রংপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

  • আমিনুল ইসলাম জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রংপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। রংপুর জেলার ৩৫টি হাটে চলছে কোরবানির জমজমাট পশু বেচা বিক্রি। পশু ক্রয় বিক্রয় করতে আসা লোকজনের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই হাটগুলোতে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরাণীসহ একাধিক হাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

সরজমিনে একাধিক হাটে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরের পরই কোরবানির পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাট। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে যাচেছ। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারি ক্রেতা ও দালাল থাকায় স্থানীয় ক্রেতারা পছন্দমতো গরু কিনতে পাচ্ছে না। এর মাঝেও অনেক ক্রেতা তার গরু কিংবা ছাগল পছন্দ হলেই দর কষাকষি করছেন। দামে সন্তোষ হলেই বিক্রেতা পশু বিক্রি করে দিচ্ছে।

হাটে কোরবানির পশুর আমদানি হয়েছে। মোটামুটি কেনাবেচা হচ্ছে বলে, ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ৬ লাখ টাকা।

চৌধুরাণীর হাটে আসা গরু বিক্রেতা কলিম উদ্দিন বলেন, হাটগুলোতে কাঙ্খিত দামে গরু বেচা কেনা করতে না পাড়ায় অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে হাতাশার ছাপ দেখা গেছে। ক্রেতারা যে দাম বলে তাতে সন্তুষ্টি হচ্ছে না। 


হাটে গরু কিনতে আসা লোকমান আলী বলেন, গরু ক্রয় করতে এসেছি। কিন্তু দাম অনেক বেশি। বাজেটের চেয়ে দাম বেশি হওয়ায় গরু কেনা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক ঘোরা ঘুরি করছি যদি কমদামে গরু কেনা যায়। এদিকে প্রতিটি হাটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে গরু ক্রয় করতে আসছেন। স্থানীয়ভাবে লালন পালন করা গরুগুলো হাটে বেশি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশু হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইজারাদাররা। জেলার ছোট-বড় প্রায় ৩৫টি হাটে গরু ছাগল পাওয়া যায়। এসব হাট প্রতি বছর ১লা বৈশাখ উপজেলা প্রশাসন ইজারা দিয়ে থাকেন। ঈদ উপলক্ষে এসব হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদি পশু পাওয়া যায়। বেচা বিক্রিও অনেক। পছন্দের পশু ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য এবারো হাটগুলি জমে উঠেছে। কিন্তু বাঁধ সেজেছে ইজারাদারেরা। ক্রেতা বিক্রেতাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছেন তারা। একই সাথে দিতে হচ্ছে দ্বি-মুখী টোল।

পীরগাছা উপজেলার পশু ব্যবসায়ী আনছার আলী জানান, উপজেলার হাটগুলোতে প্রশাসনের তদারকি না থাকায় ইজারাদারেরা ইচ্ছামত পশুর হাটে চাঁদা আদায় করছেন। ফলে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতারা ইজারাদারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

চৌধুরাণীর হাটে গরু ক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত চাঁদার চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতা বিক্রেতাদের নিকট থেকে ইজারাদাররা।