উন্নয়নের গতি থামিয়ে রাখার সুযোগ নেই: তাজুল ইসলাম

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের অনেক ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল ছিল। উন্নয়নের মূলস্রোতে নিয়ে আসতে আমাদের শিল্পায়ন করতে হয়েছে, গড়ে তোলা হয়েছে শিল্প কারখানা। উন্নয়নের এই গতি থামিয়ে রাখার সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে গ্রান্ড বলরুমে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে বহু অংশীজনের পরামর্শ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে উপস্থিত সুধীবৃন্দের প্রতি এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বায়ু দূষণ শুধু আমাদের নিজস্ব ভৌগলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমরা যদি আমাদের নিজ ভৌগলিক সীমানা দূষণ মুক্ত করি তবুও আমাদের বায়ু দূষণমুক্ত হবে না। কারণ সারাবিশ্বে যেভাবে যুদ্ধ হচ্ছে, প্রতিনিয়ত দূষণ হচ্ছে সেগুলো বিভিন্ন উপায়ে আমাদের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তারপরও আমাদের অভ্যন্তরীণ দূষণের হার বেশি। এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ নেই। 

মন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলো কোনোরকম জবাবদিহিতা ছাড়াই অতিমাত্রায় শিল্পায়ন করে পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পুরো বিশ্বকেই উন্নত দেশগুলো দূষিত করে তাদের উন্নত অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এখন তারা উপলব্ধি করছে তাদের শিল্পায়নের ফলে পরিবেশের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা মোকাবিলা করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার জন্য আমরা সবাই কাজ করছি। কৃষিক্ষেত্রে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, শতভাগ বিদ্যুতায়ন অর্জিত হয়েছে, নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হচ্ছে।

উন্নয়নের গতির সঙ্গে পরিবেশ তথা বায়ু দূষণ রোধ জরুরি উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এজন্য নানা রকম আইন, বিধি মালা আছে। এসব আইনের যথাযথ ব্যবহার ও বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। আমাদের মনে রাখতে হবে বায়ু দূষণ রোধ করতে না পারলে আমরা সবাই ভুক্তভোগী হবো। এজন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ঠিকমতো আইন মেনে চলে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে সবার মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হলে বায়ু দূষণ রোধে আমরা অনেকটাই এগিয়ে যাবো।

পরিশেষে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে তিনি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি উপস্থিত সুধীবৃন্দের প্রতি ব্যক্তিগত পর্যায়ের উদ্যোগ গ্রহণের উদাত্ত আহবান জানান এবং কর্মশালার আয়োজক স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং বিশ্বব্যাংককে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ইম্প্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ্ প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস্ (আইইউপিএইচপিএস) প্রজেক্টের আয়োজনে উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্বে করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র মো. রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জায়েদা খাতুনসহ আরও অনেকে৷