অটোরিকশা চাপায় শিশুর মৃত্যু

চার ঘণ্টা পর সিলেট-সুলতানপুর সড়কে যান চলাচাল স্বাভাবিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় অটোরিকশা চাপায় রাফিয়া জান্নাত মাইশা (৮) মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে চার ঘণ্টা সিলেট-সুলতানপুর সড়ক অবরোধ করে রাখেন এলাকাবাসী।

শনিবার (২৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রশাসন ও মোগলাবাজার থানার হস্তক্ষেপে চার ঘণ্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে, শনিবার (২৫ মে) সকাল দশটা থেকে সিলেট-সুলতানপুর সড়কের তেলিপাড়া এলাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সিলাম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আমিনুল ইসলাম মাছুমের সভাপতিত্বে ও বাবুল আহমদের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সিলাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ওলিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেছার আলী, উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি শাহ মো.দেলোয়ার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ সানোয়ার আলী, সাবেক ইউপি সদস্য আলী ইমাম, ফখরুল মিয়া, মইন উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

জানা যায়, শুক্রবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলার সিলেট-সুলতানপুর সড়কের তেলিপাড়া এলাকায় স্থানীয় রিপন মিয়ার মেয়ে রাফিয়া জান্নাত মাইশা (৮) তার দাদার সাথে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হয়। এসময় হঠাৎ করে সিলেট-সুলতানপুর সড়কে সিলেটগামী একটি নম্বরবিহীন অটোরিকশা (সিএনজি) দ্রুত গতিতে এসে মূল সড়কের পাশে বাড়ির রাস্তায় এসে শিশুটিকে চাপা দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এসময় মোগলাবাজার থানা পুলিশ ও সিলাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী। ওইদিন বাদ আসর জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজা শেষে শনিবার সকালে মানববন্ধনের ডাক দেন এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায় ও মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন।

এসময় তারা বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আসামিকে গ্রেফতার ও নম্বরবিহীন অটোরিকশা (সিএনজি) সড়কে যাতে আর না চলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বেলা দেড়টার দিকে গাড়ি ছেড়ে দেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

এব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায় বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। ভবিষ্যতে নম্বরবিহীন অবৈধ এসব গাড়ি যাতে সড়কে চলাচল না করতে পারে সে ব্যাপারে স্থানীয় থানা পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

   

সেন্টমার্টিনে আনন্দের বদলে শঙ্কার ঈদ



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে আনন্দের বদলে শঙ্কার ঈদ কাটছে বলে জানিয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। দুই সপ্তাহ ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঈদেও দ্বীপে আটকা রয়েছে ১০ হাজার বাসিন্দা।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮-৯ টার মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের জামাত শেষ হয়েছে। তবে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সেন্টমার্টিনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে নামাজ আদায় করেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ দ্বীপে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের ঈদের জামাত শেষ হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে সেন্টমার্টিনে যে সংকট সেটা কাটিয়ে যোগাযোগ যেন স্বাভাবিক হয় সেটার জন্য দোয়া করা হয়েছে।

তবে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন এবারের ঈদ অন্যান্য বারের মতো নয়। এবারের ঈদে আনন্দের বদলে শঙ্কা বেশি রয়েছে। এবারে কোরবানির পশু টেকনাফ থেকে আনতে না পারায় অনেকেই কোরবানি দিতে পারছে না। অন্যান্য ঈদে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতো সেখানকার বাসিন্দারা। তবে এবার দ্বীপেই আটকে থাকতে হবে তাদের।


সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, যোগাযোগ নিয়ে আমরা সবাই শঙ্কায় আছি। অন্যান্য সব বিষয় ঠিক আছে। বরাবরের মতোই আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য দোয়া চেয়েছি।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ওসমান গনি বলেন, সেন্টমার্টিনের সংকট শেষ হওয়ার জন্য সবাই দোয়া করেছি। আমাদের মাঝে এবারের ঈদ অন্যান্য ঈদের মতো নয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক আত্মীয়স্বজন দ্বীপে আসতে পারেনি। আমরাও দ্বীপে আটকে আছি। এটাই আমাদের মূল শঙ্কার কারণ।

সেন্টমার্টিন ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ৫ জুন থেকে আজকে ১৭ জুন পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারণে আমাদের এবারের ঈদে আনন্দের চেয়ে শঙ্কা বেশি। সবাই সরকারের কাছে একটাই দাবি জানাচ্ছেন স্বাভাবিক নৌযান চলাচল যেন শুরু হয়। যোগাযোগ যেন স্বাভাবিক হয়।

মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল করলে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে বারবার বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়া হচ্ছে। একারণে ৫ জুন থেকে এই নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

;

পশু কোরবানির মাধ্যমে যেন হিংসা-বিদ্বেষ বিসর্জন দিতে পারি: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
পশু কোরবানির মাধ্যমে যেন হিংসা-বিদ্বেষ বিসর্জন দিতে পারি: শিক্ষামন্ত্রী

পশু কোরবানির মাধ্যমে যেন হিংসা-বিদ্বেষ বিসর্জন দিতে পারি: শিক্ষামন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যাতে করে আমরা পশু কোরবানির মাধ্যমে মনের হিংসা-বিদ্বেষ ঘৃণা বিসর্জন দিতে পারি।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে ঈদের জামাত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদের নামাজে আমরা দেশবাসীর জন্য দোয়া করেছি। সমাজে যাতে শান্তি ও নিরাপত্তা আসে এজন্য আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেছি।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ যাতে অণ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা যাতে যথাযথ পায় সে জন্য দোয়া করেছি। আল্লাহপাক যাতে সবাইকে কোরবানি করার তৌফিক দান করেন সেই দোয়াও করেছি।

এসময় তিনি চট্টগ্রামসহ পুরো দেশবাসিকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে তিনি সকার সাড়ে ৭টায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদগাগে প্রধান জামাতে অংশ নেন।

;

ঈদের দিনেও গ্রামে ফিরছেন অনেকে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাবতলী থেকে: আপনজনের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে ঈদের দিনেও বাড়ি ফিরছেন অনেকে। গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকালে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা এলাকার লোকজনের উপস্থিতি বেশি।

পাবনাগামী বাংলা এক্সপ্রেস এর এসি সার্ভিস সকাল সাড়ে ৯ টায় পাবনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একই সময়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাইবান্ধাগামী একটি কোচ ঢাকা ছেড়ে যায়। এসময় আরও কয়েকটি রুটের গাড়িতে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে।


শামলী এন আর পরিবহনের সামনে বিভিন্ন রুটের ৪টি বাস যাত্রী তুলছিলেন। তবে এদিন গাড়িগুলোর নির্দিষ্ট কোনো সময় ঘোষণা করা হচ্ছে না। যাত্রী হলেই ছেড়ে দেবে খানিকটা লোকাল বাসের মতো করে শর্ত দিচ্ছে।

আব্দুলাহ আল মামুন নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, আফতাবনগর একটি মসজিদে নামাজ পড়ান, সে কারণে ঈদের নামাজ শেষ করে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাচ্ছেন।

পাবনাগামী সুজন রায় বলেন, ঈদের আগে জ্যাম থাকে, আর আজকে কোনো জ্যাম নেই। ঈদের আগে যারা বাড়ি গেছেন লম্বা সময় লেগেছে। আর আজকে অল্প সময়ে বাড়ি পৌঁছতে পারবো। তাই ঈদের দিনে বাড়ি যাচ্ছি।

ঈদের জামাতের পর সকাল সাড়ে ৮টায় অনেক বাসের কাউন্টার খোলা হয়েছে। এলেই গাড়ির টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। এসি গাড়ির সংখ্যা কম, দুপুরের পর এসি গাড়ি বাড়বে বলে জানা গেছে।

;

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে সমাজে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরীর বহদ্দারহাট শাহী জামে মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।

নামাজ আদায়ের পর ঈদ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় মেয়র বলেন, আত্নত্যাগের মাধ্যমে ভেদাভেদহীন সমাজ গড়ার যে শিক্ষা ঈদ আমাদের দেয় তা সমাজে বাস্তবায়ন করতে হবে৷ কোরবানির আত্মত্যাগের মাধ্যমে দরিদ্র শ্রেণির কষ্ট উপলব্ধির যে সুযোগ আমরা পেয়েছি সে শিক্ষাকে ধারণ করে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে লড়তে হবে৷

তিনি আরও বলেন, ঈদ শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সবার জন্য ঐক্য ও সৌহার্দ্যের বার্তা। এই পবিত্র দিনে আমাদের সবার উচিত ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সবার সঙ্গে মিলে-মিশে আনন্দ উদযাপন করা। আমাদের সবার উচিত ঈদের এই পবিত্র উৎসবে সবার প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রদর্শন করা।

ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করে আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদী এবং উন্নত বাংলাদেশ এই হোক আমাদের শপথ। আসুন আমরা সবাই মিলে ঈদের এই পবিত্র দিনকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি।

;