ডেঙ্গু প্রতিরোধে ড্রোন দিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Jun/11/1718103215938.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রমনে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যু ও সংক্রামন হয়েছে। চলতি বছর তা প্রতরোধে ডিজিটাল প্রযুক্তি ড্রোনের মাধ্যমে মশার প্রজনন কেন্দ্র চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের এক সংসদ সদস্যের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এই কথা জানান মন্ত্রী। সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে রাজধানীসহ সারাদেশে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঢাকা-১৮ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে পূর্বের ন্যায় ২০২৪ সালেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন হতে বছরব্যাপী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে প্রতিদিন লার্ভিসাইডিং এবং এডাল্টিসাইডিং করা হয়। এছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর বাড়ি পরিদর্শন ও এর চারপাশে লার্ভিসাইডিং এবং এডাল্টিসাইডিং করা হয়ে থাকে। ড্রোনের মাধ্যমে মশার প্রজননক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
তিনি জানান, ডেঙ্গুর হটস্পটগুলোতে বিশেষভাবে নজরদারি করা হয়। মশক নিধন কর্মীদের নিয়মিত উপস্থিত নিশ্চিত করার জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, স্কাউট, জনপ্রতিনিধি ও ইমামগণকে সম্পৃক্ত করে বিশেষ মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এমপি শফিউল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের এডিপি'র ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের জন্য এ অর্থবছরের ৩২ কোটি এবং পৌরসভায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা খাতের আওতায় ইউনিয়নের অনগ্রসরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার জন্য ১০০ কোটি টাকা সংস্থান রাখা হয়েছে।