শাহ আমানতে ১৭ ঘণ্টা পর ফ্লাইট ওঠানামা শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় টানা ১৭ ঘণ্টা বন্ধ রাখার পর চালু হয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা।

সোমবার (২৭ মে) ভোর পাঁচটা থেকে পুনরায় যাত্রী সেবাসহ রানওয়ের কার্যক্রম শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল। তিনি বলেন, ভোর পাঁচটা থেকে বিমানবন্দরের রানওয়ের কার্যক্রম চালু হয়েছে।

এর আগে আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রামে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার দুপুর ১২টা থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে রাত আটটা পর্যন্ত এ ঘোষণা বহাল থাকবে জানালেও পরে তা সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত উন্নীত করা হয়।

   

কুষ্টিয়ায় প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আব্দুল জলিলের ইন্তেকাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুল জলিল ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)।

সোমবার (১৭ জুন) ভোর রাত সাড়ে চারটার সময় কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ মাঠে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। আব্দুল জলিল অবিভক্ত কুষ্টিয়ার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও ছিলো তার অসংখ্য স্মৃতি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। ২মেয়ে ১ ছেলে নাতী-নাতণীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এই মহান ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবী সংগঠনসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী এ্যাড. আব্দুল জলিলকে গার্ড অব অনার শেষে জানাযা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের কুটিপাড়াস্থ মডেল মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীলের উপস্থিতিতে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এই বীর যোদ্ধাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী সাংগঠনিক সম্পাদক চিকিৎসক নেতা ডা. আমিনুল হক রতন, চেম্বার নেতা বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা জাসদের সভাপতি হাজী মহসিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসময় সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের অংশগ্রহণে জানাযা শেষ করে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

গেলো বছর এগারো ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাৎকারে বার্তা২৪.কমকে কুষ্টিয়া শহরে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল বলেন, 'দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রামে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন তাদের সমাধি হিসেবে কুমারখালী, বংশীতলা, বিত্তিপাড়াসহ জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক গণকবর রয়েছে। এসব স্থানে নির্বিচারে হাজারো ব্যক্তিকে গণহত্যা করা হয়েছে।'

তবে, 'যে স্বপ্নধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করতে লাখ প্রাণের বলিদান, সেই স্বপ্নপূরণ এখনও সুদূর পরাহত।'

;

ফটিকছড়িতে পাগলা মহিষের তাণ্ডবে বৃদ্ধের মৃত্যু, আহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পালিয়ে আসা একটি পাগলা মহিষের তাণ্ডব চালিয়েছে। এসময় ঘরে ঢুকে আক্রমণের পর এক বৃদ্ধের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও একজনকে আহত করার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) রাত ৮টা দিকে উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আজিম মুন্সির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই বৃদ্ধার নাম মো. মীর আহমেদ। তিনি ওই এলাকার মৃত হামিদ আলীর ছেলে। তবে আহত অন্যজনের নাম জানা যায়নি।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সমিতিরহাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য নুরুল আলম।

তিনি বলেন, মহিষটি হঠাৎ আচমকা এসে আজিম মুন্সির বাড়ির একটা জরাজীর্ণ ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে যায়। ওই ঘরে সামনের রুমে থাকা বৃদ্ধ মীর আহমেদকে পায়। সেখানে মহিষটি তার পায়ে, বুকেসহ শরীর বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। পরে মহিষটি লোকটির মৃত্যু নিশ্চিত করে ওই ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ওখান থেকে বের হওয়ার পর মহিষটি বিভিন্ন রাস্তা ও বাড়ি হয়ে আরও এক কিলোমিটার গিয়েছে। পরে সেখানে একটি হিন্দু বাড়ির পাকা ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং ক্লান্ত হয়ে ওখানে পড়ে যায়। এরপর লোকজন মহিষটিকে ধরে জবাই করে দেয়। সেখানে আরও একজন আক্রমণের আহত হয়েছে শুনেছি। এখনো আমরা মহিষের মালিককে পাইনি। যে বাড়িতে লোক মারা গিয়েছে ওখানে আমরা মহিষটিকে নিয়ে যাচ্ছি।

'কেউ কেউ বলছে মহিষটি রাউজান বা হাটহাজারী থেকে পালিয়ে এসেছে৷ মহিষের সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে দুইজন লোক এসেছিল। যখন মানুষ মেরেছে শুনেছে, এরপর ওই দুজন পালিয়ে যায়। তবে আমরা এখন পর্যন্ত এর কোন মালিক পায়নি।'

ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়রাম্যান বলেন, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল। ওসি এবং ইউএনও'র সঙ্গে কথা বলে আমরা মরদেহটি কাল সকালে দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এবিষয়ে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. নুরুল হুদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাউজান থেকে আসা একটা পাগলা মহিষের আক্রমণে একজন লোক মারা গিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে আর কাউকে আক্রমণের খবর পাইনি।

;

নির্দেশনা অমান্য করেই ঢাকামুখী শতাধিক চামড়াবাহী ট্রাক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেই রাজধানীর অভিমুখে ছুটছে পশুর চামড়াবাহী ট্রাক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ট্রাক ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, সাভারের চামড়াশিল্প নগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) পরিশোধন ক্ষমতার মধ্যে সীমিত রাখতে কোরবানির পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে কোরবানির পশুর চামড়া ঢাকার ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

তবে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, তাদের অনেকে সরকারি নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। ব্যবসায়ীরাও তাদের কিছু জানায়নি।

বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ঈদ পরবর্তী ১০ দিন ঢাকার বাইরের পশুর কাঁচা চামড়া ঢাকায় ঢুকতে না দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে দাউদকান্দি টোল প্লাজা এলাকায় কুমিল্লা জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের টিম কাজ করছে। এক্ষেত্রে নির্দেশনা অমান্য করার সুযোগ নেই।

;

আশা দেখাচ্ছে চামড়ার দাম, দেখা নেই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসবের একটি। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে খামারি ও সাধারণ কৃষক নিজেদের পোষা গরু-ছাগল বিক্রি করে কিছু লাভের মুখ দেখেন। তেমনি এ সকল পশুর চামড়াকে কেন্দ্র দেশে গড়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম বড় চামড়া বাজার। কিন্তু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে গত কয়েক বছর চামড়া নিয়ে কেঁদেছেন শতশত মৌসুমি ব্যবসায়ী। এবার চামড়া কেনা নিয়ে সেই চেনা দৃশ্যের দেখা মেলেনি। স্থানীয় তরুণদের চামড়া কেনার তোড়জোড়ও চোখে পড়েনি।

তবে টানা কয়েক বছর ধরে চলা চামড়ার বাজারের আক্ষেপ এবার এসে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে।

সোমবার ঈদের দিন বিকেলে রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে ফিরছেন হাসিমুখে। তাদের একজন মো. আমির হোসেন।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন এক ট্রাক চামড়া নিয়ে এসেছেন পোস্তায়। এবার গরুর চামড়া বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়নি।

চামড়ার দাম কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে আমির বলেন, দাম ঠিক আছে। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিতাছে। সাইজ যেইটা ভালো, সেটা আর একটি বেশি দিতাছে।

আমির হোসেন ছাড়াও বেশ কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ীকে গরুর চামড়া বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম পেতে দেখা গেছে।

এদিকে আড়ৎদারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসা থেকেই আসছে বেশিরভাগ চামড়া। পোস্তায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চামড়াবাহী ট্রাকের বেশির ভাগই বিভিন্ন এলাকার মসজিদ মাদ্রাসার। হাতেগোনা কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী এসেছেন।

চামড়ার আকার ও অবস্থা দেখে দাম নির্ধারণ করছেন আড়ৎদাররা। সেক্ষেত্রে ছোট আকার ও কাটাছেঁড়া চামড়া কেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে মাঝারি আকারের চামড়া। বড় আকারের চামড়া কিনতে আড়ৎদাররা ৯০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত গুনছেন।

আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের ভাষ্য মতে, এই দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি।

প্রসঙ্গত, এবার সরকারিভাবেও চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে। লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

;