‘স্বপ্নতরীতে’ নিঃস্ব উত্তরাঞ্চলের হাজারো খামারি



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার খামারি খালিদ মাহমুদ। টার্কি মুরগির আদর্শ খামারি প্যাকেজে একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন ১৭ লাখ টাকা। তার মতো এই উপজেলার অন্তত ৩০ জন বিভিন্ন প্যাকেজে কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। 

চুক্তি অনুযায়ী বিনিয়োগকারীর শুধু খামার থাকলেই চলবে। বাকি সব দায়িত্ব নেবে প্রতিষ্ঠানটি। মুরগির দেখাশুনা থেকে খাবার সরবরাহ এবং কোনো কারণে মুরগি মারা গেলেও ক্ষতি হবে না খামারির। বরং ৯০ দিন পর শর্ত অনুযায়ী খামারিদের কাছ থেকে মুরগি ফেরত নিয়ে মূলধন ও লভ্যাংশ বুঝিয়ে দেয়ার কথা। 

তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মূলধন কিংবা লভ্যাংশ কোনো টাকাই পাননি খামারিরা। বিভিন্ন অজুহাতে বিনিয়োগের টাকা না দিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এতে করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর গ্রামের সহজ সরল খামারিরা এখন নিঃস্ব। খালিদ মাহামুদের মতো রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার  হাজারের অধিক খামারি বিভিন্ন প্যাকেজের ফাঁদে পড়ে দিশেহারা।

অভিনব প্রতারণার এই অভিযোগ উঠেছে স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। ডেসটিনির আদলে ব্যবসার ফাঁদে ফেলে খামারিদের কাছ থেকে অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্লুইসগেট রোড সংলগ্ন স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড গত এক বছরে বিভিন্ন প্যাকেজে অন্তত এক হাজার দুইশ খামারিকে বিনিয়োগ করাতে সফল হয়েছেন। এখন চুক্তি অনুযায়ী প্যাকেজের মেয়াদ পার হওয়ার পর খামারিদের টাকা না দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন স্বপ্নতরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক চন্দ্র বর্মন ও মহাব্যবস্থাপক শরিফুল আলম। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/21/1555827337041.jpg

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উত্তরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ দিয়ে অল্প সময়ে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগকারী সংগ্রহ করে থাকেন। লোভনীয় ছয়টি প্যাকেজে এই প্রতিষ্ঠানটিতে অংসখ্য মানুষ বিনিয়োগ করেন। চুক্তি অনুযায়ী বিনিয়োগকারী স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেডের কাছে টার্কি মুরগি কিনবে আবার নির্দিষ্ট ৯০ দিন পর তাদের কাছেই মুরগি বিক্রি করবে খামারিরা। 

স্বপ্নতরীর টার্কি মুরগির প্রথম প্যাকেজে ২৪ হাজার ৮০০ টাকা বিনিয়োগে ৯০ দিন পর বিক্রয় মূল্য হবে ৩৩ হাজার ৩০০ টাকা। দ্বিতীয়টিতে ৯৯ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগে বিক্রয় মূল্য ১ লাখ ৩৩ হাজার ২০০ টাকা, তৃতীয় প্যাকেজে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা বিনিয়োগে বিক্রয় মূল্য ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬০০ টাকা। চতুর্থ প্যাকেজে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগে বিক্রয় মূল্য ৭ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা, পঞ্চম প্যাকেজে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগে ১৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা  এবং ষষ্ঠ প্যাকেজটিতে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ৯০ দিন পর লভ্যাংশসহ ফেরত পাবে ১৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। প্রতিটি প্যাকেজেই আলাদা করে খাবার ও বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা দিতে হবে খামারিদের। তবে মুরগির খাবার ও দেখাশুনার জন্য স্বপ্নতরী থেকেই প্রত্যেক উপজেলায় রয়েছে একজন করে মাঠ পরিদর্শক। 

ডেসটিনির আদলে গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক চন্দ্র বর্মণ। যিনি এক সময় ডেসটিনির পিএসডি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলন। তাঁর চতুর্মূখী প্রলোভন আর ব্যবসার পরিকল্পনা সহজেই আকৃষ্ট করেছে রংপুর বিভাগের সাধারণ খামারিদের। 

দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার সহস্রাধিক খামারি টার্কি মুরগির প্রজেক্টে অর্ধশত কোটির মতো বিনিয়োগ করেছে। তাদের সবার স্বপ্ন ছিলো স্বপ্নতরীর হাত ধরে স্বাবলম্বী হবেন। কিন্তু এখন এই বিনিয়োগে তৈরি হয়েছে খামারিদের নিঃস্ব হওয়ার পথ 

জানা গেছে,  ৮ সদস্যের নির্বাহী কমিটি দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। যার চেয়ারম্যান মানিক চন্দ্র বর্মন নিজেই। আর বাকিদের মধ্যে মানিক চন্দ্রের স্ত্রীসহ তার নিকটতম আত্মীয় স্বজনরা রয়েছেন। যারা মানিক চন্দ্রের স্বপ্নতরীর কারবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করছেন। 

স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড এর উপদেষ্টা মানিক চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী মিনতি রাণী সাহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা কাউকে হয়রানি করছি না। কিছু সমস্যার কারণে টাকা দিতে দেরি হচ্ছে। চুক্তির মেয়াদ পার হয়েছে সত্য। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি।’

এদিকে বিনিয়োগকারী খামারিদের অভিযোগ চুক্তির মেয়ার উত্তীর্ণ হবার পর থেকে দেখা দিচ্ছেন না প্রতিষ্ঠান প্রধান। আর অন্য দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরাও বলছেন তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এতে করে চরম হতাশা ও দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে নিরুপায় খামারিদের। 

ডোমার উপজেলার জয়নাল আবেদীন, সালিম জাবির ও আল-আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা অনেক আশা নিয়ে স্বপ্নতরীতে বিনিয়োগ করেছিলাম। ভেবেছিলাম বেকারত্ব ঘুচিয়ে পরিবারকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকব। কিন্তু স্বপ্নতরীর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আজ আমরা নিঃস্ব। চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিলাম, মুরগি নিলাম, ফের মুরগি ফেরত দিলাম। কিন্তু এখন বিনিয়োগকৃত টাকা বা লভ্যাংশ কোনটাই পাচ্ছি না। আমরা অনেকবার মানিক চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফিরে এসেছি।’

খুব অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া মানিক চন্দ্র বর্মণের এমন প্রতারণার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন কিছুই জানেন না বলে দাবি করলেও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা বলছেন, স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড সকলকে ম্যানেজ করেই শত শত কৃষক ও খামারির কষ্টার্জিত বিনিয়োগের টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/21/1555827360011.jpg

স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড এর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শুভ সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা কারো  সঙ্গে প্রতারণা করব না। যারা বিনিয়োগ করেছে, সবাই টাকা ফেরত পাবে। আমাদের জিএম শরিফুল আলম মোটা অংকের টাকা ও গাড়ি নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এছাড়াও বেশ কিছু সমস্যার কারণে খামারিদের টাকা দিতে বিলম্ব হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিলা পারভীন জানান, ‘স্বপ্নতরীতে হয়রানি বা প্রতারণার শিকার হয়েছেন, এমন কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার কাছে অনেকেই মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি স্বপ্নতরীর ব্যাপারে কোনো ধরণের গ্রাহক হয়রানি বা অর্থ আত্মসাতের ঘটনার চেষ্টা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক কোনো অনুমতি ছাড়াই মাইক্রোকেডিট ব্যবসা ও স্বপ্নতরী মেধা ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ নামে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন।    

এ ব্যাপারে স্বপ্নতরী এগ্রো সার্ভিসেস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক চন্দ্র বর্ম্মণের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  

 

   

বান্দরবানে নিহত ২ কেএনএফ সদস্যের পরিচয় মিলেছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
বান্দরবান

বান্দরবান

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নিহত দুই সদস্যের পরিচয় মিলেছে। তাদের মরদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় নিহতদের মরদেহ মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ।

নিহত কেএনএফ সদস্যরা হলেন, বান্দরবান জেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাসিন্দা পেন খুপ বমের ছেলে লাল নু বম (২২) এবং একই এলাকার বেথানীপাড়ার বাসিন্দা জার থাং পুই বমের ছেলে থাং পুই বম (১৪)।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোছাইন মো. রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুয়েল ত্রিপুরা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুটি মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত শেষে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এরআগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যারনপাড়া এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে সদর থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। এপর্যন্ত মোট ৮৬ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৮৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত কেএনএফের মোট ১৩ জন নিহত হয়েছে।

;

পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক

পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরুদ্দেশ হওয়ার পাঁচ বছর পর নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছেন ভারতীয় নাগরিক শেভরন কুমার (২৫)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শূন্য রেখায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।

শেভরন কুমার ভারতের বিহার রাজ্যের রানাগঞ্জের দেবনাথ ঋষির ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি মানসিক ভারসাম্যহীন শেভরন বাংলাদেশের নাটোর জেলা পুলিশের হাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হন। এসময় আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শেভরন সেখানেই কারাবন্দি ছিলেন। এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে নেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা কারাগারেও ২ বছর ছিলেন শেভরন।

সাজার মেয়াদ শেষ হলে গত ৩০ এপ্রিল প্রত্যাবসনের জন্য তাকে দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে নেয়া হয়। কিন্ত সেদিন তার কোনো অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রহণ করেনি। এসময় তাকে কারাগারেই ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে একাত্তর টিভির জেষ্ঠ্য চিত্র সাংবাদিক ও অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামসুল হুদার প্রচেষ্টায় শেভরন কুমারের পরিবারের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে শেভরন কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়।

দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চিত্র সাংবাদিক মো. শামসুল হুদা, শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি এবং দুলাভাই ছোটু কুমার উপস্থিত ছিলেন।

শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি বলেন, আমি গরিব মানুষ। দীর্ঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার পাগল ছেলেকে খুঁজে পেলাম। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

চিত্রসাংবাদিক মো. শামসুল হুদা বলেন, শেভরনের দেওয়া ঠিকানাটা ভুল ছিল। তারপর ৩০ দিনের প্রচেষ্টায় তার ঠিকানা খুঁজে পায়।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার জামাল হোসেন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, দর্শনা থানার এসআই শামীম হোসেন, ডিএসবি সেলিম হোসেন প্রমুখ। ভারতের পক্ষে ছিলেন গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেঁদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপার দিলীপ কুমার পাল, রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই পরিভ্রান্ত শিং, ডিআইবি সাধন মন্ডল, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।

;

চট্টগ্রামে শিশুসহ মাকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানা এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশুসহ তার মাকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. করিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তাকে আটক করা হয়েছে। তবে কখন, কোথায় থেকে আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে।

রাত ১০টায় বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেয়ামত উল্লাহ।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একজন আটক আছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী এজাহার সাবমিট করতেছে। এজাহার হাতে আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

;

সেনবাগে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগে পুকুরের পানিতে ডুবে আনিশবা (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনিশবা একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম লিটনের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় শিশুটি বাহিরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। পরবর্তীতে বাড়ির পুকুরে আনিশবাকে ভাসতে দেখেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

;