারো মাইল পশুর হাটের ব্যপারী মোঃ আলাউদ্দিন জানান, ‘শুনছি খুলনায় চাহিদার থেকে গরু বেশি আছে। তারপরও গরুর দাম বেশি। প্রতি হাটে আসছি। দু-একটা করে কিনছি। শহরে পশুর হাট হলে সেখানে বিক্রি করবো।’

খুলনা মহানগরীর ব্যবসায়ী শেখ ইমরান হোসেন যুবরাজ জানান, ‘কোরবানির সময় দেশের বিভিন্ন সময়ে পশুর হাট হয়। খুলনা বিভাগে সব থেকে বড় পশুর হাট হয় নগরীর জোড়াগেটে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) কোরবানির পশুর হাট। লোক মুখে শুনছি, আগামী ১০ বা ১১ তারিখ এ হাট শুরু হতে পারে। আমি নগরীর বাইরে কয়েকটি পশুর হাটে খোঁজ নিয়েছি। সব জায়গায় দাম একটু বেশি। তারপরওতো কিনতে হবে।’

খুলনা জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, ‘পশুকে কোনো ধরণের হরমোন বা ক্যামিলকেল না খাওয়ানোর জন্য আমরা খামারিদের পরামর্শ দিই। এ ছাড়া আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সবসময় ছোট, বড় খামারীদেরকে তদারকি করে এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন।’

;