টেন্ডার ছাড়াই ইউপি চেয়ারম্যানের গাছ বিক্রি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪

ছবিঃ বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরে  বোচাগঞ্জ উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই বিপুল পরিমাণ ফলজ ও বনজ কেটে বিক্রির অভিযোগ  সত্যতা খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।

শনিবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের  মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে দিনাজপুর দুদক-এর সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশের নেতৃত্বে একটি টিম বোচাগঞ্জ উপজেলায় আজ আকস্মিক এ অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় ।

দুদক গোয়েন্দা দল দেখতে পায়,বোঁচাগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তার দুই পাশের গাছ কাটার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ঠিকাদারকে কাজের অনুমতি দেন এবং ঠিকাদার থেকে পাওয়া অর্থ ইউনিয়ন পরিষদ ব্যাংক হিসাবে যথানিয়মে জমা করা হয়নি। এছাড়াও রেকর্ডভিত্তিক বিক্রিত গাছের চেয়ে কাটা গাছের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি পাওয়া যায়। এ প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩০০০ গাছ কাটা হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষেরও অধিক।

 

   

ফাঁকা রাজধানীতে শুধু হাসপাতালের সামনে ভিড়



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ উৎসব পালন করতে মেগাসিটি ঢাকার বেশিরভাগ বাসিন্দারা গ্রামে ফিরে গেছেন। এ কারণে নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গলির সড়কগুলোও প্রায় খাঁ খাঁ করছে। মুহূর্তেই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোন সিগন্যালে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়ছে না। অন্য সময়ে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি গণপরিবহন গিজগিজ করলেও ঈদের আগের দিনে মাঝে মধ্যে দু’চারটি বাসের দেখা মিলছে।

তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যায় হাসপাতালগুলোর সামনে। ধানমন্ডিতে পপুলার মেডিকেল কলেজ, গ্রিন রোডে অবস্থিত ল্যাবএইড হাসপাতাল, গ্রিন লাইফ হাসপাতালের সামনে রাস্তার উপর অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘ সারির পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। যা নগরীর আর কোনো সড়কে দেখা যায় নি।

রোববার (১৬ জুন) অনেকেই রাজধানী ছেড়েছেন। যে কারণে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ ও রেল স্টেশন কমলাপুর ও বিমানবন্দরে কিছুটা যাত্রীর চাপ দেখা গেছে।

রাজধানীতে মধ্যম আয়ের লোকদের শপিংয়ের অন্যতম গন্তব্য নিউ মার্কেটও ক্রেতা শূন্য। অনেকেই দোকান খুলে বসে থাকলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। ফাঁকা সড়কের মধ্যে, মাঝে মধ্যে দু’চারজন ক্রেতা হাজির হচ্ছেন। যে কারণে দুপুরের পর কিছু দোকানি বন্ধ করে দিয়েছেন।


কাপড়ের দোকানে ক্রেতার সমাগম না থাকলেও জুতার দোকানে কিছুটা ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে। রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও বাটা সিগন্যাল এলাকায় কিছুটা সরব দেখা গেছে। অনেকেই ঘুরে দেখছেন নতুন কোনো ডিজাইন এসেছে কিনা। তবে ক্রেতার তালিকায় তরুণদের আধিক্য লক্ষণীয়। অনেকে বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন জুতা কিনতে।

মিরপুর রোড, রোকেয়া সরণি, বিজয় সরণি, প্রগতী সরণি ঘুরে তেমন লোক সমাগম দেখা যায় নি। 

গলি ও মহল্লার প্রশস্ত সড়কগুলোকে শোভা পাচ্ছে অস্থায়ী বিশাল বিশাল সেড। যেখানে কোরবানির পশু এনে রাখা হয়েছে। কিছু লোকজন কোরবানির পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত, আর ছোট শিশুরা মেতে উঠেছেন ভিডিও এবং সেলফি তোলায়।

অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পাড়ায় মহল্লায় ঘুরছে গরু ছাড়লের খাবার নিয়ে। তাদের কারো ভ্যানে কাঁঠাল পাতা, কোনো ভ্যানে খড় ও ঘাস শোভা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে পুরো উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে রাজধানীজুড়ে। আকাশ মেঘলা থাকায় রাজধানীর তাপমাত্রা কয়েকদিন তুলনায় অনেকটা কম। তাই ফাঁকা রাস্তায় ব্যাটবল হাতে নেমেছেন শিশুরা।

;

ঈদ বাজারেও গাইবান্ধায় জুয়েলারি ব্যবসায় মন্দা



মাসুম বিল্লাহ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদের বাজারেও ভালো নেই গাইবান্ধার জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছর ব্যবসা যেমনই যাক না কেন মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুই ঈদ এবং হিন্দুদের পূজা-পার্বণে তাদের ব্যবসা বেশ ভালো হতো।

কিন্তু গেল বছর থেকেই দেশের বাজারে স্বর্ণের ভরি লাখ টাকার ওপরে। সোনার দাম তো কমছেই না, বরং বাড়ছেই। সময়ে সময়ে এই ধাতুর দাম এক টাকা কমলে তো বাড়ে দুই টাকা! ফলে সোনার চলমান এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে কোনো ভাবেই সুবিধা করতে পারছেন না গাইবান্ধার ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ সময় ধরে এই মন্দার বাজারে টিকতে না পেরে গেল দেড় বছরে জেলায় ব্যবসা ছেড়েছেন অন্তত ৪০ জন জুয়েলার্স ব্যবসায়ী। এছাড়া পেশাও বদল করেছেন অনেক কারিগর। যারা টিকে আছেন তারাও রয়েছেন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স আ্যসোসিয়েশনের (বাজুস) সর্বশেষ (১১ জুন-২০২৪) নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী দেশের বাজারে এখন ভালো মানের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের মূল্য ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩৬ টাকা। আর নিম্নমানের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের বর্তমান বাজার মূল্য ৯৫ হাজার ৬৯১ টাকা।

জুয়েলার্স ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট, স্বর্ণের বাজারের ঊর্ধ্বগতি আর বড় বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে আজ দেশের জুয়েলারি ব্যবসার করুণ অবস্থা। যার ফল স্বরূপ এক দিকে ধনাট্য ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে লাভবান হচ্ছেন। অন্যদিকে, এর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এই পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া যারা মাঝামাঝিতে রয়েছেন তারা পড়ছেন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।


এছাড়া একাধিক জুয়েলার্স ব্যবসায়ী বলছেন, মফস্বল এলাকায় স্বর্ণ ক্রয়ের সব চেয়ে বড় অংশই হচ্ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে অস্বাভাবিকভাবে স্বর্ণের দাম বাড়তে শুরু করলে স্বর্ণ ক্রয় তাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে যায়। ফলে স্বর্ণের বাজার উর্ধ্বকালের শুরু থেকেই বিশেষ করে মফস্বলে জুয়েলারি ব্যবসায় মন্দা কাটছেইনা। তবে, তারা জানান দেশের অভিজাত এলাকার জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা মোটামুটি ব্যবসা করলেও অন্যদের অবস্থা খুবই খারাপ।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে সরেজমিনে গাইবান্ধার পুরাতন বাজার সংলগ্ন সব চেয়ে বড় স্বর্ণের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দুই-একটি দোকানে কারিগররা কাজ করলেও বেশিরভাগ দোকানের কারিগররা কাজ করছেন সাধারণ দিনের মতই। কেউ কেউ অলস সময় পার করছেন। আবার কাউকে মোবাইল চেপে সময় পার করতেও দেখা গেছে।

এ সময় শ্যামা জুয়েলার্সে আসা শারমিন জাহান নামের এক স্বর্ণ ক্রেতা বলেন, ‘আমার ভাতিজিকে আমি একটি স্বর্ণের চেইন গিফট করতাম। কিন্তু স্বর্ণের দাম অনেক বেড়ে গেছে, যা এখন আমার সাধ্যের বাইরে। আমি এখন তাকে কানের রিং দেবো। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দাম বৃদ্ধির কারণে দিতে পারছি না।

শ্যামা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মানিক কুমার মল্লিক বলেন, ‘দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং স্বর্ণের ঊর্ধ্বগতির কারণে চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আমাদের জুয়েলারি ব্যবসা। গাইবান্ধায় আমাদের কাস্টমার (ক্রেতা) বলতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। কিন্তু বর্তমান সময়ে স্বর্ণের দামের উর্ধ্বগতির কারণে ক্রয় ক্ষমতা তাদের বাইরে চলে গেছে। এর প্রধান কারণ দেশের অর্থনৈতিক সংকট।

তিনি আরও বলেন, অল্প কিছুদিন আগেও মানুষ বিয়ে শাদি কিংবা জন্মদিনের উপহার হিসেবে সোনার আংটি, কানের দুল কিংবা চেইন দিতেন। কিন্তু এখন সোনার উপহারের বদলে নগদ অর্থ দেন। কারণ স্বর্ণের দাম তাদের নাগালের বাইরেই বলা যায়। বিশেষ প্রয়োজন এবং বাধ্য হওয়া ছাড়া বিলাসিতা বা শখ পূরণের জন্য তারা আর স্বর্ণ ক্রয় করছেন না।

এ সময় ওই বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়েলার্স ব্যবসায়ী বলেন, ‘বর্তমান দেশের ধনাঢ্য শ্রেণির স্বর্ণ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের মতো মধ্য শ্রেণির জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা চরম সংকটের মধ্যে আছি। এই সিন্ডিকেটের কারণেই অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আজ ব্যবসা ছেড়েছেন। অনেক কারিগর পেশা বদল করে অটোরিকশা চালাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সঞ্জু মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সারা দেশেই স্বর্ণের ব্যবসার একই অবস্থা। এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সাথে সম্পর্ক যুক্ত। গাইবান্ধা জেলায় ৩০০ জুয়েলার্স ব্যবসায়ী রয়েছে। সংকটের কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা ছেড়েছেন। পেশাও বদল করেছেন অনেক কারিগর।

;

লঞ্চের ডেক থেকে কেবিন সবখানে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনালের প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। দক্ষিণ অঞ্চলের প্রতিটি লঞ্চের ডেক থেকে কেবিন সব জায়গায় যাত্রীতে পরিপূর্ণ।

রোববার (১৬ জুন) বিকেলে ঢাকা সদরঘাট টার্মিনাল ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। প্রতিটি লঞ্চ ছাড়ার আগেই যাত্রীতে উপচেপড়া ভিড়।

বরগুনার উদ্দেশ্য বিকাল ৫টায় ছেড়ে যাবে সুন্দরবন-৭। বিকাল ৪টায় লঞ্চ ঘুরে দেখা যায় এই লঞ্চের সব কেবিন ও শোভন চেয়ার বিক্রি হয়ে গেছে। লঞ্চের ডেকগুলো যাত্রী ভরে গিয়েছে। ডেকের যাত্রীরা যেভাবে পারছে ওই বিছানা চাদর কেউ মাদুর দিয়ে দখল করে নিয়েছে।

লঞ্চটির টিকেট মাষ্টার শরীফ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর থেকে লঞ্চটি ডেক ও শোভন চেয়ার যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। কেবিন গুলো সাত দিন আগে বিক্রি হয়ে গেছে।

পুরান ঢাকার জুতার ব্যবসায়ী হারুন মিয়া পরিবারসহ মাদুর দিয়ে ডেকে বসে আছেন। বার্তা২৪. কমকে তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে তীব্র গরমের মধ্য গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। ডেকে সিট পাবো কিনা এই জন্য দুপুরে পরিবার নিয়ে লঞ্চে অপেক্ষা করছি।

একই লঞ্চে ডেকে বিছানা চাদর দিয়ে সাত সদস্যর পরিবার নিয়ে বসে আছেন বেসরকারি স্কুল শিক্ষক আবু কালাম। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, গত একবছর পদ্দা সেতু হয়ে বাড়ি গিয়েছি। বাসে বাচ্চাদের কষ্ট হওয়ায় একটু স্বাচ্ছন্দে যাওয়ার জন্যই যাচ্ছি। ভাবছি লঞ্চে ভিড় কম হবে, এখন দেখছি মানুষের অভাব নেই।

সুন্দরবন-৭ এর মত ঘাটে বরিশালের প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। তবে এবারের ঈদ যাত্রায় কোন যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেনি। যাত্রীদের নিরাপত্তায় ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিটিএ স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার রয়েছে।

;

ময়মনসিংহে কখন কোথায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে প্রায় আড়াই হাজার স্থানে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে সকাল ৭.৩০টা বাজে। জামাতে ইমামতি করবেন আঞ্জুমান ঈদগাহ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতী আবদুল্লাহ আল মামুন। একই মাঠে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে টায় ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান ।

রবিবার (১৬ জুলাই) ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো.আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়, আকুয়া মাদানী নূর মার্কাজ মসজিদ মাঠে সকাল ৭টায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, বলাশপুর ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, সুহিলা বুধ বাড়িয়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় এগুলোসহ সদরে আরও ১৬ টি স্থানে বড় পরিসরে এবং অনেক জায়গায় ছোট পরিসরে অনেকগুলো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জেলার উপজেলার মধ্যে মুক্তাগাছা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টা,মুক্তাগাছা বড় মসজিদ ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টা, গফরগাঁও পুরাতন বাসস্টেশন বায়তুন নূর জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টা,ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯ টায়, রেলস্টেশন মসজিদ ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টা, ঈমামবাড়ী ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়,ভালুকা বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টা ভালুকা উপজেলা পরিষদ ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়,ভালুকায় সরকারি কলেজ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টা, কাচিনা কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে সকাল সাড়ে ৮টা, ত্রিশাল পৌরসভা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টা,আলহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১০টা, ফুলবাড়িয়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সকাল ৮টা,কৈয়ারচালা ভালুকজান চাঁদপুর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়, তারাকান্দা উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সকাল ৯টায়, তারাকান্দা ঈদগাহ মাঠ সকাল সাড়ে ৯টায়, ফুলপুর ভাইটকান্দি ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টা, বালিয়া মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, গৌরিপুর পূর্ব দাপুনিয়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টা, শান্তিবাগ সরকারি কলেজ মাঠে সকাল ৯টা, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টা,ঈশ্বরগঞ্জ বড় মসজিদ ঈদগাহ মাঠে সকালে সাড়ে ১০টা, নান্দাইল উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সাড়ে ১০টায়, নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আর্দশ ডিগ্রী কলেজ মাঠে সকাল ১০টা, হালুয়াঘাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকালে সাড়ে ৯টায়, মারজাকুড়া ঐতিহাসিক ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় এবং ধোবাউড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সকাল ৯টায়, মোহাম্মদিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টা জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও জেলার অর্ধশতাধিক স্থানে বড় পরিসরে আড়াই হাজার স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামিক ফাউণ্ডেশন ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো.আব্দুর রাজ্জাক বলেন সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে । আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঈদের জামাত হবে মাঠে। অন্যথায় আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে নামাজ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার, মাছুম আহম্মদ ভূঞা বলেন বড় বড় ঈদগাহ মাঠ গুলোর নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে ।

;