নাগরিক পদচারণায় মুখর ওয়ান্ডারল্যান্ড-চন্দ্রিমা উদ্যান



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড

শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে ঈদের ছুটি; রাজধানীতে চিরচেনা যানজট না থাকলেও বিনোদন কেন্দ্রগুলো সকাল গড়িয়ে বিকেল অবধি নাগরিক পদচারণায় মুখর থাকছে। এসব বিনোদন কেন্দ্রে শিশুদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদ আনন্দে মেতেছেন।

 

শুক্রবার (৭ জুন) ঈদের তৃতীয় দিনে ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড (শিশুমেলা) ও চন্দ্রিমা উদ্যানে ছিল অগণিত দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডের বিভিন্ন রাইডে চড়তে শিশুদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত রাইডে চড়তে পেরে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠছে শিশুরা।

ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডের ম্যানেজার মোয়াজ্জেম হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, এবারের ঈদে শিশুদের জন্য অনেকগুলো রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিড রাইডস গেমস, মেরি গো রাউন্ড, চুক চুক ট্রেন, হ্যাপিসুইং, সোয়ান অ্যাডভেঞ্চার, প্যারাট্রুপার, মিনি ট্রেন, টেয়িসট, ব্যাটারি কার, পেন্ডুলাম, ভিডিও গেমস, হেলিকপ্টার কর্নার, বাউন্সিং ক্যাসল, ড্রাগন রোলার কোস্টার, স্পেস শাটল, ওয়ান্ডার হুইল, থ্রিডি গ্যালারি, থ্রিডি অ্যাডভেঞ্চার ও বাম্পার কার ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রাই। এসব রাইডের টিকিটের মূল সবসময়ের মতো ঈদেও ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঘোরাঘুরির পাশাপাশি নিজেদের সন্তানের ঈদ আনন্দের স্মৃতি ধরে ক্যামেরাবন্দি করছেন অভিভাবকরা। এমনই এক অভিভাবক হারুন-উর-রশিদ বলেন, গত ১০ বছর যাবত কর্মক্ষেত্রের কারণে কাতারে থাকতে হয়েছে। এবারই সন্তানের সঙ্গে আমার প্রথম ঈদ। সন্তানের সঙ্গে আনন্দময় স্মৃতিটুকু ধরে রাখতে ছবি তুলে রাখছি।

ঈদের আনন্দে উচ্ছল ফারহানা মিলি বলে, অনেকবার শিশুমেলায় এসেছি, খুব ভালো লাগে এখানে আসতে। সবগুলো রাইডে চড়ে ফেলেছি। তবে আমার ব্যাটারি কারে চড়তে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

মোখলেসুর রহমান নামে এক অভিভাবক বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই বিনোদন কেন্দ্রের জায়গাটা বেশ ছোট। বিনোদন কেন্দ্রটি অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করে আরো বড় পরিসরে করলে শিশুরা আরেকটু খোলামেলা পরিবেশে ঘুরতে পারবে।

রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র চন্দ্রিমা উদ্যান। কোলাহলপূর্ণ নগরীতে যারা একটু প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে চান তারাই ছুটে আসেন এখানে। নবদম্পতি সোহেল রানা ও লাবনী আক্তারও এসেছেন চন্দ্রিমা উদ্যানে। বার্তা২৪.কমকে তারা বলেন, প্রকৃতি কাছাকাছি থেকে নিরিবিলি সময় পার করতে এখানে এসেছি। এখানে প্রকৃতির নির্মল বাতাস আর অসাধারণ পরিবেশ ভালো লাগছে। আশেপাশে গাড়ির শব্দ নেই, খুবই নির্জন একটা পরিবেশ। এই পরিবেশ একমাত্র ঈদের সময়টাতেই পাওয়া যায়। আমরা সেই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।

সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা চন্দ্রিমা উদ্যানে আগত দর্শনার্থী আতিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাজধানীতে বেশকিছু বিনোদন কেন্দ্র আছে, তবে সবগুলো বেড়ানোর উপযুক্ত নয়। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে নির্মল বাতাস পেতে হলে অবশ্যই চন্দ্রিমা উদ্যান ভালো। তবে উদ্যানের পরিবেশের দিকে আরো একটু নজর দেওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের।

ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড ও চন্দ্রিমা উদ্যানে আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ঈদ উদযাপনে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে তারা তৎপর রয়েছেন।

   

শনি-রবি কিনলে দুটি ছাগল ফ্রি!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের এক কৃষক ইন্তাজ আলী। এ বছর তিনি কোরবানির ঈদের বাজারে এনেছেন অভিনব অফার। তার খামারে লালন-পালন করা বিশাল আকৃতির দুটি গরু, যাদের নাম দিয়েছেন শনি ও রবি। এই দুই গরু কিনলে সঙ্গে পাওয়া যাবে দুটি ছাগল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

ইন্তাজ আলী বেশ কিছুদিন ধরে শনি ও রবিকে বিশেষ যত্নে লালন-পালন করে আসছেন। প্রতিদিন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে তিনি কোনো খামতি রাখেননি। ফলে গরু দুটি এখন হয়ে উঠেছে বিশালাকৃতির। শনি-রবিকে দেখার জন্য আশপাশের গ্রামের মানুষজন প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন।

ইন্তাজ আলী জানান, কোরবানির গরুর বাজারে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে তিনি এই ব্যতিক্রমী অফার দিয়েছেন। তিনি বলেন, কোরবানির বাজারে প্রতিযোগিতা বেশ তীব্র। তাই ক্রেতাদের বিশেষ কিছু দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে ক্রেতারা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি গরুগুলোরও ভালো দাম পাওয়া যাবে।

ইন্তাজ আলী জানান, ইতোমধ্যেই শনি ও রবির জন্য বেশ কিছু আগ্রহী ক্রেতা তার সাথে যোগাযোগ করেছেন। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আগ্রহ আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন ইন্তাজ আলী।

খামারে শনি-রবি

জানা গেছে, ইন্তাজ আলীর চারজনের পরিবার হলেও কাজের সুবাদে দুই ছেলে থাকে বিদেশে। বাড়িতে শুধু ইন্তাজ আলী ও তার স্ত্রী থাকেন। চার বছর আগে ফিজিয়ান জাতের দুটি গাভী কিনে বাড়িতে লালন-পালন শুরু করেন তিনি। দুইটি গাভী ১৫ দিনের ব্যবধানে শনি ও রোববার দুইটি ষাড় গরুর বাচ্চা দেয়। তাই তাদের নাম রাখা হয় শনি-রবি। একেকটির ওজন ২০ মণ করে। গরু দুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা।

ইন্তাজ আলীর গরু দুটির রঙ কালো ও মাথার ওপর ছোপ ছোপ সাদা। একেকটি গরুর উচ্চতা পাঁচ ফুটের বেশি।

বাগমারা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি ইন্তাজ আলীর গরু দুটি দেখেছি। গরু দুটি অনেক বড় আকারের। ইন্তাজ আলী দীর্ঘদিন ধরে এগুলো লালন-পালন করছেন। আমাদের আশা, তিনি যেন এই গরুগুলোর ভালো দাম পান।

রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজশাহীতে কোরবানির জন্য মোট ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৬৫টি গরু, ৩ হাজার ৭৬৯টি মহিষ এবং ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৩টি ছাগল রয়েছে।

;

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কখনোই ইসলাম হতে পারেনা: ধর্মমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ইসলাম শান্তিুর ধর্ম, ইসলাম মানব মুক্তির দিশারী, এখানে মানুষ হত্যা, খুনের কোন স্থান নেই। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কখনোই ইসলাম হতে পারে না।

রোববার (২ জুন) দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুরে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্যবিবাহ ও মাদক প্রতিরোধে উলামা-মাশায়েখগণের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, আল্লাহর দল ইত্যাদি নাম ধারণ করে অপতৎতপরতা চালিয়েছে। হলি আর্টিজান, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ, সিলেটের আতিয়া মহলসহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আহবানে তাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। মা তার জঙ্গীবাদী সন্তানকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হতে তুলে দিয়েছেন। পরিবার বা কোন আত্মীয়-স্বজন জঙ্গীদের লাশ নিতে আসেনি। এই জঙ্গিবাদ যেন আর কখনই মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাই সচেতন থাকবেন।

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক শুধু জনশক্তি, হজ্জ, ওমরাহ পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দুই দেশের ধর্মীয় সংস্কৃতি, ব্যবসা-বানিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, খেলাধুলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সম্পর্কের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে ৩২ লাখ বাংলাদেশী কাজ করছে, আর সরকারি হিসেবে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স অর্জন করে বাংলাদেশ। প্রতিদিন সৌদি দূতাবাসে ৫ হাজার ভিসার আবেদন জমা পড়ে, তবে আমরা চাই প্রশিক্ষিত জনশক্তি। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশী অনেক শ্রমিকই প্রশিক্ষিত না হওয়ায় বেতন-ভাতাসহ অনেক জটিলতায় পরেন।

ইসলামপুর উপজেলার ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়ামে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা: বশিরুল আলম, জামালপুরের পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামানসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

;

১৬ দেশ নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা

সর্বনিম্ন আয়ের বিপরীতে খাবারে সর্বোচ্চ ব্যয় বাংলাদেশে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংবাদ ব্রিফিং

সংবাদ ব্রিফিং

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীলঙ্কায় মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি হলেও দেশটির খাবার বাবদ মাথাপিছু ব্যয় বাংলাদেশের মাত্র ৬৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মাথাপিছু প্রায় ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ আয় করা ভারতের মানুষের খাবার বাবদ গড় ব্যয় বাংলাদেশের মাত্র ৫৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

বাজার ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা, বাজারে প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফালোভী প্রবণতার কারণে তুলনামূলক কম আয় সত্ত্বেও বাংলাদেশে খাদ্য বাবদ অস্বাভাবিক বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডাযালগ (সিপিডি)।

রোববার (২ জুন) সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, বিশ্ববাজারে ১০৫ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল দেশে ১৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইউরোপের বাজারে ৩৯ টাকা কেজি দরের চিনি দেশে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গরুর মাংসসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম দেশের বাজারে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি বলে তিনি মনে করেন।

দেশের অর্থনীতির হালনাগাদ চালচিত্র তুলে ধরতে ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সিপিডি। সংস্থাটির নিজস্ব অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গবেষণা পরিচালক ছাড়াও গবেষণা ফেলো মুনতাসির কামালসহ অন্য গবেষকরা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অনেক কম আয় করেও বাংলাদেশের জনগণকে বেশি দামে নিত্যপণ্য কিনে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির প্রবণতার কারণে দৈনন্দিন ব্যবহার্য ‍অনেক নিত্যপণ্য এক ধরনের বিলাসী পণ্যে পরিণত হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে সমস্ত উদ্যোগের কথা বিভিন্ন সময়ে ঘোষণা দেওয়া হয়ে থাকে, সেগুলোও বাস্তবায়ন হয় না।

তিনি বলেন, এখানে বাজার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে। কম্পিটিশন কমিশনের দুর্বলতা আছে। কম্পিটিশন এক্টেরও কিছু ধারা পরিবর্তন করতে হবে।মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে দরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে নিত্যপণ্যের ট্যারিফ কমানোর পরামর্শ দেন মোয়াজ্জেম।

তিনি বলেন, অনেক সময় কিছু পণ্যের ট্যারিফ কমানো হলেও এর সুবিধা ভোক্তারা পায় না। আমদানিকারকদের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় পণ্যের দাম কমানোর বিষয়টি তাদের মর্জির ওপর নির্ভর করে।

তিনি আরও বলেন, এক সময় ৫-৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির একটা কাঠামো থাকলেও দেশ এখন ৯-১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কাঠামোতে চলে গেছে।

এত দিন পর্যন্ত যে দেশগুলোর দিকে আঙুল তুলে দেখাতাম, সেই শ্রীলঙ্কার চেয়েও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেশি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা সরকারের একটা বড় ব্যর্থতা।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে ১৬টি দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় খাদ্য বাবদ এক বছরে জনপ্রতি ব্যয়ের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন মোয়াজ্জেম।

তালিকায় দেখা গেছে, জর্ডান, মরক্কো, বলিভিয়া, উজবেকিস্তান, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, তিউনিশিয়া, ভিয়েতনাম ও শ্রীলঙ্কাসহ ১৬টি দেশের মধ্যে মাথাপিছু আয় বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। তবে এক বছরে ব্যয় বাবদ একজন নাগরিককে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়।

;

নারী সাংবাদিকতার বিকাশে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্রের পথচলা সহজ হয়েছে। এই সরকার প্রচুর সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়েছে। সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে নারী সাংবাদিকতার বিকাশে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) দুপুরে রাজধানী সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত '৪র্থ জাতীয় সম্মেলন' এ নারী পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার প্রতিপাদ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল। তিনি নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য নিরসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নারীদের সহযোগিতা দান, ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রেরণের মাধ্যমে নারীর সার্বিক অবস্থা উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। বিশ্বায়নের যুগে তথ্য প্রবাহ ও তথ্য প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে নারী সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত করা সময়ের দাবি। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মত চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের দীর্ঘ ২৪ বছরের পথচলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এক অনন্য অর্জন। তিনি বলেন, নারী সাংবাদিকদের পেশাগত ঝুঁকি নিরসনে সংগঠনটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা, ফেক নিউজ চিহ্নিত করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র সহযোগিতা করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র এর সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা। নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিনিধিবৃন্দ, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলী, দেশবরেণ্য সাংবাদিকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;