জাহালমের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক: আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক/ ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুদকের মামলায় টাঙ্গাইলের বাসিন্দা জাহালমের বিনা অপরাধে তিন বছর কারাভোগের ঘটনাকে দুঃখজনক নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার ( ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা এসএস. সোকো এশাকে ডাব্লিউ এর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি  মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাহালমের বিষয়ে যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। দুদক বিষয়ে যে তদন্ত কমিটি করেছে, আমি আশা করি তারা সুষ্ঠু তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করবে এবং মানুষের আস্থা আর্জন করবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটলে তড়িঘড়ি করে তার সমাধান করা হয়। বাংলাদেশ এসব ঘটনায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

   

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে ডিসি-এসপি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। 

শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান এবং পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। বিকেলে পদুয়ার বাজার এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তারা। 

এসময় জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আমরা সর্বাত্মক কাজ করছি। আমাদের ৩৮টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম মাঠে রয়েছে। ঈদের আগে যানজট আর ঈদের পরে অতিরিক্ত গতি রোধে আমরা পর্যবেক্ষণ করবো।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে আমরা সচেষ্ট আছি। যাত্রায় কেউ যেন ছিনতাই ডাকাতের কবলে না পড়ে সেজন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে মহাসড়কগুলো। আগামী দুই-তিন দিন মহাসড়কে যানবাহনের কিছুটা চাপ থাকবে। হাইওয়ে পুলিশ-জেলা পুলিশ মিলে আমরা সেটি মোকাবেলা করতে পারবো।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষ্যে হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নে ৪৪টি মোবাইল টিম, ৩৪টি পিকেট টিম, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২২টি থানায় ২২টি কুইক রেসপন্স টিম, ইন্টেলিজেন্স টিম রয়েছে। এছাড়া সরকারি এবং বেসরকারি রেকার মোতায়েন করা হয়েছে।

;

নোয়াখালীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বিএনপি নেতার মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।  

নিহত মো.আজাদ (৫০) নোয়াখালী পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন ও গোপাই এলাকার সওদাগর বাড়ির শামসুল হকের ছেলে।  

শুক্রবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাপুর টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের নোয়া কনভেনশন সেন্টার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।    

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সোনাপুর টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের নোয়া কনভেনশন সেন্টারে সংলগ্ন রহমানিয়া রাস্তার মাথায় মূল সড়কের উপর দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে একটি অন টেস্ট মোটরসাইকেল জব্দ করে সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। পরে তারা মোটরসাইকেলটি সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।  

সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ মুছা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনার পর পরই মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

মেহেরপুরে কোরবানির পশুর হাট: দিশেহারা সাধারণ ক্রেতারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের কোরবানির পশুহাটে বিগত সব হাটের হিসেব-নিকেশ বদলে দিয়েছে শুক্রবারের (১৪ জুন) হাট। বিপুল সংখ্যক গরু আমদানি আর ব্যাপক কেনাবেচায় খামারি ও ব্যাপারীরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ক্রেতারা। চড়া দামের কারণে গরু কিনতে পারেননি বেশিরভাগ ক্রেতা। 

স্থানীয় গরু ব্যাপারী সিন্দুরকৌটা গ্রামের জহুরুল ইসলাম বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরু কিনে এ হাটে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, কোরবানির হাটের শুরু থেকে গেল সোমবারের হাট পর্যন্ত প্রতিটি গরুতে ৫-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হয়েছে বেশিরভাগ ব্যাপারির। কোরবানির গরু কিনে দ্রুত বিক্রি না করলে বেশি লোকসানের আশঙ্কা থাকে। তবে আজকের (শুক্রবার) হাটে ব্যাপারীদের লাভ ভাল হয়েছে।  

মেহেরপুর জেলা এবং আশেপাশের জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুহাট গাংনীর বামন্দি নিশিপুর পশুর হাট। বিগত হাটগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক গরু আমদানি হলেও ক্রেতা ছিল কম। কেনাবেচার মন্থরগতিতে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন প্রান্তিক গরু পালনকারী ও স্থানীয় ব্যাপারীরা। তবে কোরবানির হাটের শেষের দিকে লাভ হতে পারে এমন আশায় ছিলেন তারা। যার প্রতিফলন ঘটেছে শুক্রবারের হাটে।

ব্যাপারীরা জানান, মাংস হিসাবে প্রতি মণ ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে কোরবানির গরু। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক ব্যাপারীর উপস্থিতি ছিল এই হাটে। ফলে কেনা-বেচায় অন্য যেকোনোর হাটের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছি। বিপুল সংখ্যক ট্রাক বোঝাই করে গরু কিনে নেওয়া হল বিভিন্ন জেলায়। এতে কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়েছেন স্থানীয় ব্যাপারী ও প্রান্তিক গরু পালনকারীরা। তবে বিরূপ প্রভাব পড়েছে স্থানীয়ভাবে যারা গরু কোরবানি করবেন তাদের ওপর।

গরু কিনতে আসা মেহেরপুর শহরের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন, ব্যস্ততার কারণে কোরবানির হাটের শুরুর দিনগুলোতে গরু কেনা হয়নি। কিন্তু আজকে হাটে এসে ভোগান্তিতে পড়েছি। গরুর দর যে এত চড়া হতে পারে তার ভাবনার মধ্যে ছিল না। পছন্দের সাথে দামের সামঞ্জস্যতা না থাকায় কয়েক ঘণ্টা ঘুরতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত একটি গরু কিনতে পেরেছি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। আনুমানিক সাড়ে চার মণ মাংস ধরা হয়েছে। 

ঢাকা থেকে আসা গরু ব্যাপারী আব্দুল হালিম জানান, বিগত হাটগুলোতে যে পরিমাণ গরু কেনা হয়েছিল তা দিয়ে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ঢাকার বাজারে যে পরিমাণ গরু আছে তা দিয়ে ক্রেতার চাহিদা পূরণ হবে না। এজন্য আরও গরু কেনা হচ্ছে। প্রান্তিক খামারি খাসমহল গ্রামের ছলেমান মিয়া জানান, গেল এক বছর গো খাদ্যের দর বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গরু পালনের খরচ বাড়লেও গরুর দর তেমন বাড়েনি। এজন্য দুই হাট ঘুরে তিনি গরু বিক্রি করেননি। শেষ পর্যন্ত আজকের হাটে গরু তুলে তিনি কাঙ্ক্ষিত দর পেয়েছেন। 

এদিকে কোরবানির পশু বাজারে দর স্বাভাবিক রাখাসহ হাটের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত ছিলেন জেলা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, হাটের সার্বিক বিষয় স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে প্রশাসন। 

এদিকে শুক্রবারের হাটে মাইকিং করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ঈদের আগের দিন রোববারও পশু হাট বসবে। সপ্তাহের নির্ধারিত দিন সোমবারে ঈদ হওয়ায় একদিন আগেই বসবে এবারের কোরবানির শেষ পশুহাট। 

প্রসঙ্গত, প্রান্তিক পর্যায় থেকে জেলা শহরের বাড়ি বাড়িতেও গরু পালন হচ্ছে মেহেরপুর জেলায়।  

মেহেরপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের সূত্র বলছে, এবার জেলায় মোট কোরবানি উপযুক্ত পশু ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার ৮৩৮টি। জেলার মানুষের কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ১ লাখ ৬৬৫টি পশু।

;

সংযোগ সড়কের গাছ কেটে বিপাকে গ্রামবাসী, ইউএনও'র কাছে স্মারকলিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযোগ সড়কের তিনটি ছোট গাছ কেটে চরম বিপাকে পড়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের শালমারা ও শালকী গ্রামের বাসিন্দারা। মামলা থেকে হয়রানি ও রক্ষা পেতে শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকটে স্মারকলিপি দিয়েছেন ওই দুই গ্রামের অর্ধশত ভুক্তভোগী। 

স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও কাবেরী রায়।

স্মারকলিপি ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের শালমারা ও শালকী গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবারের যাতায়াতের সুবিধার্থে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গুনপাড়া খালের ওপর ২০২২ সালে একটি কালভার্টসহ রাস্তা তৈরি করে দেয়। কালভার্টের সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখে ছোট তিনটি গাছ থাকায় সাধারণ পথচারীদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছিল। ওই গ্রামের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য মাঠ থেকে সরাসরি বাড়িতে নিতে পারছিল না। ফলে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে হোসনে আরা নামের একজন ভুক্তভোগী সংযোগ সড়কের সামনে থেকে গাছ অপসারণের জন্য ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বরে তৎকালীন ইউএনও বরাবর একটি আবেদন করেন।

সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন। ইউএনওর নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যান খাস জমির ওপর লাগানো সেই গাছ তিনটি কেটে নেওয়ার জন্য গাছের মালিক দাবিদার নারুয়া ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুর রহমান টুকুকে মৌখিক নির্দেশ দিয়ে আসে। কিন্তু আব্দুর রহমান টুকু প্রায় দুই বছর পার হয়ে গেলেও গাছগুলো কেটে নেয়নি। এরমধ্যে দুটি গাছ মরে যায়।

দীর্ঘদিনেও গাছ কেটে না নেওয়ায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে শালমারা ও শালকী গ্রামের প্রায় অর্ধশত ভুক্তভোগী গাছগুলো কেটে খালের পাশে ফেলে রাখে।

এরপরই গাছের দাবিদার আব্দুর রহমান টুকু শালমারা শালকী গ্রামের চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে রাজবাড়ী আদালতে মামলা করে দেন। মামলাটি এখন বিচারাধীন। মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৫০ জন গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন ইউএনওর কাছে। 

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী সাইদুর রহমান, ইমদাদুল হক, মো: আহসান, মো. সাঈদ শেখ, রইচ উদ্দিন প্রমুখ।

সাইদুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, তিনি একজন কৃষক। কালভার্টের সংযোগ সড়কের সামনে গাছ থাকায় তিনি কোনো ফসল ভ্যানে করে বাড়িতে নিতে পারতেন না। তার মতো প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষক ওই কালভার্টটি ব্যবহার করেন। খাস জমিতে গাছ লাগিয়ে গাছের মালিকানা দাবি করেন পাশের নারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রহমান টুকু। তাকে বারবার বলার পরও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। এমনকি একজন জনপ্রতিনিধি বলার পরও তিনি সেটা মানেননি। উপায়ন্তর না পেয়ে তারা নিজেরাই দুটি মরা মেহগনি গাছসহ একটি তালগাছ কেটে খালের পাশেই রেখে দেন। গাছ কাটার পরই তিনি গোলাম মোস্তফা গোলাপের পরামর্শে আদালতে মামলা করে দেন।

স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায় বার্তা২৪.কম-কে জানান, ঘটনাটি বিচারাধীন। আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা পেলে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বিষয়টি জানতে আব্দুর রহমান টুকুর ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দিলে তার ছেলে তানভীর রহমান রিসিভ করেন। তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, মামলার আসামিগণসহ গ্রামের বেশ কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক তাদেরকে না জানিয়েই ইলেকট্রনিক করাত দিয়ে তিনটি গাছ কেটে ফেলেন। এর আগে তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছ কাটার লিখিত কোনো নির্দেশ পাননি।

গাছগুলো খাস জমিতে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তাদের বাড়ির সামনে প্রবাহিত খালের পাড়ে গাছগুলো। যার যার বাড়ির সামনের খালের জায়গা তারা তারা ব্যবহার করে থাকেন। সেই হিসেবে গাছগুলো তাদের। খাস জমির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

;