‘ফণী’ আতঙ্ক বাড়ছে খুলনার উপকূলে



মানজারুল ইসলাম স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
‘ফণী’ আতঙ্ক বাড়ছে খুলনার উপকূলে / ছবি: বার্তা২৪

‘ফণী’ আতঙ্ক বাড়ছে খুলনার উপকূলে / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ক্রমশ শক্তশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে আতঙ্ক বাড়ছে খুলনার উপকূল জুড়ে। ঝড়ের পূর্বাভাস পেলেই সিডর-আইলাসহ বিভিন্ন দুর্যোগের কবলে পড়া এসব এলাকার মানুষরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ঝড় এলেই প্রবল জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে এসব এলাকার বাড়িঘর, ফসল, মাছের ঘের। এখন প্রতিটি মুহূর্তই উপকূলবাসীর কাছে আতঙ্কের সময়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় খুলনার নদীভাঙন কবলিত এলাকা দাকোপ-কয়রা-পাইকগাছা, বাগেরহাটের উপকূলীয় অঞ্চল মংলা-শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর-আশাশুনি এলাকার প্রায় দু’লক্ষাধিক উপকূলবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরেছে। ইতোমধ্যে এসব অঞ্চলের নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়রার প্রত্যন্ত এলাকা দক্ষিণ বেদকাশী ও উত্তর বেদকাশী এবং মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী নদী কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া, শিবসা ও কয়রা নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় আংটিহারা, চরামুখা, গোলখালি, কাটকাটা হরিহরপুর, শাকবাড়ীয়া, ঘাটাখালী, গাজীপাড়া, উত্তর মহেশ্বরীপুর মেখের বাড়ি, নয়ানী, উত্তর মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, দশালিয়া, মঠবাড়ী ও ৪ নং কয়রা ওয়াপদার বেড়িবাঁধের জোয়ারের পানি কানায় কানায় ভরে উঠেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/02/1556813156618.jpg

তবে উপকূলীয় এলাকা দাকোপ ও পাইকগাছায় ঝড়ের পূর্বাভাস পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। নদীতে পানি বাড়ার কারণে এসব উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা ভয় পাচ্ছে বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ার। বেড়িবাঁধ ভাঙলে পানিবন্দী হয়ে পড়বে এসব এলাকার বাসিন্দারা।

উপকূলীয় উপজেলার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদীতে আর মাত্র ১-২ ফুট পানি বৃদ্ধি পেলেই শতাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে ভেতরে পানি ঢুকে পড়বে।

লিংকন শেখ নামের কয়রার বাসিন্দা বার্তা২৪.কমকে জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ফণী ধেয়ে আসার আতঙ্কে রয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে অমাবশ্যার গোন (সময়) হওয়ায় নদীতে দেড় থেকে দুই ফুট পানি বেড়েছে। দক্ষিণ বেদকাশী ও কয়রা সদরের বাসিন্দারা বেড়িবাঁধ নিয়ে উদ্বেগে রযেছেন।

দাকোপের বাসিন্দা উৎপল দাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দাকোপে এখনো তেমন কোনো আতঙ্ক শুরু হয়নি। গ্রামের কেউ কোনো মাইকিংও শোনেনি। কিন্তু লোকমুখে ঝড়ের খবর শুনেছে সবাই। ঘূর্ণিঝড় আসছে এমন আলোচনা ও সর্তকতা রয়েছে। শুক্রবার ঝড় আসতে পারে অনেকে ধারণা করছে ও প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এখানে ঝড়ের কোনো পূর্বাভাস নেই।’

বর্তমানে দুর্যোগপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা খুলনা ও সাতক্ষীরার প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিনেও টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে এসব এলাকার কয়েক লাখ মানুষের। ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে নতুন করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন উপকূলের মানুষ।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি এলাকার ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বাঁধের ভাঙন রোধে এখানে বালুর বস্তা, জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।’

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য হানার আশঙ্কায় খুলনাসহ উপকূলীয় এলাকায় ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দফায় দফায় বৈঠক করছেন। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে। ফণী মোকাবেলায় খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র ও সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলার ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের উপজেলাগুলোতে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৪৪টি মেডিকেল টিম। খুলনার ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। দাকোপে ১ হাজার ৩৬৫, কয়রায় ১ হাজার ৯৫জনসহ মোট ২ হাজার ৪৬০ জন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সদস্য সজাগ রাখা হয়েছে। এছাড়া সেনা ও নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/02/1556813202366.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘দুযোর্গ পরবর্তী প্রস্তুতি হিসেবেও শুকনো খাবার, টিআর চাল, নগর অর্থ ও ঢেউটিন মজুদ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত খুলনার কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ আশ্রয় গ্রহণ করেনি।’

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চার দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হানার আশঙ্কায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

   

সুবর্ণচরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নারীকে ধর্ষণ, আটক ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন এক নারীকে (৫০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার দিনগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।

আটক মো. সেলিম ওরফে সেলিম ভাণ্ডারী (৪০) উপজেলার ধানেরশীষ গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের ছেলে।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরের দিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ভিকটিমের সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কারণে তিনি বাড়িতে একা থাকেন।

এ সুযোগে শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে সেলিম ভাণ্ডারী ওই নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে নির্যাতিত নারীর কান্না শুনে তার বাড়ির স্বজনেরা এগিয়ে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি অভিযুক্ত সেলিম ভাণ্ডারীর ভাই আলাউদ্দিন কালুকে ভিকটিমের পরিবার জানালে তিনি তাদের হত্যার হুমকি দেন। পরে পুলিশ রোববার বিকেলে আসামিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রাম থেকে আটক করে।

এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে।
ওই মামলায় সোমবার সকালে আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২শ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;

কুমারখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ভারসাম্যহীন কিশোরের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রানা শেখ (১৭) নামে এক ভারসাম্যহীন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রানা উপজেলার সদকী ইউনিয়নের ঝাউতলা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।

সোমবার (২৭ মে) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বাটিকামারা জিজাবাগান এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বড় ভাই রিপন জানান, রানা ছোটবেলা থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এজন্য তাকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। আজ পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির বাইরে বের হয়ে সে ট্রেনে কাটা পড়ে।

কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস টেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

ভালুকায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ডোবার পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই-বোন।

সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের সোয়াইল উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের সোয়াইল উত্তর পাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসনের ছেলে জুনায়েদ (১২)। সে বনকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এবং একই এলাকার প্রবাসী রুপচাঁন সরকারের মেয়ে তাহমিনা (১০)। সে নিঝুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জানা যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার মাঝে বাড়ির পাশে ঝড়ে পড়া আম কুড়াতে যায়। আম কুড়ানোর পর তারা বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নিঝুরী খাল সংলগ্ন সদ্য খননকৃত (ফিসারির জন্য) একটি ডুবায় সাঁতার কাটতে না্মে। সাতার কাটতে কাটতে তারা আর ডুবা থেকে উঠতে পারছিলেন না। পরে দুই ভাই-বোন মিলে সবার ছোট বোন (শিশু) তামান্নাকে পানি থেকে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে খবর দেয়। তামান্নার খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে যান এবং পানি থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ইউপি সদস্য ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

;

নোয়াখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৫০) এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ৭ নং বজরা ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের টক্কার ফুলের দক্ষিণে খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চৌমুহনী রেল স্টেশনের মাস্টার মো. ফখরুল ইসলাম নোমান বলেন, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার লাকসামের উদ্দেশে সোনাপুর থেকে ছেড়ে যায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ট্রেনটি মাইজদী স্টেশন হয়ে লাকসামের উদ্দেশে রওনা করে সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের টক্কার ফুলের দক্ষিণে খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছলে সেখানে ট্রেনে কাটা পড়ে ৫০ বছর বয়সী ওই নারী মারা যায়।

চৌমুহনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) হাতেম আলী ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী কেউ ছিল না। দূর থেকে স্থানীয়রা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। বিকেলের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।

;