থেমে থেমেই গন্তব্যে পৌঁছে ‘বিরতিহীন’ বনলতা!



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
বনলতা এক্সপ্রেস / ছবি: বার্তা২৪

বনলতা এক্সপ্রেস / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে ‘বিরতিহীন’ ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস যাত্রাপথে আট থেকে দশ বার থেমে থেমে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। এই রেলরুটে আগে থেকে চালু থাকা অন্য তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন ১০ থেকে ১২টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে গন্তব্যে পৌঁছে। ফলে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চালু করা বনলতা এক্সপ্রেস এখন যাত্রীদের কাছে নামেই শুধু ‘বিরতিহীন’ হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছেন যাত্রীরা।

জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বনলতা ট্রেনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী পর্ব শেষে ওই দিন ট্রেনটি রাজশাহী থেকে বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট ছেড়ে যায়। বিরতিহীনভাবেই ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছে ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে।

তবে ২৭ এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করে বনলতা। প্রথম দু’তিন দিন বিরতি ছাড়াই চলাচল করে ট্রেনটি। যা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন যাত্রীরাও। তবে গেল সপ্তাহ থেকেই ট্রেনটি স্টেশন ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে যাত্রাবিরতি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। প্রথম দিকে চার থেকে পাঁচবার থেমে গন্তব্যে পৌঁছালেও তা ক্রমে বাড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/19/1558284366351.JPG

যাত্রীদের অভিযোগের পর শনিবার (১৮ মে) ও রোববার (১৯ মে) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দু’দিনই ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছাতে অসংখ্যবার যাত্রাবিরতি করে। বিরতিহীন হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেনকে ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে বনলতা। যা নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই যাত্রীদের।

শনিবার (১৮ মে) বনলতা এক্সপ্রেসে রাজশাহী থেকে ঢাকায় যাত্রা করা চাঁপাইনবাবগঞ্জের তারেক রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাইফ ও জাহিদুল ইসলাম জয় বার্তা২৪.কমকে জানান, নির্ধারিত সময় সকাল ৭টায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে বনলতা ছেড়ে যায়। তবে সরদহ পার হওয়ার পরই পাঁচ থেকে সাত মিনিট করে যাত্রা বিরতি শুরু করে ট্রেনটি।

তারা আরও জানান, স্টেশন ছাড়াও মাঝপথে অন্য ট্রেনকে ক্লিয়ারেন্স বা পথ ছেড়ে দিতেও দেখা যায় বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেসকে। ফলে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪৫ মিনিট পর গন্তব্যে পৌঁছেন তারা। বিরতিহীন ট্রেনে তাদের প্রথম যাত্রায় প্রত্যাশিত সেবা পাননি বলে অভিযোগ করেন ওই তিনজনসহ আরও অনেক যাত্রী।

এদিকে, রোববার (১৯ মে) রাজশাহীতে থেকে ট্রেনে যাত্রা করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম সকাল ৭টায় বনলতায় যাত্রা করেন। যাত্রা শেষে তিনি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিরতিহীন বনলতায় ভয়বহ যাত্রার বিষয় নিয়ে স্ট্যাটাস দেন।

সেখানে অধ্যাপক আবুল কাশেম লেখেন, ‘বিরতিহীন বনলতা চালু হওয়ার পর আজই প্রথম ট্রাভেল করলাম। কিন্তু অভিজ্ঞতা অত্যন্ত ভয়াবহ। নামেই বিরতিহীন, কাজে লোকালকেও হার মানালো। অন্তত আজ। ধারণা ছিল- বিরতিহীনকে অন্য ট্রেন ক্লিয়ারেন্স দিবে। কিন্তু দেখলাম উল্টোটা। ট্রেনটি অবলীলাক্রমে ৮/৯ জায়গায় থামলো। ফলে অনলাইন রেকর্ডই স্বাক্ষ্য দিচ্ছে- বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাতে বিরতিহীন বনলতা ১ ঘন্টা ২৯ মিনিট ডিলে। আমাদের (রাজশাহীবাসী) পেটে সম্ভবত বনলতা হজম হবে না।’

অধ্যাপক আবুল কাশেমের মতো রোববার (১৯ মে) যাত্রা করা আরও তিন থেকে চার জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাব্বির রহমান নামে এক যাত্রী অভিযোগ করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধূমকেতু ট্রেন ১০ থেকে ১২টা স্টেশনে থামে। এজন্য রাজশাহীবাসী বিরতিহীন একটি ট্রেন দাবি করে আসছিল। দাবি পূরণও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বিরতিহীন নয়, ট্রেনটি দফায় দফায় যাত্রা বিরতি করে তবেই গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/19/1558284386713.jpg

জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হয়তো দু’একদিন কিছু সময় দেরি করতে পারে। তবে বনলতা এক্সপ্রেস অধিকাংশ দিনই সাড়ে চার ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। এ নিয়ে আমাদের কাছে কোনো যাত্রী এখনো অভিযোগ করেনি। কেউ যদি অভিযোগ করে, তবে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী রেলরুটে লাইন সংস্কারের কাজ চলছে। ফলে ওই রুটে নির্দিষ্ট অংশে (লাইনে) চাইলেই কোনো ট্রেন ক্লিয়ারেন্স দিয়ে বনলতাকে বের করে দিতে পারবে না। সেই পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।’

খুব দ্রুত লাইন সংস্কার কাজ শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়েই বনলতা গন্তব্যে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন তিনি।

জানা যায়, বনলতার ১২টি বগিতে ৯২৭টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট আসন রাখা হয়েছে। বনলতা এক্সপ্রেস দেশের একমাত্র ট্রেন, যা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না। এই ট্রেনে সংযুক্ত আছে উড়োজাহাজের মতো বায়োটয়লেট। এ কারণে মলমূত্র রেললাইনের ওপরে পড়বে না। রয়েছে রিক্লেনার চেয়ার ও স্লাইডিং ডোর। আছে ওয়াইফাই সুবিধা।

ট্রেনটি বাণিজ্যিকভাবে চালুর পর ১৫০ টাকার বাধ্যতামূলক খাবারের চার্জসহ শোভন চেয়ারে ৫২৫ টাকা এবং এসি চেয়ারে ৮৭৫ টাকা টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তবে যাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় বাধ্যতামূলক খাবার বাতিল করে টিকিটের মূল্য শোভন চেয়ারে ৩৭৫ টাকা এবং এসি চেয়ারে ৭২৫ টাকা করা হয়। যা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে যাত্রীরা।

   

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে পুকুরে লরি, শিশু নিখোঁজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা বিমানবন্দর সড়কের মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি পুকুরে পড়ে গেছে। লরির নিচে চাপায় পুকুরে পড়ে নাজমুস সাকিব নামে ৪ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার পর আহত তিন পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিমানবন্দরের বাটারফ্লাই সংলগ্ন পুকুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিটি পড়ে যায়। তবে শিশুটিকে উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

আহতরা হলেন- পতেঙ্গার কাঠগড় এলাকার মামুনের ছেলে সালমান (৩০), একই থানার নাজির পাড়া এলাকার আলমগীরের মেয়ে তাসপিয়া (২০) ও ছেলে ইমরান (৪)। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। নিখোঁজ শিশু সাবিক ও আলমগীরের ছেলে বলে জানা গেছে।

নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপ-কমিশনার শাকিলা সুলতানা বলেন, একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পুকুরে পড়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন আহত দুই শিশুসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এক শিশু পুকুরে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ আছে। তাকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের টিম অভিযান চালাচ্ছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেছি। পার্ক সংলগ্ন পুকুরে পড়ে গেছে লরিটি। মূলত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে লরিটি পুকুরে পড়ে যায়। এখানে ৫ জন আহত হয়েছে। ৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর একজন পুকুরে নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

;

ইঞ্জিনের হুক খুলে বিকল 'কক্সবাজার এক্সপ্রেস', উদ্ধারে অন্য ইঞ্জিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের হুক খুলে বিকল হয়ে পড়েছে ট্রেন। ট্রেনটি উদ্ধারে কমলাপুর স্টেশন থেকে অন্য একটি ইঞ্জিনের সহায়তায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। রাত সাড়ে দশটার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে ঘটে বলে জানান তিনি।

আনোয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেস এর ট্রেনটি তেজগাঁও থেকে কমলাপুর স্টেশন এর ঢোকার সময় খিলগাঁও রেলগেটে ইঞ্জিন থেকে হুক খুলে গেছে। ওই ইঞ্জিনে আর কাজ করা যাবে না। এই ট্রেনটি উদ্ধারের জন্য কমলাপুর থেকে অন্য এক আরেকটি ইঞ্জিন ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছে। 

তিনি বলেন, উদ্ধারে কাজ চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রেনটি উদ্ধার করে কমলাপুর স্টেশনে নিয়ে আসা হবে। 

;

অধ্যাপককে ঘুষি-লাথি, ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপককে মারধরের অভিযোগ উঠায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সাফাতুন নূর চৌধুরী। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মোঃ সাফাতুন নুর চৌধুরী (যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা, চন্দনাইশ) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের কাজ করছিলেন সহযোগী অধ্যাপক কে এম আতিকুর রহমান। এ সময় সেমিনার কক্ষে ঢুকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাফাতুন নুর একটি নষ্ট পাখা দেখিয়ে তা মেরামত করে দিতে বলেন। শিক্ষক আতিকুর রহমান ফ্যানটি নতুন করে লাগানো হবে বলে জবাব দেন। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে সাফাতুন নূর জানালার পর্দার পাইপ খুলে ফ্যানে আঘাত করলে অফিস সহায়ক প্রযুক্ত পালের মাথায় সজোরে লাগে। তাকে উদ্ধার করে অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সাফাতুন নূর অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং শিক্ষক আতিকুর রহমানকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এতে ওই শিক্ষক আহত হন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবদুল খালেক বলেন, আমরা এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম জানান, কলেজের সেমিনার কক্ষে নষ্ট পাখা নিয়ে এক ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই ছাত্র শিক্ষককে মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

;

কর্ণফুলীতে নিখোঁজের দুইদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজের দুইদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে বাংলাবাজার ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. শফি (৩৩) কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহছেন আলী পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, বুধবার (১৫ মে) দুপুরে কর্ণফুলী নদীতে এফভি মায়া-৩ নামে একটি ফিশিং ট্রলার থেকে নৌকায় মাছ নামাচ্ছিলেন শফি। পরে অসতর্কতাবশত নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও তাৎক্ষণিক কোনো সন্ধান মেলেনি। ৪৮ ঘণ্টা পর বুধবার সকালে কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাটে লাশটি ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি একরাম বলেন, শফির পরিবার আমাদের জানিয়েছে তার মৃগী রোগ ছিল। আমরা ধারণা করছি নদীতে পড়ে যাওয়ার আগে তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার শরীরের বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

;