সাভারে জমি নিয়ে বিরোধ: হামলায় নিহত ১, আহত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের বিরুলিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৮ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান । এর আগে দুপুর ২ টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহের আলী ওরফে রমজান (৩৫) বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবো মসজিদ মার্কেট এলাকার শওকত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় রমজানের চাচা মেছের আলী ও হামলাকারী রহিম সহ মোট ৩ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

অভিযুক্ত হামলাকারীরা হলেন, একই এলাকার রহিম, অপু, ইউনুস সহ প্রায় ১০ জন।

সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিকাল ৫ টার দিকে রমজানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবার।

নিহত রমজানের চাচাত বোন সানজিদা বলেন, রহিমের সাথে আমাদের আগেও জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিষয়ও থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। আজকে একটি জমিতে বালি ভরাট করতে গিয়েছিল রমজান ভাই। সেখানে তারা এসে দাবি করে এই জমিতে তাদেরও ভাগ আছে। পরে বাঁশ ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে তারা।হামলার সময় রহিমের পরিবারের প্রায় ৮-১০ জন উপস্থিত ছিল। আমার বাবাও হাসপাতালে ভর্তি। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

নিহতের স্ত্রী সোহানা আক্তার জানান, স্থানীয় রহিম গং দের সাথে নিহত রমজান ইসলাম জাহেরের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের সূত্র ধরে আজ প্রতিপক্ষ রহিম ও ইয়ানুছ দলবল নিয়ে রমজানের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে কুপিয়ে আহত করে ফেলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে পথিমধ্যে অভিযুক্তরা আবারো হামলা চালায়। হামলা উপেক্ষা করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রমজানকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

   

জকিগঞ্জে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চিনি ছিনতাইয়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে একের পর এক চিনি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নাম উঠে আসছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। চিনি ছিনতাইকান্ডে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও থামানো যাচ্ছে না ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। সম্প্রতি চিনি কান্ডে বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তার রেস কাটতে না কাটতেই এবার সীমান্তবর্তী আরেক উপজেলা জকিগঞ্জে ৪০ বস্তা চিনি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কালিগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা। অভিযোগের তীর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান আহমদের বিরুদ্ধে। তার নেতৃত্বে চিনি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ।

পুলিশ বলছে-ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার আব্দুর রহিম ও ময়নুল হক নামের দুই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার বিকেলে চারটি টমটম দিয়ে ৪০ বস্তা ভারতীয় চিনি কালিগঞ্জ বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। কালিগঞ্জ বাজারে অদূরে ইছামতি ডিগ্রী কলেজের সামনে টমটমটি পৌঁছামাত্র উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাসহ ৮-১০ জন নেতাকর্মী টমটমটি আটকিয়ে চিনির বস্তাগুলো ছিনতাই করে নিয়ে যান। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষকে নিয়ে একটি সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু বৈঠকে ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত হয়ে বিচার না মেনে উল্টো হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যান।

এদিকে, ওই দিনের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়া ৪ মিনিট ১ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বাজারে প্রবেশের সময় একটি টমটম আটকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকজন নেতাকর্মী টমটম থেকে চিনির বস্তা নামিয়ে নেন। এতে বাঁধা দিলে টমটম চালককে মারধরের চেষ্টা করা হয়।

এ বিষয়ে মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফর মো.রায়হান বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে চিনি ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার পর রাতে ইউনিয়ন পরিষদে সকল সদস্যের উপস্থিতিতে চিনির মালিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। এসময় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের এক নেতাকে টমটম চালক চিনে ফেলায় তারা উল্টো বৈঠক থেকে উঠে যান। এসময় তারা হুমকি দিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, চিনির মালিক জানিয়েছেন তিনি সিলেট থেকে চিনি কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার কাছে চিনি ক্রয়ের একটি রশিদও রয়েছে।

এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ বলেন, চিনি ছিনতাইয়ের সঙ্গে আমি জড়িত নয়। যারা এই কাজ করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকে হুমকি দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে আমার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাজারে পাশেই ইউনিয়ন পরিষদ। আমাকে বৈঠকে ডাকা হলে আমি সেখানেও বলেছি সঠিক তদন্ত করে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জাবেদ মাসুদ বলেন, আপনাদের ও ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানি। আমরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

বাহাদুর-কালাপাহাড় নিয়ে বিপাকে মালিক দ্বীন মোহাম্মদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানা এলাকা থেকে ১৬ মণ ওজনের বাহাদুর আর ১৯ মণ ওজনের কালাপাহাড় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিক দ্বীন মোহাম্মদ। তার দাবি হাটে আসার পর প্রথম দিন দামাদামি হলেও এখন কেউ দাম বলছে না। বড় গরু হওয়ায় কেউ এখন নিতে চাচ্ছেন না।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে কমলাপুর হাটের প্রবেশ মুখেই বাহাদুর আর কালাপাহাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মালিক দ্বীন মোহাম্মদকে।

বাহাদুর আর কালাপাহাড়ের মালিক দ্বীন মোহাম্মদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, গ্রামে একটি এনজিও থেকে ঋণ গরু লালন পালন করছি। বড় স্বপ্ন ছিল গরু দু'টো বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করে খামারটিকে বড় করব। কিন্তু এই হাটে ৫ দিন হয়ে গেলেও বড় গরু হওয়ায় কেউ দাম বলছে না। অনেকে দাম বলছে তাতে বিক্রি করলে আমার লোকশান হবে গরু প্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা।

দ্বীন মোহাম্মদ কান্না কণ্ঠে বলেন, কুষ্টিয়া থেকে এই গরু ঢাকায় আনতে ট্রাক ভাড়া ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ঢাকায় আসার পর প্রতিদিন গরুর খাবারসহ দেড় থেকে দু'হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এই গরু বিক্রি করতে না পারলে আবার ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যেতে হবে।


দ্বীন মোহাম্মদের মত সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে শাহীওয়াল জাতের বিশাল চারটি গরু নিয়ে এসেছেন শহীদুল। একেকটি গরু ১৮ মণ ওজন। গত ১২ জুন বুধবার হাটে আসছেন তিনি। বার্তা২৪.কমকে বলেন, খামারে লালন পালন করে যে টাকা খরচ হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম দাম বলছে। এখন আজকে বিক্রি না হলে আবার খামারে নিয়ে যাবেন গরুর মালিক শহিদুল।

তিনি আরও বলেন, কমলাপুর হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরু কেউ নিতে চাচ্ছেন না। কিন্তু লোকশান দিয়ে গরু বিক্রি করবো না।

এদিকে সকাল থেকে কমলাপুর হাট ঘুরে দেখা যায়, এই হাটে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেমন ট্রাকে করে গরু আসছে। তেমনি বিক্রিও হচ্ছে। ছোট মাঝারি গরুর চাহিদা থাকায় বিক্রিও হচ্ছে বেশি। যারা বড় গরু নিয়ে আসছেন তারাই বিপাকে পড়ছেন।

;

বরিশালে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কা, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল ঢাকা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী ট্রাকের পেছনে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।

রোববার (১৬) জুন সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ব্র্যাক অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সোহাগ (১৮) ও প্রায় ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক।

আহতরা হলেন- জিয়াউল করিম (৩৩), জাহাঙ্গীর মোল্লা (৪৫), একরামুল (২৬), আরিফ (৩০) ও ইমন (৩০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ব্যাপারী পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে বরিশালের নথুল্লাবাদ টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই একটি ট্রাক মহাসড়কে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় দ্রুতগতির বাসটি থেমে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি ছিটকে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। বাসের সামনে অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় দুইজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

;

ঈদের ছুটিতে বাসার মূল্যবান সম্পদ থানায় রাখা যাবে: সিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, ঈদের ছুটিতে প্রতিবছরই স্বজনদের সাথে ঈদ করতে নগরবাসী শহর ছেড়ে যায়। এসময় শহর ফাঁকা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদের একটি অভিজ্ঞতা আছে। আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে, আপনাদের মূল্যবান যদি কোনো সম্পদ থাকে সেগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাসায় কিংবা থানায়ও রাখতে পারেন।

শনিবার (১৫ জুন) নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার কর্ণফুলী পশুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে সেসকল প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একসাথে ছুটি না দিয়ে পালাক্রমে ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আর কোনো রকম ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেবেন। পাশাপাশি যাদের অবস্থা ভালো আছে তাদেরকে বলেছি, আপনারা আইপি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান। যেন আপনি দূরবর্তী স্থান থেকেও আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। সেই অনুসারে প্রয়োজনে পুলিশের সাথে যোগাযোগও করতে পারবেন।'

ঈদে নগরবাসীর নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় সাজানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদকে ঘিরে আমরা চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের পোশাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, আমাদের সাদা পোশাকে ব্যবস্থা আছে। আমাদের স্পেশালাইজড টিম প্রস্তত আছে। তাছাড়া আমরা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের সাহায্য নিয়েছি। আমাদের থানার বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।'

নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিনভাগে ভাগ করার কথা জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো উৎসব-পার্বনে আমাদের সদস্যরা খুব কমই ছুটিতে যেতে পারে। আমরা নিরাপত্তা স্তরকে তিনভাগে সাজিয়েছি। ঈদের পূর্ব সময় পর্যন্ত এক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। সেখানে আমাদের অধিক সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ঈদের দিন ঈদ জামায়াতকে কেন্দ্র করে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ আরেকটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সেই ধরনের কর্মসূচি আমাদের নেওয়া আছে। আমরা আশা করছি আমাদের গৃহীত ব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা নগরের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে পারবো।’

পশুরহাটের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি যেখানে-সেখানে যেন পশুরহাট না বসে। আমরা এক্ষেত্রে অনেকাংশেই সফল হয়েছি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটাই ধারণা ছিলো। কোনো কোনো সময় স্থানীয় লোকজন নানা ধরনের অত্যাচার করে থাকে ইজারাদারদের। আমার সে বিষয়েও খোঁজখবর নিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো অভিযোগ পাইনি। এরইসাথে এক হাটের গরু জোরপূর্বক আরেক হাটে নেওয়ার যে প্রবণতা ছিল সেটা এ বছর নেই বললেই চলে। আমরা এ পর্যায়ে এসে বলতে পারি যে, আমাদের গৃহীত ব্যবস্থা এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এবারের পশুরহাটে সন্তোষজনক অবস্থা বজায় রাখতে পেরেছি। আশা করছি, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ অবস্থা অটুট থাকবে।’

‘ঈদের দিনের জন্য আমাদের একটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি হাটে জালনোট শনাক্তকরণ ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা আছেন। কিছু কিছু মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থা আছে। সবমিলিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অজ্ঞান পার্টির যে প্রবণতা থাকার কথা, অতীত অভিজ্ঞতা বলে এটা এবারও থাকতে পারতো। আমরা তাই ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রেস্টুরেন্ট করতে বলেছি। আর সেই রেস্টুরেন্ট যেন পরিচিত কেউ চালায় সে ব্যবস্থা করতে বলেছি, যাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের শঙ্কা না থাকে।’

চোরাই পথে গরু আসলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চোরাই এবং অবৈধ গরু যদি শনাক্ত হয় বা অভিযোগ আসে তাহলেই ব্যবস্থার প্রশ্ন আসবে। কিন্তু যখন একটি গরু নিয়ে আসা হবে তখন চট করে বোঝা যাবে না এটি চোরাই কিংবা অবৈধ কিনা। আমাদের চট্টগ্রামের বড় বড় মার্কেটে যেসকল বেপারিরা গরু নিয়ে আসেন তারা সাধারণত নির্ধারিত। তারা এই মার্কেটগুলোর সাথে অনেকদিন ধরে সংযুক্ত আছেন। যদি কোনো অভিযোগ আসে এবং যেখান থেকে চুরি হয়েছে সেখানের সোর্স থেকে খবর পাই তবে সোর্সের সাথে কানেক্টেড হয়ে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) মো. তারেক আহম্মেদ, চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির প্রমুখ।

;