সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর ফার্মগেটে সকাল থেকেই অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। তবে সে অবস্থান ছেড়ে কাওরান বাজারের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছেন তারা। এসময় আস্তে আস্তে যান চলাচলও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ৪টা ৫৪ মিনিটে ফার্মগেট থেকে অবস্থান ছেড়ে মিছিল নিয়ে কাওরান বাজারের উদ্দেশ্যে যান তারা।
এর আগে, সকাল থেকে ফার্মগেটে অবস্থান নিয়ে ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, কোটা প্রথা কবর দে’, ‘একদফা একদাবি, কোটা প্রথা তুই কবে যাবি’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’ সহ নানা স্লোগান দেন তারা।
- বাংলা ব্লকেডে স্থবির রাজধানী
- সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে ব্লকেড
- আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
- কোটাবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নাই: অ্যাটর্নি জেনারেল
- বাংলা ব্লকেডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১২ কিমি যানজট
এদিকে, শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের চলাকালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। এসময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আদালত।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এই সকাল-সন্ধ্যা বাংলা ব্লকেডে মহাখালীসহ রাজধানী ঢাকার শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, ফার্মগেট, চানখারপুল মোড়, চানখারপুল ফ্লাইওভার এ উঠার মোড়, বঙ্গবাজার, শিক্ষা চত্বর, মৎস্য ভবন, জিপিও, গুলিস্তান, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, রামপুরা ব্রিজ, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, বাংলামোটর ও আগারগাঁওয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচই জুন নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই রায় দেয়া হয়েছিল। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বুধবার দশম দিনের মত কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।