পাস‌পোর্ট অফিসে জাল সত্যায়ন, ফরম পূরণ চক্রের দৌরাত্ম্য



রা‌কিবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যাত্রাবাড়ী‌ আঞ্চ‌লিক পাসপোর্ট অফিসে ফরম পূরণ করছেন আগতরা

যাত্রাবাড়ী‌ আঞ্চ‌লিক পাসপোর্ট অফিসে ফরম পূরণ করছেন আগতরা

  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি ও কাগজপত্রের জাল সত্যা‌য়ন দিয়েই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী‌ আঞ্চ‌লিক পাস‌পোর্ট অফিসে পাসপোর্টের আবেদন ফরম জমা দি‌চ্ছেন অনেকেই। এসব আবেদনের সত্যায়ন যাচাই-বাছাই ছাড়াই জমা নি‌চ্ছেন কর্মকর্তারা।

গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) কেরানীগ‌ঞ্জে অব‌স্থিত যাত্রাবা‌ড়ী আঞ্চ‌লিক পাস‌পোর্ট অফিসে স‌রেজ‌মিনে গিয়ে দেখা যায়, পাস‌পোর্ট অফিসের ঠিক উল্টো পা‌শে গ‌ড়ে উঠেছে কিছু ফ‌টোক‌পি ও চা-নাস্তার দোকান। এসব ফ‌টোক‌পির দোকা‌নে দাম হেঁকে হেঁকে সত্যা‌য়িত করা হ‌চ্ছে। ছ‌বি আর জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে এনে এখান থে‌কেই কেউ কেউ পূরণ করছেন আবেদন ফরম।

পাস‌পো‌র্টের আবেদন ফরম পূরণ করা কয়েকজনের সঙ্গে আলাপকা‌লে জানা যায়, এখা‌নে ৫০০ থে‌কে ৭০০ টাকায় আবেদন ফরম সত্যা‌য়িত করা হয়। পুরো আবেদন ফরম পূরণ কর‌লে সেই খরচ ভিন্ন। আবেদন ফরম পূরণ ক‌রে পাস করি‌য়ে দেওয়ার অজুহা‌তেও টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চক্রের সদস্যরা।

সত্যা‌য়িত ক‌য়েক‌টি ফরম অনুসন্ধান ক‌রে জানা যায়, ফরমের সঙ্গে যুক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যা‌য়িত হ‌চ্ছে বি‌ভিন্ন সরকা‌রি মে‌ডি‌কেল ক‌লে‌জের ডাক্তারদের না‌মে। কিছু সত্যায়ন হ‌চ্ছে সরকা‌রি ক‌লেজ বা বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের প্রভাষক, সহকা‌রী অধ্যাপক ও অধ্যাপ‌কের না‌মে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/21/1561091231274.jpg
পেশায় প্যাথ‌লজিস্ট এক নারী; থা‌কেন রাজধানীর বনশ্রী‌তে, পাসপোর্টের আবেদন করতে এসে তিন‌দিন যাত্রাবা‌ড়ী আঞ্চ‌লিক পাস‌পোর্ট অফিস থে‌কে ফিরে গে‌ছেন। বি‌ভিন্ন ছুতোয় তা‌কে ফি‌রি‌য়ে দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

বার্তা২৪.কম‌কে ওই নারী ব‌লেনি, আমি আগে যতবার এসেছি আমা‌কে এটা নাই, সেটা নাই ক‌রে ফি‌রি‌য়ে দি‌য়েছেন গে‌টে দা‌য়িত্বরত আনসার সদস্যরা। একদিন এইটা নাই তো আরেক দিন ওইটা নাই বলে, কিন্তু পু‌রোপু‌রি ব‌লে না। আজ বল‌ছে সত্যা‌য়িত কর‌তে হ‌বে। নিরুপায় হ‌য়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর এক আনসার সদস্য বল‌ল— ৮০০ টাকা দেন সত্যা‌য়িত ক‌রি‌য়ে দি‌চ্ছি। পরে বুঝলাম এখা‌নেও সত্যা‌য়িত ক‌রা‌ যায়। এরপর রাস্তার ওপা‌রের দোকা‌নে গিয়ে সত্যা‌য়িত করতে চাইলে তারা ৫০০ টাকা চাইল। তাদের কাছেই সত্যা‌য়িত করলাম, ফরমও জমা‌ দিয়ে দিলাম।

ত‌বে জমা দেওয়ার আগে নজর পড়ে আবেদন ফরমটিতে। ঢাকা মে‌ডি‌কেল ক‌লে‌জের মীজানুর রহমান না‌মে একজন এম‌বি‌বিএস ডাক্তারের সি‌লে সত্যা‌য়িত দেখা যায়।

এদিকে সম্পূর্ণ আবেদন‌ ফরম পূরণ করার চু‌ক্তি ক‌রে‌ছেন বিথী আক্তার না‌মে দোহার থেকে আসা এক নারী। তিনি কত টাকা দিয়েছেন জানাতে রাজি না হ‌লেও আবেদন ফরম‌টি পূরণ হ‌য়ে‌ছে ব‌লে দেখা‌লেন। তার কাগজ ঢাকা মে‌ডি‌কে‌ল কলেজ হাসপাতালের এম‌বি‌বিএস ডাক্তার উত্তম দেবের সিল ব‌সি‌য়ে সত্যা‌য়িত ক‌রে‌ছেন জা‌লিয়াত চক্রের সদস্যরা।

জাল সি‌ল দিয়ে সত্যা‌য়ন করা চক্রের সদস্যরা নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন করে বার্তা২৪.কম‌কে বলেন, আমরা মানু‌ষকে সেবা দিয়ে টাকা নেই। একজন মানুষ বিপদে পড়েছেন, ভুল করে কিছু ফেলে এসেছেন। তা‌তে কী? মূল ভোটার আইডি থাক‌লে বাকি দায়িত্ব আমাদের।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/21/1561091298022.jpg
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এদের সঙ্গে আঞ্চ‌লিক পাস‌পোর্ট অফিসের আনসার সদস্যদের ভালো সখ্যতা র‌য়ে‌ছে। দৈ‌নিক হারে টাকা ঢুকে তাদের পকেটে। কিছু কর্মকর্তাও এসব কা‌জের সঙ্গে জ‌ড়িত। জাল সত্যা‌য়িত আবেদন নি‌য়ে কেউ ঝা‌মেলায় পড়‌লে তা‌দের সমাধা‌নের জন্য আছেন অফিসের ইন্স‌পেকশন অফিসার হূমায়ুন ক‌বির রিফাত। তি‌নি সরাস‌রি নি‌য়ে যান উপ-প‌রিচাল‌কের কা‌ছে। তাহ‌লেই আবেদন ফরমটি আটকা‌নোর কেউ আর থা‌কে না।

প্রধান ফট‌কে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আলমগীর ব‌লেন, আমরা মানুষ‌কে হয়রা‌নি করি না‌। কেউ অসম্পূর্ণ আবেদন নি‌য়ে আস‌লে তা‌কে ফি‌রি‌য়ে দেই।

জাল সত্যায়ন করা চক্রের ব্যাপারে কথা বল‌তে গে‌লে রে‌গে যান ইন্স‌পেকশন অফিসার রিফাত। ‌তি‌নি ব‌লেন, এসব আমি জা‌নি না। আপনা‌দের যা কথা আছে স্যা‌রের সঙ্গে বল‌বেন। বড় স্যার ছু‌টিতে আছেন, রোববার এসে কথা বল‌বেন।

উপ-প‌রিচালক ছু‌টিতে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়‌নি। ত‌বে উপ সহকারী প‌রিচালক হেলাল উদ্দিন ব‌লেন, কে কী ক‌রেন এটা আমার জানার কথা না। আমরা‌ তো সত্যা‌য়ন ভে‌রিফাই কর‌তে পা‌রি না। আবেদনের সব প্র‌য়োজনীয় অংশ পূরণ দেখ‌লে আমরা আবেদন ফরম জমা নেই।

   

‘৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবার মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি সুবিধার ২০ শতাংশও ভোগ করতে পারে না। ৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে কোনো না কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। দরিদ্র জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের জন্য সরকারের বরাদ্দও অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে দেশের স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে এসডিজি অ্যাকশন এলায়েন্স বাংলাদেশ।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে আয়োজিত ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের অবস্থানপত্র শীর্ষক’ এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসডিজি অ্যাকশন এলায়েন্স বাংলাদেশ, গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন এগেইনস্ট পোভার্টি ও নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস)।

এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও এনআরডিএস'র প্রধান নির্বাহী আবদুল আউয়াল বলেন, কোভিডের আগের ধারাবাহিকতায় বাজটে স্বাস্থ্য খাত অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। মহামারির সময়ই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুরবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছিল। কিন্তু এরপরও বাজেটে এই খাত প্রত্যাশিত মনোযোগ পাচ্ছে না। টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও বাজেট ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় বরাদ্দ খুব একটা বাড়ছে না। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় করে, যা বৈশ্বিক গড় ৫ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে অনেক কম। সবার জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতা তৈরির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে আব্দুল আউয়াল বলেন, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে একজন বাংলাদেশির বছরে ৮৮ ডলার খরচ করা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে মাথাপিছু খরচ হয় ৫৮ ডলার, যার বড় অংশই নাগরিকরা নিজেরা সংস্থান করেন। বাংলাদেশের জনগণ তাদের স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ নিজেরাই সংস্থান করতে বাধ্য হয়।

তিনি আরও বলেন, এটি অনেক পরিবারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক সংকট এবং এটি মানুষের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবাকে বিলম্বিত করে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭০ ভাগ নিজেকে ব্যয় করতে হয়।

এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবায় অভিগম্যতা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে নোয়াখালী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের ৬০০ নাগরিকের ওপর মতামত জরিপ পরিচালনা করে। এতে দেখা গেছে ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন, ২১ দশমিক ৩ শতাংশ কোনো টিকা নেননি।

প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে প্রান্তিক মানুষের অভিগম্যতার হার ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু অনেক প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছিল । সমীক্ষায় দেখা যায়, ৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে কোনো না কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্পর্কে প্রান্তিক মানুষের সচেতনতার হার ভালো ৮৩ শতাংশ থাকা সত্বেও দুর্নীতি, স্বজনতোষন, হয়রানির কারণে বিপদাপন্ন মানুষের তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি।

লিখিত বক্তব্যে বেসরকারি সংস্থা বন্ধনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুজ্জামান মিলন ৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্য সেবায় অভিগম্যতা সম্প্রসারণে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো অপরিহার্য। স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচির আওতা প্রসারিত করে এবং স্বাস্থ্যসেবা খরচের জন্য ভর্তুকি প্রদান করে স্বাস্থ্যের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যয় কমানো যায়। সরকার আরও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা তৈরি করে, আরও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ ও পরিষেবাগুলোকে আরও সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারে। সরকার সব নাগরিকের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য শিক্ষা, কৃষি, এবং পানি ও স্যানিটেশনের মতো অন্যান্য সেক্টরের সাথে কাজ করে স্বাস্থ্যের সামাজিক নির্ধারকগুলোর সমাধান করতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত নারী অধিকার জোটের সদস্য সচিব মনোয়ার আক্তার মিনু।

;

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন। 

একইসঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ -এর মালিক গোলাম মোস্তফাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

;

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

রোববার (১৯ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) উত্তরণ হতে যাচ্ছে। বাজার সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশন আজ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে আসিয়ান দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় কানাডা। অবকাঠামোগত প্রকল্প, সাইবার নিরাপত্তা একইসাথে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডা। ক্যানোলা তেল রফতানি হতে পারে এদেশে, এ তেলের ফ্যাক্টরি এখানে স্থাপন হলে তেল প্রক্রিয়া করা আরও সহজ হবে বলে জানান তিনি।

এসময় বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস, কমার্সিয়াল কাউন্সিলর দেবরা বইয়েস, এশিয়া-প্যাসিফিক ভাইস-প্রেসিডেন্টের চিফ স্টাফ ব্র‍্যাড কোয়েল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ডিজি) খন্দকার মাসুদুল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আজ সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশনের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এসময় দু'দেশের বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেগোসিয়েশন হবে, যা শেষ হবে বৃহস্পতিবার (২৩ মে)।

;

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে কালশী মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং বন্ধ রয়েছে যান চলাচল

রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন। 

দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলেই উত্তেজিত অটোরিকশার চালকেরা লাঠি ও ইট-পাটকেল ছুড়ে বাসে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত নেমে পড়েন। দুপুরের ওই ঘটনার সময় আন্দোলনকারীরা মিরপুর-১০ নম্বরে বিআরটিসি ও আলিফ পরিবহন ছাড়াও কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালান।

এদিকে, গণপরিবহনে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মিরপুর জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ভাঙচুরের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দিলেও পরে তারা আবারও ভাঙচুর চালায়। এদের পেছনে কেউ আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

;