অসহায়দের দ্রুত আইনি সেবা দেওয়ার আহ্বান আইনমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক / ছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অসহায় বিচারপ্রার্থীদের দ্রুত আইনি সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেছেন, ‘আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল যে কেউ আইনগত সহায়তা পাবে, এটা তার অধিকার। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সমতা- এই চার মূলনীতিসহ বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করে গেছেন।’

রোববার (৫ মে) সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা: চলমান প্রক্রিয়া ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়, মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ জন্য ২০১৫ সালে আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিধিমালা প্রণয়ন করে লিগ্যাল এইড অফিসারদেরকে আইনি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষমতাকে আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে দেওয়ানি কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করা হয়েছে। ফলে অনেক অসহায় মানুষ এখন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম সত্যিকারভাবে কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্যানেল আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

আনিসুল হক জানান, দেশের অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতের আদালতের কোনো রায় বা আদেশে সংক্ষুব্ধ এবং উচ্চ আদালতে আপিল, রিভিশনে আগ্রহীদের জন্য ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টে লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে লিগাল এইড অফিস থেকে ৭ হাজার ১৬৯ জনকে আইনি পরামর্শ সেবা এবং ২ হাজার ৪৩৭ জনকে মামলায় সহায়তা সেবা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃতি ও গতিশীল করতে ইতোমধ্যে সেখানে একজন অতিরিক্ত জেলা জজকে পূর্ণকালীন লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগের জন্য পদ সৃজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৭টি সহায়ক কর্মচারীর পদ সৃজন করা হয়েছে। এসব পদে খুব শিগগিরই লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- অ্যাটোর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ও বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।

   

সেন্টমার্টিনে আনন্দের বদলে শঙ্কার ঈদ



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে আনন্দের বদলে শঙ্কার ঈদ কাটছে বলে জানিয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। দুই সপ্তাহ ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঈদেও দ্বীপে আটকা রয়েছে ১০ হাজার বাসিন্দা।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮-৯ টার মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের জামাত শেষ হয়েছে। তবে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সেন্টমার্টিনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে নামাজ আদায় করেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ দ্বীপে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের ঈদের জামাত শেষ হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে সেন্টমার্টিনে যে সংকট সেটা কাটিয়ে যোগাযোগ যেন স্বাভাবিক হয় সেটার জন্য দোয়া করা হয়েছে।

তবে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন এবারের ঈদ অন্যান্য বারের মতো নয়। এবারের ঈদে আনন্দের বদলে শঙ্কা বেশি রয়েছে। এবারে কোরবানির পশু টেকনাফ থেকে আনতে না পারায় অনেকেই কোরবানি দিতে পারছে না। অন্যান্য ঈদে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতো সেখানকার বাসিন্দারা। তবে এবার দ্বীপেই আটকে থাকতে হবে তাদের।


সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, যোগাযোগ নিয়ে আমরা সবাই শঙ্কায় আছি। অন্যান্য সব বিষয় ঠিক আছে। বরাবরের মতোই আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য দোয়া চেয়েছি।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ওসমান গনি বলেন, সেন্টমার্টিনের সংকট শেষ হওয়ার জন্য সবাই দোয়া করেছি। আমাদের মাঝে এবারের ঈদ অন্যান্য ঈদের মতো নয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক আত্মীয়স্বজন দ্বীপে আসতে পারেনি। আমরাও দ্বীপে আটকে আছি। এটাই আমাদের মূল শঙ্কার কারণ।

সেন্টমার্টিন ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ৫ জুন থেকে আজকে ১৭ জুন পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারণে আমাদের এবারের ঈদে আনন্দের চেয়ে শঙ্কা বেশি। সবাই সরকারের কাছে একটাই দাবি জানাচ্ছেন স্বাভাবিক নৌযান চলাচল যেন শুরু হয়। যোগাযোগ যেন স্বাভাবিক হয়।

মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল করলে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে বারবার বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়া হচ্ছে। একারণে ৫ জুন থেকে এই নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

;

পশু কোরবানির মাধ্যমে যেন হিংসা-বিদ্বেষ বিসর্জন দিতে পারি: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
পশু কোরবানির মাধ্যমে যেন হিংসা-বিদ্বেষ বিসর্জন দিতে পারি: শিক্ষামন্ত্রী

পশু কোরবানির মাধ্যমে যেন হিংসা-বিদ্বেষ বিসর্জন দিতে পারি: শিক্ষামন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যাতে করে আমরা পশু কোরবানির মাধ্যমে মনের হিংসা-বিদ্বেষ ঘৃণা বিসর্জন দিতে পারি।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে ঈদের জামাত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদের নামাজে আমরা দেশবাসীর জন্য দোয়া করেছি। সমাজে যাতে শান্তি ও নিরাপত্তা আসে এজন্য আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেছি।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ যাতে অণ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা যাতে যথাযথ পায় সে জন্য দোয়া করেছি। আল্লাহপাক যাতে সবাইকে কোরবানি করার তৌফিক দান করেন সেই দোয়াও করেছি।

এসময় তিনি চট্টগ্রামসহ পুরো দেশবাসিকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে তিনি সকার সাড়ে ৭টায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদগাগে প্রধান জামাতে অংশ নেন।

;

ঈদের দিনেও গ্রামে ফিরছেন অনেকে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাবতলী থেকে: আপনজনের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে ঈদের দিনেও বাড়ি ফিরছেন অনেকে। গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকালে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা এলাকার লোকজনের উপস্থিতি বেশি।

পাবনাগামী বাংলা এক্সপ্রেস এর এসি সার্ভিস সকাল সাড়ে ৯ টায় পাবনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একই সময়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাইবান্ধাগামী একটি কোচ ঢাকা ছেড়ে যায়। এসময় আরও কয়েকটি রুটের গাড়িতে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে।


শামলী এন আর পরিবহনের সামনে বিভিন্ন রুটের ৪টি বাস যাত্রী তুলছিলেন। তবে এদিন গাড়িগুলোর নির্দিষ্ট কোনো সময় ঘোষণা করা হচ্ছে না। যাত্রী হলেই ছেড়ে দেবে খানিকটা লোকাল বাসের মতো করে শর্ত দিচ্ছে।

আব্দুলাহ আল মামুন নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, আফতাবনগর একটি মসজিদে নামাজ পড়ান, সে কারণে ঈদের নামাজ শেষ করে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাচ্ছেন।

পাবনাগামী সুজন রায় বলেন, ঈদের আগে জ্যাম থাকে, আর আজকে কোনো জ্যাম নেই। ঈদের আগে যারা বাড়ি গেছেন লম্বা সময় লেগেছে। আর আজকে অল্প সময়ে বাড়ি পৌঁছতে পারবো। তাই ঈদের দিনে বাড়ি যাচ্ছি।

ঈদের জামাতের পর সকাল সাড়ে ৮টায় অনেক বাসের কাউন্টার খোলা হয়েছে। এলেই গাড়ির টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। এসি গাড়ির সংখ্যা কম, দুপুরের পর এসি গাড়ি বাড়বে বলে জানা গেছে।

;

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে সমাজে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরীর বহদ্দারহাট শাহী জামে মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।

নামাজ আদায়ের পর ঈদ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় মেয়র বলেন, আত্নত্যাগের মাধ্যমে ভেদাভেদহীন সমাজ গড়ার যে শিক্ষা ঈদ আমাদের দেয় তা সমাজে বাস্তবায়ন করতে হবে৷ কোরবানির আত্মত্যাগের মাধ্যমে দরিদ্র শ্রেণির কষ্ট উপলব্ধির যে সুযোগ আমরা পেয়েছি সে শিক্ষাকে ধারণ করে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে লড়তে হবে৷

তিনি আরও বলেন, ঈদ শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সবার জন্য ঐক্য ও সৌহার্দ্যের বার্তা। এই পবিত্র দিনে আমাদের সবার উচিত ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সবার সঙ্গে মিলে-মিশে আনন্দ উদযাপন করা। আমাদের সবার উচিত ঈদের এই পবিত্র উৎসবে সবার প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রদর্শন করা।

ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করে আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদী এবং উন্নত বাংলাদেশ এই হোক আমাদের শপথ। আসুন আমরা সবাই মিলে ঈদের এই পবিত্র দিনকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি।

;