ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত, ছবি: সংগৃহীত

উপবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 
 
সোমবার (২৪ জুন) তদন্ত কমিটি গঠন হওয়ার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অবকাঠামো মো: আনোয়ারুল হক।
 

আরও পড়ুন: উপবন এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৮, আহত শতাধিক

 
তিনি বলেন, 'রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার যান্ত্রিক (পূর্বাঞ্চল) মো. মিজানুর রহমানকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।'
 
এদিকে, দুর্ঘটনার ফলে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
 
উল্লেখ্য, রোববার ২৩ (জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা উপবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি সেতু ভেঙে খালে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
 

আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট রেলপথের স্লিপারে স্লিপারে ‘মৃত্যুফাঁদ’

   

চামড়া পাচার রোধে যশোর সীমান্তে বিজিবির ১০ দিনের সতর্কতা জারি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সীমান্ত পথে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সোমবার (১৭ জুন) থেকে ১০ দিন বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আহম্মেদ হাসান জামিল।

ইতিমধ্যে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিজিবির টহল। পাচার ঠেকাতে সীমান্ত সড়কে প্রবেশকালে সন্দেহভাজন যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে। কোরবানির দিন থেকে আগামী ১০ দিন পর্যন্ত থাকবে এ সতর্কতা। এদিকে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশেরও নজরদারি রয়েছে সীমান্তে। তবে চামড়ার নায্য মুল্য না মেলায় এবার পাচারের শঙ্কা রয়েছে জানালেন চামড়া বিক্রেতারা।

জানা যায়, গেল কয়েক বছর ধরে দেশের বাজারে চামড়ার নায্য মুল্য না পাওয়ায় পাচারের শঙ্কা বেড়ে চলেছে। তবে দেশের এ সম্পদ পাচার ঢেকাতে প্রতিবছর বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির পক্ষ থেকে কোরবানির পরে সীমান্ত জুড়ে নেওয়া হয় বাড়তি সতর্কতা।


এবছরও পাচার রোধে সর্তকতার নির্দেশ এসেছে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে। এতে ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবি কোরবানির দিন থেকে পরবর্তী ১০ দিন সীমান্তের বিশেষ বিশেষ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সীমান্ত ঘেষা ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবির মধ্যেও এ সতর্কতা দেখ গেছে। ইতিমধ্যে এসব পয়েন্টে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পাচার প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা কামনা করেছে। শহর থেকে যেন চামড়া সহজেই সীমান্তে পৌঁছাতে না পারে, তার জন্য বিজিবি চেক পয়েন্টগুলোতে নজরদারি জোরদার রয়েছে। সীমান্ত অভিমুখে প্রতিটি ট্রাক, পিকআপসহ সব যানবাহন বিজিবির তল্লাশির আওতায় থাকবে। পাচারের সম্ভাবনা দেখা দিলে নির্ধারিত সময় শেষেও এই নিরাপত্তা থাকতে পারে।

এদিকে চামড়া বিক্রেতারা জানান, গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি পাওয়া যাচ্ছে না আর ছাগলের চামড়া বিক্রি করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বিক্রেতারা নানান অজুহাত দেখিয়ে সরকার নির্ধারিত দাম দিচ্ছেনা। এ অবস্থা থাকলে পাচার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বাংলাদেশের পশুর চামড়ার গুণগত মান উন্নত হলেও দেশে গেল কয়েক বছর ধরে চামড়ার দাম খুবই কম যাচ্ছে। এ কারণে বেশি লাভের আশায় সীমান্ত পথে চামড়া পাচারের প্রবণতা আছে অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যে। আগে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে কোরবানির পশুর চামড়া আটকের ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। এ কারণে এই এলাকা দিয়ে চামড়া পাচারের ঝুঁকি থাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি।

চামড়া ক্রেতা রহমান জানান, ৭০০ টাকার চামড়া ৩০০ টাকা বলছে। ছাগলের চামড়ার দাম ৫ টাকা। এরকম দাম থাকলে চামড়া পাচার হতে পারে এবার।


চামড়া বাজারে বিক্রেতা কাজল বার্তা২৪.কমকে জানান, সরকার যে দাম নির্ধারন করেছে সে দাম ক্রেতারা নাননন অযুহাত দেখিয়ে দিচ্ছেনা। এবার লোকশান গুনতে হবে। চামড়ার মান খারাপের কারনে দাম কম।

বেনাপোলে চামড়া কিনতে আসা ঢাকার চামড়া ব্যবসায়ী আবু বক্কর ছিদ্দিক বার্তা২৪.কমকে জানান, এবার কোরবানি পশুর চামড়ার সরবরাহ কম। চামড়ার মানও ভাল না। তাই দাম বেশি দিতে পারছেন না।

৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক(সিও). কর্নেল আহম্মেদ হাসান জামিল বার্তা২৪.কমকে সোমবার দুপুর ২ টায় জানান, কোরবানি পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবে পাচার না হয় সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিন এ সতর্কতা থাকবে জানান তিনি।

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বার্তা২৪.কমকে জানান, কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার পাশাপাশি তাঁরাও কাজ করছেন। সীমান্ত অভিমুখে কোনো যানবাহন প্রবেশের সময় জিজ্ঞাসাবাদ ও সন্দেহভাজন যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।

এবার কোরবানিতে এক কোটি ৭ লাখ পশুর চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল এক কোটি ২৯ লাখ পশু। এর মধ্যে ৫৫ লাখ গরু-মহিষ এবং বাকিগুলো উট, ছাগল, ভেড়াসহ অন্যান্য প্রাণি। এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর এবার ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা।

;

চল্লিশ বছর ধরে ঈদে ডিউটি করে আসছেন তিনি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চল্লিশ বছর ধরে ঈদে ডিউটি করে আসছেন ফায়ার ফাইটার ভবেশ চন্দ্র। এটাই তার চাকরি জীবনের ঈদের শেষ ডিউটি, কারণ আর দুই মাস পরেই অবসরে যাবেন তিনি।

সনাতন ধর্মের অনুসারি হওয়ায় স্বভাবতই ঈদে তাকে ডিউটি দেওয়া হতো। তিনিও হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। ১৯৮৪ সালে যোগদানের পর থেকেই প্রত্যেকটি ঈদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন তিনি।

গাবতলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে আলাপে নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন তিনি। ভবেশ চন্দ্র বলেন, একটা সময় ছিল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হামলার শিকার হতে হতো। আমার মনে হয় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে উৎসুক জনতার হামলার শিকার হতে হতো। এখন সেই অবস্থা বদলে গেছে।

এই বদলে যাওয়ার প্রধান কারণ কি বলে আপনার ধারণা। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে যদি বলতে হয় ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন, এখন লজিস্টিক সাপোর্ট বেড়েছে, আবার মানুষের মধ্যেও অনেক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। আগে প্রধানত জেলা সদর কেন্দ্রীক ছিল ফায়ার স্টেশন। প্রত্যন্ত এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের স্থলে পৌঁছাতে হলে অনেক সময়সাপেক্ষ ছিল। এখন বেশিরভাগ উপজেলা পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন রয়েছে। যে কারণে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারছে। সে দিক থেকেও অনেকটা উন্নতি হয়েছে।

চাকরির শেষ পর্যায়ে এসে ভবেশ চন্দ্র বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে সাইড দিতে অনেকে গড়িমসি করেন। আমরা যদি সুষ্ঠুভাবে চলতে পথ চলতে পারি, তাহলে আরও জানমালের ক্ষতি কমানো সম্ভব, এখানে জনসচেতনতা প্রয়োজন। অন্যদিকে উৎসুক জনতার ভিড় অনেক সময় কাজকে বাঁধাগ্রস্ত করে, সেদিক থেকেও নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।

আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করা জরুরি। সামান্য স্বার্থের কারণে আপনার জীবন ও সম্পদকেই ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। সে কারণে আগে নিজেকে সচেতন হতে হবে।

মানিকগঞ্জ সদরের বাসিন্দা ভবেশ চন্দ্র, চাকরি জীবনে তেমন ঘোরাফেরা করতে পারেননি। অবসর জীবনে দেশটাকে ঘুরে দেখতে চান তিনি। সঙ্গে ধর্মীয় নানা তীর্থ দেখার আগ্রহ রয়েছে। লালন ভক্ত ভবেশ চন্দ্র ধর্ম-বর্ণ ও জাত বৈষম্যের বিরোধী। ছোট বেলায় দেখেছেন সনাতন ধর্মের এক শ্রেণির লোকজন অন্যদের সঙ্গে ছোঁয়া লাগলে গোসল করে পবিত্র হতো। আবার অনেক জাতের লোককে বাড়িতে ঢুকতে দিতো না। এই ধরণের মানসিকতাতে চরমভাবে ঘৃনা করেন তিনি। মানুষের কল্যাণ ও মানুষের উপকারে আসাটাকেই সবচেয়ে বড় মনে করেন তিনি।

;

কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ

কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ কিশোরের নাম মোহাম্মদ তারেক (১৫)। ৭ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তাঁকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে কলাতলী পয়েন্টে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নেমেছিল তারেক। কিন্তু অন্যান্য বন্ধুরা ফিরে এলেও সে আর ফেরেনি। রাত আটটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানান, “লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা তারেককে খুঁজতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার পরিবারকেও বিষয়টি অবগত করে হয়েছে।”

তারেকের বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার শাহ ফকির বাজার এলাকায়। সে মোহাম্মদ জয়নালের ছেলে। ঈদের ছুটিতে ৬ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিল।

তারেকের বন্ধুর বরাতে বিচকর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুবুর রহমান বলেন, দুপুর একটার দিকে তারা গোসলে নামে। দেড়টার দিকে ৫ বন্ধু উঠে এলেও তারেক উঠেনি। এরপর থেকেই তাকে খোঁজা শুরু হয়।

ঈদের দিন হওয়ায় সৈকতে স্থানীয় ও পর্যটকের কিছুটা ভিড় থাকলেও ছিলেন না লাইফগার্ড কর্মীরা।

;

এবার আশা দেখাচ্ছে চামড়ার দাম, তবে নেই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পোস্তায় কাঁচা চামড়া আনছেন ব্যবসায়ীরা/ছবি: নূর এ আলম

পোস্তায় কাঁচা চামড়া আনছেন ব্যবসায়ীরা/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে চামড়া বড় বাজার। কিন্তু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব্যে গত কয়েক বছর ধরে চামড়া নিয়ে কাঁদছেন শতশত মৌসুমী ব্যবসায়ী। ফলে চামড়া কেনা নিয়ে পুরোই সেই চেনা দৃশ্যের দেখা মেলেনি। স্থানীয় তরুণদের চামড়া কেনার তোড়জোড়ও চোখে পড়েনি।

তবে টানা কয়েক বছর ধরে চলা চামড়ার বাজারের আক্ষেপ এবার এসে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন বিকেলে রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় দেখা গেছে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে ফিরছেন হাসিমুখে। তাদের একজন মো. আমির হোসেন।


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন এক ট্রাক চামড়া নিয়ে এসেছেন পোস্তায়। এবার গরুর চামড়া বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়নি।

চামড়ার দাম কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে আমির বলেন, 'দাম ঠিক আছে। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিতাছে। সাইজ যেইটা ভালো, সেটা আর একটি বেশি দিতাছে।'

আমির হোসেন ছাড়াও বেশ কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ী গরুর চামড়া বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম পেতে দেখা গেছে।


এদিকে আড়ৎদারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এবার মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসা থেকেই আসছে বেশির ভাগ চামড়া। পোস্তায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চামড়াবাহী ট্রাকের বেশির ভাগই বিভিন্ন এলাকার মসজিদ মাদসাসার। হাতে গোনা কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ী এসেছেন।

চামড়ার আকার ও অবস্থা দেখে দাম নির্ধারণ করছেন আড়ৎদাররা। সেক্ষেত্রে ছোট আকার ও কাটাছেঁড়া চামড়া কেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে মাঝারি আকারের চামড়া। বড় আকারের চামড়া কিনতে আড়ৎদাররা ৯০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত গুণছেন।


আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের মতে, এই দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি।

প্রসঙ্গত, এবার সরকারিভাবেও চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে। লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিলো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

;