কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিটের বাড়িতে দিনভর উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা সড়কে শুক্রবার (২৪ মে) সারাদিন চোখে পড়ে ছোট ছোট দলে মানুষের চলাচল। প্রথমেই মনে হবে হয়তো ভিতরে কোন সমাবেশ চলছে। মাদ্রসা অতিক্রম করে একটু সামনে গেলেই লাগোয়া ইউছুফ কুঠিরটি দেখা যায়। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বাড়ি এটি।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি বাড়িতেই অবস্থান করছেন। আগে থেকেই এলিটের বাড়িতে অবস্থানের বার্তা পৌঁছে যায় পুরো উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায়। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা সড়কে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আমজনতার স্রোত।

জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ মে) সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ইউসুফ কুঠিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ. ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ,মৎস্যজীবী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখেন কর্মীবান্ধব যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

এবার নিয়াজ মোর্শেদের নেতাকর্মীরা দ্বিগুন উচ্ছ্বাস নিয়ে তাদের সাহসের বাতিঘর এলিটের বাড়িতে জড়ো হন। নতুন করে এলিটকে সমর্থন জানিয়ে আগামী দিনে রাজনীতির মাঠে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জানাতে আসেন সবাই। কারণ নিয়াজ মোর্শেদ এলিট এখন মিরসরাইয়ের মানুষের ভরসা। যুবলীগ নেতা এলিটকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেন এখন মিরসরাই আওয়ামী দুর্গের কর্মীরা।

দুপুর ১২টায় ইউসুফ কুঠিরে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ সময় নেতাকর্মীদের ছবি তোলার অনুরোধ রাখতে বার বার ফটোসেশনে হাসিমুখে দাঁড়াচ্ছেন এলিট। কিছুক্ষণ পরপর প্রবেশ করছে আলাদা আলাদা গ্রুপ। তাদের আপ্যায়ন তদারকি করছেন তিনি নিজে। তাদের সাথে মতবিনিময় করে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রচার ও সরকারের উন্নয়ন বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় রাজপথে সজাগ থাকতে।

বেলা বাড়তে বাড়তে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলে ইউসুফ কুঠিরে নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নেতাকর্মীদের সাথে সময় দেন সাবেক মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর জৈষ্ঠ সন্তান ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান এর বড় ভাই। দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য বিদায় নিলেও বিকেল থেকে আবার রাত ১১টা পর্যন্ত সময় দেন তিনি।

মিরসরাইয়ের রাজনীতিতে একক নেতা হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়ে আসলেও বিগত ১০ বছর মোশাররফ দুর্গে ভাগ বসান এলিট। দুইজনের সম্পর্কের বৈরি পরিস্থিতির মধ্যে ইদানিং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সাথে নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের একটি হাসিমাখা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়িায় ব্যাপকভাবে ভ্যাইরাল হলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।

সোমবার (২০ মে) নিয়াজ মোর্শেদ এলিট তার ফেসবুক পেইজে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তার বৈঠকের হাস্যোজ্জ্বল ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আজ প্রিয় অভিভাবকের সান্নিধ্যে’।

এতে করে মিরসরাই আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের মাঝে একদিকে আনন্দ উল্লাস, অপরদিকে রাজনৈতিক সৌন্দর্য হিসেবে কেউ জানাচ্ছেন অভিনন্দন।

অন্যদিকে এমন দৃশ্যে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে। ক্ষোভের আগুন না নিভতেই তিনি বাড়িতে এসে মোশারফ পুত্রের সাথে ছবি দিয়ে লিখেন, ‘সুমু ভাইসহ সারাদিন আজ আমার নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে।’
অনেকের প্রশ্ন- এটি কেমনে সম্ভব। যাকে নানান বিশেষণে অখ্যায়িত করেছেন মাত্র কিছুদিন আগে। যার ছায়া মনে হতো দুশমনের মতো। বাবার হাসির রেশ না কাটতে এলিটের বাড়িতে ছেলের সরব উপস্থিতি। এটাই বুঝি ‘রাজনীতির শেষ বলতে কিছু নেই’ প্রবাদ বাক্যের প্রমাণ। হয়তো মিরসরাইবাসী আগামীতে আরো নতুন কিছু দেখবে।

নিয়াজ মোর্শেদ এলিট জানান, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি যারা করেন তারা দলীয় আদর্শ, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য শতভাগ থাকতে হবে। এখানে রাজনীতির নামে শেখ হাসিনার বাইরে কোন প্রভু নেই। তবে সিনিয়রদের সম্মান করা এটা দলীয় শৃঙ্খলা এবং পারিবারিক শিক্ষার পর্যায়ে পড়ে। আমি মিরসরাইয়ের নেতাকর্মীদের কাছে পরিষ্কার করে জানিয়ে রাখতে চাই, মিরসরাইয়ের রাজনীতিতে এখন থেকে কোন প্রভু নেই। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে যিনি আধুনিক স্মার্ট মিরসরাই গড়তে পারবেন তার উপর আস্থা রাখবেন আপনারা। মিরসরাইকে মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমি আপনাদের সাথে আছি, থাকব। আমার কোন নেতাকর্মী অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার হলে তার কঠিন জবাব দেওয়া হবে।’

   

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে সমাজে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরীর বহদ্দারহাট শাহী জামে মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।

নামাজ আদায়ের পর ঈদ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় মেয়র বলেন, আত্নত্যাগের মাধ্যমে ভেদাভেদহীন সমাজ গড়ার যে শিক্ষা ঈদ আমাদের দেয় তা সমাজে বাস্তবায়ন করতে হবে৷ কোরবানির আত্মত্যাগের মাধ্যমে দরিদ্র শ্রেণির কষ্ট উপলব্ধির যে সুযোগ আমরা পেয়েছি সে শিক্ষাকে ধারণ করে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে লড়তে হবে৷

তিনি আরও বলেন, ঈদ শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সবার জন্য ঐক্য ও সৌহার্দ্যের বার্তা। এই পবিত্র দিনে আমাদের সবার উচিত ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সবার সঙ্গে মিলে-মিশে আনন্দ উদযাপন করা। আমাদের সবার উচিত ঈদের এই পবিত্র উৎসবে সবার প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রদর্শন করা।

ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করে আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদী এবং উন্নত বাংলাদেশ এই হোক আমাদের শপথ। আসুন আমরা সবাই মিলে ঈদের এই পবিত্র দিনকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি।

;

ঈদের নামাজ শেষে আচমকা পড়ে গেলেন নাছির, ধরে তুললেন নওফেল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদের নামাজ শেষে আচমকা পড়ে গেলেন নাছির, ধরে তুললেন নওফেল

ঈদের নামাজ শেষে আচমকা পড়ে গেলেন নাছির, ধরে তুললেন নওফেল

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে দুই নেতা ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে বৈরিতা বহুদিনের। রাজনীতির মাঠে যতই ‘প্রতিপক্ষ’ হোক বিপদের মুহূর্তে একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়িয়ে যান সেটিরই নজির দেখা গেল ঈদুল আজহার নামাজে।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার (১৭ জুন) সকাল আটটার দিকে। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রামের ঈদের প্রধান জামাত শেষে মোনাজাতের আগে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম আলাইকা, ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা’ পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সবাই। তখন সবার সঙ্গে বসা থেকে ওঠে দাঁড়ান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও। তার ডান পাশে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ ও বাম পাশে ছিলেন জাতীয় পার্টির আরেক নেতা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। মাহমুদুল ইসলামের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বসা থেকে ওঠে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আ জ ম নাছির আচমকা নিচে পড়ে যান। এ সময় তাকে তুলে ধরতে এগিয়ে আসেন শিক্ষামন্ত্রী, সোলায়মান আলম শেঠসহ অন্যান্যরা।

পরে সবাই আ জ ম নাছিরকে চেয়ারে বসান। এরপর অনেকটা সুস্থতা বোধ করেন তিনি। পরে মোনাজাত শেষে আন্দরকিল্লার বাসায় ফেরেন।

আ জ ম নাছিরের ব্যক্তিগত সহকারী রায়হান ইউসুফ জানিয়েছেন সাবেক মেয়র সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, ‘নামাজ শেষে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকায় পায়ে রক্ত চলাচল কিছুটা কমে গিয়েছিল, এ কারণে ওঠে দাঁড়াতেই পা ঝিম ঝিম করায় তিনি পড়ে যান। এখন তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ আছেন। বাসায় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কাজ সারছেন।’

নামাজের আগে আ জ ম নাছিরকে সুস্থ দেখা গেছে। এ সময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী এবং সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি বিএনপি নেতা ও আরেক সাবেক সিটি মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল কথা বলছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ পড়ে যাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সবার মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছিল। নাছির উদ্দীন সুস্থ থাকার খবরে তাদের সেই উৎকণ্ঠা দূর হলো।

;

ঈদের নামাজ শেষে ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে রাজধানীসহ সারাদেশে পশু কোরবানি শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নামাজ শেষে ত্যাগের মহিমায় কোরবানি শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের নামাজ শেষে ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে পশু কোরবানি। বরাবরের মতই পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন অলিগলির সড়কে, গ্যারেজে ও ফাঁকা জায়গায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বনশ্রী, মালিবাগ, বাাংলামোটর, রামপুরা, মগবাজার, এলাকা ঘুরে বিভিন্ন স্থানে গরু ও ছাগল কোরবানি করতে দেখা গেছে।

এদিকে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করার এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন।

এ ছাড়া, কোরবানির বর্জ্য ৬ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করার ঘোষণা দিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। দক্ষিণ সিটির ঘোষণা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে কোরবানির বর্জ্য। এছাড়া কোরবানি বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে রাখার জন্য বিশেষ পলিথিন দেওয়া হয়েছে বাসা বাড়িতে।

;

ডিএনসিসির কোরবানির বর্জ্য ৬ ঘণ্টায় পরিষ্কার করা হবে: আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সবাইকে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার অনুরোধ জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উত্তর সিটির ১০ হাজার কর্মী মাঠে কাজ করছে। আমিও কাউন্সিলরদের নিয়ে মাঠে আছি। ৬ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর সিটির প্রতিটি অলিগলির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। 

সোমবার (১৭ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরে গোলারটেক মাঠে ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে আমি ও কাউন্সিলসহ ১০ হাজার কর্মী মাঠে আছি। রাত ৮টার মধ্যে উত্তর সিটির প্রতিটি রাস্তা পরিষ্কার করা হবে।

একটি চ্যালেঞ্জ তখনই বাস্তবায়ন হবে যদি সবাই মিলে আমরা কাজ করতে পারি। আমরা সবাই মাঠে আছি। গত বছর দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়। এবার নতুন সময় বেঁধে দিয়েছি ২ টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অলিগলি,প্রধান সড়কসহ সকল কিছু পরিষ্কার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আমরা নকলে সহযোগিতা চাই।

নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির বিষয়ে আতিক বলেন, এবার প্রথমবারের মতো ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মিরপুর ১১ নম্বর) মাঠে এক সঙ্গে কোরবানি হচ্ছে। একটি মাঠের মধ্যে এক সঙ্গে সবাই কোরবানি দেওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়ে যাবে। আমাদের নতুন উদ্যোগে যারা মাঠে কোরবানি দেওয়ার জন্য পশু নিয়ে আসবে তাদের এক হাজার টাকা করে প্রনোদন দেওয়া হবে। কারণ যত্রতত্র কোরবানি দিলে নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো মাঠে কোরবানি দিলে কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। তখন আর ঘন্টার হিসেবে যেতে হবে না। আগামী বছর থেকে যারা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিবেন তাদের জন্য বিশেষ প্রনোদনার ব্যবস্থা থাকবে।


মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারদের কবলে থাকা গোলারটেক মাঠ উদ্ধার করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। উদ্ধার হওয়া গোলারটেক মাঠকে উত্তর সিটির প্রধান ঈদ গাঁ ঘোষণা করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গোলারটেক মাঠ ঢাকার একটি কেন্দ্রবিন্দু। এখানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কবর এখানে। এই ৯ নম্বর থেকে থেকে ঢাকা শুরু। এই ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে। এই গোলারটেক মাঠ কিন্তু একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ। কিন্তু বিভিন্ন সময় মাঠটি দখল হয়ে যায়। স্থানীয় মানুষ, সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলরের অনুরোধে গোলারটেক মাঠকে উত্তর সিটির প্রধান ঈদের জামায়াতের জন্য নির্ধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এখানে একটি ঈদ গাঁ করা হবে।

আতিক আরও বলেন, এই গোলারটেক মাঠে মাদক সেবনসহ নানা অনৈতিক কাজ হয়ে থাকে। সুতরাং এটি যখন ঈদ গাঁ হবে। রাতে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। খেলার মাঠ হবে। তখন এখানে মাদকসেবি ও অপরাধীদের এলাকাবাসীরাই প্রতিহত করবে। তারাই বলবে যেখানে ঈদের জামায়াত হয় সেখানে অপকর্ম হওয়া উচিৎ না। বেশ কিছু কারণে এই মাঠ বেছে নেওয়া হয়েছে। আর আমাদের দায়িত্ব আছে যুব সমাজকে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া।

;