গোলেনুরের উৎসাহে বদলে যাচ্ছে বদলপুরের নারীরা



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
তানোরের বদলপুরে কাজ করছেন নকশি কাঁথার কারিগররা/ছবি: বার্তা২৪.কম

তানোরের বদলপুরে কাজ করছেন নকশি কাঁথার কারিগররা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৯ সালে তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের বদলপুর গ্রামে গৃহবধূ হয়ে আসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়ে গোলেনুর বেগম। কৃষক স্বামীর নিজস্ব জমি নেই, পরের ক্ষেতে কৃষিকাজ করে যে আয়; তা দিয়ে সংসার চালানো দায়! বিয়ের এক বছর পর বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তির সন্ধান পান গোলেনুর। যিনি নকশি কাঁথার কাজের জন্য নারীদের খুঁজছিলেন। স্বামীর অভাবের সংসারে নিজেও অবদান রাখার প্রত্যয়ে কাজ নেন গোলেনুর। কাঁথা প্রতি মজুরি ঠিক হয় সাড়ে ৪০০ টাকা।

শুরুতে দুই/তিনটি কাঁথা নিয়ে এসে কাজ শুরু করেন তিনি। দুই মাসে তিনটি কাঁথা সেলাই ও ‘ফুল তোলা’র কাজ করে ১৩৫০ টাকা আয় হয় তার। বিষয়টি প্রতিবেশি নারীরা জানার পর তারাও কাজে আগ্রহ প্রকাশ করেন। চাঁপানবাবগঞ্জের আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে দ্বিতীয় দফায় নিজের জন্য ৫টি এবং প্রতিবেশি দুই নারীর জন্য ২টি করে ৪টি কাঁথা নিয়ে আসেন গোলেনুর। সংসার সামলে অবসরে নতুনদের শিখিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও সেলাইয়ের কাজ করেন বাড়ির আঙিনায় বসে। শুরু হয় তানোরের প্রত্যন্ত বদলপুর গ্রামের নারীদের ভাগ্য বদলের গল্প।

গোলেনুরের উৎসাহে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে নকশি কাঁথা সেলাইয়ের কারিগর। কৃষি অধ্যুষিত তানোরের বদলপুর ও আশেপাশের গ্রামের অসংখ্য নারী গোলেনুরের কাছ থেকে নকশি কাঁথা নিয়ে সেলাইয়ের কাজে যুক্ত হয়। বর্তমানে দেড় শতাধিক নারী নকশি কাঁথার কাজ করছেন। ২০ থেকে ২৫ দিনে একটি কাঁথা সেলাই করে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করতে পারেন গ্রামের নারীরা। এতে গৃহবধূ ও্ই নারীরা যেমন খুশি, তেমনি খুশি স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/05/1562307264973.jpg

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বদলপুরে গোলেনুর বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠান, পেছনের পুকুরপাড়সহ চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কিশোরী, তরুণী, মধ্যবয়সী নারী এমনকি বয়োবৃদ্ধারাও নকশি কাঁথা সেলাই কাজ করছেন। গভীর মনোযোগ শৈল্পিক হাতে নিপুণভাবে সুঁই-সুতায় কাঁথায় গ্রাম-বাংলার নানা দৃশ্য তুলে ধরছেন তারা। এক-একটা কাঁথা তিন থেকে চার জন করে গ্রুপ করে গোল হয়ে বসে সেলাই করছেন। সেলাইয়ের ফাঁকে ফাঁকে চলছে স্বামী-সন্তানের নিয়ে গল্প। কখনও সুখের আবার তা কখনও দুঃখের। গোলেনুরের বাড়িতে কাজ করা নকশি কাঁথার কারিগরদের দেখলেই যে কারও মনে পড়বে পল্লীকবি জসিমউদ্দিনের ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ এর কথা।

সেখানে গিয়ে দেখা গেল গোলেনুর বেগম ঘরের সামনে খুপড়ি রান্নাঘরে ভাত-তরকারি রাঁধতে ব্যস্ত। উঠান থেকে এক কিশোরী তাকে ভাবি সম্বোধনে ডেকে জানতে চাইছে, সেলাইয়ের কাজের একটি অংশের খুঁটিনাটি। রান্নায় মনোযোগী গোলেনুর মুখস্ত বিদ্যার মতো কিছু কথা আওড়ালো। তাতেই কাজ বুঝে নিল ওই কিশোরী!

রান্নাঘরে বসেই গোলেনুর বেগম জানালেন, তিনি অভাবে পড়ে এই কাজ শুরু করেন। তবে এখন এটার জন্য এই এলাকার মানুষ তাকে খুব সম্মান এবং শ্রদ্ধা করেন। এতে গ্রামের অসহায় নারীদের জন্য আরও কিছু করার জন্য প্রত্যয়ী হয়ে উঠছেন গোলেনুর।

তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। বাড়ির কর্তা সারাদিন মাঠে খাটে। আমরা বাড়িতে রান্না-বান্না করি। তারপর বসেই থাকি। এই কাজ করলে ক্ষতি কী? আমি শুরু করার পর অনেকে আগ্রহী হয়ে কাজ চেয়েছিল। কাঁথা এনে দিয়েছি, শিখিয়েও দিয়েছি। এখন শুধু বদলপুর না, তানোরের আরও অনেক গ্রামের মহিলারা কাঁথা নিয়ে এসে কাজ করছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/05/1562307284795.jpg

গোলেনুর আরও বলেন, ‘কাঁথা এনে দিয়ে আমি একটা কাঁথায় গড়ে ১০০ টাকা করে কমিশন পাই। অথচ তারা (মহাজন) একখান কাঁথা ৫/৭ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায়ও বিক্রি করে। বিভিন্ন জেলায় চলে যায় এসব কাঁথা। ভালোগুলো দেশের বাইরেও যায়। সেগুলোর দাম ৫০ হাজারেরও বেশি হয়। খেটে মরি আমরা, লাভ খাই মহাজন। শোনা যায়, সরকারের লোকজন নাকি গরীব মহিলাদের সাহায্য দেয় কিংবা লোন দেয়। আমরা চেষ্টা করেও কোনো কিছু পাই না। কিছু পুঁজি হলে নিজেই কাঁথা বানিয়ে সেলাই করে বিক্রি করতাম। তাহলে ভালোভাবে সংসার চলতো।’

বাড়ির দক্ষিণ কোণের উঠানে কয়েকজন কিশোরীকে কাজ করতে দেখা যায়। জানা গেল তারা সবাই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সকালে ক্লাস করেন বিকেলে কাজ করে। ছুটির দিনে সারাদিনই কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করে। যে টাকা পায়, তা দিয়ে লেখাপড়ার খরচ হয়েও বাবাকে সহযোগিতা করে করতে পারে।

তাদেরই একজন তাসলিমা খাতুন। এই কিশোরী বলেন, ‘ভাবির (গোলেনুর) কাজ করা দেখে শিখেছি। সহজ কাজ। মাঠে আব্বারা যেমন খাটে, তার চেয়ে তো সহজ। একটু কাজ করলে টাকা পাওয়া যায়। পড়ার খরচটা হয়ে যায়। যা বাঁচে আব্বার হাতে দিয়ে দেই।’

গৃহবধূ লিপি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে আর এক মেয়ে। ওদের বাপ বাইরে বাইরে কাজ করে বেড়ায়। এখন নাটোরে আছে। যখন বাড়ি থাকে না, তখন ছেলে-মেয়েদের যে কিছু কিনে খাওয়াবো সেই টাকাও থাকত না। এখন ছেলেমেয়েদের এটা-ওটা খাওয়ার কিছু টাকা তো দিতে পারি।’

গৃহবধূ লিপির মতোই সংসারের খুঁটিনাটি জিনিস কেনা এবং স্বামীকে সহযোগিতার কথা জানালেন সাজিনুর বেগম, লায়লা পারভিন, সুমি আক্তারসহ নকশি কাঁথার অন্যান্য কারিগররাও।

এদিকে, মোবাইলে নকশি কাঁথার মহাজন চাঁপাইয়ের আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা নকশি কাঁথায় চাহিদানুযায়ী বিভিন্ন ছাপ দিয়ে তার ওপর দিয়ে নানা রঙের সুতোর কাজ করিয়ে থাকি। গ্রামের নারীরা অবসরে এটা সহজেই করতে পারে। তারা চুক্তি করে কাঁথা নিয়ে যায়। তানোরে এখন আমার প্রায় এক হাজার ৪০০ কাঁথা বিভিন্ন গ্রামের মহিলাদের কাছে দেয়া আছে। কাজ শেষে তারা টাকা নেবে আর কাঁথা দিয়ে যাবে।’

আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ‘আমরা এই কাঁথা দেশে এবং বিদেশে বিক্রি করে থাকি। আমাদের এজেন্ট আছেন, তারা পাইকারি এবং খুচরা দরে কাজ অর্ডার করেন। সেই অনুযায়ী সরবরাহ করি। ৫ হাজার থেকে ৫০/৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত একটি কাঁথা বিক্রি করেছি আমি। তবে এখন দাম বেশি পেলেও চাহিদা কিছুটা কম।’

   

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন সরকারি কর্মচারীরা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি ও বৈষম্যহীন ৯ম জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণা না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ৩য় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি।

শনিবার (১৮ মে) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি'র সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতনস্কেল প্রদানের পর বিগত ১০ বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ঔষধ, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শতভাগ মূল্য বৃদ্ধিতে সরকারি কর্মচারীরা অর্থকষ্টে জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থা উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন বিশেষ সুবিধা ৫% থেকে ৩০% উন্নতি করা এবং অবিলম্বে জাতীয় ৯ম জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণার বিকল্প নাই।

সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য নিরসনকল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ১৯৭৩ সালের ১ম জাতীয় বেতন স্কেলের ন্যায় ২০ ধাপের পরিবর্তে ১০ ধাপে বৈষম্যহীন ৯ম জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণা, কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী রেশনিং পদ্ধতি চালু, সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের বাইরে সকল পদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, সকল ডিপ্লোমাধারীদের ১০ম গ্রেড প্রদান, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা চালু টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড প্রদান, অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং ইনক্রিমেন্টের শেষ ধাপ ব্লক না রেখে নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট চালু রাখতে জোড় দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে সমিতির সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান বলেন, আগামী ২১ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ২৬ থেকে ৩০ মে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগ ও দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ এবং ১ জুন প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, এ সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও আরও উপস্তিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রফিকুল ইসলাম মামুন, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নূরনবী, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে'র সেলিম মোল্লা, মুগদা মেডিকেল কলেজের মনিরুল ইসলাম, ক্যান্সার হাসপাতালের তাপস কুমার সাহা, মাহবুব, কুষ্ঠ হাসপাতালের মো. রায়হান উদ্দিন, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মফিজুল ইসলাম পিন্টু, জাতীয় আর্কাইভের মনির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মোফাজ্জল হোসেন, বিএসটিআই'র ইব্রহিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন, বিএসএমএমইউ'র সিরাজুল ইসলাম, শেখ রাসেল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আনোয়ার হোসেন, মৎস অধিদপ্তরের আরিফুল ইসলাম, লিপি আক্তার, মৃত্তিকা সম্পদ অধিদপ্তরের হাদিউজামান, ইবনে ফারুক, টেমো'র আরিফুল ইসলাম, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কামরুন্নাহার, গণপূর্তের রেখা, মোহাম্মদ আলী, রেজিস্ট্রি অফিসের রুবি, কিডনি হাসপাতালের সাইদুর রহমান, বিএসইটি'র সাজেদুল ইসলাম, নিপোর্ট'র মোজাম্মেল হক, বিআইডারটিএ'র সাব্বির রহমান, ঢাকা জজ কোর্টের আসাদুজ্জামান পিয়াল, সিজিএম কোর্টের আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের জহিরুল ইসলাম, শেবাকৃবি'র নূর-ই মোফাজ্জল, বক্ষব্যধির শাহজাহান, ঢাবির কবির, বিজি প্রেস'র ইলিয়াস হোসেন, খামারবাড়ির ইমরানসহ ঢাকা মহানগরীর সকল দপ্তরের নির্বাচিত কর্মচারী প্রতিনিধিরা।

;

ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেলে দুই ভাইয়ের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতরা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার আউলিয়াবাদ বাজারে ঘরভাড়া নিয়ে সেখান থেকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার কাজ করতো আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। আজ শনিবার ভোরে বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামের হযরত আলীর ধান ক্ষেতে ৬ জন শ্রমিক ধান কাটতে ছিল। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে ধান ক্ষেত থেকে দৌঁড়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় আফজাল ও আমিরের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

বীর বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, আজ সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর ক্ষেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি সাথে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

কালিহাতী থানার এসআই রাজীব জানান, নিহতের স্বজনেরা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করলে ওসি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সবই ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। আপনার জানবার বিষয় থাকলে আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কী না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বলল আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? নিউজে বলছে সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, 'কোন নিউজে বলছে আপনাকে?' আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করুন যে কী কারণে এইটা এই পর্যায়ে আসল? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

রিজার্ভ কমে ১৩ বিলিয়নে নেমে আসায় অর্থনীতিবিদরা অনেকে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর যাত্রা শুরু করেছি। ডলার ছিল আমাদের? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে আমাদের? তিন বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে এটা কি কম নাকি? এখন আমাদের রফতানি আয় বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে এই মুহূর্তের। এইগুলা বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

সব মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে: প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রের সব মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার। আদালতে বিচার প্রার্থীরা ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই আসে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের কর্তব্য হচ্ছে বিচার প্রার্থী সব নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। পাশাপাশি বিচার প্রার্থীদের সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।

এছাড়া প্রধান বিচারপতি কক্সবাজারে মাদক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমসহ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারকরা এবং কক্সবাজারের জজ আদালতের বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল কোর্ট এলাকা পরিদর্শন করেন।

;