বাংলাদেশে মাংস রফতানি করতে চায় ব্রাজিল



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্রাজিলিয়ান গরু/ ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলিয়ান গরু/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে গরুর মাংস ও গাভী আমদানির প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জুয়াও তাবাজারা ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র। মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সঙ্গে মতবিনিময় ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশে পশুসম্পদ ও আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ উন্নত জাতের দুধেল গাভী ও গরু আমদানির ব্যাপারে মতবিনিময় করে দুই পক্ষ।

রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবে প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু দেশের জাতীয় নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিশ্বের অপর কোনো দেশ থেকে মাংসের বাণিজ্যিক আমদানি নিষিদ্ধ আছে। তবে ভিয়েনা কনভেনশন ও কূটনৈতিক নীতির আওতায় বিদেশিদের জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলে আনা সীমিত পরিমাণ মাংস এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বে না।’

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের পশুসম্পদের উন্নয়নে ব্রাজিলের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চাওয়া হয়। এতে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত আশ্বাস দেন। একপর্যায়ে বাংলাদেশ এদেশের পশুসম্পদের উন্নয়নে ব্রাজিলের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব আহ্বান করে এবং রাষ্ট্রদূত তাতেও সম্মতি দেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন তাদের দূতাবাসের উপ-প্রধান জুলিও সিজার সিলভা। বাংলাদেশের পক্ষে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, যুগ্মসচিব এ কে এম মুনুরুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।

   

গণতন্ত্রের মূল হলো স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা: প্রধান বিচারপতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের মূল উপাদান হলো স্বাধীন ও কার্যকর বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

শনিবার (১ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ময়মনসিংহ টাউন হলের অ্যাড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, মানুষ হিসেবে আমার প্রত্যাশা থাকবে আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সৎ থাকবেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালতকে সহায়তা করুন। মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। বিচারকদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রভাব এড়িয়ে চলুন। আইনের বিধিবিধান ও বিচারকার্যের রায়ের প্রতি সম্মান রাখুন।

তিনি বলেন, আমাদের বিচারব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে এবং সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে একটি দীর্ঘমেয়াদি জুডিসিয়াল প্লান তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের বিচারবিভাগ ও বার কাউন্সিলের অনেকবার আলোচনা সভা ও বৈঠক হয়েছে। অতীতের মত নিয়মিত তদারকির মধ্য দিয়ে আমরা ধাপে ধাপে সব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠবো বলে আমার বিশ্বাস।

প্রধান বিচারপতি তরুণ আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যতে একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী হতে হলে লেখাপড়া ও গবেষণার বিকল্প নেই। আপনারা অনেক মেধাবী। মেধাকে কাজে লাগিয়ে এবং পরিশ্রম ও সততার সাথে সামনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিজ্ঞ জজ মমতাজ বেগম, ময়মনসিংহ বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মো. জহিরুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ও ময়মনসিংহ বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান, ময়মনসিংহ বারের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন ভূঁইয়াসহ প্রমুখ।

;

সংঘবদ্ধ ধর্ষণে গৃহবধূর বিষপান করে মৃত্যু, গ্রেফতার দুই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়ের নামে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিচার চেয়েও না পেয়ে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী বিষপান করেন। এতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ স্বামী বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন।

গত শুক্রবার (২৪ মে) ওই দম্পতি বিষপান করেন। ৫ দিন ধরে ‘বিষক্রিয়ার’ সাথে লড়াই শেষে বুধবার (২৯ মে) দুপুরে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম আশা বেগম। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩০)। তাদের ঘরে তিন বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের হলপাড়া গ্রামের আবুসামার ছেলে জয়নাল মিয়া এবং তার সহযোগী কারিগর পাড়ার শুক্কুর কসাই, ডাকাত পাড়ার আলম কসাই ও টাঙ্গাইল পাড়ার সোলেমান।

ঘটনার সাত দিন পর গত শুক্রবার (৩১ মে) রাতে রাজিবপুর থানায় নিহত নারীর মামা মো. আকবর হোসেন ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলা দায়ের করলে শনিবার (১ জুন) রাতেই জামালপুর জেলার দেয়ানগঞ্জ থানা থেকে প্রধান আসামি জয়নাল কসাই ও তার সহযোগী আলম কসাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশিকুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিষপানে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া গৃহবধূর মামা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। আসামিরা হলো- জয়নাল আবেদীন, শুক্কুর আলী, আলম হোসেন এবং সোলায়মান। তারা সবাই পেশায় কসাই। রাজিবপুরের বিভিন্ন বাজারে তাদের মাংসের দোকান রয়েছে। তাদের মধ্যে জয়নাল পাওনা টাকা আদায়ের নামে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও করে ওই গৃহবধূকে জিম্মি করে। এরপর অপর সহযোগীদের নিয়ে দিনের পর দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। গত রমজান মাস থেকে ওই গৃহবধূর ওপর এই পাশবিক নির্যাতন চলতে থাকে। স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার না পেয়ে ক্ষোভ-অভিমানে গৃহবধূ ও তার স্বামী প্রকাশ্যে বিষপান করেন। চার দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে অর্থ সংকটে বাড়ি ফেরেন তারা। বুধবার (২৯ মে) বাড়িতেই মারা যান ওই গৃহবধূ।

মৃত্যুর আগে গত ২২ মে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে দেওয়া ওই গৃহবধূর জবানবন্দির একটি অডিও রেকর্ডে পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে। লোমহর্ষক বর্ণনায় উঠে এসেছে কীভাবে জয়নাল ও সহযোগীরা দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করেছে।

বর্ণনায় ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তার বাবা নেই। মা গৃহকর্মীর কাজে বিদেশে গেছেন। স্বামী টাঙ্গাইলে শ্রমিকের কাজ করেন। স্বামীর ধার করা পাওনা টাকা দিতে না পারায় স্থানীয় জয়নাল মিয়া গত রমজান মাসের শুরু থেকে তাকে ধর্ষণ শুরু করেন। পরে তার সহযোগী শুক্কুর কসাই ও সোলেমানসহ তাকে দিনের পর দিন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এই নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি বাধ্য হয়ে তার স্বামীকে বিস্তারিত ঘটনা জানান। পরের দিন সকালে নিহত গৃহবধু ও তার স্বামী জাহাংগীর রাজিবপুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সদস্য রবিউল তাদের উচিত বিচার করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়ে থানা থেকে ফিরিয়ে দেন। রাতে পুলিশ সদস্য রবিউলের উপস্থিতিতে স্থানীয় মাতব্বরদের নিয়ে বিচারে শুক্কুর, সোলেমান ও জয়নালকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবার সেই টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

ওই গৃবধূর স্বামী বলেন, 'আমি টাঙ্গাইল থেকে ফিরে দেখি বউয়ের শরীর ভাইঙ্গা গেছে। আমি জিজ্ঞেস করলে সে শুধু কান্নাকাটি করে। পরে সব জানতে পারি। বিচার চাইলে তারা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। জয়নাল আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।'

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ স্থানীয়দের কাছে বিচার দিলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।

এরপর গত শুক্রবার (২৪ মে) ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী বিষপান করেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে রাজিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে জামালপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু আর্থিক সামর্থ না থাকায় এই দম্পতি বাড়িতে চলে আসেন। বুধবার বাড়িতেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নেয়।

ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ‘মামলা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্তসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এর আগে বুধবার ওই গৃহবধূ মারা যাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফনের উদ্যোগ নেয় অভিযুক্তরা। স্থানীয়দের বাধার মুখে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়। কিন্তু অভিযুক্তদের যোগসাজশে অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করেন ওসি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হলে ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে থানায় এজাহার দেন। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নথিভুক্ত করার পাশাপাশি প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

;

ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে ভূমিকম্পের ঝুঁকি: গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে ভূমিকম্পের ঝুঁকি: গণপূর্তমন্ত্রী

ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে ভূমিকম্পের ঝুঁকি: গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাতে দিন দিন ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এজন্য ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং ভূমিকম্প সহনশীল নগরায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সবাইকে একসঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সমাজের প্রত্যেক স্তরের অংশীজনকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

দ্রুত নগরায়ন, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ঝুঁকি সংবেদনশীল ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন নীতি ও কৌশলসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাটিয়ে একটি স্থায়ী ও ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ে তোলা যেতে পারে।

রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম।

এ ছাড়া গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

;

বালিয়াকান্দিতে ফেনসিডিলসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
বালিয়াকান্দিতে ফেনসিডিলসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার

বালিয়াকান্দিতে ফেনসিডিলসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা থেকে ফেনসিডিলসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর। এ সময় ৮৪ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের পাথিলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (২৪), ঝিনাইদহের মহেশপুরের চারাতলা পাড়ার মতিয়ার রহমানের ছেলে আবু সাঈদ আব্দুল্লাহ (৪৪) ও একই উপজেলার মাইল বাড়ীয়া গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে মো: খোকন মিয়া (৪২)।

শনিবার (১ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০, সিপিসি-৩ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার।

তিনি জানান, শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে র‍্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বালিয়াকান্দি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের মূল্য আনুমানিক ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

;