চট্টগ্রামে ৩ প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকার পণ্যের চালান জব্দ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার তিনটি প্রতিষ্ঠানের তিনটি পণ্যের চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি টিম। শুল্ক করসহ জব্দকৃত পণ্যের টাকার পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ১২৭ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্ততে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘোঘণা অতিরিক্ত পণ্য পাওয়া যায়। আর তাতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য চালান খালাস সাময়িকভাবে স্থগিত করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি টিম।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- জাহিদ এন্টারপ্রাইজ, আল হোমায়রা ট্রেডিং এবং লাইসা ইন্টারন্যাশনাল। কোম্পানিগুলোর চালান খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শাপলা ট্রেডার্স লিমিটেড।

আটককৃত পণ্যচালান তিনটির ফাঁকি প্রদানকৃত পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মোট আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭১ টাকা এবং মোট ফাঁকিকৃত শুল্ককরের পরিমাণ আনুমানিক ৫ লাখ ৭১ হাজার ২৩৩টাকা। অর্থাৎ শুল্ককরসহ ফাঁকিকৃত পণ্য চালান তিনটির সর্বমোট আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২০লাখ ৭৭হাজার ১২৭ টাকা।

   

কসবায় স্বপন ও আখাউড়ায় মনির নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনির হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে রিটার্নি অফিসার এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত একটানা আখাউড়া ও কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে কসবা ও আখাউড়ায় বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট। তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মনির হোসেন চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৩ ভোট।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম দুই উপজেলার দুইজন চেয়ারম্যানের এই ফলাফল সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

;

মাগুরার মহম্মদপুরে আবদুল মান্নান ও শালিখায় শ্যামল কুমার দে বিজয়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৮টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।

মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। মহম্মদপুরে এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবিরুজ্জামান শালিক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩হাজার ৯৬২ ভোট।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঈদুল শেখ চশমা ৩৪ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাবুবুর রহমান মাইক প্রতীকে ১৫ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা হাসান হাস ২৫ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম রাহেলা বেগম পদ্মফুল ১৪হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে শালিখা উপজেলা নির্বাচনে শ্যামল কুমার দে আনারস প্রতীকে ৩১ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল ইসলাম মরটসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৮৪ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেসমিন আক্তার শাবানা ফুটবল প্রতীকে ১৮ হাজার ১১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী দিপ্তী রানী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩২৫ ভোট। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ্যাডভোকেট সজিব হোসেন ৩৫ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল আলম টিউবয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ২২হাজার ৫৩৭ ভোট।

মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২জন ও শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০শতাংশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। ভোট চলাকালে কোন বিশৃংখল ঘটনা ঘটেনি।

;

রংপুরের পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ, মিঠাপুকুরে কামরুজ্জামান জয়ী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে রংপুরের পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ ও মিঠাপুকুরে কামরুজ্জামান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা বেসরকারিভাবে এ দুজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

পীরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নুর মোহাম্মদ মন্ডল (আনারস) ৪৫ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়ে তিনি তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম হোসেন চৌধুরী জাহাঙ্গীর প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ভোটে হেরেছেন।

এদিকে মিঠাপুকুরে ৭০ হাজার ৮৮২ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান (হেলিকপ্টার) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৮ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সাদমান ইশরাক (আনারস) পেয়েছেন ১ হাজার ২৮৭ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান রুমি জানান, দুই উপজেলায় তিনস্তরের নিরাপত্তা ছিল। তাই কোথায় কোন গোলযোগ হয়নি।

;

কুষ্টিয়ার চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কুষ্টিয়ার চারটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বিজয়ী হয়েছেন।

দৌলতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই।

কুমারখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান আবারো বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়াও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভেড়ামারা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল।

এরআগে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কুষ্টিয়ায় চার উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করে প্রশাসন।

কুষ্টিয়ার ৪ উপজেলায় ৪৪ ইউনিয়নের ৪১৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ৩০৬০। মোট ভোটার ১১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৬৪ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৬জন।

নির্বাচনে জেলার ৪ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন অংশগ্রহণ করে।

;