রাজধানী থেকে প্রশ্নফাঁস চক্রের দুই সদস্য আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের আটককৃত দুই সদস্য, ছবি: বার্তা২৪

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের আটককৃত দুই সদস্য, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব-২।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কাজী কেওয়ান (২৪) ও নাজেল হোসেন (২১)।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে র‍্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, 'হাজারীবাগের লীলাম্বর শাহ রোডের সামনে একটি বিকাশ দোকানের সামনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জারের সাহায্যে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করছে বলে আমাদের কাছে খবর আসে। প্রাপ্ত খবরের ওপর ভিত্তি করে র‍্যাব-২ এর একটি দল ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদের আটক করে।'

তিনি আরও বলেন, 'তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।'

   

গাইবান্ধা এলজিইডির উদাসীনতা: টেন্ডার ছাড়াই ব্রিজের মালামাল বিক্রি ঠিকাদারের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় কোনো প্রকার দরপত্র ছাড়াই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) একটি ব্রিজের পুরোনো মালামাল বিক্রি করে দিয়েছে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে এসব মালামাল বিক্রি করেছেন নতুন ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘জাকাউল্লা অ্যান্ড ব্রাদার্স’। প্রতিষ্ঠানটি ব্রিজটি ভেঙে ব্রিজের দুই পাশের ইট-রডসহ সবকিছু খুলে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট দফতরের যোগসাজশে এসব মালামাল বিক্রি করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ভাঙা ওই ফুট ব্রিজটি (হেঁটে চলার ব্রিজ) জেলার সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের থানসিংহপুর এলাকায় আলাই নদীর ওপর অবস্থিত। ব্রিজটি সকলের কাছে ‘নোয়াচোরা’ ব্রিজ বলে পরিচিত।

সূত্র জানায়, প্রায় দেড় যুগ আগে সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের থানসিংহপুর এলাকার আলাই নদীর উপর ফুট ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। নদীর উপর নির্মিত এই ব্রিজটি দিয়ে রিকশা-ভ্যান এবং ভারী কোন যানবাহন চলতে না পারলেও এ পথ দিয়ে প্রতিদিন উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার শত শত মানুষ হেঁটে, মোটরসাইকেল এবং বাইসাইকেল যোগে পারাপার হতেন।

তবে, সময়ের সাথে সাথে যোগাযোগে জরুরি এই ব্রিজটি প্রশস্ত এবং নতুন করে নির্মাণের দাবি তোলে স্থানীয়রাসহ ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। পরে উন্নত যোগাযোগের স্বার্থে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেখানে ৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫৪ মিটার একটি আধুনিক ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এলজিইডি।

পরে দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্রিজটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় ‘জাকাউল্লা এন্ড ব্রাদার্স’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কেবলমাত্র টেন্ডারপ্রাপ্ত হয়েই কোনো প্রকার দরপত্র ছাড়াই ব্রিজটি ভেঙে ইট ও রডসহ সকল মালামাল দিনে-দুপুরে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এসব মালামাল ভাঙা ও পরিবহনের ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। পরে বিষয়টি নিয়ে ফুঁসে ওঠেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, সদর এলজিইডি কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে এবং জেলা এলজিইডি বিভাগের উদাসীনতা ও যথাযথ নজরদারির অভাবে এসব মালামাল টেন্ডার ছাড়াই দিনে-দুপুরে চুরি করে বিক্রি করা হয়েছে।

পরে এই ঘটনা প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে সত্যতা মেলায় গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর থেকে অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সরিয়ে ফেলা মালামাল ফেরত দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়।

বোয়ালী ইউনিয়নের থানসিংহপুর এলাকার মুদি দোকানদার মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমরা দেখেছি ঠিকাদারের লোকজন ট্রাক্টর দিয়ে ব্রিজটির ভাঙা অংশের সব মালামাল নিয়ে গেছে। পরে শুনলাম সেটি নাকি টেন্ডার ছাড়াই করেছে ঠিকাদার। তবে, এতবড় ঘটনা ঠিকাদার একা করার সাহস পাবে না, এর সাথে অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের লোকজন জড়িত আছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাকাউল্লা এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী জাকাউল্লা মোবাইল ফোনে বলেন, সারাদেশেই আমার বেশ কয়েকটি সাইটে কাজ চলমান রয়েছে। গাইবান্ধার ওই ব্রিজটি নির্মাণ কাজের জন্য আমার প্রতিনিধি রয়েছে। টেন্ডার ছাড়া পুরাতন ব্রিজের মালামাল বিক্রির বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি কোনো নোটিশও পাইনি। তবে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব, বলেন তিনি।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয়ের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলাম মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঘটনার পর পরেই অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সরিয়ে ফেলা মালামাল ফেরত দেওয়াসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশের জবাব পেলে অথবা জবাব না দিলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

;

প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আসিমের মা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় তারা গণভবনে যায় বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন জানান, জাওয়াদের বাবা ডা. মো. আমান উল্লাহ, মা নিলুফার আক্তার, স্ত্রী রিফাত অন্তরা, মেয়ে আয়েজা ও ছেলে আয়াজ প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন এবং তার সাথে কিছু সময় কাটান।

এসময় পাইলট জাওয়াদের মা নীলুফা আক্তার খানম প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লে শেখ হাসিনা তাকে ও পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হলে জাওয়াদ নিহত হন।

বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটি ছিলো ইয়াকোভলেভ ইয়াক-১৩০ মডেলের। উড্ডয়নের পরপরই ওই তাতে আগুন লেগে যায়। পরে সেটি খণ্ড খণ্ড হয়ে কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।

;

চার ঘণ্টা পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেল দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে ইঞ্জিন বিকল হওয়া দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন প্রায় চার ঘণ্টা পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে ক্রুটি দেখা দেয়। পরে রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এসে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের পুলিশ ফাড়ির আইসি উপ-পরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গফরগাঁও স্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিন বিকল হয়। ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড় করিয়ে দুই নম্বর লাইন দিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সচল রাখা হয়। পরে রাত ১০ টায় ময়মনসিংহ থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এসে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এদিকে, বিকল ইঞ্জিন ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

;

চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। চামড়া শিল্পে মান মাত্রায় কোন ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘চামড়া শিল্প পরিবেশবান্ধব না হলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। এছাড়াও চামড়া শিল্প লাভজনক করতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনগার বা সিইটিপি নতুন করে তৈরি করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল হাই-লেভেল ডায়লগ ফর গ্রিনিং দ্যা ট্যানারি এন্ড লেদার সেক্টর’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নদী মারা গেলে এ ক্ষতি কোনও কিছু দিয়েই পূরণ হবার নয়। পানিতে বিওডি ৩০ এর মধ্যে থাকতে হয়, ধলেশ্বরীর পানিতে আছে চার গুণের বেশি। হেভি মেটাল ২ গুণের বেশি। এতে মানুষের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসকল ক্ষতির দায় কে নেবে? ব্লেম গেম করা যাবে না। সমস্যার অংশ না হয়ে সমাধান করতে হবে। যাত্রা নতুনভাবে করতে হবে। ভুল থেকে শিখতে হবে। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই রোল মডেল, চামড়া শিল্পেও রোল মডেল হতে চাই। অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করা আমাদের অগ্রাধিকার। এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে।’

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা; ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান; বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ড ফাহমিদা খানম; ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর এবং যৌথ নদী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ইমেরিটাস ড আইনুন নিশাত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিনিস্টার কাউন্সেলর ও হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ড মিশাল ক্রেজা বক্তব্য রাখেন।

এই সংলাপে ট্যানারি ও চামড়া খাতের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, পরিবেশবিদ এবং সরকারি প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং খাতটিকে আরও পরিবেশবান্ধব করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সুপারিশ পেশ করেন।

;