কাঁচা লবন আমদানিতে দুদকের ১০ দফা সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট , বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাঁচা লবন আমদানীর ক্ষেত্রে আমাদানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সক্ষমতা ও মার্কেট শেয়ারিং এবং আয়োডিন ব্যবহারের দক্ষতা না দেখেই আমদানীর অনুমোদন দেয়া হয়। এর ফলে বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাঁচা লবন আমদানীতে ব্যাপক অনীয়ম ও দুর্নীতি হয়। এসব অনীয়ম দূর করে দুর্নীতি প্রতিরোধে ১০ দফা সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন)  দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত সাক্ষরিত সুপারিশমালা মন্ত্রি পরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত এর স্বাক্ষরে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, মার্কেট শেয়ারিং ও আয়োডিন ব্যবহারের দক্ষতা বিবেচনায় না নিয়ে বিভিন্ন ভূয়া প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কাঁচা লবণ আমদানির অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম প্রতিরোধে দুদকের ১০ দফা সুপারিশ সংবলিত পত্র মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাববরে পাঠানো হয়। চিঠিতে সুপারিশমালা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদানের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অনুরোধও করা হয়।

চিঠিতে বলা হয় , দুদকের অনুসন্ধানকালে সংস্থাটি দেখতে পায়, বিভিন্ন লবণ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃত সক্ষমতা যাচাই না করে সকল প্রতিষ্ঠানকে সমহারে বোল্ডার লবণ আমদানির অনুমোদন প্রদান করা হয়।এই আমদানির অনুমোদন প্রক্রিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের নিকট যথাযথ নয় বলে জানানো হয়। 

দুদকের ১০ দফা সুপারিশঃ 

১)  লবণের মৌসুম শেষ হওয়ার সাথে সাথে বিসিকের নিকট হতে লবণের চাহিদা ও উৎপাদিত লবণের পরিসংখ্যান সংগ্রহর্পূবক দ্রুততম সময়রে মধ্যে ঘাটতি লবণ আমদানরি বষিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষপে গ্রহণ ।

২) নিজস্ব লবণ শিল্পকে সুরক্ষা প্রদানরে নিমিত্ত শুধুমাত্র প্রকৃত চাহদিার তুলনায় ঘাটতরি সমপরমিাণ বোল্ডার লবণ আমদানি নিশ্চিতকরণ।

৩) বিসিক সিআইডি প্রকল্পরে আওতায় ভোজ্য ও শিল্প লবণ উৎপাদনকারী লবণ মিল সমূহের র্কাযক্রম মনিটরিং করে বিধায় লবণ উৎপাদন ও বিপণনের সাথে জড়িত লবণ মিলের জন্য বিসিক এর নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা।

৪) যে সকল লবণ মিল ভোজ্য লবণ বাজারজাত করে থাকে তাদরে নিজস্ব আইএসপি মেশিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা।

৫) ভোজ্য লবণ আমদানির ক্ষেত্রে যে সকল লবণ মিল বিসিকের তালকিাভুক্ত সেগুলোর বাইরে অন্য কোন লবণ মিলকে লবণ আমদানির অনুমোদন প্রদান না করা।

৬)লবণ আমদানির জন্য যোগ্য মিল নির্বাচনের জন্য বিসিক, প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাণজ্যি মন্ত্রণালয়রে প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটির মাধ্যমে নীতিমালা প্রনয়ণ ও তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৭) ভোজ্য লবণ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে বিএসটিআই এর অনুমোদন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা।

৮) কোন লবণ উৎপাদনকারী প্রতষ্ঠিান আমাদনির অনুমতিপ্রাপ্তির পর লবণ আমদানি না করলে পরবর্তীতে বছরে উক্ত প্রতষ্ঠিানকে লবণ আমদানির অনুমতি প্রদান না করা।

৯) গ্রুপ ভিত্তিক আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা।

১০) পূর্ববর্তী বছর সমূহের উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে লবণ মিলের উৎপাদন সক্ষমতা, নির্ধারণ এবং সমহারে লবণ আমদানির অনুমোদন প্রদান না করে সক্ষমতার ভিত্তিতে আমদানির অনুমোদন প্রদান করা।

   

ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। এ নিয়ে জানুয়ারির প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫৬৯ জনে। এ সময় কারোর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃত্যু সংখ্যা ৩২ জনেই রইলো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ১৪ জন ও ঢাকার বাইরের ১০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও নারী ১১ জন।

এ সময় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন। আর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৪০৫ জন। 

;

ডেঙ্গু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মেয়র তাপস: সাঈদ খোকন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস 'ডেঙ্গু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন' বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে (Mohammad Sayeed Khokon) এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। এর আগে তিনি ২০১৫ সালের ১৭ মে থেকে ২০২০ সালের ১৬ মে পর্যন্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।

গতকাল বুধবার (১৫ মে) এক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল।'

মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের ফেসবুকের এই পোস্টে বলা হয়, তাঁর (তাপস) এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মেয়র তাপস দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এখন মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে নিজের ব্যর্থতার দায় অন্যের কাধেঁ চাপাতে চাইছেন তাপস।

ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য তুলে ধরে সাঈদ খোকন তার পোস্টে লিখেন, ২০১৯ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৮১০ আর বাইরে ৪৯ হাজার।

আর গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। কেবল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু হয়, তা আগের ২২ বছরে হয়নি।

অর্থাৎ আগের ২২ বছরের চেয়ে গত বছর রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি। গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন। আর বাকি ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন আক্রান্ত হন ঢাকার বাইরে। এ ছাড়া গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৯৮০ জন মারা যান।

তাই অপরাজনীতি না করে কীভাবে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করা যায়, সেদিকে নগর কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দেওয়ার আহবান জানান সাঈদ খোকন।

;

উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ৮ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার্থে নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছেন। চুয়েটের ‘কেয়ার’ প্রকল্পের আওতায় পূর্ণবৃত্তি নিয়ে ২ বছরের জন্য ৩ জন এবং ৫ মাসের জন্য ৫ জন শিক্ষার্থী আগামী আগস্ট মাসে নরওয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সঙ্গে নরওয়ে গমনকারী শিক্ষার্থীদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘কেয়ার’ প্রকল্প চুয়েট এর প্রকল্প পরিচালক ও সমন্বয়ক এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম।

অনুষ্ঠানে সম্প্রতি নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম সম্পন্নকারী ৫জন শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ ‘কেয়ার’ প্রকল্পের অধীনে চুয়েটের সঙ্গে এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদিত শিক্ষা ও গবেষণা অনুদান চুক্তির আওতায় ২০২২ সাল থেকে এই যৌথ একাডেমিক শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

;

'একদিন কাজ না করলে কপালে মোর ভাত জোটে না'



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

"একদিন কাজ না করলে কপালে মোর ভাত জোটে না। দুনিয়াত মোক দেকার মতো কাইয়্যো নাই। ছাওয়া পোয়া থাকিয়াও নাই, নিজের দুইক্যান হাত ছাড়া৷ স্বামী মারা গেইছে ১৪ বছর পার হওছে। ছাওয়া কোলাত নিয়া কাজ করিয়া বড় করছি৷ সেই ছাওয়া বউ, নাতি নিয়া সুখে আছে মোক দ্যাকে না। কপালোত আছে দুঃখ এই বয়সে কাজ না করি আর উপায় নাই।" এভাবেই আবেগে অশ্রুসিক্ত হয়ে রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় মনের কষ্ট প্রকাশ করছিলেন বৃদ্ধ আজমিনা বেগম (৭২)।

রংপুর নগরীর আলমনগরের একটি জুট কারখানার এক কোনায় বসে কাজ করতে দেখা যায় এই বৃদ্ধাকে। এই বয়সেও কাজ করছেন কেন তা জানতে চাইলে আবেগে অশ্রুসিক্ত কন্ঠে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে জুট কারখানায় জুট বাছাইয়ের কাজ করেই চলে তার সংসার। নেই স্বামী, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। একমাত্র পুত্রসন্তানকে বড় করেও তার উপার্জন ভোগ করার ভাগ্য যেন নেই। আজও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জুট বাছাইয়ের কাজ করেই দুমুঠো খাবার জোটে তার। নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড মহাদেবপুরে টিনশিটের ছাওনি বাড়িতে যৌথ পরিবারের একটি ছোট্ট ঘরে ভাড়া থাকেন তিনি৷ সপ্তাহে কাজ করে উপার্জন করেন ১৬০০ টাকা।

এভাবে কাজের উপর ভিত্তি করে মাসে উপার্জন তার। মাসে ৭০০ টাকা গুনতে হয় বাসা ভাড়া আনুষঙ্গিক সব খরচে অভাবের সঙ্গে কাটে তার। প্রায় সময় কারখানা বন্ধ থাকলে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে বৃদ্ধার।

তিনি বলেন, দুনিয়াত আল্লাহ ছাড়া আর কাইয়্যো নাই৷ এক পোয়া চাল জাল দিয়া প্রতিদিন কামোত আসি। সারাদিন কাজ করি সপ্তাহে টাকা পাই৷ সবকিছুর দাম বাড়তি , কোন রকমে জীবন বাঁচে। স্বামী নাই যার মাথার উপরের ছাতা নাই তার। সেই দশা হইছে মোর। নিজে কষ্ট করিয়াই যাওছি বাকি জীবনটাও খাটিয়া কাটে দিম। মোক না খাওয়াইলেও সারাদিন দোয়া আছে। দুধভাত খাক মোর ছাওয়া৷

যেই বয়সে তার বিশ্রামে কাটানোর কথা, সেই বয়সে তাকে কাটাতে হচ্ছে পরিশ্রমে। বয়সের ভারকে উপেক্ষা করে দিনমজুরির উপার্জনে অভাবে দিনাতিপাত করছেন অসহায় মা আজমিনা।

;