একুশে পদক প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
একুশে পদকপ্রাপ্তদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: ফোকাস বাংলা

একুশে পদকপ্রাপ্তদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবার একুশে পদকপ্রাপ্তদের পদক, এককালীন অর্থ ও সম্মাননা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় একুশে পদকপ্রাপ্ত ২১ জনের নাম ঘোষণা করে।

এ বছরের একুশে পদক প্রাপ্তরা হচ্ছেন: ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরণোত্তর), যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু এবং অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম। ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য একুশে পদক পেয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য।

প্রয়াত পপ শিল্পী আজম খান (মরণোত্তর) ও নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের সঙ্গে এবার সংগীত বিভাগে এ পুরস্কার পান গায়ক সুবীর নন্দী। সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে লাকী ইনাম ও লিয়াকত আলী লাকী একুশে পদক পান অভিনয়ের জন্য।

দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম আলোকচিত্রে অবদানের জন্য এবং চিত্রশিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ চারুকলায় এ পুরস্কার পান। গবেষণায় ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ড.মাহবুবুল হক এবং শিক্ষায় ড. প্রণব কুমার বড়ুয়াকে এ পদক প্রদান করা হয়।

এছাড়া ভাষা সাহিত্যে রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস একুশে পদক পান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন। মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ী মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুনের পক্ষে তাঁর কন্যা বেগম প্রজ্ঞা লাবনী এবং পপ সম্রাট আজম খানের পক্ষে তাঁর কন্যা বেগম ইভা খান পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আবু হেনা মুস্তফা কামাল স্বাগত বক্তব্য দেন।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং পদক বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সরকারের উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, পদস্থ সামরিক ও বেসাসরিক কর্মকর্তা, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীসহ বিশিষ্ট নাগরিক, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, পূর্বের একুশে পদক বিজয়ী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ৪৫৭ জন ব্যক্তি ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

   

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার (২২ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা। দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবটি সাড়ম্বরে উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দেবেন। এছাড়া তিনি সারা দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। 

এ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধের জন্ম তিথি উপলক্ষে বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব উদযাপন করা হয়। দিনটি সারা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই দিনে সিদ্ধার্থ গৌতম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বুদ্ধগয়ায় বোধি বৃক্ষের নিচে বুদ্ধত্ব এবং মহাপরনির্বাণ লাভ করেছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মহামতি গৌতম বুদ্ধ প্রচার করেছেন অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী। হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।’

দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। সব শ্রেণিপেশা ও সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

এদিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

;

ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার দুই শিশুসহ ৩ মরদেহের পরিচয় মিলেছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার দুই শিশুসহ ৩ মরদেহের পরিচয় মিলেছে

ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার দুই শিশুসহ ৩ মরদেহের পরিচয় মিলেছে

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার হওয়া এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহতরা হলেন আমেনা খাতুন (২৫) এবং তার দুই ছেলে আবু বক্কর (৪) ও আনাস (২)।

নিহত আমেনা উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের মো. আবদুল খালেকের মেয়ে

এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চকরামপুর কাকচরের নামাপাড়ার এলাকা থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২২মে) সকালে ত্রিশাল থানার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় রাতেই আমেনা খাতুনের মা বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, ৬ বছর আগে মামাতো ভাই আলী হোসেনের সাথে বিয়ে হয় আমেনা খাতুনের। আলী হোসেন উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের মো. আবদুল হামিদের ছেলে।

আলী হোসেন অলস প্রকৃতির ছেলে। যে কারণে কাজ না করে বেকার থাকতেন। আর স্ত্রী আমেনা খাতুন মানুষের বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন। সম্প্রতি এনজিও থেকে টাকা তুলেন আমেনা খাতুন। এনজিওর কিস্তির টাকা দেওয়া নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গত ১৬ মে শুক্রবার এনজিওর কিস্তির টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে ওই দিনই স্ত্রী আমেনাকে ঢাকায় কাজ দেওয়ার কথা বলে দুই ছেলেসহ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আলী হোসেন। এরপর থেকে আলী হোসেন ও আমেনা খাতুনের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পুলিশের ধারণা ঢাকায় নেওয়ার কথা বলে আলী হোসেন তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে বাড়ি পাশে নির্জনস্থানে মাটির গর্তে পুঁতে রাখেন।

ত্রিশাল থানার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আলী হোসেন পলাতক। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই গর্ত থেকে এক শিশুর মরদেহ টেনে বের করে শিয়াল। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার ত্রিশাল সার্কেল অরিত সরকার, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন, পিবিআই ময়মনসিংহের এসপি রকিবুল আক্তার ও ত্রিশাল থানার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

;

বেলাবতে রিটন, মনোহরদীতে স্বপন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের সাধারণ নির্বাচনে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সমসের জামান ভূইয়া রিটন এবং মনোহরদী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন।

মঙ্গলবার (২১ মে) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোঃ মুশফিকুর রহমান বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

এদিন সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয। ভোট গ্রহণ চলাকালে দুই উপজেলার দু একটি কেন্দ্রে জাল ভোটের অভিযোগ উঠলে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তা বাতিল ঘোষণা করেন।

জেলার বেলাবো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সমসের জামান ভূঁইয়া রিটন (মোটর সাইকেল) প্রতীক নিয়ে ৩০ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ শরীফ উদ্দিন খান মোমেন (কাপ পিরিচ ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৩ ভোট ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ হুমায়ুন কবির (চশমা) প্রতীক নিয়ে ১৯হাজার ৮৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমদাদুল হক ফরিদ (মাইক ) প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৫ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুন্নাহার আমিনা (হাঁস) প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ৫৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে রহিমা বেগম (সেলাই মেশিন ) প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৯৬।

বেলাব উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৮৫। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭২ হাজার ৪৮৪ জন। শতকরা হিসেবে ভোট পরেছে ৪৩.১০ ভাগ।

অপরদিকে মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন (আনারস) প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ৮১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: ফজলুল হক (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৯১১ ভোট, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তৌহিদুল সরকার (মাইক) প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ১৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ: কাদির মৃধা (বই) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৭৫ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহনাজ পারভীন (হাঁস ) প্রতিক নিয়ে ২৪ হাজার ৩৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফরোজা সুলতানা ( প্রজাপতি) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮০৬ ভোট।

উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৪১ হাজার ৩০। তারমধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫৯ হাজার ৫১৩ ভোট। শতকরা হিসেবে তা ২৪.৬৯ ভাগ।

;

সাভারে ভোট পড়লো '৫ শতাংশ'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শুধুমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আগেই নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব। সাভারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে মাত্র ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাত ১২ টার দিকে ভোট গণনা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সাভার উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ। এর আগে ২১ মে বিকাল ৪ টায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

সাভারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন ৩ জন। এ পদে ২৪ হাজার ৭৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন (চশমা)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৯০ ভোট (তালা)। এছাড়া আশুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মোশাররফ খাঁন পেয়েছেন ২ হাজার ৭৭৫ ভোট (টিউবওয়েল)।

এ পদে মোট ভোট পড়েছে ৪৬ হাজার ২৭৭ টি যা মোট ভোটার সংখ্যার ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। তার মধ্যে ভোট বাতিল হয়েছে ৯৬৮টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৩০৯ টি।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ৩ জন প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকা জেলা উত্তর যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি মনিকা আক্তার (কলস) ২৫ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঢাকা জেলা উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসমিন আক্তার সুমী (ফুটবল) পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৫ ভোট। এছাড়া আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নাদিয়া নূর তনু (প্রজাপতি) পেয়েছেন ৮ হাজার ৫১৯ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৪৫ হাজার ৭৩১ টি যা মোট ভোটারের ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫২ টি ভোট বাতিল হওয়ায় মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৬৭৯ তে।

;