নিরাপত্তার শঙ্কায় ঢাবির বৈশাখী কনসার্ট বাতিল



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে বৈশাখী কনসার্ট বাতিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে বৈশাখী কনসার্ট বাতিল

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপত্তার শঙ্কায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে আয়োজিত বৈশাখী কনসার্ট বাতিল করা হয়েছে। শনিবার সকাল আটটার দিকে দ্বিতীয় দফায় পেট্রোল দিয়ে কনসার্টের সাউন্ড বক্সে আগুন লাগানো হয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে কনসার্ট বাতিল করে আয়োজনের আর্থিক সহায়তাকারি প্রতিষ্ঠান মোজো।  এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত একটার দিকে কনসার্ট আয়োজনে ছাত্রলীগ সভাপতিকে জানানো হয়নি অভিযোগের জেরে ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের সমর্থকরা এই আয়োজনে ভাঙচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। তারপর এ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পক্ষে ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি, অন্যপক্ষে ছিলেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানী, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসাইন। তারা তিনজনই কনসার্টে আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন।

ওই রাতেই রাব্বানী ও সাদ্দামের ইন্ধনে ঢাবির দুই হলে শোভনের সমর্থকদের কক্ষ ভাঙচুর হয়। সাগর নামে স্যার এফ রহমান হল ছাত্রলীগের এক কর্মী আহত হন। এ বিরোধের জের ধরে পুনরায় শনিবার সকাল ৮টার দিকে দুটি বাইকে চারজন এসে পেট্রোল ঢেলে কনসার্টের সাউন্ডবক্সে আগুন দিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুনরায় হামলা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আয়োজকরা। সকাল থেকেই তারা কনসার্টের সমস্ত আয়োজন গুটিয়ে নেয়।

কনসার্ট বাতিল ও নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন মোজোর অপরেশন ব্যান্ড হেড মার্কেটিং বিভাগের প্রধান আজম বিন তারেক।

তিনি বলেন, মধ্যরাতে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার পর আমাকে অনেক রিকুয়েস্ট (অনুরোধ) করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে সবকিছু আন্ডার কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) থাকবে। তাই আমি সবকিছু গুছিয়ে পুনরায় কাজ করা শুরু করলাম। সকাল ৮ টার দিকে চারজন লোক হেলমেট পরে এসে আমাদের সাউন্ড সরানোর যে বক্স (যার দাম তেতাল্লিশ লক্ষ টাকা) সেখানে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রায় এক কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় এখানে থাকা আর সম্ভব নয়। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কনসার্ট চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না।’

সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনের আশ্বাসে শুধু কনসার্ট চালিয়ে যাবার কথা বললেও বিকেলে এসে তার উল্টো চিত্র দেখা যায় মল চত্বরে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সবধরণের সরাঞ্জামাদি গাড়ি ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্টেজ ছাড়া আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই।

মোজোর সিকিউরিটি ফোর্সের এক কর্মকর্তা বলেন,  সব নিয়ে যাওয়া হয়েছে।আমাদেরকে বলা হয়েছে কনসার্ট বাতিল।এখন শুধু স্টেজের জিনিসগুলো বাকি আছে। এগুলোও একটু পরে নিয়ে যাওয়া হবে।এ মুহূর্তে কেউ কনসার্ট হবে বলে দাবি করলেও কোনো লাভ নাই। কারণ এটা এখন সম্ভব নয়।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার বলেন,

আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম সবাইকে একটা সুন্দর কনসার্ট উপহার দেওয়ার জন্য।কিন্তু যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে আমার ভাষা নাই প্রকাশ করার মতো।তবে আমি এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি সবকিছু ঠিকঠাক মতো করছিলাম কিন্তু এখানে পেট্রোল দ্বারা যে  ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা লজ্জাজনক।

 

   

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। এসব পরিস্থিতি থেকে সৃষ্টি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তার মধ্যেও মূল্যস্ফীতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। সেজন্য নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।    

;

জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ পেলেন ৭ উদ্যোক্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

পণ্য উৎপাদন, বিপনন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৭ বর্ষসেরা শিল্পোদ্যোক্তাকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন যারা

বর্ষসেরা নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা স্বপ্না রাণী সেন, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. শাফাত কাদির, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া, বর্ষসেরা ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি, বর্ষসেরা পুরুষ মাঝারি উদ্যোক্তা আশরাফ হোসেন মাসুদ, বর্ষসেরা মাঝারি নারী উদ্যোক্তা সীমা সাহা ও বর্ষসেরা স্টার্ট আপ মদিনা আলী।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

;

কুকুরের কামড়ে যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে কুকুরের পাল ইজাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবককে কামড়ে হত্যা করেছে।

রোববার (১৯ মে) ভোররাতে পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া নদীর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ইজাজুল ইসলাম উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত সমির উদ্দিনের ছেলে।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ইজাজুল ইসলামের মা বাবা কেউ নেই। সে বিয়ে করেনি। তিনি পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারানিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে এসিআই কোম্পানীর মালামাল এক দোকান থেকে কিনে অন্য দোকানে বিক্রি করতেন। তিনি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন।

ঘটনার দিন ভোররাতে ভাড়া বাসা থেকে নামাজ পড়ার মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুকুরের পাল তাকে একা পেয়ে কামড়ে পেটের নাড়িভুড়ি বের করে ফেলে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। এসময় একজন নারী টের পেয়ে লাঠি নিয়ে তাড়া করলে কুকুরের পাল চলে যায়। পরে ওই নারী আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করে নিয়ে আসার আগেই ইজাজুল মারা যায়।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

জনপ্রিয়তা বাড়ছে গোয়ালন্দ ইউএনও’র গণশুনানি



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর সাথে দ্বন্দ্ব রয়েছে হাজেরা বেগমের। অনেক দিন ধরে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা চালালেও কোনো ফল আসেনি। গ্রামের মাতব্বর থেকে শুরু করে স্থানীয় সুধীজনরা সমাধান করতে পারেনি হাজেরা বেগমের সমস্যার। তিনি লোক মারফত জানতে পারেন প্রতি সপ্তাহের একদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি সবার সমস্যার কথা শোনেন ও সমাধান করে দেন।

বিষয়টি জানার পরই তিনি দ্বারস্থ হন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গণশুনানিতে। গণশুনানিতে উপস্থিত হয়ে হাজেরা বেগমের সমস্যার কথা নিজে শোনেন ইউএনও। এরপরই তিনি সমাধানের পথ খুলে দেন। হাজেরা বেগমের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

শুধু হাজেরা বেগমই নয়। হাজেরা বেগমের মতো রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার শত শত মানুষের সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি গণশুনানিতে শুনে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। তার এই গণশুনানি দিনদিন স্থানীয় নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের যে কোনো একদিন সেবাপ্রত্যাশী স্থানীয় নাগরিকদের সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি শুনতে গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে ইউএনওদের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সপ্তাহের প্রতি বুধবার তিনি তার নিজ অফিস কক্ষে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই গণশুনানি পরিচালনা করে থাকেন।

গণশুনানি পরিচালনার সময় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় দ্রুত সেবাপ্রত্যাশী মানুষদের বেশির ভাগের সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিক করে থাকেন। কিছু সমস্যার সমাধান ডকুমেন্ট নির্ভর হওয়ায় সেগুলো সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের দ্রুত সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগ ও আপত্তি নিয়ে সাপ্তাহিক গণশুনানি শুরু করেছি। প্রতি বুধবার এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেবা প্রত্যাশীদের সমস্যার কথা শুনে তাৎক্ষণিক বেশিরভাগ সমস্যা সমাধান করা হয়। অন্যান্য সমস্যাগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে থাকেন। গণশুনানির এই কার্যক্রম চলতেই থাকবে।

;