দুই যুগ ধরে নানা হালিমের কদর খুলনায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
হালিম কিনতে ক্রেতাদের ভিড় / ছবি: বার্তা২৪

হালিম কিনতে ক্রেতাদের ভিড় / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

২ যুগেরও বেশি সময় ধরে খুলনার মানুষের কাছে পছন্দের শীর্ষে নানা হালিম। মুখরোচক স্বাদ ও সুখ্যাতির কারণে ইফতারির আয়োজনে এ হালিমের কদর রয়েছে বেশ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নানা হালিমের স্বাদ নিতে ভিড় করছেন মুসল্লিরা।

বুধবার (৮ মে) খুলনা নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডের পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের পাশে গিয়ে দেখা যায়, নানা হালিমের দোকানে ভিড় করে হালিম কিনছেন অনেকে। খুলনা শহর ছাড়াও আশপাশের জেলা এমনকি পাশ্ববর্তী বিভাগ থেকেও এখানে হালিম কিনতে এসেছেন অনেকেই।

কথা বলে জানা গেছে, নানা হালিমের মূল রাঁধুনির নাম মো. হজরত আলী। ৭৫ বছর বয়সী হজরত আলীকে কেউ এ নামে চেনে না। নানা নামের আড়ালে ঢাকা পড়েছে তার আসল নাম। নানা হালিম বিক্রি করতে গিয়েই তার আসল নাম হারিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

নানা হালিমের কারিগর মো. হজরত আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে এ হালিম তৈরি করি। ভেজাল ছাড়া আসল হালিমের স্বাদ রোজাদারদের কাছে পৌঁছে দিতে আমার এ হালিম তৈরি করা হয়। আসল হালিমের স্বাদ নিতে আমার এখানে খুলনা শহরের মানুষের পাশাপাশি আশপাশের অনেক জায়গা থেকেও আসে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557329248131.JPG

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন হালিম তৈরিতে ৬০ থেকে ৬৫ কেজি খাসির গোস্ত, ৬০ কেজি সোনামুগ ডাল, পোলাও চাল, দেশে ঘি, গম ও অনেক রকম মশলার মিশ্রণে প্রায় ১৬০ কেজি হালিম তৈরি করা হয়। এ ভেজালমুক্ত হালিম প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ টি ড্যাগে তৈরি করি। আমার কাজে সাহায্য করে ৬ জন সহকারী। শুধুমাত্র রমজানেই এ হালিমের ব্যবসা করেন তিনি।’

হজরত আলী বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার হালিম বিক্রি হয়। আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের আজানের আগেই সব হালিম বিক্রি শেষ হয়ে যায়। মাটির সানকিতে ১০০, ২০০, ৩০০, ৫০০, ৮০০, ১০০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন সাইজের পাত্রে হালিম বিক্রি করি।’

পাশ্ববর্তী জেলা পিরোজপুর থেকে নানা হালিম কিনতে আসা রেজাউল হাওলাদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ইফতারে নানা হালিম খাই আমরা। রোজার প্রথম দিকে বেশি পরিমাণে কিনে নিয়ে যাই। ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খাই। শেষ হলে আবারও নিয়ে যাই। আমাদের ওখানে এতো ভালো হালিম পাওয়া যায় না।’

উল্লেখ্য, খুলনা নগরীর অনেক স্থানে হালিম পাওয়া গেলেও নানা হালিমের মতো এতো সুখ্যাতি কারও নেই। প্রতিবছর রমজান এলেই নানা হালিমের কদর যেনো আরও বেড়ে যায়।

   

শুরু হল ‘ব্যাংকক হসপিটাল হেলথ উইক’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজমের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী “ব্যাংকক হসপিটাল হেলথ উইক” শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৪মে) রাজধানী ঢাকার হোটেল হলিডে ইন সিটি সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই হেলথ উইক হয়।

তিন দিন ব্যাপী শুরু হওয়া হেলথ উইকের প্রথম দিন থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হসপিটালের কার্ডিওলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেন। এইদিন রুগী দেখেন ব্যাংকক হসপিটালের ডা. ক্রিয়েংকাই হেংরুসামি, ডা. পারমাইউস এবং ডা. উইচাই।

চিকিৎসা সেবা শুরু করার আগে কার্ডিওলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা হার্টের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ে ডাক্তাররা র্হাট ভালো রাখার উপায় এবং চিকিৎসা সম্পর্কে অবগত করেন।

গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজমের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ ইসহাক মিয়া বলেন, আমাদের দেশের অনেক রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান। এর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। আমরা এই “ব্যাংকক হসপিটাল হেলথ উইক”এ ব্যাংকক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এখানে তারা ফ্রিতে চিকিৎসাসেবা দিবেন। যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার দরকার পরবে তারা যেন থাইল্যান্ড গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।

এইবারই প্রথমবারের মত গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজম এবং থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান থাইমেডিক্স এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মানের এই হেলথ উইক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। থাইল্যান্ড গিয়ে চিকিৎসা করাতে সব ধরণের সহযোগিতা পেতে গ্লোবাল ট্রেইলস ট্যুরিজমের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। ঠিকানা - বাড়ি নং -০২, রোড -০৭, রুপায়ন প্রাইম টাওয়ার (লেভেল -০১), গ্রিন রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা-১২০৫ ।

;

খাতুনগঞ্জে ক্যাশবাক্স ভেঙে টাকা চুরি, গ্রেফতার ১



স্টাফ কসেরপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জে ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকা চুরির ঘটনায় মো. কাউছার (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে পুলিশ সাড়ে ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে খাতুনগঞ্জের চাঁন মিয়া গলির মো. ইউছুপ (৩৭) নামে এক দোকানদার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য দোকানের ক্যাশবাক্স তালাবদ্ধ করে বাইরে যায়। আনুমানিক ১৫ মিনিট পর তিনি ফিরে এসে দেখেন তার দোকানের ক্যাশবাক্সের তালা ভাঙা এবং ক্যাশবাক্সে রাখা চার লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।

এ অবস্থায় মো. ইউছুপ তাৎক্ষণিক বিষয়টি মোবাইলে বিভিন্নজনকে জানালে তাদের পরামর্শে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মেহেদী হাসান দ্রুত পৌঁছে ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা শেষে মো. কাউছার নামে ওই যুবককে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুসারে খাতুনগঞ্জ নবী মার্কেটের চতুর্থ তলার বাসা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, চুরির পর ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামির বাসার খাটের নিচ থেকে চুরি যাওয়া ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

আমাদের প্রতিযোগিতা উন্নয়ন আর মানুষকে এগিয়ে নেওয়ার: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ কসেরপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, আমাদের প্রতিযোগিতা হবে উন্নয়নের, আমাদের প্রতিযোগিতা হবে মানুষকে এগিয়ে নেওয়ার। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এটাই আমাদের শিখিয়েছেন। তাঁর থেকে আমরা সেটাই শিখেছি।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে কর্ণফুলীতে বড় উঠান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জনগণের কল্যাণে কাজ করেন বলেই বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। তিনি আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু টানেলসহ অনেক কিছুই দিয়েছেন। সারাদেশের মতো বড়উঠানেও উন্নয়ন করেছেন।আপনাদের এলাকার সমস্যাগুলো নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি। আমি সমস্যাগুলো সমাধানের সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।

তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের পছন্দ করে না তারা তাদের মতই থাকুক কোনো সমস্যা নেই। আমরা আমাদের উন্নয়নের গতি চালু রাখবো। আমাদের কোনো প্রতিহিংসা ও মারামারি করার দরকার নেই। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গী হতে চাই, তাই প্রধানমন্ত্রীর যে ২০৪১ সালের ভিশন সেটার জন্য সবাইকে উন্নয়নের পক্ষে কাজ করতে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের জন্য কাজ করছি আর একজন কর্মী হিসাবে কারো সাথে প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতায় মাঠে নামেনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী যতদিন আছেন বাংলাদেশ ততদিন পথ হারাবে না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করছেন। কোনোদিন আমরা যেগুলো চিন্তাও করিনি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সেসব কাজগুলোই করে যাচ্ছেন। সেসব রুপকথার গল্পগুলোই বাস্তবায়ন করছেন। প্রধানমন্ত্রী সব সময় আমাদের সাহস জোগাচ্ছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে দাঁড় করাতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা নিজেরা নিজেরা অনৈতিক কাজ করে তার এই পরিশ্রমকে দাগ লাগাতে চাই না। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা সবসময় নীতি মেনে চলবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দিবেন আমরা সেভাবেই কাজ করে যাব।

কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজ্জাদ খান মিঠুর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এসএম ছালেহ্, চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

;

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কয়েক মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৯টার দিকে রাজস্ব শাখার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার ৩১০ নং কক্ষে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন আচার্য বলেন, কক্সবাজার ডিসি অফিসে আগুন ধরার খবর পেয়ে আমরা তৎক্ষনাৎ আসি। এসে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। যেখানে কিছু কাগজপত্র পুড়ে গেছে।

ঘটনার পরপরই কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

;