গণতন্ত্র কখনো একদলীয় হয় না: মাহবুব তালুকদার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

গণতন্ত্র কখনো একদলীয় হয় না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র কখনো একদলীয় হয় না। বহুদলীয় না হলে গণতন্ত্র রূপ লাভ করে না। এজন্য নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিতান্তই প্রাথমিক প্রাপ্তি। এবার উপজেলা নির্বাচন  অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় তা কৌলিন্য হারিয়েছে। এছাড়া নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হতে হয়। এ দুটি শব্দের পরিমাপক জনগণ। যারা নির্বাচন করেন তারা নয়। এই প্রেক্ষাপট মনে রেখে আগামী উপজেলা নির্বাচন যাতে নির্বাচনে ব্যবস্থাপনার প্রতি জনগণকে অধিকতর আস্থাশীল করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২৪টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক কাঠামোতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় উপজেলা পরিষদ যেভাবে দায়িত্ব পালন করার কথা তা সম্ভব হচ্ছে না। এখানে অন্য কারো খবরদারি বা নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় উপজেলা পরিষদ জেলা পরিষদের অধীনস্থ নয়। কথাটা এজন্য বলছি যে উপজেলা পরিষদ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী না হলে এ নির্বাচন গুরুত্বহীন হয়ে পড়া স্বাভাবিক।

মাহবুব তালুকদার বলেন, বর্তমান কমিশনের কার্যকালে অনেকগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও সাতটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এসব নির্বাচনে আপনারা সবাই অংশগ্রহণ করেছেন। এসব নির্বাচনের সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে আপনারা সম্যক অবহিত। নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত নির্বাচনগুলোর সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে আত্ম বিশ্লেষণমূলক আলোচনা হয়নি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আপনারা সাফল্য ও ব্যর্থতার যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তা থেকে পরবর্তী পর্যায়ের নির্বাচনগুলোর ভুলগুলো শুধরে নেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন।

রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন আইনানুগ হওয়ার অর্থ ও সবার সমান অধিকার ও সবার প্রতি সম আচরণ নিশ্চিত করা। এজন্য আপনাদের কঠোর নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে হবে। কোন প্রকার ভয়-ভীতি চাপ লোভ বা প্রলোভনের কাছে আপনারা নতি স্বীকার করবেন না। নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সাহসিকতার সঙ্গে আপনারা দায়িত্ব পালন করুন। অনেক অপ্রত্যাশিত সমস্যা আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারে, আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে আপনাদের তা মোকাবেলা করতে হবে।

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদত হোসেন চৌধুরী এবং কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

   

চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় ভোট কাল, নিরাপত্তায় আড়াই হাজার পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও রাউজানে সবকটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় বাকি তিনটি উপজেলায় আগামীকাল মঙ্গলবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ কাজ করবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলবে। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে ১৯ মে মধ্যরাতে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন। নির্বাচনে তিন উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৪৩টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা দুই হাজার ৯৯৬টি। ভোটগ্রহণে ৯ হাজার ৬৭৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব উপজেলায় ২ প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ, র‌্যাব এবং আনসার সদস্যরা রয়েছেন।

এদিকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই ভোট গ্রহণ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। তিন উপজেলার ৫ থানায় মোতায়েন করা হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রত্যেকটিতে উপজেলায় ৪ জন করে সিনিয়র অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া মোট আড়াই হাজার পুলিশ মাঠে রয়েছে। রোববার মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আজকে কেন্দ্রে চলে গেছে। এর বাইরেও আমরা থানায় রিজার্ভ রেখেছি। কোনো সমস্যা হলে তারা সাথে সাথে সেই কেন্দ্রে যাবে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এখন আমরা বলি না। তিন উপজেলায় কিছু কেন্দ্রকে আমরা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। সেগুলোতে সেভাবে ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এখনো।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে ২ হাজার ৯৪৫ জন। এর মধ্যে আনসার ২ হাজার ৩৬ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার থাকবে ১০ জন, পুলিশ সদস্য থাকবে (ফটিকছড়ি ও ভূজপুরে ৭৬৯, র‌্যাব থাকবে ২০ জন এবং বিজিবি সদস্য থাকবে ১১০ জন। এছাড়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন ২৬ জন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হাটহাজারীর সবগুলো কেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ৭২৯জন আনসার মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পুরো উপজেলায় দায়িত্ব থাকবেন ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তিন উপজেলায় মোট ৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনকালে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অন্যান্য অপরাধ রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবেন। এর মধ্যে ফটিকছড়িতে ২৬ জন, হাটহাজারীতে ১৭ ও রাঙ্গুনিয়ায় ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন।

এদিকে সোমবার সকালে নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তবে দুর্গম কেন্দ্রগুলো ছাড়া সব ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হবে ভোটের দিন সকালে।

;

ঘরের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ, পকেটে চিরকুট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ার একটি টিনশেড ভাড়া ঘরের বিছানায় পড়ে ছিল স্ত্রীর আর ঘরের সিলিংয়ে ঝুলছিল স্বামীর নিথর দেহ। একই ঘরে স্বামী স্ত্রীর এমন মৃত্যুতে বিস্মিত এলাকাবাসী। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে নিজেও গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী। নিহত স্বামীর শার্টের পকেটে একটি চিরকুট পেয়েছে পুলিশ। সেই চিরকুটে স্ত্রীর বড় বোনকে দায়ী করে নিজের কষ্টের কথা লিখেছেন তিনি।

সোমবার (২০ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিরকুটের কথা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে বিকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর ইউসুফ মার্কেট এলাকার রেজাউল করিমের মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, পটুয়াখালী সদর থানার লোহালিয়া ইউনিয়নের হাকিম আলী হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন হাওলাদার এবং বরিশালের আমতলী থানার সোবহান মৃধার মেয়ে মনি ওরফে মনিরা।

বুক পকেটে রাখা চিরকুটে রুহুল আমিন লিখেছেন, ‘‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি মো রুহুল আমিন, থানা পটুয়াখালী ও জেলা পটুয়াখালী। অতি কষ্টের সাথে জানাই- আমতলি নিবাসী ও বাওনা গ্রাম মো. ছোবাহান মৃধার ছোট মেয়ে মনিরার সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের বয়স ৭ মাস। বিয়ের রাত থেকে মনিরার ফোনে ফোন আসতে থাকে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জানতে পারি ডিসার সুয়েটারে মনিরা ও তার বড় বোন ফাহিমা চাকুরি অবস্থায় বিভিন্ন ছেলের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় দুই বোন। আমি বাঁধা দিলে তার বোন ফাহিমা বাসায় ডেকে নিয়ে আমাকে ভয় দেখায় যে এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তোকে মেরে ফেলব। ফাহিমার স্বামীও জেনে ফাহিমাকে ছেড়ে দিয়েছে। তারা অনৈতিক কাজ করে টাকা কামাই করে, চাকুরি তাদের শো। এবং আমাকে ভয় দেখিয়ে ইউসুফ মার্কেট কাপড়ের দোকান দিতে বাধ্য করায় সেখানে আমার ছয় লক্ষ টাকা নষ্ট করে। আর আমাকে ভয় দেখিয়ে দুই বোন অনৈতিক কাজ করে পরে আমি জানতে পারি মনিরার আরও ২ টা বিয়ে হয়েছে, সেখান থেকে মনিরার ছাড়াছাড়ি হয়। তা আমার কাছে গোপন রাখে, পরে আমি জানতে পারি। ফাহিমার কাছে আমি ২,৫০,০০০ টাকা ধার হিসেবে পাওনা আছি। টাকা চাইতে গেলে আমাকে বাসায় ডেকে নিয়ে অপমান করে এবং তার বোনকে আটকিয়ে রাখে। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী ফাহিমা, ফাহিমা।

ইতি, মৃত্যু পথের পথিক। আমাকে সবাই ক্ষমা করে দিবেন।’’


প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘরের দরজার সামনে গ্রিলের আরেকটি গেট ছিল। ঘরের দরজা খোলা থাকলেও গ্রিলে তালা লাগানো ছিল। বাইরে থেকে ডেকেও কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে গ্রিলের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে পুলিশ। পরে সেই ঘর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাড়ির মালিক রেহানা আক্তার জানান, সকাল থেকে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে দেখি বিছানায় মনির মরদেহ পড়ে আছে এবং সিলিং এর সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে রুহুল আমিন।

আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে স্ত্রীকে হত্যা করেই আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। স্বামীর বুক পকেট থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।

;

পতেঙ্গা সি-বিচ এলাকাকে গড়ে তোলা হবে বিশ্বমানের পর্যটন জোন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের অন্যতম দর্শনীয় স্থান পঙ্গেতা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যকে পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। নগরীর ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক থেকে পতেঙ্গা সি-বিচ পর্যন্ত পুরো এলাকাটিকে বিশ্বমানের পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি।

সোমবার (২০ মে) সকালে ১১টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা পরিদর্শনে যান বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সংশ্লিষ্টরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক। তারা সৈকত এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির এসব পরিকল্পনার কথা জানান।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান বলেন, পতেঙ্গা সি-বিচকে দৃষ্টিনন্দন করতে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কর্তৃক নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা। পর্যটকদের সমুদ্রের সৌন্দর্য আকৃষ্ট করতে বিচের দোকানগুলোকে সী সাইড থেকে সরিয়ে কান্ট্রি সাইডে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি দেয়া নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী স্থানান্তর করাসহ পতেঙ্গাকে পর্যটক বান্ধব জোন হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ডিসি পার্ক থেকে পতেঙ্গা সি-বিচ পর্যন্ত পুরো এলাকাটিকে বিশ্বমানের পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের সুবিধা সম্বলিত অবকাঠামো নির্মাণ, সৈকতের দোকানসমূহ সুশৃঙ্খল ও পুনর্বাসন করা, টয়লেট, শৌচাগার, চেন্জিং রুম ও কাফেটেরিয়া নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ, ফটোগ্রাফারসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীদের সংখ্যা নির্দিষ্টকরণ, সাময়িক পরিচয়পত্র প্রদান, সেবা মূল্য নির্ধারণ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য টুরিস্ট পুলিশের অফিস নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনয়ন করা হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এটা পুনবার্সন না, স্থানান্তর। প্রাথমিক পর্যায়ে সৈকতের মুখে যারা ব্যবসা করছে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে রাস্তার অন্যপাশে স্থানান্তর করা হবে। সৈকতের মুখে এমন ব্যবসায়ী আছেন ৩২ জন। তবে পর্যায়ক্রমে সব ব্যবসায়ীকে সৈকতের আশপাশ থেকে তুলে রাস্তার অন্যপাশে স্থানান্তর করা হবে।

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকরা আসে। কিন্তু অবৈধ দোকানপাটের কারণে বিচের সৌন্দর্য দেখা যায় না। তাই বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমুদ্র পাড় থেকে দোকানগুলোকে তুলে কান্ট্রি সাইডে স্থানান্তর করতে হবে। প্রতিটি দোকানের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাপ ও ডিজাইন দিয়ে দোকান নির্মাণ করা। বিচের সামনে যারা বিভিন্ন দোকান করে ব্যবসা করছে, তাদের তালিকা করছি আমরা। সেই তালিকা অনুযায়ী দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে।

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে হজ যাত্রীদের জন্য তথ্য কর্ণার চালু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বহিঃগমন লাউঞ্জে হজ যাত্রীদের জন্য তথ্য কর্ণার চালু করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখা। কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বুথ’ নামে এই তথ্য কর্ণার স্থাপন করে সংগঠনটি।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বহিঃগমন লাউঞ্চে এক অনারম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বুথ এবং প্রকাশনা বই হস্তান্তর করা হয়।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দের হাত থেকে বুথ ও প্রকাশনাসমূহ বুঝে নেন হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কর্মকর্তা গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ (পিএসসি)।

এসময় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক জসীম উদ্দীন ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি আসাদ খান, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান উপস্থিত থেকে বুথ ও প্রকাশনাসমূহ হস্তান্তর করেন।

এসময় বিমানবন্দরের হজ্জ টাস্ক ফোর্সের সভাপতি আবু মোহাম্মদ ওমর শরীফ, সহকারী পরিচালক বাহারুল হায়াত বিপুল এবং প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মূলত পবিত্র হজ যাত্রীদের মাঝে হজ ও ওমরাহ্ সম্পর্কিত সকল তথ্যসমৃদ্ধ প্রকাশনা হাজীগণ এই কর্ণার থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিতে পারবেন। হজ ও ওমরাহ্ সংক্রান্ত সকল তথ্য ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে এই গাইডে। এসময় বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীর মাঝে হজ ও ওমরাহ্ গাইড বিতরণ করা হয়।

;