ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে সাত দিনের প্রশিক্ষণ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
আইন অমান্যকারীদের মামলা দিচ্ছে পুলিশ, ছবি: বার্তা২৪

আইন অমান্যকারীদের মামলা দিচ্ছে পুলিশ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যানজট নিয়ে মহা চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা। নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েও কোনোভাবেই যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যানজট নিরসনে এবার ১৯ দফা সুপারিশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

এই দফাগুলোর মধ্যে মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা মহানগরে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করে উক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী ড্রাইভারদের সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাত দিনব্যাপী রাস্তায় গাড়ি চালানোর আইন কানুন, শারীরিক ও মানসিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে বলা হয়েছে। অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও একইভাবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।

রাস্তায় ভিভিআইপি, ভিআইপিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সব সময় ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খায়। তাই সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ভিভিআইপি এবং ভিআইপি’র নাম বা গাড়ি ব্যবহারকারীর গাড়ি কোনভাবেই যেন উল্টো রাস্তা দিয়ে চলতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

ট্রাফিক আইন ভঙ্গের জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যেসকল ব্যক্তিবর্গের গাড়িতে পতাকা এবং স্টিকার ব্যবহারের অনুমতি (ফ্লাগরুল, স্টিকার রুল এবং ভিআইপি রুল অনুযায়ী) রয়েছে তাদের গাড়ি ব্যতীত অন্য সকল গাড়ি থেকে ফ্লাগস্ট্যান্ড, স্টিকার এবং ভিআইপি হর্ন সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558536944848.jpg
যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে নগরবাসীর, ছবি: বার্তা২৪

এছাড়া ভিআইপিদের ব্যবহারের জন্য দুটি গাড়ি ব্যতীত অন্য সকল গাড়ি থেকে পতাকা স্ট্যান্ড নামিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। মহানগরের বাইরে শুধুমাত্র জেলা প্রশাসনের একটি গাড়ি ব্যতীত অন্য সকল গাড়ি থেকে পতাকা স্ট্যান্ড নামিয়ে ফেরার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ঢাকা শহরে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনয়নে ভূ-উপরিভাগের বর্তমান সুবিধা অক্ষুণ্ণ রেখে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে বেসরকারিখাতের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পার্কিং ব্যবস্থা সৃষ্টির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে ঢাকা মোহামেডান ও সংলগ্ন ক্লাবগুলোর ভূ-উপরিভাগ খেলার জন্য উন্মুক্ত রেখে আন্ডার গ্রাউন্ড বহুতল পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ। একইভাবে জীবন বীমার সামনের রাস্তা ও পার্কের নিচে, গুলিস্তান পার্ক, ওসমানী উদ্যান, শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি মুখী রাস্তার নিম্নভাগে, সাইন্সল্যাবের মাঠ, ঢাকা কলেজের মাঠ, নিউমার্কেটের পেছনে কাঁচা বাজারে নিচে, কলাবাগান স্টাফ কোয়ার্টারের নিচে, কলাবাগান ক্লাব সংলগ্ন শিশু পার্কের নিচে, আবাহনী খেলার মাঠ ও লালমাটিয়ার খেলার মাঠ সুপারিশ করা হয়েছে।

স্বল্পমেয়াদী সুপারিশ হিসেবে ঢাকা শহরের ক্রসিংমোড় এবং ইউটার্নগুলো যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ। শ্যামলী, নতুন বাজার, রামপুরা-হাতিরঝিল এর ন্যায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিএমপি কর্তৃক ইউ লুপ নির্মাণ এবং অপরাপর সংস্থা কর্তৃক রামপুরা-হাতিরঝিলের ন্যায় ভূমি উপরিভাগে ইউ লুপ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558537137774.jpg
গরম ও তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী, ছবি: বার্তা২৪



এছাড়া রয়েছে মিরপুর রোড, বিমানবন্দর রোড, সাতরাস্তা রোড, প্রগতি সরণি, সাতমসজিদ রোড এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সকাল ৭ টা হতে ১০ টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫ টা হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত বাস বে-পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মধ্যমেয়াদী প্রকল্পের আওতায় গুলশান, বনানী, মহাখালী এলাকার আবাসিক ভবন থেকে বিভিন্ন অফিস, রেস্তোরাঁ, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পুরাতন লক্কড় ঝক্কর বাস তুলে দিয়ে নতুন পাবলিক বাস চালু করার সুপারিশ করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বুধবার (২২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ সচিব ও কাউন্সিল অফিসার আবু হাসনাত মো. মঈনউদ্দিন স্বাক্ষরিত কার্যপত্রে এসব সুপারিশ করা হয়। ওই কার্যপত্রের অনুলিপি বার্তা২৪.কম এর কাছেও রয়েছে।

এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যানজটের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ অবগত। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যাদের পার্কিং এর অনুমোদন নিয়েও পার্কিং ব্যবস্থা রাখেনি তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভাগের যোগাযোগ করতে বলেছি। এছাড়া স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী, দীর্ঘ মেয়াদী প্রস্তাব করা হয়েছে।'

   

মালয়েশিয়ায় প্রতারিত হওয়া শ্রমিকরা পাচ্ছেন আড়াই কোটি টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ ইস্ট এশিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে প্রতারিত হওয়া ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে তাদের পাওনা বেতন বাবদ আড়াই কোটি টাকার বেশি প্রদান করা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে জোহরবারুতে ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের খোঁজ মেলে। তাদেরকে প্রায় ৪ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করানো হচ্ছিল এবং প্রতিশ্রুত কাজও দেয়া হয়নি। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জোহর শ্রম অধিদফতর এই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।

শ্রম বিভাগ জানিয়েছে মোট অপরিশোধিত বেতনের পরিমাণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৭ বাথ। যা বাংলাদেশি অর্থে আড়াই কোটি টাকারও বেশি।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর ধারা ৬৯(৪) এর অধীনে জোহর শ্রম অধিদফতর এখন নিয়োগকর্তাকে দায়রা আদালতে এনে শ্রম আদালতের জারি করা আদেশ কার্যকর করবে।

মালিকপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হলে, কোম্পানি প্রতিটি অপরাধের জন্য ৫০ হাজার রিঙ্গিত বা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে এবং শ্রমিকদের পাওনা মজুরি নিষ্পত্তি করতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চলা মোট ১০টি তদন্তের মধ্যে ৪টিতে মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাকি ৬টি অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোম্পানিটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নিয়োগকর্তাকে নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, একটি বিশেষ ‘নিয়োগকর্তা পরিবর্তন প্রক্রিয়া’ (পিটিএম) এর মাধ্যমে মোট ৬৯২ জন ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীকে এরই মধ্যে নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কিছুদিন বৃষ্টিপাতের পর গত ২-৩ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যায় দেয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২, বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। 

;

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রামের ওমরগণি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর জিইসি মোড় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ফিরে আসে তখন থেকে বাঙালি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করে বাঙালির সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে চেয়েছিল খুনিরা। কিন্তু শত বাধা,ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

'আজকে শেখ হাসিনা মানেই উন্নত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই তারুণ্যের চোখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন। ১৯৮১ সালে আজকের দিনে বিদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বদেশে এসে খুনি, স্বৈরাচার জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘোষণা করেন, আমার হারানোর কিছুই নাই, এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমি লড়াই করবো।'

তারা আরও বলেন, আজ বাংলার মানুষ ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র জয় থেকে মহাকাশ জয় শুধু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাহসিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমরা এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ ধন্য।

শোভাযাত্রায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইমাম উদ্দীন নয়ন, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাজ্জাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম খুকু, আব্দুর রাজ্জাক, সাজ্জাদ আলম, নুর মোহাম্মাদ সানি, আওরাজ ভূইয়া রওনক, নুরুজ্জামান বাবু, তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।

;

লালমনিরহাটে নির্মিত হলো দেশীয় প্রযুক্তির প্রথম টার্ন টেবিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট রেল বিভাগে ব্রিটিশ আমলের প্রযুক্তি সরিয়ে দেশেই তৈরি হলো প্রথম টার্ন টেবিল। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা লালমনিরহাটে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিলটি প্রায় তিন দশক আগে বিকল হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে রেল বিভাগ। তাই ইঞ্জিন বা কোচ ঘোরানোর জন্য ঢাকায় যেতে হত। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সিক লাইন এলাকায় প্রস্তুত দেশে তৈরি এ টার্ন টেবিলটি উদ্বোধন হলে সময় ও অর্থ দু'টোই সাশ্রয় হবে রেলওয়ের।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দফতর জানায়, রেলের কোচ বা ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টার্ন টেবিলের ওপর রেখে ঘোরানো হয়। এতে বাঁ দিকের চাকা ডান দিকে, ডান দিকের চাকা বাঁ দিকে চলে যায়। ফলে দুই পাশের চাকা সমানভাবে ক্ষয় হয়। এতে চাকার স্থায়িত্ব বাড়ে ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমে। ব্রিটিশ আমলে তখনকার কর্মকর্তারা যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল প্রস্তুত করেন। যা ১৯৯৩ সালে বিকল হয়ে পড়লে ব্যবহার বন্ধ করে রেলওয়ে দফতর।

'এরপর থেকে লালমনিরহাট বিভাগের কোচ ও ইঞ্জিন ঘোরানোর জন্য কোচ ও ইঞ্জিনগুলো কয়েক মাস পর পর ঢাকায় নেয়া হত। যাতে সময় ও অর্থ অপচয় হত। তাই দেশেই টার্ন টেবিল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। লালমনিরহাটে সিক লাইন এলাকায় এটি নির্মাণের জন্য ৯শতক জমি নেয়া হয়। নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া ২৫ লাখ টাকা। বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) নকশা ও প্রযুক্তিতে এ টার্ন টেবিলটি তৈরি হয়েছে। নির্মাণকাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আর শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। খুব শীঘ্রই এটি উদ্বোধন করা হবে।

বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এ টার্ন টেবিলের কার্যকারিতা সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম টার্ন টেবিল। ৩৫০ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম এ টার্ন টেবিলে ১৪ টন ওজনের একটি ব্রিজ রয়েছে। এটি এই যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ওপরে ইঞ্জিন ও কোচ তুলে ঘোরানো হয়। স্থাপনাটির তিন ধাপে পাকা দেয়াল রয়েছে, যা সীমানা প্রাচীর, সুরক্ষা প্রাচীর ও লাইন দেয়াল নামে পরিচিত। এর মেঝে আরসিসি ঢালাই দেওয়া। এতে পানি জমলে পানির পাম্প দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টার্ন টেবিলটি নির্মাণে ৩৫০ টন ভার বহনে সক্ষম একটি রোলার থ্রাস্ট বিয়ারিং, আটটি এক্সেল বিয়ারিং, ব্রিজ নির্মাণের জন্য এমএস লোহার তৈরি এইচবিম, অব্যবহৃত রেললাইন, ট্রেনের অব্যবহৃত চারটি চাকা, এমএস টপ প্লেট, চেকার প্লেট, বলস্টার প্লেট, এমএস অ্যাঙ্গেল ও জিআই পাইপের রেলিং ব্যবহার করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবদুস সালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্প টাকা ব্যয়ে টার্ন টেবিলটি নির্মিত হয়েছে। এতে অব্যবহৃত লাইন, চাকাসহ অন্য লৌহজাত নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। রেলের কর্মকর্তারা সব সময় নিজেদের মেধা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। এটি তার উদাহরণ।

;