দুর্নীতি স্বীকার করা তিতাস কর্মকর্তাদের তালিকা চান প্রতিমন্ত্রী



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল এবং ওয়ান-ইলেভেনের সময় ট্রুথ কমিশনে দুর্নীতি স্বীকার করা ৯৬ কর্মকর্তার তালিকা চেয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জ্বালানি বিভাগের এক বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এ তালিকা চান বলে এক সূত্রে জানা গেছে।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘তিতাসের ২২টি খাতে দুর্নীতি চিহ্নিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে ১২টি সুপারিশ করে সংস্থাটি। বৈঠকে দুদকের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী দ্রুত তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এমনকি কারও কাছে অস্বাভাবিক সম্পদ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়ারও ইঙ্গিত দেন তিনি। আবার ওয়ান-ইলেভেনের সময় ট্রুথ কমিশনে দুর্নীতি স্বীকার করা কর্মকর্তাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।'

গত ১৭ এপ্রিল প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর হাতে তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ তুলে দেয় দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান। ওই সময় দুদক কমিশনার জানিয়েছিলেন, তারা দুর্নীতি প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকারের ওপর জোর দিচ্ছে। ২৫টি সংস্থার ওপর অনুসন্ধান করা হয়েছে। এর মধ্যে তিতাস গ্যাস অন্যতম। কোম্পানিটির অবৈধ সংযোগ, লোড বৃদ্ধি, সিস্টেম লস, এফডিআরসহ ২২টি খাতে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

দুদকের সুপারিশের সপ্তম দফায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী ট্রুথ কমিশনে যাওয়া তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভ্যাসগতভাবে অপরাধী। সেক্ষেত্রে তিতাস গ্যাসের যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ইতোপূর্বে ট্রুথ কমিশনে গিয়েছিলেন তাদের পদোন্নতি ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা উচিত নয়।

জানা গেছে, দুদকের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে চান প্রতিমন্ত্রী। ফলে কপাল পুড়তে পারে ৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর। যাদের মধ্যে ৫৩ জন মিটার রিডার, ২০ জন ব্যবস্থাপক ও উপ-ব্যবস্থাপক, ২৩ জন অফিস, হিসাব ও বিক্রয় বিভাগের সহকারী। তারা দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদের মালিক হন।

তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোস্তফা কামাল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘হ্যাঁ, মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অনেক আলোচনা হয়। তবে কার্যপত্র হাতে পেলে এ বিষয়ে বলা যাবে।’

তবে বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছেন কিনা, এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

দুদকের রিপোর্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুদক ২০১১-১৭ সাল পর্যন্ত পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দিয়েছে। ফলে রিপোর্টের ভালো বিষয়গুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

বৈঠক সূত্র জানা গেছে, বকেয়া বিল আদায়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া এবং দ্রুত প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ অনেক ক্ষেত্রে কম গ্যাস সরবরাহ করে বেশি গ্যাসের দাম আদায়ের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ‘আমরা দুদকের তদন্তকে স্বাগত জানাই। তাদের এ তদন্ত আমাদের সহায়তা করবে। আমরাও মনে করি অনেক ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘দুদক একটি ইনটেনসিভ রিপোর্ট দিয়েছে। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। তারই অংশ হিসেবে দুদক কাজ করছে। শুধু জ্বালানি নয়, বিদ্যুতেও তদন্ত শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয়ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছে।’

দুদকের তদন্তে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে অবৈধ সংযোগের। বিভিন্ন কারখানায় অবৈধভাবে লোড বাড়ানো হয়। অবৈধ সংযোগের কারণে সিস্টেম লস হয় ৬ শতাংশ। গৃহস্থালির চেয়ে শিল্পে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে। সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী এলাকায় অবৈধ সংযোগের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

   

অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট, টার্গেট মধ্যবিত্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে বেড়েই চলেছে অজ্ঞান করে সর্বস্ব হাতিয়ে চক্রের তৎপরতা। বিশেষ করে গণপরিবহনে চলাচল করা সমাজের মধ্যবিত্ত পুরুষদের টার্গেট করে সখ্যতা গড়ে তুলে মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন এই চক্রের সদস্যরা।

এর সর্বশেষ বলি হয়েছেন, যশোর থেকে ছেলের সঙ্গে ঢাকায় আসা নয়ন বিশ্বাস (৫৪)। ১১ মে বাসে করে ঢাকা এসে এই চক্রের হাতে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু পুলিশের সক্রিয় তৎপরতায় অজ্ঞান পার্টির এক সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

জানা গেছে, ১১ মে সকালে রাজধানীর মতিঝিলের টিটিপাড়া এলাকায় অজ্ঞান পার্টির দেওয়া পানি পান করে রাস্তায় জ্ঞান হারান নয়ন বিশ্বাস। পরববর্তীতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে মর্গে পড়ে ছিল নয়ন বিশ্বাসের মরদেহ।

এ ঘটনায় বাবা নিখোঁজ উল্লেখ করে শাহজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ছেলে শ্যারন বিশ্বাস। জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নেমে নিহত নয়ন বিশ্বাসের মরদেহ শনাক্ত ও জড়িত সন্দেহে অজ্ঞান পার্টি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অজ্ঞান পার্টির কৌশল সম্পর্কে বলছেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান, ছবি- বার্তা২৪.কম

নয়ন বিশ্বাসকে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সাভারের আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে বিশ্বজিৎ কর্মকার ওরফে নূর মোহাম্মদকে। এ সময় নিহতের সঙ্গে থাকা দুটি মোবাইল ফোন ও হাতিয়ে নেওয়া কাপড় এবং বিপুল পরিমাণ ঘুমের ওষুধ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।

ডিসি হায়াত বলেন, যশোর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেসে করে গত ১১ মে ভোরে ঢাকার কমলাপুরে আসেন শ্যারন বিশ্বাস ও তার বাবা নয়ন বিশ্বাস। সেন্ট জোসেফ স্কুলের শিক্ষার্থী শ্যারন বিশ্বাস বাবাকে কমলাপুরে বিদায় দিয়ে মোহাম্মদপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। অপরদিকে, তার বাবা নয়ন বিশ্বাস পায়ে হেঁটে টিটিপাড়া এলাকায় যান গাজীপুরগামী বাসে ওঠার জন্য। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বাবাকে অনেক খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে শাহজাহানপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শ্যারন বিশ্বাস। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে নয়ন বিশ্বাসের সন্ধানে নামে পুলিশ। প্রথমে কমলাপুর থেকে টিটিপাড়া পর্যন্ত সড়কের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, নয়ন বিশ্বাস কমলাপুর থেকে পায়ে হেঁটে টিটিপাড়া এলাকার বাস কাউন্টারের সামনে আসেন। এরপর সেখানে এক ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা বলেন। ওই ব্যক্তির দেওয়া পানি খান তিনি। এরপর কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া রাইদা পরিবহনের বাসে ওঠেন।

পরবর্তীতে রাইদা পরিবহন চলাচল করা রুট সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। তারা জানতে পারেন, ১১ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাতিরঝিল থানার রামপুরা টিভি গেট এলাকায় নামিয়ে দেয় বাসের হেলপার। খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ মে বিকেলে মারা যান তিনি। পরবর্তীতে নিহতের মরদেহ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে মর্গে রাখা হয়। এ তথ্য পেয়ে নিহতের ছেলে মর্গে গিয়ে বাবা নয়ন বিশ্বাসের মরদেহ শনাক্ত করেন।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় জড়িত অজ্ঞান পার্টি চক্রের সদস্যকে শনাক্তে মাঠে নামেন তদন্তকারীরা। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়ন বিশ্বাসকে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোনসহ সবকিছু হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, বিশ্বজিৎ কর্মকার ওরফে নূর মোহাম্মদকে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্বজিৎ পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ১১ মে ভোরে টিটিপাড়া এলাকায় অবস্থান করে টার্গেটের অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময়ে নয়ন বিশ্বাসকে হেঁটে আসতে দেখে তাকে টার্গেট করেন। এরপর কৌশলে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন বিশ্বজিৎ।

গাজীপুরের উদ্দেশে বাসে ওঠার আগে নয়ন বিশ্বাসকে পানি খেতে দেন তিনি। এরপর তার সঙ্গে বাসে উঠে পড়েন। বাসটি মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গেলে নয়ন বিশ্বাসের দুটি মোবাইল ফোন ও কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে নেমে যান বিশ্বজিৎ। আর অসুস্থ অবস্থায় নয়ন বিশ্বাসকে রামপুরা নামিয়ে দেন বাসের হেলপার।

যেভাবে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়
হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সমাজের উচ্চবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের টার্গেট করে না। তাদের টার্গেট মধ্যবিত্ত। বিশেষ করে যাদের হাতে মোটামুটি দামের মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা থাকে। এই ধরনের মানুষ, যারা গণপরিবহনে চলাচল করেন। তাদের সঙ্গে ঠিকানা জানা হিসেবে কৌশলে পরিচিত হয়ে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর আস্থা অর্জন করে পানি বা অন্য কোনো দ্রব্যের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিলিয়ে খাইয়ে দিয়ে অজ্ঞান করে সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যান।

বিশ্বজিতের বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের ডিসি বলেন, গ্রেফতার বিশ্বজিৎ কর্মকার ২০ বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসিলম হয়ে নুর মোহাম্মদ নাম ধারণ করেন। মাদকাসক্ত বিশ্বজিৎ মতিঝিলের মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে ক্লিনার হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি ১৪ বছর ধরে মতিঝিল, সায়েদাবাদ ও পল্টন এলাকায় অজ্ঞান করে সব কিছু হাতিয়ে নিতেন। গত সপ্তাহেও অন্তত দুটি অজ্ঞান করার কাজ করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ।

তবে তার হিসাব সঠিক নয় দাবি করে উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, কারণ, গত ১১ মে তিনি আরো একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে রাজধানীর মুগদা, সবুজবাগসহ বিভিন্ন থানায় মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তিনি এর আগে শত শত ঘটনা ঘটিয়েছেন।

;

আমরা চাই বিএনপি আরও শক্তিশালী হোক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা চাই বিএনপি আরও শক্তিশালী হোক, বিরোধীদলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি - সাপ্তাহিক জয় বাংলা।

বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে আমি অনুরোধ জানাবো, আপনারা যে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন সেই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয় নাই। বরং আপনারা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার যে পথ অনুসরণ করছেন, এতে করে বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে। সেই পথে যদি থাকেন তাহলে এক সময় বিএনপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। আমরা চাই না বিএনপি আরও দুর্বল হোক। কারণ গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেই দায়িত্বটি পালন করুক সেটিই আমরা চাই।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে। আগে দেখতাম দুই একজন নেতা খেই হারায়। গয়েশ্বর বাবু খেই হারায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আবোল তাবোল বলে। এখন দেখি আরও সিনিয়র নেতারাও আবোল তাবোল বলে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। আসলে কেউ যখন আশার আলো দেখে না, তখন তারা খেই হারিয়ে ফেলে। বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেটি।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা কোনো কিছুই দেখতে পায় না। কালকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পর তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। উনারা আশা করেছিল কী না কী বলে। অনেক চেষ্টাও করেছিল দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য। কিন্তু তাদের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে তারা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চায়, সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এবং আমরাও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য বিএনপির নেতাদের মাথা খারাপ। এখন তারা নানা ধরনের কথা বলছে।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো: সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার, কো-চেয়ারম্যান সেহেলী পারভীন প্রমুখ।

;

পরিবহনে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই, আটক ১১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিবহনে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই, আটক ১১

পরিবহনে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই, আটক ১১

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে ৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। একই সঙ্গে ছিনতাইকারী চক্রের ৪ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬মে) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটককৃতরা হলো, মো. রাহাদ (২১), মো. রাজু (৩০), মো. পারভেজ হোসেন (২৪), মো. জাকির হোসেন (২৪), কামাল ভান্ডারী (৪২), মো. সোহান মুন্সি (২৭) ও রায়হান খান (২৪)।

এছাড়াও ছিনতাইকারীরা হলো, মো. মনির হোসেন (৩০), মো. মিরাজ (২৫), সজিব (২২), মো. শরিফ (২৫)। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এম. জে. সোহেল বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজ ও ৪ জন ছিনতাইকারী আটক করতে সক্ষম হয়েছি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে র‌্যাব-১০ এর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে ৫ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ-৩ হাজার ৫৬০ টাকা ও ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গতকাল (১৫ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে ২ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৪ হাজার টাকা ও ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া গতকাল যাত্রাবাড়ী মোড় এলাকায় র‌্যাব-১০ আরেকটি অভিযানিক দল অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৪ জন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ২টি চাকু উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, জানা যায় যে, আটককৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেল্পারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় এবং পথচারীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই করে আসছিল।

আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু কতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

;

চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহ শুরু, আজ থেকেই বাজারজাত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি মৌসুমের আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আঁটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহের মধ্যদিয়ে শুরু হলো আম বাজারজাতকরণ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মহিলা কলেজ পাড়ায় মহলদার আম্রকাননে আম পেড়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা একটি আম সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলার উৎপাদিত আমের স্বাদ ও সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। আমের সেই খ্যাতি ধরে রাখতে ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জাতভেদে আম সংগ্রহ শুরু হলো। এছাড়া আমে যাতে কেউ কোনো ধরনের ক্ষতিকর দ্রব্য কিংবা ফরমালিন মেশাতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ রয়েছে প্রশাসন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ আম ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আজ ১৬ মে আঁটি গুটি ও বোম্বাই আম পাড়া শুরু হয়েছে। এরপর আগামী ২৪ মে থেকে হিমসাগর, ৩০ মে ল্যাংড়া, ৭ জুন আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলি ও ১লা জুলাই থেকে আশ্বিনা বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে।

এসময় উপস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলা চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, এ মৌসুমে দামুড়হুদা ও জীবননগর মিলিয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ২ হাজার ৩০৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছর দেড়শ কোটি টাকার আম কেনা-বেচা হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তারসহ এলাকার আমচাষীরা।

;