সিডরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। আগামী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টিপাত।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল এখনও পুরোপুরি আঘাত না হানলেও এরই মধ্যে ২০০৭ সালের সিডরে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমাল- এর মিল খুজে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালীবাসী।

রবিবার (২৬ মে) রাত ১০টার দিকে বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদক রায়হান আহমেদের দেওয়া তথ্যে এসব জানা গেছে।

রায়হান আহমেদ বলেন, দুপুরে কুয়াকাটার পরিবেশটা ছিল কখনো কখনো বৃষ্টি কখনও কখনও ঝড়ো বাতাস। দুপুরে যেহেতু জোয়ার ছিল তাই ঢেউ এবং সাগরের তান্ডব ছিল বেশি। উপকূলে ব্যপক ঢেউ আছড়ে পরছিল। পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালি। এই রাঙ্গাবালির তিনটি উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা পরিষদ থেকে বাধ্য করা হয়েছে সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে যেতে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় পানির স্রোতে একজন বোনকে উদ্ধার করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।


বর্তমানের পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রচন্ড পরিমান বাতাস হচ্ছে। বাতাসের বেগ (গতি) অনেক বেশি। বৃষ্টি হচ্ছে। মূলত ঝড়ের যে তান্ডব সেটা এখন চলছে। পটুয়াখালীতে ৭০৩টি সাইক্লোন সেন্টার এবং ২৫টি মুজিব কেল্লা থাকার পরেও সন্ধার আগ পর্যন্ত তেমন কোন লোক সাইক্লোন সেন্টারে যায়নি। সন্ধ্যার  পর থেকে মানুষ আশ্রয় সেন্টারে যাওয়া শুরু করেছে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এর আগে সব শেষ কয়েক বছরে যে ঝড়গুলো হয়েছে সেগুলেতে এতোটা তান্ডব দেখেনি কেউ। তবে ২০০৭ সালে যে সিডর হয়েছিল সেই সিডরের যে এক্টিভিটিস ছিল তার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমেলের এক্টিভিটিস সেম প্রায়।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

রোববার (২৬ মে) রাত ৮টায় রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১.২ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করে সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।


কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া সহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি / ২৪ ঘন্টা) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি / ২৪ ঘন্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. মো. শামীম হাসান ভূঁইয়া জানান, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এটি পর্যায়ক্রমে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। পুরো ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে পুরো উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানান তিনি। এ সময় পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের সম্ভবনা রয়েছে বলেও জানান।

উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ দিনের জন্য ১০ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

   

ঈদের দিন মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেলো দুই কিশোরের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে রাইস মিলের দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার দামদি গ্রামে আমিনুল ইসলামের ছেলে রনি মিয়া (১৬) ও একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আশিক (১৭)।

সোমবার (১৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ-শাহগঞ্জ সড়কের পাইবাকুঁড়ি এলাকা এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল সরকার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদের নামাজের পর রনি ও আশিক মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে ঈশ্বরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ-শাহগঞ্জ সড়কের পাইবাকুঁড়ি এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের কাদির মিলের দেয়ালে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রনির মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত আশিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আশিকের মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল সরকার বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় রনির মরদেহ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। আশিকের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

বিপাকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

রংপুরে কোরবানি চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন আড়তদাররা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে কোরবানি চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন আড়তদাররা 

রংপুরে কোরবানি চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন আড়তদাররা 

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে চরম নৈরাজ্যের অভিযোগ উঠেছে। আড়তদাররা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করে পানির দামে চামড়া কিনছেন। রংপুরের পুরো চামড়ার বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে, রিকশা-ভ্যানে করে শত শত চামড়া নিয়ে আসছেন মৌসুমি ও চামড়া ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি পিস চামড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও আড়তদাররা সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

পশুর চামড়া বিক্রির ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এমনকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কোনও তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি বলে অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ী ও নগরবাসীর। ফলে মানুষকে জিম্মি করে সরকারনির্ধারিত মূল্যে বর্গফুট হিসেবে চামড়া না কিনে গড়পড়তা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য করেছে তারা (সিন্ডিকেট)।

রংপুর নগরীর হাজিরহাট থেকে ১শ ২০টি চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর মালেক জানান, প্রতিবর্গফুট মাঝারি গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ৮০০ এবং বড় গরুর চামড়া হাজার থেকে বারোশ দাম হওয়ার কথা। তিনি গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। গাড়ি ভাড়া আনুষঙ্গিক খরচসহ সাড়ে ৬০০ টাকা পড়েছে। কিন্তু আড়তদাররা ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্চা দিতে হবে।

অন্যদিকে, রংপুর নগরীর স্টেশন এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী জামাল ও দর্শনা এলাকার সাজ্জাদুল ইসলাম জানালেন, তারা ৫০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন কিন্তু আসল টাকা দামও বলছেন না আড়তদাররা। রংপুরের চামড়ার আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে নিজেদের মনোপলি দাম নির্ধারণ করে মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছেন। চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারির কথা বলা হলেও তাদের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটান চেম্বার প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন অভিযোগ করেছেন, কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী তাদের মনোপলি দাম নির্ধারণ করে সাধারণ বিক্রেতাদের জিম্মি করে ফেলেছেন। সরকার ফুট হিসেবে দাম নির্ধারণ করে দিলেও তারা তা মানছেন না।

এদিকে, রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবার রংপুর মহানগরীসহ পুরো জেলাতে দুই লাখেরও বেশি গরু কোরবানি হয়েছে। খাসি হয়েছে প্রায় লাখেরও কাছাকাছি।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

ঈদে বাড়ি ফেরা হলো না দুই সহোদরের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদে বাড়ি ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই সহোদর নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী গ্রামের ওবায়দুর রহমান খানের ছেলে রবিউল খান (৫০) ও হুমায়ুন খান (৪৫)। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গাড়ি চালক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, রবিউল খান ও হুমায়ুন খান ঢাকায় জুতার ব্যবসা করেন। ঈদ উপলক্ষে সকালে তারা তিনজন মিলে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

ট্যানারিতে ঢুকতে শুরু করেছে কাঁচা চামড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে ঈদের কোরবানির পশুর চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর থেকেই ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পশুর চামড়া বোঝাই ট্রাক ট্যানারিতে নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্যানারিগুলো ঘুরে দেখা যায়, চামড়া সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। আগামী এক দিন লবণবিহীন কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হবে এখানে। এরপর প্রায় মাসজুড়েই লবণ মাখানো কাঁচা সংগ্রহ করা হবে।

সরকার ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি পশুর চামড়ার দাম বেঁধে দেয়। এ অনুযায়ী, এবার ঢাকার মধ্যে কোরবানি গরুর চামড়ার মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা। একই সঙ্গে প্রতিপিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতিপিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ১,২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১,০০০ টাকা।

কয়েকটি ট্যানারি ঘুরে ও চামড়া নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চামড়ার দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।


ঢাকার কদমতলীর মেরাজনগর মাদরাসা মো. বাহারুল হক বলেন, দুটি ট্রাকে করে এক হাজারের বেশি চামড়া নিয়ে এসেছি। আসার পথে আমিনবাজারে সমস্যা হয়েছিল। একটি দল গাড়ি থামিয়ে চাঁদা চেয়েছিল। তবে চামড়া ট্যানারিতে দিব বলে সেখানে বিক্রি করিনি। পরে ট্যানারিতে নিয়ে আসি। বাজারমূল্য হিসেবে যে দাম, সেই হিসেবে দাম পেয়েছি।

নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার জামিয়া আশরাফিয়া মাদ্রাসা থেকে ৬০০টির বেশি চামড়া নিয়ে এসেছেন হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মোটামুটি দাম পাচ্ছি। আর কোথাও যাচাই করিনি। সড়কে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি।

সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে অবস্থিত আজমির লেদারের মালিক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এখানে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া ঢুকছে। এগুলো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে অন্তত দুই আড়াই মাস রাখা যাবে। আমরা সরাসরি মাদরাসা থেকে চামড়া কিনছি। আগেই কথা বলা ছিল। সেগুলোই নিচ্ছি। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, লবণ যুক্ত চামড়া ১২০০ টাকা করে। লবণ মাখাতে ২০০-২৫০ টাকা লাগে। এই খরচ বাদ দিয়ে কাঁচা চামড়া কেনা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, এ বছর ঈদের দিন ও পরের দিন মিলিয়ে পাঁচ লাখের বেশি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। দুপুরের দিক থেকেই চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

চামড়া শিল্পনগরীর প্রস্তুতির বিষয়ে সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান রিজোয়ান বলেন, দুপুর থেকে এরমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি কাঁচা চামড়া ট্যানারিতে ঢুকেছে। এ বছর আমাদের ছয় লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আশা করছি আজ ও আগামীকাল আরও চামড়া ঢুকবে। এ পর্যন্ত চামড়া পরিবহনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। আমাদের টিম কাজ করছে।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;