রাজধানীতে চলছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রস্তুতি



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ট্রেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

ট্রেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদযাত্রায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি হবে ২২ মে থেকে। কমলাপুর রেল স্টেশনের বাইরে চারটি স্থানে টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট বিক্রিকে সামনে রেখে রাজধানীর তেজগাঁও, বনানী, বিমানবন্দর স্টেশন ও ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেল ভবনে কাউন্টারগুলো ঠিকঠাক করা হচ্ছে। এছাড়া টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইনের জন্য জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্টেশন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (১৯ মে) ট্রেনে ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য নির্ধারিত চারটি স্টেশন ঘুরে তাদের এ প্রস্তুতির চিত্র চোখে পড়ে।

STATION
টিকিট বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রেল স্টেশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

তেজগাঁও রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার এম এ আজিজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা রেল ভবন থেকে চিঠি পেয়েছি। আমাদের স্টেশনকে অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য পুরাদমে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের কম্পিউটারসহ সব সরঞ্জাম চলে এসেছে। স্টেশনের সব কাজ আমরা ২২ তারিখের আগেই সেরে ফেলব। একই সঙ্গে টিকিট কাউন্টারগুলো রং করা হচ্ছে। স্টেশনের সামনে যাত্রীদের টিকিট নেওয়ার লাইনে দাঁড়ানোর জন্য জায়গা করা হচ্ছে। আশা করছি, কাল-পরশুর মধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।

তিনি আরও জানান, এই স্টেশনে তিনটি কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে দু’টি পুরুষদের জন্য ও একটি নারীদের জন্য। তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ-জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে।

তেজগাঁও স্টেশনে আসা জুলহাস মিয়া নামে এক যাত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, অগ্রিম টিকিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে তেজগাঁও স্টেশনের তোড়জোড় বেশ ভালোই লাগছে। তবে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ঈদের পরেও যেন এখানে এ ধরনের ব্যবস্থা থাকে।

অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রস্তুতি সম্পর্কে বনানী স্টেশনের সহকারী ইনচার্জ ফজলুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। আমাদের এখানে নারী ও পুরুষদের জন্য দু’টি কাউন্টারে টিকিট দেওয়া হবে। তবে আমাদের কাউন্টার থেকে কতগুলো টিকিট বিক্রি করা হবে সে নির্দেশনা এখনও দেওয়া হয়নি। আমরা এখনও কাজ শুরু করিনি। সোমবার থেকে কাজ শুরু করব। তবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমাদের কাছে চলে এসেছে। আমাদের স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে।

station
টিকিট বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রেল স্টেশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

তবে বনানী রেল স্টেশন ঘুরে প্রস্তুতির কোনো দৃশ্য চোখে পড়েনি। কর্তৃপক্ষ বলছে, কাল-পরশু টিকিট প্রত্যাশীদের দাঁড়ানোর জন্য সামিয়ানা টাঙানো হবে।

বিমানবন্দর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মরণ চন্দ্র দাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, অগ্রিম টিকিট দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্দেশনা পেয়েছি, এই বিষয়ে আমাদের মিটিং চলছে। পাঁচটি কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে চারটি পুরুষদের জন্য এবং একটি নারীদের জন্য। কাউন্টারগুলো প্রস্তুত করার ব্যাপারে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম-নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে।

বিমানবন্দর স্টেশনে আসা নাসরিন আক্তার নামে এক যাত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঢাকার বিভন্ন স্থানে ট্রেনের টিকিট দেওয়ার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভালো একটি উদ্যোগ। তবে বিমানবন্দরে নারীদের অগ্রিম টিকিট দেওয়ার কাউন্টার আরো বাড়ানো উচিত।

এদিকে, ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেল ভবনে অগ্রিম টিকিট দেওয়ার প্রস্তুতির খবর নিতে গিয়ে দায়িত্বরত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে গিয়ে টিকিট বিক্রিকে সামনে রেখে কাউন্টারগুলো প্রস্তুত করার দৃশ্য চোখে পড়েছে। কাউন্টারগুলো প্রস্তুতের ঠিকাদার আকাশ ২৪বার্তা.কমকে বলেন, আমি শুনেছি, এখানে অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে। সেজন্য কাউন্টার প্রস্তুত করার কাজ আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা এখানে কাউন্টারগুলো রং করছি। পাশাপাশি পুরনো রেল ভবনের দেওয়ালগুলো রং করা হচ্ছে। যেখানে পলেস্তারা উঠে গেছে, সেখানে বালু সিমেন্ট দিয়ে ঠিক করা হচ্ছে। কালকের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখানে তিনটা কাউন্টার করা হবে বলে শুনেছি। যার মধ্যে দু’টি পুরুষদের জন্য এবং একটি নারীদের জন্য।

Station
টিকিট বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রেল স্টেশন, ছবি: বার্তা২৪.কম



ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেল ভবন ঘুরে দেখা যায়, কাউন্টারের ভেতরে কম্পিউটার চলে এসেছে। সেগুলো সেট করা হচ্ছে। এখান থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে।

এদিকে, কমলাপুর স্টেশনে বরাবরের মতই কাউন্টারের সামনে থেকে পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে। এসব ট্রেন যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে যায়। ২২ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে সব কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে কাউন্টারগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।

 

   

মালয়েশিয়ায় প্রতারিত হওয়া শ্রমিকরা পাচ্ছেন আড়াই কোটি টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ ইস্ট এশিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে প্রতারিত হওয়া ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে তাদের পাওনা বেতন বাবদ আড়াই কোটি টাকার বেশি প্রদান করা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে জোহরবারুতে ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের খোঁজ মেলে। তাদেরকে প্রায় ৪ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করানো হচ্ছিল এবং প্রতিশ্রুত কাজও দেয়া হয়নি। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জোহর শ্রম অধিদফতর এই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।

শ্রম বিভাগ জানিয়েছে মোট অপরিশোধিত বেতনের পরিমাণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৭ বাথ। যা বাংলাদেশি অর্থে আড়াই কোটি টাকারও বেশি।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর ধারা ৬৯(৪) এর অধীনে জোহর শ্রম অধিদফতর এখন নিয়োগকর্তাকে দায়রা আদালতে এনে শ্রম আদালতের জারি করা আদেশ কার্যকর করবে।

মালিকপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হলে, কোম্পানি প্রতিটি অপরাধের জন্য ৫০ হাজার রিঙ্গিত বা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে এবং শ্রমিকদের পাওনা মজুরি নিষ্পত্তি করতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চলা মোট ১০টি তদন্তের মধ্যে ৪টিতে মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাকি ৬টি অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোম্পানিটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নিয়োগকর্তাকে নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, একটি বিশেষ ‘নিয়োগকর্তা পরিবর্তন প্রক্রিয়া’ (পিটিএম) এর মাধ্যমে মোট ৬৯২ জন ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীকে এরই মধ্যে নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কিছুদিন বৃষ্টিপাতের পর গত ২-৩ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যায় দেয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২, বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। 

;

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রামের ওমরগণি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর জিইসি মোড় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ফিরে আসে তখন থেকে বাঙালি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করে বাঙালির সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে চেয়েছিল খুনিরা। কিন্তু শত বাধা,ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

'আজকে শেখ হাসিনা মানেই উন্নত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই তারুণ্যের চোখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন। ১৯৮১ সালে আজকের দিনে বিদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বদেশে এসে খুনি, স্বৈরাচার জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘোষণা করেন, আমার হারানোর কিছুই নাই, এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমি লড়াই করবো।'

তারা আরও বলেন, আজ বাংলার মানুষ ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র জয় থেকে মহাকাশ জয় শুধু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাহসিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমরা এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ ধন্য।

শোভাযাত্রায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইমাম উদ্দীন নয়ন, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাজ্জাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম খুকু, আব্দুর রাজ্জাক, সাজ্জাদ আলম, নুর মোহাম্মাদ সানি, আওরাজ ভূইয়া রওনক, নুরুজ্জামান বাবু, তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।

;

লালমনিরহাটে নির্মিত হলো দেশীয় প্রযুক্তির প্রথম টার্ন টেবিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট রেল বিভাগে ব্রিটিশ আমলের প্রযুক্তি সরিয়ে দেশেই তৈরি হলো প্রথম টার্ন টেবিল। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা লালমনিরহাটে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিলটি প্রায় তিন দশক আগে বিকল হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে রেল বিভাগ। তাই ইঞ্জিন বা কোচ ঘোরানোর জন্য ঢাকায় যেতে হত। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সিক লাইন এলাকায় প্রস্তুত দেশে তৈরি এ টার্ন টেবিলটি উদ্বোধন হলে সময় ও অর্থ দু'টোই সাশ্রয় হবে রেলওয়ের।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দফতর জানায়, রেলের কোচ বা ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টার্ন টেবিলের ওপর রেখে ঘোরানো হয়। এতে বাঁ দিকের চাকা ডান দিকে, ডান দিকের চাকা বাঁ দিকে চলে যায়। ফলে দুই পাশের চাকা সমানভাবে ক্ষয় হয়। এতে চাকার স্থায়িত্ব বাড়ে ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমে। ব্রিটিশ আমলে তখনকার কর্মকর্তারা যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল প্রস্তুত করেন। যা ১৯৯৩ সালে বিকল হয়ে পড়লে ব্যবহার বন্ধ করে রেলওয়ে দফতর।

'এরপর থেকে লালমনিরহাট বিভাগের কোচ ও ইঞ্জিন ঘোরানোর জন্য কোচ ও ইঞ্জিনগুলো কয়েক মাস পর পর ঢাকায় নেয়া হত। যাতে সময় ও অর্থ অপচয় হত। তাই দেশেই টার্ন টেবিল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। লালমনিরহাটে সিক লাইন এলাকায় এটি নির্মাণের জন্য ৯শতক জমি নেয়া হয়। নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া ২৫ লাখ টাকা। বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) নকশা ও প্রযুক্তিতে এ টার্ন টেবিলটি তৈরি হয়েছে। নির্মাণকাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আর শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। খুব শীঘ্রই এটি উদ্বোধন করা হবে।

বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এ টার্ন টেবিলের কার্যকারিতা সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম টার্ন টেবিল। ৩৫০ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম এ টার্ন টেবিলে ১৪ টন ওজনের একটি ব্রিজ রয়েছে। এটি এই যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ওপরে ইঞ্জিন ও কোচ তুলে ঘোরানো হয়। স্থাপনাটির তিন ধাপে পাকা দেয়াল রয়েছে, যা সীমানা প্রাচীর, সুরক্ষা প্রাচীর ও লাইন দেয়াল নামে পরিচিত। এর মেঝে আরসিসি ঢালাই দেওয়া। এতে পানি জমলে পানির পাম্প দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টার্ন টেবিলটি নির্মাণে ৩৫০ টন ভার বহনে সক্ষম একটি রোলার থ্রাস্ট বিয়ারিং, আটটি এক্সেল বিয়ারিং, ব্রিজ নির্মাণের জন্য এমএস লোহার তৈরি এইচবিম, অব্যবহৃত রেললাইন, ট্রেনের অব্যবহৃত চারটি চাকা, এমএস টপ প্লেট, চেকার প্লেট, বলস্টার প্লেট, এমএস অ্যাঙ্গেল ও জিআই পাইপের রেলিং ব্যবহার করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবদুস সালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্প টাকা ব্যয়ে টার্ন টেবিলটি নির্মিত হয়েছে। এতে অব্যবহৃত লাইন, চাকাসহ অন্য লৌহজাত নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। রেলের কর্মকর্তারা সব সময় নিজেদের মেধা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। এটি তার উদাহরণ।

;