ট্রেনের ছাদে উঠতে মই ভাড়া ২০ টাকা



রাকিবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মই বেয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ছেন টিকিট না পাওয়া যাত্রীরা

মই বেয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ছেন টিকিট না পাওয়া যাত্রীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে ভোগা‌ন্তিকে সাথী করেই রাজধানী ছেড়েছেন নগরবাসী। ‌টি‌কিট স্বল্পতা ও অত্যধিক ভাড়া, সড়কে তীব্র ট্রা‌ফিক জ্যা‌মসহ নানাবিধ ভোগা‌ন্তির কারণে উত্তরাঞ্চলের মানুষের পছন্দের তা‌লিকায় শীর্ষে রয়েছে ট্রেন।

কিন্তু ঘরমুখো মানুষের চাপ সামলে উঠতে প্রতিবারের মতো এবা‌রও হিম‌শিম খেয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। শি‌ডিউল বিপর্যয় তো নিয়‌মিত ঘটনা। পর্যাপ্ত আসনের অভাব আর ট্রেনের বগিগু‌লো কানায় কানায় পূর্ণ হওয়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ ট্রেনের ছাদে চড়েই ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা করেছেন। আর ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকে কেন্দ্র করে যমুনা সেতুর দুই পাড়ে জমে উঠেছে সুযোগসন্ধানী কিছু মানুষের ব্যবসা। তাদের সরবরাহ করা ‌বাঁশের তৈরি মই বেয়ে ট্রেনের ছাদে উঠতে জন প্রতি লাগছে বিশ টাকা করে, নামতে গেলেও বিশ টাকা। বিশ টাকা খরচ করেই ‘লোকাল সিঁড়ি’ বেয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ে গন্তব্যের দিকে ছুটেছেন টিকিট না পাওয়া অনেক যাত্রী।

মঙ্গলবার (৪ জুন) যমুনা সেতুর পূর্ব ও প‌শ্চিমসহ বেশ কয়েকটি রেলস্টেশনে ২০ টাকায় মই বেয়ে যাত্রীদের ‌ট্রেনের ছাদে ওঠানামা করতে দেখা যায়। অবশ্য কোথাও দশ টাকাতেও এ সেবা নিতে দেখা গেছে। মইয়ের মা‌লিকরা যাত্রী ওঠানামা করাতে দিনের প্রায় ২৪ ঘণ্টাই সজাগ থা‌কছেন রেলস্টেশনে। মই বেয়ে ট্রেনের ছাদে পুরুষ যাত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আসন দখল করেছেন নারী যাত্রীরাও।

‘নীলসাগর এক্স‌প্রেস’ ট্রে‌নের ছাদে ভ্রমণরত চিলাহাটিগামী যাত্রী ময়নুল সরদার ব‌লেন, আজ থেকে অফিসের ছু‌টি শুরু। আগের দিনগুলিতে অফিস থাকায় ট্রেনের আগাম টিকিট কাটা হয়‌নি। এবারের ঈদে লম্বা সরকা‌রি ছুটি। ভেবে‌ছিলাম একটা স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে চলে যাবো। কিন্তু স্টেশনে এসে দে‌খি ট্রেন লেট। যাত্রীদে‌র প্রচণ্ড ভিড়। তখন বা‌স যাওয়ারও আর ব্যবস্থা নাই। কী আর করার? কয়েকজন মিলে উঠে পড়লাম ছাদে।

২০ টাকায় ছাদ থে‌কে নামার জন্য মইয়ের ব্যাপারটিকে ভালোভাবেই নিচ্ছেন যাত্রী ময়নুল সরদার। ‌তি‌নি বলেন, ছাদে ওঠানামা এতে সহজ কাজ না। ২০ টাকা দিয়ে সহ‌জে ওঠানামা করা গেলে ভালোই তো। ভাড়া তো আর দি‌তে হয়‌নি, না হয় বিশ বিশ ক‌রে চ‌ল্লিশ টাকা তারা নি‌লো।

টাঙ্গাইল স্টেশনে এসে বিশ টাকা দিয়ে মই বেয়ে ট্রেনের ছাদ থেকে নামেন জুবায়ের নামের এক ব্যক্তি। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, ট্রেনের ভেতরে যাওয়ার অনেক চেষ্টা করে‌ছি, না পেরে বাধ্য হয়ে ছাদে উঠে এসে‌ছি। ওঠার সময় যে কষ্ট হয়েছে তাতে বিশ টাকায় মই বেয়ে নামাটা অনেক ভালো।

মই দিয়ে যাত্রী নামানোর সময় কথা হয় সুরুজ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। ‌তিনি বলেন, ঈদের আগে আর ঈদের পরে চার-পাঁচ‌ দিন করে আমরা মই নিয়ে আসি। যাত্রীদেরও সু‌বিধা হয়, আমরাও বিনিময়ে কিছু অর্থ পাই। ঈদের আগে পরে যতটা আয় হয় তাতে ঈদের খরচ ভালোভাবেই হয়ে যায় বলে জানান সুরুজ।

‌তবে মই দিয়ে ছাদে ওঠা-নামার বিষয়টি ট্রেনের ছাদে চড়ে ভ্রমণকে আরো উৎসাহ দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। প্রতিবার ঈদের সময় রেলওয়ে ও সরকারের পক্ষ থেকে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ নিসেবে বলে আসছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ের সূত্রে জানা যায়, রেলমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা আছে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ বন্ধ করার ব্যাপারে। এজন্য রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।

গত কয়েক‌দিনে বেশকিছু ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রীদের না‌মিয়ে দিয়েছেন পু‌লিশ সদস্যরা। এমনকি বিমানবন্দর স্টেশনে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেসের ছাদ থেকে যাত্রীদের পি‌টিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকজন যাত্রীর আহত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এরপরও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ বন্ধ করা সম্ভব হয়‌নি বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র।

রেলওয়ে পু‌লিশ সদস্য শওকত আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ট্রেনের ছাদে ওঠার ভিড় বে‌শি থা‌কে জয়দেবপুরে। আমরা আটকানোর চেষ্টা ক‌রি কিন্তু মানুষ তো কথা শুনতে চায় না। মানুষকে যথাযথ প‌রিবহন সু‌বিধা নি‌শ্চিত করে তারপর অনিয়ম বন্ধে বাধ্য করতে হবে।

   

উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ৮ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার্থে নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছেন। চুয়েটের ‘কেয়ার’ প্রকল্পের আওতায় পূর্ণবৃত্তি নিয়ে ২ বছরের জন্য ৩ জন এবং ৫ মাসের জন্য ৫ জন শিক্ষার্থী আগামী আগস্ট মাসে নরওয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সঙ্গে নরওয়ে গমনকারী শিক্ষার্থীদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘কেয়ার’ প্রকল্প চুয়েট এর প্রকল্প পরিচালক ও সমন্বয়ক এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম।

অনুষ্ঠানে সম্প্রতি নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম সম্পন্নকারী ৫জন শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ ‘কেয়ার’ প্রকল্পের অধীনে চুয়েটের সঙ্গে এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদিত শিক্ষা ও গবেষণা অনুদান চুক্তির আওতায় ২০২২ সাল থেকে এই যৌথ একাডেমিক শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

;

'একদিন কাজ না করলে কপালে মোর ভাত জোটে না'



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

"একদিন কাজ না করলে কপালে মোর ভাত জোটে না। দুনিয়াত মোক দেকার মতো কাইয়্যো নাই। ছাওয়া পোয়া থাকিয়াও নাই, নিজের দুইক্যান হাত ছাড়া৷ স্বামী মারা গেইছে ১৪ বছর পার হওছে। ছাওয়া কোলাত নিয়া কাজ করিয়া বড় করছি৷ সেই ছাওয়া বউ, নাতি নিয়া সুখে আছে মোক দ্যাকে না। কপালোত আছে দুঃখ এই বয়সে কাজ না করি আর উপায় নাই।" এভাবেই আবেগে অশ্রুসিক্ত হয়ে রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় মনের কষ্ট প্রকাশ করছিলেন বৃদ্ধ আজমিনা বেগম (৭২)।

রংপুর নগরীর আলমনগরের একটি জুট কারখানার এক কোনায় বসে কাজ করতে দেখা যায় এই বৃদ্ধাকে। এই বয়সেও কাজ করছেন কেন তা জানতে চাইলে আবেগে অশ্রুসিক্ত কন্ঠে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে জুট কারখানায় জুট বাছাইয়ের কাজ করেই চলে তার সংসার। নেই স্বামী, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। একমাত্র পুত্রসন্তানকে বড় করেও তার উপার্জন ভোগ করার ভাগ্য যেন নেই। আজও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জুট বাছাইয়ের কাজ করেই দুমুঠো খাবার জোটে তার। নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড মহাদেবপুরে টিনশিটের ছাওনি বাড়িতে যৌথ পরিবারের একটি ছোট্ট ঘরে ভাড়া থাকেন তিনি৷ সপ্তাহে কাজ করে উপার্জন করেন ১৬০০ টাকা।

এভাবে কাজের উপর ভিত্তি করে মাসে উপার্জন তার। মাসে ৭০০ টাকা গুনতে হয় বাসা ভাড়া আনুষঙ্গিক সব খরচে অভাবের সঙ্গে কাটে তার। প্রায় সময় কারখানা বন্ধ থাকলে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে বৃদ্ধার।

তিনি বলেন, দুনিয়াত আল্লাহ ছাড়া আর কাইয়্যো নাই৷ এক পোয়া চাল জাল দিয়া প্রতিদিন কামোত আসি। সারাদিন কাজ করি সপ্তাহে টাকা পাই৷ সবকিছুর দাম বাড়তি , কোন রকমে জীবন বাঁচে। স্বামী নাই যার মাথার উপরের ছাতা নাই তার। সেই দশা হইছে মোর। নিজে কষ্ট করিয়াই যাওছি বাকি জীবনটাও খাটিয়া কাটে দিম। মোক না খাওয়াইলেও সারাদিন দোয়া আছে। দুধভাত খাক মোর ছাওয়া৷

যেই বয়সে তার বিশ্রামে কাটানোর কথা, সেই বয়সে তাকে কাটাতে হচ্ছে পরিশ্রমে। বয়সের ভারকে উপেক্ষা করে দিনমজুরির উপার্জনে অভাবে দিনাতিপাত করছেন অসহায় মা আজমিনা।

;

'বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে দেশের টেলিকম প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

আগামীকাল ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল শুক্রবার এ দিবসটি পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন জানান, এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবন’ তাৎপর্যবহ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও উন্নত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যেকোনো দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম নির্দেশক। সরকার তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়নে স্থাপন করেছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বা ইউডিসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা আজ সবার হাতের মুঠোয়। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বিগ ডাটা, মেশিন লার্নিং, এআইভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ ও গতিশীল করেছে। এছাড়া জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যবধান হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি মনে করি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা উদ্ভাবনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে আমি দেশের টেলিকম প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’

তিনি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

;

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি এলবানিজ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তিনি এ অভিনন্দন জানান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

শুভেচ্ছা বার্তায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি এলবানিজ শুভেচ্ছা বার্তায় আরো উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;