ঘূর্ণিঝড় রেমাল: চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-১ জারি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়া অফিস ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলায় চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) দুপুর ২টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

আজ (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে এর প্রভাব সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে পড়তে শুরু করবে। আর মধ্যরাত থেকে পুরোপুরি প্রভাব পড়া শুরু হতে পারে। সেজন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাগরের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে শক্তিশালী হচ্ছে।

গভীর নিম্নচাপ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি চলমান আছে। চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বন্দর জেটি এবং বর্হিনোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে।

এদিকে রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছাড়তে মাইকিং করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এছাড়া জনগণকে তথ্যসেবা দিতে নগরীর দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে চালু করা হয়েছে জরুরী কন্ট্রোল রুম। এ কন্ট্রোল রুম থেকে দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা দুর্যোগকবলিত জনগণের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হবে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৮১৮৯০৬০৩৮।

চসিকের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বলেন, রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রেমালের ঝুঁকি না কমা পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম থেকে নাগরিকদের তথ্য সেবা দেয়া হবে। এছাড়া, আমরা রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং শুরু করেছি যাতে ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এছাড়া, জরুরি প্রয়োজনে বিতরণের জন্য শুকনো খাবারের ত্রাণও প্রস্তুত করা হয়েছে।

আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর টাইাগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে মেয়র রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে সভা হবে বলে জানান তিনি।

   

ঈদের নামাজ শেষে আচমকা পড়ে গেলেন নাছির, ধরে তুললেন নওফেল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদের নামাজ শেষে আচমকা পড়ে গেলেন নাছির, ধরে তুললেন নওফেল

ঈদের নামাজ শেষে আচমকা পড়ে গেলেন নাছির, ধরে তুললেন নওফেল

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে দুই নেতা ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে বৈরিতা বহুদিনের। রাজনীতির মাঠে যতই ‘প্রতিপক্ষ’ হোক বিপদের মুহূর্তে একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়িয়ে যান সেটিরই নজির দেখা গেল ঈদুল আজহার নামাজে।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার (১৭ জুন) সকাল আটটার দিকে। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রামের ঈদের প্রধান জামাত শেষে মোনাজাতের আগে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম আলাইকা, ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা’ পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সবাই। তখন সবার সঙ্গে বসা থেকে ওঠে দাঁড়ান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও। তার ডান পাশে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ ও বাম পাশে ছিলেন জাতীয় পার্টির আরেক নেতা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। মাহমুদুল ইসলামের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বসা থেকে ওঠে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আ জ ম নাছির আচমকা নিচে পড়ে যান। এ সময় তাকে তুলে ধরতে এগিয়ে আসেন শিক্ষামন্ত্রী, সোলায়মান আলম শেঠসহ অন্যান্যরা।

পরে সবাই আ জ ম নাছিরকে চেয়ারে বসান। এরপর অনেকটা সুস্থতা বোধ করেন তিনি। পরে মোনাজাত শেষে আন্দরকিল্লার বাসায় ফেরেন।

আ জ ম নাছিরের ব্যক্তিগত সহকারী রায়হান ইউসুফ জানিয়েছেন সাবেক মেয়র সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, ‘নামাজ শেষে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকায় পায়ে রক্ত চলাচল কিছুটা কমে গিয়েছিল, এ কারণে ওঠে দাঁড়াতেই পা ঝিম ঝিম করায় তিনি পড়ে যান। এখন তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ আছেন। বাসায় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কাজ সারছেন।’

নামাজের আগে আ জ ম নাছিরকে সুস্থ দেখা গেছে। এ সময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী এবং সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি বিএনপি নেতা ও আরেক সাবেক সিটি মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল কথা বলছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ পড়ে যাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সবার মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছিল। নাছির উদ্দীন সুস্থ থাকার খবরে তাদের সেই উৎকণ্ঠা দূর হলো।

;

ঈদের নামাজ শেষে ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে রাজধানীসহ সারাদেশে পশু কোরবানি শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নামাজ শেষে ত্যাগের মহিমায় কোরবানি শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের নামাজ শেষে ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে পশু কোরবানি। বরাবরের মতই পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন অলিগলির সড়কে, গ্যারেজে ও ফাঁকা জায়গায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বনশ্রী, মালিবাগ, বাাংলামোটর, রামপুরা, মগবাজার, এলাকা ঘুরে বিভিন্ন স্থানে গরু ও ছাগল কোরবানি করতে দেখা গেছে।

এদিকে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করার এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন।

এ ছাড়া, কোরবানির বর্জ্য ৬ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করার ঘোষণা দিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। দক্ষিণ সিটির ঘোষণা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে কোরবানির বর্জ্য। এছাড়া কোরবানি বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে রাখার জন্য বিশেষ পলিথিন দেওয়া হয়েছে বাসা বাড়িতে।

;

ডিএনসিসির কোরবানির বর্জ্য ৬ ঘণ্টায় পরিষ্কার করা হবে: আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সবাইকে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার অনুরোধ জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উত্তর সিটির ১০ হাজার কর্মী মাঠে কাজ করছে। আমিও কাউন্সিলরদের নিয়ে মাঠে আছি। ৬ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর সিটির প্রতিটি অলিগলির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। 

সোমবার (১৭ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরে গোলারটেক মাঠে ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে আমি ও কাউন্সিলসহ ১০ হাজার কর্মী মাঠে আছি। রাত ৮টার মধ্যে উত্তর সিটির প্রতিটি রাস্তা পরিষ্কার করা হবে।

একটি চ্যালেঞ্জ তখনই বাস্তবায়ন হবে যদি সবাই মিলে আমরা কাজ করতে পারি। আমরা সবাই মাঠে আছি। গত বছর দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়। এবার নতুন সময় বেঁধে দিয়েছি ২ টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অলিগলি,প্রধান সড়কসহ সকল কিছু পরিষ্কার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আমরা নকলে সহযোগিতা চাই।

নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির বিষয়ে আতিক বলেন, এবার প্রথমবারের মতো ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মিরপুর ১১ নম্বর) মাঠে এক সঙ্গে কোরবানি হচ্ছে। একটি মাঠের মধ্যে এক সঙ্গে সবাই কোরবানি দেওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়ে যাবে। আমাদের নতুন উদ্যোগে যারা মাঠে কোরবানি দেওয়ার জন্য পশু নিয়ে আসবে তাদের এক হাজার টাকা করে প্রনোদন দেওয়া হবে। কারণ যত্রতত্র কোরবানি দিলে নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো মাঠে কোরবানি দিলে কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। তখন আর ঘন্টার হিসেবে যেতে হবে না। আগামী বছর থেকে যারা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিবেন তাদের জন্য বিশেষ প্রনোদনার ব্যবস্থা থাকবে।


মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারদের কবলে থাকা গোলারটেক মাঠ উদ্ধার করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। উদ্ধার হওয়া গোলারটেক মাঠকে উত্তর সিটির প্রধান ঈদ গাঁ ঘোষণা করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গোলারটেক মাঠ ঢাকার একটি কেন্দ্রবিন্দু। এখানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কবর এখানে। এই ৯ নম্বর থেকে থেকে ঢাকা শুরু। এই ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে। এই গোলারটেক মাঠ কিন্তু একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ। কিন্তু বিভিন্ন সময় মাঠটি দখল হয়ে যায়। স্থানীয় মানুষ, সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলরের অনুরোধে গোলারটেক মাঠকে উত্তর সিটির প্রধান ঈদের জামায়াতের জন্য নির্ধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এখানে একটি ঈদ গাঁ করা হবে।

আতিক আরও বলেন, এই গোলারটেক মাঠে মাদক সেবনসহ নানা অনৈতিক কাজ হয়ে থাকে। সুতরাং এটি যখন ঈদ গাঁ হবে। রাতে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। খেলার মাঠ হবে। তখন এখানে মাদকসেবি ও অপরাধীদের এলাকাবাসীরাই প্রতিহত করবে। তারাই বলবে যেখানে ঈদের জামায়াত হয় সেখানে অপকর্ম হওয়া উচিৎ না। বেশ কিছু কারণে এই মাঠ বেছে নেওয়া হয়েছে। আর আমাদের দায়িত্ব আছে যুব সমাজকে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া।

;

ঈদের সকালে কোমর পানিতে ভাসছে সিলেট নগরী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের ভেতর কোমর সমান পানি। শয়নকক্ষের খাট ডুবন্ত প্রায় পানিতে। বৃষ্টি হচ্ছে বাড়তে পারে উচ্চতা। সেই শঙ্কায় খাটের ওপর কেদারায় রেখে তাতে কাপড়চোপড় মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। ঘরের বাইরে পানিতে অর্ধেক ডুবে গেছে মোটরসাইকেল। এমন দৃশ্যটি দেখা যায় সিলেট নগরীর মিরের বাজার পায়রা এলাকার আজমল আলীর বাসায়।

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন। ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে এলাকার মসজিদে। কিন্তু মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেছে পানি। সেই পানি সরাতে ব্যস্ত কয়েকজন মুসল্লি এই দৃশ্যটি নগরীর বনকলাপাড়া আব্বাসী জামে মসজিদের। শুধু এই দুই এলাকায় নয়।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন ভোরে নগরীর প্রায় সব এলাকায় একই অবস্থায় দেখা যায়।

রোববার মধ্যরাত থেকে সিলেটে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা কয়েক ঘন্টা বৃষ্টির ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে পানিতে। সড়ক উপচে পানি ঢুকেছে অনেকের বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে।এমনকি কোমর সমান পানি বইছে আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কে।


জানা যায়, রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাত। সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার সকালে সিলেটবাসী কোমর সমান পানিতে ভাসছেন। মুষলধারায় ভারী বর্ষণে সিলেট নগরীর নিচু এলাকাগুলোর প্রায় সব সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। শহরতলীর মেজরটিলা এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

এছাড়াও নগরীর উপশহর, দরগাহ মহল্লা, যতরপুর, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘির পাড়, লাক্কাতুড়া চা-বাগানসহবেশ কয়েকটি এলাকার দোকানপাট রাস্তাঘাট ও বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঈদের জামাত পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের।

বৃষ্টিতে নগরীর এসব এলাকা জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসী দোষারোপ করছেন নগর কর্তৃপক্ষকে।

অনেকে বলছেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা যদি সঠিক সময় সংস্কার করে রাখা হতো, তাহলে এই ভোগান্তি জনগণকে পোহাতে হতো না।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৭৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

;