‘এবার সড়কপথে স্বস্তির ঈদযাত্রা’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বক্তব্য রাখছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য রাখছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবহন ও সড়কে শৃঙ্খলা নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে বহুদিন পর এবার সড়কপথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

সোমবার (০৩ জুন) বেলা ১২টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘টার্মিনালগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে মালিকরা বলছেন, ঈদের সময় যখন বাসগুলো ঢাকা থেকে দূরপাল্লায় যায়, তখন যাওয়ার পথে যাত্রী পেলেও আসার পথে খালি আসতে হয়। আমরা বলেছি, সারা বছর আয় করেন, ঈদে একটু সংযম করেন। তবে এতে কতটুকু কাজ হবে জানি না। সব কথায় কাজ হলে দেশ সোনার বাংলাদেশ হয়ে যেত। বিপদে পড়ে জনগণ, বিপদ আমরা সৃষ্টি করি, প্রভাশালীরা।’

‘মহাসড়কে যানজটের কোনো খবর নেই। আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতায় বহুদিন পর এটা স্বস্তিদায়ক জায়গায় এসেছে। শুধু ঈদ নয়, সারা বছরই এমন স্বস্তিদায়ক রাস্তা থাকবে বলে আশা করে জনগণ। আমি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নই। তারপরও অধিদফতর ও দফতরগুলোতে গিয়ে মিটিং করেছি যাতে এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

ঢাকার জানজট নিরসনের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সিটিতে যানজট নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি ঈদের পরেই মেয়রদের সঙ্গে মিটিং করব। বছরের পর বছর ধরে ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলা চলছে। এখানে আমাদেরও কিছু পরিকল্পনা আছে। দিস্তার পর দিস্তা কাগজ আমরা পরিকল্পনায় নষ্ট করেছি। এখন আমরা কিছু উদ্যোগ নেব।’

‘বিআরটিসির নতুন গাড়িগুলো আমাদের জনগণের দূরপাল্লায় যাতায়াতে ভালো ভূমিকা রেখেছে। হিমাচল পরিবহন প্রতি বছরই অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য অভিযুক্ত হয়। আমি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) বলেছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। বগুড়ার শাহ ফতেহ আলী পরিবহন এবং হানিফ পরিবহনকে আমরা জরিমানা করেছি। এতে বোঝা যায়, বারবার বলার পরও তারা ভালো হননি,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

বাসমালিকদের কাছে কি সরকার পরাজিত? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা জয় পরাজয়ের বিষয় নয়। এটা মানসিকতার বিষয়। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখছি। আমাদের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি যাতে বাস্তবে যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় সে বিষয়টিও আমরা দেখছি।’

তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র অবকাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে যানজট নিরসন সম্ভব নয়। মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।’

   

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শনিবার (১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আগুন নিয়ন্ত্রণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তানজিমারখোলা এলাকার এই ক্যাম্পটিতে বড় একটি বাজার রয়েছে। যেখান থেকে ১৩, ১৪ ও ১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে থাকেন।

গেলো শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই বাজারের পাশেই বি/৩ ব্লকে সূত্রপাত হওয়া আগুনে পুড়ে যায় ২৩০টি ঘর।

;

দেড় ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের আউটার সিগনাল এলাকায় তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকলের ঘটনায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে অন্য ট্রেনের ইঞ্জিন এসে স্টেশনে নিয়ে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শনিবার (১ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের এটিএসআই কার্তিক রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী তিস্তা এক্সপ্রেস গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের আউটার সিগলাল এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেন মশাখালী স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মহুয়া এক্সপ্রেস বগি রেখে ইঞ্জিন গফরগাঁও এসে তিস্তা এক্সপ্রেসকে পিছন থেকে ঠেলে স্টেশনে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিস্তা এক্সপ্রেস গফরগাঁও স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড় করিয়ে দুই নম্বর লাইন দিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সচল করা হয়। গৌরীপুর থেকে ইঞ্জিন এসে তিস্তা এক্সপ্রেস টেনের বগি নিয়ে ময়মনসিংহের দিকে রওনা হবে।

;

বাজেটে হিমাগার ও কৃষিখাতে বিশেষ বরাদ্দের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জাতীয় বাজেটে রংপুর অঞ্চলে সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা দেন সংগঠনের সদস্য সবুজ রায়, আতোয়ার রহমান বাবু, স্বপন রায়, রেদোয়ান ফেরদৌস, মজিবার রহমান প্রমুখ। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, উত্তরাঞ্চল দেশের শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত। শুধুমাত্র সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় প্রতিবছর উৎপাদিত সবজির ৩০ শতাংশ পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশে প্রতিবছর সবজির চাহিদা ১ কোটি ৫২ লক্ষ টন।

সরকারি হিমাগার না থাকায় পঁচে যাওয়ার আশঙ্কায় উৎপাদক-কৃষক পানির দরে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। একদিকে সার, ডিজেল, কীটনাশকসহ উৎপাদনের উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি অন্যদিকে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষক ধারাবাহিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিবছর বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধির পরিবর্তে কমানো হচ্ছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং সহজ শর্তে বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা খুব জরুরী।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দারিদ্র্যপীড়িত রংপুর অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপনের বিকল্প নেই। অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ কৃষি খাতে বরাদ্দ করা প্রয়োজন। 

এছাড়াও নেতৃবৃন্দ রংপুর অঞ্চলে আলুসহ সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

;

গণতন্ত্রের বিচ্যুতির ফলে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে: মঈনুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গণতন্ত্রের বিচ্যুতির ফলে দেশে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে বলে মন্তব্য করে অর্থনীতিবিদ ড. মঈনুল ইসলাম বলেছেন, খাম খেয়ালিপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনীতি বিপদে পড়ার আরেকটি বড় কারণ প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে একের পর এক মেগা-প্রজেক্ট গ্রহণ করার হিড়িক। এরকম স্বল্প প্রয়োজনীয় প্রকল্প যদি গৃহীত হতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ খুব শিগগিরই শ্রীলংকার মতো ঋণের ফাঁদে পড়ে যাবে।

শনিবার (১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা: সংকট ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি।

ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার থেকে এ বছর আরও ১ বিলিয়ন ডলার বেশি খরচ হবে এই খাতে। পাশাপাশি বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত কমতে কমতে ৮ শতাংশের কাছাকাছি এসে গেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান মারাত্মক রাজনৈতিক সংকট অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে বড় বাধা হয়ে যাচ্ছে।

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর ইস্যুতে ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পেছনে দুজন মাস্টারমাইন্ড ছিল। তার মধ্যে একজন হচ্ছে বেনজীর আহমেদ ও আরেকজন প্র‍য়াত হোসেন তৌফিক ইমাম। এর মধ্যে বেনজীর বর্তমান সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তিনি পুরো পুলিশ প্রশানকে এভাবে অপব্যবহারের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, সেটা কি সরকারের জানা ছিল না। সরকার কি এর সুবিধাভোগ করেনি। এখন তাকে আমরা টার্গেট করেছি তাই ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। এরাই ১৮ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নষ্ট করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ডলার সংকটের মূল্য দিচ্ছে জনগণ। মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। বাড়তি কর জনগণকে দিতে হচ্ছে। সংসার চলে না মানুষের। বেনজীর ও আজিজ দুইজনের চরম আগ্রাসন দেখলাম, এখন দেখা যাবে দুদক কি করে।

;