রাজধানী পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব-সদর সদরদফতরের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে অভিযান শুরু করেন র্যাব সদরদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযান চলবে বিকেল পর্যন্ত।
অভিযানের শুরুতেই র্যাব সদর-দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বার্তা২৪. কমকে বলেন, ‘আরমানিটোলা এলাকায় এর আগেও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। দোকানগুলোকে ক্যামিকেল মালামাল সরানোর জন্য আমরা সময় দিয়েছিলাম।’
এরই মধ্যে অনেক দোকান মালিক তাদের কারখানা স্থানান্তরিত করেছেন। আর যারা এখনও কারখানা স্থানান্তরিত করেনি, আমরা সেসব কারখানায় আজকে অভিযান চালাচ্ছি ।
সারোয়ার আলম আরও বলেন, ‘আবাসিক এলাকাকে পুরোপুরি নিরাপদ করতে, আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
রাজধানীতে সরকারি মালিকানাধীন যে কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্যে আসেন এই হাসপাতালে।
১৯৬৩ সালে ৮৭৫টি বেড নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালটির ভালো চিকিৎসার জন্যে যেমন অনেক সুনাম রয়েছে, তেমনি হাসপাতালটির দায়িত্বে থাকা আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার জন্যে দিন দিন সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে গিয়ে ভাসমান দোকানের কারণে অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগী নিয়ে আসা অন্য গাড়িগুলোকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। দুপাশে সারিবদ্ধভাবে চায়ের দোকান, ফলমূল, প্লাস্টিকের পণ্যসহ নানা রকমের দোকানের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। পাশেই দাঁড়িয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছড়াচ্ছেন কিশোর থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা। দেখে মনে হবে যেন এটি হাসপাতাল নায়, কোনো বাজার!
এছাড়াও হাসপাতালের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডের ভেতর ভাসমান হকারদের উৎপাত। চা, কফি, বিস্কুট থেকে শুরু করে কাপড়ের ব্যাগ, এমনকি ভিক্ষুকরাও প্রবেশ করছে ভিক্ষা করতে। এতে রোগীরা যেমন নিজেদের মালামালের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত, তেমনি দায়িত্ব পালন করা জুনিয়র চিকিৎসকরাও বিব্রতবোধ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা যারা এখানে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি অনেক সময় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। যে কেউ চাইলেই ওয়ার্ডে চলে আসে। এতে রোগী ও চিকিৎসকদের মালামাল হারানোর একটা ভয় থাকে। এদের আচার-আচরণও তেমন ভালো না। যতটা জানি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তারা হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
চাঁদপুর থেকে মায়ের চিকিৎসা করাতে আসা সুমন বার্তা২৪.কমকে বলেন, মা ব্রেন স্ট্রোক করছেন। প্রথমে বুঝিনি। তারপর মাকে নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলাম, সেখান থেকে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বেড খালি না থাকার অজুহাতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়। এখানে এসেও পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কাউকে কোন প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে চায় না। প্রথমেই গেটের দুই পাশে দোকান ও মানুষের ভিড়ে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে নানা রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তারপর শুরু হলো ট্রলি আর হুইল চেয়ার নিয়ে টানাটানি। দুইশত টাকার নিচে খুশি না স্ট্রেচারকর্মীরা।
হাসপাতালের অভ্যন্তরে ভাসমান দোকান ও হকারদের উৎপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরে ভাসমান হকার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। তবে এটাও সত্যি যে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক কিছু আমাদের নজরে আসে না। লোকবলের অভাব। তবে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা মাঝেমধ্যে আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে, আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে আরও উদ্যোগী হবো।
অভিযোগ আছে আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের যোগসাজশ এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের যোগসাজশে হকার উচ্ছেদ সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটি দোকান থেকে কমপক্ষে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা তোলা হয়। যার একটা অংশ স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে যায়। এছাড়া হাসপাতালের অভ্যন্তরে ভাসমান হকার প্রবেশেও গুণতে হয় ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোন হকার মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইউসুফ ও সাব্বিরসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কোতয়ালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যাত্রাবাড়ী এলাকার চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. ইউসুফ গাজী (২৮), মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৭), মো. পিন্টু মিয়া (৪০), মো. ডালিম (১৯), মো. পাভেল (১৯) ও মোহাম্মদ আলী (২৫।
এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৮ হাজার ৪১০ টাকা ও ৬টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া বাবুবাজার এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজ চক্র সাব্বির গ্রপের অন্যতম মূলহোতা মো. সাব্বির (৬০), নাজির হোসেন (৪৮), মো. কামাল উদ্দিন (৫০), মো. বিল্লাল হোসেন (৪৫), মো. বিল্লাল হোসেন (২৮), মো. নাজির উদ্দিন ভূঁইয়া (৪৪), এবং মো. রনি হোসেন (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৭ হাজার ৩৫০ টাকা, ৬টি লাঠি ও ১টি প্লাস্টিকের পাইপ উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল বলেন, অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কোতয়ালী এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইউসুফ ও সাব্বিরসহ মোট ১৩ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
তিনি বলেন, গতকাল ২০ মে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কোতয়ালী থানাধীন বাবুবাজার এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্র সাব্বির গ্রপের অন্যতম মূলহোতা মো. সাব্বিরসহ ৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর কোতয়ালী, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় কোলে চড়ে ভোট দিতে এলেন ৮০ বছর বয়সী পাঁচালি দাসি। উপজেলার মাঝ পারুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেন পাঁচালি দাসি। তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য ভ্যান থেকে নামতে পারছিলেন না তিনি। পরে দায়িত্বরত আনসার সদস্য ব্রজেন বৃদ্ধ পাঁচালি দাসিকে কোলে তুলে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যান। ভোট দেয়া হলে তাকে আবার নিয়ে এসে ভ্যানে উঠিয়ে দেন ওই আনসার সদস্য।
অসুস্থতা নিয়ে তিনি কেন ভোট দিতে এসেছেন-এমন প্রশ্নে কাঁপুনি কণ্ঠে পাঁচালি দাসি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভোট আমার মৌলিক অধিকার। বাড়িতে থাকলে আমার ভোট নষ্ট হবে। তাই কষ্ট হলেও ভোট দিতে আইছি। বয়স হয়েছে অসুখও শরীরে জেঁকে বসেছে। তাই শেষ ভোট হবে কি না জানি না তাই দিতে আসলাম।
অসুস্থ শাশুড়িকে ভোট দিতে নিয়ে এসে রূপা দাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিনি হাঁটতে পারেন না টিউমারের কারণে। তাই আমি নিয়ে এসেছি। গতকাল থেকে বলছেন বউমা আমি ভোট দিতে যাবো, তাই সকাল সকাল ভিড় হওয়ার আগেই নিয়ে এসেছি।
দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শন করতে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থ এগিয়ে নিতে আমি এ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করব। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর এই সময়ে বাংলাদেশে আমার প্রথম সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরের কাজ করছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি কাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রেও।