নারী ফুটবলার তৈরির গ্রাম নয়াপুকুর



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
নারী ফুটবলার তৈরির গ্রাম নয়াপুকুর। ছবি: বার্তা২৪.কম

নারী ফুটবলার তৈরির গ্রাম নয়াপুকুর। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোট ছোট দল বেধে মাঠে আসে ওরা। ভোরে কিংবা বিকেলে। গায়ে রঙিন জার্সি। হাতে ফুটবল। চলে কঠোর অনুশীলন। লক্ষ্য লাল-সবুজের পতাকাবাহী দলে জায়গা করে নেয়া।

 

ওরা পরিচয়ে নারী হলেও নিজেদের মানুষ ভেবে এগিয়ে যেতে চায় সামনে। এ কারণে অবহেলা, দারিদ্রতা বা সমাজের চোখ রাঙানি কিছুই দমাতে পারেনি ওদের। বরং অর্থনৈতিক-সামাজিক নানা প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে ওরা ছুটছে ফুটবলকে সামনে রেখে।

২৬ জনের কিশোরী ফুটবল দলের অনেকেই ভালো খেলে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম কুড়িয়েছে। নিজেদের পরিচয় মেলে ধরার স্বপ্ন অর্জনে রেখেছে কৃতিত্বের স্বাক্ষর। অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসা এই অদম্য ফুটবল কন্যাদের কারণে গ্রামে তৈরি হয়েছে সচেতনতা। নেই আগের মতো বাল্যবিয়ের হিড়িক।

রংপুর মহানগরী থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়ার নয়াপুকুর এই ফুটবল কন্যাদের গ্রাম। এখান থেকে জাতীয় প্রমীলা ফুটবল দল সহ অনূর্ধ্ব ভিত্তিক দল ও বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন নয়জন। ওদের ফুটবল ম্যাজিকে নয়াপুকুর গ্রামটি এখন নারী ফুটবলারদের বাগান হিসেবে পরিচিত।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পালিচড়া এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে অনুশীলন করছে অনেক মেয়ে। এক ঝাঁক সাহসী ফুটবল কন্যাদের এমন দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেকেই দেখেন। কেউ কেউ হাত উঁচিয়ে সাহস বা তালি দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে ছেলেদের ফুটবল যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, তখন দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে এই গ্রামের কিশোরী ফুটবলাররা। ২০১১ সালে প্রথম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে এ গ্রামের ৪০ জন ক্ষুদে কিশোরী ফুটবল খেলা শুরু করে। ওই বছরই পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী ফুটবলাররা রংপুর বিভাগের হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে রানার্স আপ হয়। পরের বছরই দেশ সেরা ফুটবল দল হয় ওরা।

ইতোমধ্যে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়ন ও এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশীপে কৃতিত্বের জন্য গ্রামের সুলতানা, লাভলী, রত্নাসহ বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছে। এরপর থেকে গ্রামের অনেক মেয়ে ফুটবলে আসতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। এখানকার স্বপ্না, রত্না, মৌসুমি, রুনা, রুমি, সুলতানা, বৃষ্টি, লাবণী, মৌরসী, আশা অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৪ দলের হয়ে খেলছে।

এর আগে দেশের বাইরে তাজিকিস্তানে এএফসি-অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ দল ভারতকে ৯-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ী হয়। ওই দলে এ গ্রামেরই তিন ফুটবলার লাবণী আক্তার, আর্শিতা জাহান ও আঁখি আক্তার খেলেছে।

এই অদম্য কিশোরীদের শুরুতে ক্রীড়া সংগঠক শামীম খান মিসকিন ও ক্রীড়ানুরাগী আবেদ আলী ক্যাশিয়ার (প্রয়াত) অনুপ্রেরণা দেন। পরে স্থানীয় শিক্ষক হিটলার, ফুটবলার হারুন-অর-রশিদ তাদের প্রশিক্ষণ দিতেন। ২০১৩ সালের শেষ দিক থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয় যুবক মিলন খান রাজ বিনা পারিশ্রমিকে এই ক্ষুদে কিশোরীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।

অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলের সদস্য নুসরাত জাহান বৃষ্টি বলে, ‘আমার বড় বোন ইসরাত জাহান রত্না এবং আমি ফুটবল খেলছি। ভালো খেলে আমরা দেশ ও দলের জন্য কিছু করতে চাই। তবে খেলার জন্য বাড়ির বাইরে অনেকে বাজে মন্তব্য করে। সবকিছু সহ্য আর উপেক্ষা করে প্রতিদিন অনুশীলন করছি।’

আরেক ক্ষুদে ফুটবলার মৌরসী বলে, ‘আমাদের যে খেলার মাঠটি রয়েছে, তা ফুটবল খেলার উপযোগী না। উঁচু-নিচু হওয়ায় খেলতে অনেক সমস্যা হয়।’

খেলোয়াড় রুমি-রুনার বাবা হলেন রবিউল ইসলাম (৪৮)। ছোট হোটেল ব্যবসা করেন। মেয়েদের ফুটবল খেলার প্রতি আগ্রহ দেখে তাদের উৎসাহিত করেছেন। রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সমাজে কে কি বলল, সেটা নিয়ে আমি ভাবি না। মেয়েরা ভালো খেলছে বলেই আজ এই গ্রামে সাংবাদিকরা আসে। আমাদের মেয়েদের খোঁজখবর নিচ্ছে। এটা যেমন গ্রামের অহংকার, তেমনি ওরা ভালো খেললে দেশেরও গৌরব।’

কিশোরী ফুটবলারদের কোচ মিলন খান রাজ বলেন, ‘সকাল ও বিকেলে তারা ওয়ার্ম আপ অ্যাক্টিভেশন, পাসিং প্র্যাকটিস, পজিশন গেম, গেম ট্রেনিং, ট্রেনিং গেম ও কুল ডাউন অনুশীলন করে। এছাড়া ফিটনেস ট্রেনিংও করানো হয়। আমাদের মেয়েদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় তারা ঠিকমতো প্রশিক্ষণ নিতে পারে না। কারও জুতা, কারও জার্সির সমস্যা। তারপরও অদম্য কিশোরীরা কঠোর পরিশ্রম করছে।’

পালিচড়া এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল হক সাজু বলেন, ‘এই মেয়েরা বঙ্গমাতা ফুটবল খেলে পরপর দু’বার রানার্স আপ ও একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১৮ সালে ৪৭তম গ্রীষ্মকালীন খেলায় দেশের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এরা খুবই গরিব ঘরের মেয়ে। একটু সুযোগ-সুবিধা পেলে আরও ভালো করতে পারত।’

এসব সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দিলেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে অনেক প্রতিভাবান ক্ষুদে তারকা ফুটবলার বের হয়েছে। এদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং জাতীয় পর্যায়ে আনতে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।’

   

জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাজ্জাত হোসেন কামাল (৫৫) নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন জাকারিয়া (৩৫), মহিবুল্লাহ (১৮) ও তার মা (৫০)।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বওলা ইউনিয়নের পুরাননগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সাজ্জাত হোসেন কামাল ওই এলাকার ছালাম ফকিরের ছেলে। সে ধোবাউড়া উপজেলার গোয়তলা রঘুরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন ।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মাহাবুবুর রহমান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে নিহত সাজ্জাত হোসেন কামালের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে চাচা আবুল খায়ের ও চাচাতো ভাইদের সাথে বিরোধ চলছিল। তীব্র তাপদাহে ফসলের জমি শুকিয়ে যাওয়ায় শুক্রবার সকালে সেচ পাম্প দিয়ে নিজ পুকুর থেকে জমিতে পানি নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসময় চাচাতো ভাই ও ভাতিজা ও ভাইয়ের স্ত্রী বাধা দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাত হোসেন কামালের শরীরে আঘাত করেন তারা। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সময় তার গলাটিপে ধরা হয়।

পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খরব পেয়ে ফুলপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচাতো ভাই, ভাতিজা ও চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে আটক করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছালাম ফকির বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ফুলপুর থানা ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;

বাবার স্বপ্নপূরণে দেশে ফিরে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এ দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় পরিণত করা। বাবার সেই স্বপ্নপূরণের জন্যই এদেশে ফিরে এসেছি।

তিনি বলেন, মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগুতে পারে না। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে। জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।

শুক্রবার (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারা শুভেচ্ছা জানাতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদেশ যাওয়ার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানতাম না যে, আমাকে এতবড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।

ছোটবোন শেখ রেহানার বিয়েতে অংশ নিতে পারেননি বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু যখন তার বাচ্চা হবে, মিসেস গান্ধী আবার ক্ষমতায় এলেন, তিনি সব ব্যবস্থা করে দিলেন, আমি গেলাম। এরপর আবার দিল্লিতে ফেরত এলাম।

তখন আমাকে লন্ডন থেকে আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুবুর রহমান টেলিফোন করে বললেন আপনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। আমি তাকে বললাম আমি তো আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চাই না, আমাকে কেন করবে? আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আছে।

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ঝড়-ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সেই দিনে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরেন তখন যুদ্ধাপরাধী ও জাতির পিতার হত্যাকারীরা ক্ষমতায় ছিল। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমার পাশে ছিল বাংলাদেশের জনগণ। আমি জানতাম আমাকেও আমার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে। কিন্তু দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। 

সরকারপ্রধান বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলবো- আমার সব শক্তি ও সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি। আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এত বড় সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা আমার ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। তারা বরং শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা করেনি। ভবিষ্যৎ কী সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ যেন আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

নেতাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, এটাই মনে রাখবেন একটা দল করি শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম। এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকার পেয়েছিল, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও জয় বাংলা স্লোগানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জয় বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে যেমন স্থান করে নিয়েছে। তেমনি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

;

সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ে বাঙালি সংস্কৃতি আরও ঋদ্ধ হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছে, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি আরও ঋদ্ধ হবে। বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সাথে জাপানীজ কৃষ্টি, শিক্ষাদীক্ষা চর্চা ও অনুশীলন করতে পারলে আমাদের সংস্কৃতি আরও মার্জিত হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) কেরানীগঞ্জে হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও জাপান দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতির উপাদানসমূহের প্রদর্শনী বাড়ানো গেলে সাংস্কৃতিক সম্পর্কও জোরদার হয়। এই ক্যালিগ্রাফি কর্মসূচির মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীরতর হবে। সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অভিব্যক্তি বিনিময় বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া অংশগ্রহণকারীরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাপানি ক্যালিগ্রাফির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারবে। ক্যালিগ্রাফি করতে একাগ্রতা ও স্থির হতে হয়, যার মাধ্যমে নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার মাধ্যমে এই গুণটাও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি বলেন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হবে।

কর্মশালাটির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জাপানি ক্যালিগ্রাফির রাজ্যে প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন। কর্মশালাটি পাঁচটি দলে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ২০ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে এবং প্রতিটি সেশন ৩০ মিনিট স্থায়ী হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিখ্যাত জাপানি ক্যালিগ্রাফি শিল্পী মিসেস সাতোকো আজুমা বক্তব্য রাখেন।

;

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাজশাহী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, রাজশাহীতে আমের ফলন কম হওয়ায় দাম বাড়তে পারে। আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর করমপুর গ্রামে আম বাগান পরিদর্শন ও চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ জন কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে রপ্তানিযোগ্য আমের মান ও গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারত বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বছর আমের ফলন ভালো হওয়ায় আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আম রপ্তানির পরিকল্পনা করছি। নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটি বিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষি ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

;