টাকার লোভে নির্দোষ ব্যক্তিকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
নিরপারাধ হয়েও গ্রেফতার। টাকা দিয়েও মুক্তি মেলেনি, উল্টো রিমান্ডে সয়েছেন নির্যাতন। সম্মান বাঁচাতে পরিবারের কাকুতি-মিনতি, আহাজারি, যুক্তি, প্রমাণ কিছুই কাজে আসেনি। গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি করে আদালতে তুলে চাওয়া হয় রিমান্ড। আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদের নামে চলে অমানুষিক নির্যাতন। তখনও ছিল একই আহাজারি- আমি নির্দোষ। কে শোনে কার কথা। রিমান্ড শেষে জেল হাজতে। দীর্ঘ সময় পর জামিন। কথাগুলো বলছিলেন ধর্ষক না হয়েও পুলিশের কারসাজিতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হওয়া সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী রাজ্জাক সিকদার। অভিযোগ উঠেছে, টাকা হাতিয়ে নিতে ও কম সময়ে নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপরাধ রাজাজ্জক সিকদারকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, আশুলিয়ার আউকপাড়া গ্রামে রাজ্জাক নামে দুই ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের একজন রাজ্জাক সিকদার। রাজনীতিতে জড়িত বলে এলাকাবাসীর কাছে তিনি মন্ত্রী রাজ্জাক নামে পরিচিতি। অপরজন হোটেল ব্যবসা করেন বলে তাকে হোটেল রাজ্জাক নামে ডাকেন পরিচিতজনেরা। কথা আছে, নামে নামে জমে টানে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শামীম হাসানের ঘৃণ্য কৌশলের শিকার হয়ে সেই জমের নাগাল পান মন্ত্রীখ্যাত নিরাপরাধ রাজ্জাক। প্রত্যেক্ষদর্শী ও সাক্ষীদের বক্তব্য উপেক্ষা করে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত হোটেল রাজ্জাককে বাদ দিয়ে তিনি গ্রেফতার করেন ‘মন্ত্রী’ রাজ্জাককে। তখনকার আশুলিয়ায় থাকার সেই পুলিশ কর্মকর্তা বদলি হয়ে এখন শরীয়তপুর জেলায় কর্মরত। শামীম বদলি হওয়ার পর পরিদর্শক জাহিদুল আশুলিয়ায় থানায় যোগ দিলে ওই গণধর্ষণ মামলার তদন্তভার পড়ে তার ওপর। আর তখনই বেরিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামলার অভিযোগ ও নথিপত্র ঘেটে দেখা যায়, গত বছরের ৮ আগস্ট আশুলিয়ায় দোসাইদে গণধর্ষণের শিকার হন বাউলশিল্পী এক তরুণী। এর একদিন পর অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। সেই রাতে পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তা শামীম হাসান মন্ত্রীখ্যাত রাজ্জাকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান। প্রায় ৪৪ দিন জেলহাজতে থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। আশুলিয়ার দোসাইদের আদর্শপাড়া গ্রামের ওই  বাড়িতে গণধর্ষণের শিকার বাউলশিল্পীকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার সাক্ষীরা দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া নারী সে সময় তাকে ধর্ষণের জন্য কয়েকজনের নামসহ হোটেল রাজ্জাকেই দায়ী করেছিলেন। তবু মন্ত্রী রাজ্জাকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে, মন্ত্রী রাজ্জাক গ্রেফতারের সুযোগ নেন অপরাধীর তালিকায় থাকা হোটেল রাজ্জাক। ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। তারা ভাড়া বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দোসাইদের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মন্ত্রী রাজ্জাকের টাকা-পয়সা আছে, আর হোটেল রাজ্জাক দরিদ্র। ফলে টাকা হাতিয়ে নিতেই মন্ত্রী রাজ্জাককে বলির পাঠা বানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা শামীম হাসান। এমনকি মামলার অন্য আসামিদেরও চাপ সৃষ্টি করে রাজ্জাক সিকদারকে অপরাধী হিসেবে শনাক্ত করার জন্য। ভুক্তভোগী রাজ্জাক সিকদার জানান, নিরপারাধ জেনেও সম্মান রক্ষায় টাকা দিয়ে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে আমার পরিবার। আমার বড় ছেলে জুয়েল ও বাড়ির ভাড়াটিয়া স্বপন নামে একজনকে দিয়ে গ্রেফতার হওয়ার রাতে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে দিই পরিদর্শক শামীমের হাতে। পরদিন সকালে আরও ১০ হাজার টাকা স্বপনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু রেহাই মেলেনি। উল্টো রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে। প্রায় দেড় মাস পর জামিনে বের হয়েছি। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা লজ্জায় বাড়ি বাইরে বেরুতে পারি না। নতুন তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, আমাকে অব্যহতি দেওয়া হবে। কিন্তু আমার এই অপূরণীয় ক্ষতি কি আর পূরণ হবে? এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত এবং হয়রানিমুলক ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর জন্য পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শামীম হাসানের বিচার দাবি করেন রাজ্জাক সিকদার। এ বিষয়ে রাজ্জাক সিকদারের প্রতিবেশী স্বপন জানান, শামীম স্যারের (তদন্ত কর্মকর্তা) দাবিমতো টাকা পৌঁছে দিয়েছি। তবু তিনি রাজ্জাক সিকদারকে ছাড়েননি। এ মামলার অন্য আসামি বর্তমানে জামিনে থাকা আতাউর রহমান অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের রাতে চাপ সৃষ্টি করে মন্ত্রী রাজ্জাকে শনাক্ত করতে বলেন শামীম স্যার। কিন্তু আমি রাজি হয়নি। উল্টো স্যারকে বলেছি, নিরপারাধ ব্যক্তিকে আমি শনাক্ত করতে পারবো না। প্রত্যেক্ষদর্শী ও মামলার সাক্ষী ছালেহা বেগম জানান, অসুস্থ অবস্থায় ভুক্তভোগী নারীকে যখন উদ্ধার করা হয়। তখন কয়েকজনের নামের সঙ্গে হোটেল রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু পরে শুনি, নিরপারাধ মন্ত্রী রাজ্জাককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি; কিন্তু কী হলো বুঝতে পারলাম না। এছাড়া যে ঘরে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে সেখানে হোটেল রাজ্জাক বাস করত। মন্ত্রীখ্যাত রাজ্জাক এই এলাকায় আসতেন না। স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেক হোসেন ও এলাকাবাসী আতঙ্কের কথা জানিয়ে বলেন, পুলিশ যদি এভাবে তদন্ত না করে আসামি গ্রেফতার করে তাহলে আইনের প্রতি আস্থা কমে যাবে। এ ঘটনাকে আরও শক্ত করতে মমলা নামে নারীকে ভয় দেখিয়ে সেলিনা বানিয়ে আসামি করার অভিযোগ করেন একই মামলায় ভুক্তভোগী আরেক নারী। ওই নারী জানান, আমাকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে জবানবন্দি নিয়েছেন ‘শামীম স্যার’। এসব কথা বললে ছেড়ে দেবে না হলে অকথ্য নির্যাতন করবে। তাই তিনি আমাকে যা বলতে বলেছেন আমি ভয়ে তাই তাই বলেছি। এ বিষয়ে মামলার বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘আমি রাজ্জাক সিকদারকে শনাক্ত করিনি। আমি তদন্ত কর্মকর্তা শামীম স্যারকে বলিনি যে, রাজ্জাক সিকদার জড়িত আছেন।’ এ বিষয়ে বদলি হওয়া পুলিশ পরিদর্শক শামীম হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিজের সাফাই গেয়ে তিনি দাবি করেন, বাদীর শনাক্তের ভিত্তিতেই মন্ত্রী রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে যখন বলা হয়, নতুন তদন্ত কর্মকর্তা এ ধরনের কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাননি মন্ত্রী রাজ্জাকের বিরুদ্ধে, তখন শামীম হাসান আসামির তালিকা থেকে তার নাম বাদ দিতে বলেন। এ ছাড়া টাকা নেওয়ার বিষযটি অস্বীকার করেন তিনি। এ বিষয়ে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম জানান, আমার তদন্তে যেসব তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি, সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। ফলে গত ডিসেম্বরে মন্ত্রীখ্যাত রাজ্জাককে এই মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত হোটেল রাজ্জাককে মামলায় আসামির তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। আগের কর্মকর্তার তদন্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাঈদুর রহামন জানান, তদন্ত করে নিরাপারাধ ব্যক্তি মামলা থেকে বাদ দিয়ে প্রকৃত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি গাফিলতির প্রমাণ পেলে সাবেক তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
   

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পার্লামেন্টে নারী স্পিকারদের সম্মেলন লিঙ্গ সমতা আনয়ন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করার সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, এই সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম।

শুক্রবার (১৭ মে) অপরাহ্নে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অব উইমেন স্পীকার্স অব পার্লামেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৮ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকশন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকাররা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বিভিন্ন দেশের সংসদের স্পিকারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। স্পিকাররা একটি অভিন্ন প্লাটফর্মের ধারণা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন।

স্পিকার বলেন, বিগত সম্মেলন গুলোতে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপর প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে। ১৫তম নারী স্পিকারদের সম্মেলনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারীদের সার্বিক উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব মো.এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন। 

;

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐক্য ও শক্তির প্রতীক: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলে মন্তব্য করে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, এটি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।

শনিবার (১৮ মে) সকালে বরিশালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিভাগীয় সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম- গোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে। উৎসব-পার্বনে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনার অন্যতম হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই অম্লান চেতনাকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা হাটি-হাটি, পা-পা করে আজ সম্মানজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না- স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে।

পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে মো. ফরিদুল হক খান বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধি ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল প্রভৃতি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য যেন কোনভাবেই বিনষ্ট না হয়- সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে- রূপকল্প-২০৪১। এছাড়া, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আগামীদিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

স্থানীয় সরকারের পরিচালক খোন্দকার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার দাস ও দোলা গুহসহ অন্যান্য ট্রাস্টি বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পের অধীনে পুরোহিত ও সেবাইতদের নেতৃত্বদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংহত করতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পুরোহিত ও সেবাইতকে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।

;

নামাজ পড়ে ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ফজরের নামাজ পড়ে ফেরার পথে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় জুয়েল (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত জুয়েল গফরগাঁও উপজেলার উত্তর সিপান গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

শনিবার (১৮ মে) ভোরে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সিডষ্টোর উত্তর বাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সে শারমীন গ্রুপের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।

ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তালেব ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বাসা ফেরার জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ঢাকাগামী একটি অজ্ঞাত গাড়ি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তালেব বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি হস্তান্তর করা জন্য আবেদন করলে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।

;

জুজুতসু খেলোয়াড় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কোচ গ্রেফতার 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী জুজুতসু খেলোয়াড়কে জোর করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় অভিযুক্ত কোচ ও এ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম  নিউটন ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান। 

তিনি বলেন, জুজুতসু খেলোয়াড়কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু এ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এএসপি ইমরান আরও বলেন, এ বিষয় বিস্তারিত জানাতে সন্ধ্যায় কাওরান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বিস্তারিত জানাবেন।

;