নির্মাণকাজের মান যাচাইয়ে হাতুড়ি হাতে মেয়র লিটন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
রাজশাহীতে নির্মাণ কাজের গুণগত মান যাচাই করছেন রাসিক মেয়র, ছবি: বার্তা২৪

রাজশাহীতে নির্মাণ কাজের গুণগত মান যাচাই করছেন রাসিক মেয়র, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী নগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের বাস স্ট্যান্ড এলাকার ড্রেনেজ নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান মেয়র। নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে কাজের গুণগত মান যাচাই করতে নিজেই হাতুড়ি এবং হাম্বল মারেন মেয়র লিটন। পরে তিনি কাজের অগ্রগতির বিষয়েও সার্বিক খোঁজ খবর নেন।

জানা গেছে, মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বাস স্ট্যান্ড ও শিরোইল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ড্রেন নির্মাণ করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। দুপুরে ওই এলাকায় ড্রেনেজ নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিটি করপোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী, ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তোজাম্মেল হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন প্রমুখ।

   

১ কোটি ৪ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১ কোটি ৪ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে

১ কোটি ৪ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬ টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে মৎস ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বিষয়টি জানিয়েছে।

তিনি জানান, এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।

মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ১৮২ টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫২০ টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১১১টি, খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৮৫৫ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩ টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।

কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮ টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯ টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩ টি অন্যান্য পশু।

এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৪ টি গরু, ৬ হাজার ৪৬৫ টি মহিষ, ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭২ টি ছাগল, ৮৯ হাজার ৯১ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮০০ টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭ টি গরু, ৯১ হাজার ৮১০টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ১৩০ টি ছাগল, ৯৫ হাজার ৪৮৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৫০ টি পশু। রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৭২টি গরু, ৯ হাজার ৫৬৮ টি মহিষ, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৬টি ছাগল ও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৮টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬৭টি গরু, ১ হাজার ৫০৬ টি মহিষ, ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৫ টি ছাগল, ৫৭ হাজার ৫৫৯ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৮টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৭ টি গরু, ১হাজার ১ টি মহিষ, ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩ টি ছাগল ও ২০ হাজার ১৯০ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৭ টি। সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১ হাজার ১৪৩ টি গরু, ১ হাজার ৩৫৮ টি মহিষ, ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৩টি ছাগল ও ১৮ হাজার ১৪ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৪ টি। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৪ টি গরু, ৩০৪ টি মহিষ, ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৬ টি ছাগল, ৬০ হাজার ২২৮ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ১১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮০৫ টি গরু, ৯০৬ টি মহিষ, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৪ টি ছাগল ও ১৮ হাজার ৭ টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ০৫ টি কোরবানি হয়েছে।

উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ টি।
ok

;

আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা

আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

নাড়ির টানে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এর ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাড়ে টোল আদায়ের হার।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৯ জুন) রাত ১২টা থেকে রোববার (১৬ জুন) রাত ১২ টা পর্যন্ত গত আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫০টাকা। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ২'শ টাকা। সিরাজগঞ্জে সেতুর পশ্চিম অংশে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬১ টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৭৯ লাখ ২৮ হাজার ৪'শ টাকা।

আরও জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রায় ২৬ বছরে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত। এসময় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫৩ হাজার ৭০৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪'শ টাকা। যা সেতু উদ্বোধনের পর টোল আদায়ে সর্বোচ্চ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মোট ২১টি জেলার প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে।

;

আইএসএজিও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আইএসএজিও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

আইএসএজিও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি এয়ারলাইন্স, সম্প্রতি অসামান্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার জন্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (IATA) থেকে মর্যাদাপূর্ণ সার্টিফিকেট পেয়েছে।

IATA সেফটি অডিট ফর গ্রাউন্ড অপারেশনস (ISAGO) বাংলাদেশে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবাগুলোর উন্নত মান বজায় রাখার পাশাপাশি যাত্রী, বিমান এবং পণ্যগুলির নিরাপত্তা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য ইউএস-বাংলা স্বীকৃত।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে বেসরকারী বিমানসংস্থাগুলোর মধ্যে প্রথম আইএসএজিও সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। ইউএস-বাংলা সবসময় নিরাপত্তা এবং উন্নত সেবাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই স্বীকৃতি বিমান শিল্পে ইউএস-বাংলার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেড IATA সেফটি অডিট ফর গ্রাউন্ড অপারেশনস প্রোগ্রাম (ISAGO) এর অধীনে নিবন্ধিত হয়েছে, যা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি কভার করে:
প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাপনা, লোড কন্ট্রোল, প্যাসেঞ্জার এবং ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, এয়ারক্রাফ্ট হ্যান্ডলিং এবং লোডিং, এয়ারক্রাফ্ট গ্রাউন্ড মুভমেন্ট এবং কার্গো এবং মেইল হ্যান্ডলিং।

নিবন্ধনকৃত সার্টিফিকেটটি ইউএস-বাংলা সম্মানিত যাত্রীদের পূর্বের তুলনায় অধিক আস্থা প্রদান করবে। এই সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে ইউএস-বাংলার উপর যাত্রী নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং মানসম্মত সেবার উপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা আস্থা প্রদান করবে।

ইউএস-বাংলা ২০২৩ সাল থেকে একটি আইওএসএ (আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট) নিবন্ধিত বিমান সংস্থা; এখন এটি ISAGO নিবন্ধিত এয়ারলাইন্স। ইউএস-বাংলা সবসময় সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। ISAGO সার্টিফিকেট প্রাপ্তি ইউএস-বাংলার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এর দক্ষতা প্রমাণ করে।

;

বিক্রি হলো না সাড়ে ২৩ লাখ পশু



নিউজ ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার মোট পশু মজুত ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু। কোরবানি ঈদে সারা দেশে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার ২২৮ গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি এবার ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯টি পশু অবিক্রীত থেকে গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হ‌য়ে‌ছে, এবার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম পশু বিক্রি হয়েছে। এ বছর ঢাকায় ২৫ লাখ ২০ হাজার, চট্টগ্রামে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার আর রাজশাহীতে ২৩ লাখ পশু বিক্রি হয়। গত বছর কোরবানি ঈদে ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতবছর কোরবানিযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কোরবানি হয়েছে, অর্থাৎ ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫২১টি পশু অবিক্রীত ছিল। আর ২০২২ সালে সারাদেশে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু কোরবানি হয়েছিল।

এত পশু অবিক্রীত থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। খামারিদের মধ্যে যারা বড় গরু বাজারে এনেছিলেন, তার অধিকাংশই অবিক্রীত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। চড়া দামের খাবার খাইয়ে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা খামার করেছেন, তাদের অনেকের অবস্থা করুণ। খামার পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয় মেটানোই এখন তাদের জন্য কঠিন হবে। ভারত-মিয়ানমার থেকে এবার অবৈধ পথে গরু আসায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন এলাকার খামারি ও মৌসুমি পশু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা ছিল বেশি। সেই তুলনায় বড় গরুর ক্রেতা ছিলেন খুবই কম।

;