নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক শিশুকে (১২) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মো. শাহজালাল (৪৮) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) নির্যাতিত শিশুর বাবা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে, গত ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শাহজালাল উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পিছনে বাগানে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের মা টর্চ লাইট নিয়ে খুঁজতে বের হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয়
পবিত্র ঈদুল আজহা সোমবার। জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত ও নির্বিঘ্নে চলাচলের লক্ষ্যে পাঁচ স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। একই সঙ্গে ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
রোববার (১৬ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান হাবিবুর রহমান। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, অন্যান্য বিচারপতি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, ঢাকায় মুসলিম দেশের কূটনীতিক এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঈদ জামাত আদায় করবেন। এই ঈদগাহ মাঠে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন ড.খ. মহিদ উদ্দিন , অতিরিক্ত কমিশনার মো.আশরাফুজ্জামান, সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে ১০টার দিকে এসে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের ভেতরে ও আশেপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক বিষয় পরিদর্শন করেন তিনি।
জানা গেছে, প্রায় ৩০ হাজার বর্গমিটারের জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার ঈদগাহের প্যান্ডেলের ক্ষেত্রফল ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার।
ঈদযাত্রার শেষ দিন রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ৪২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ও তিনটি স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৭০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ্ আলম কবির কিরণ।
শাহ্ আলম কবির কিরণ বলেন, রোববার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ট্রেন স্টেশন ত্যাগ করেছে সবগুলো ট্রেনই প্রায় নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে। শনিবার যেহেতু গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে সেহেতু ছুটির পর থেকে সবগুলো ট্রেনেই এমন ভিড় ছিল। আমরা বিগত ৫ দিন যাবৎ সুষ্ঠু, সুন্দর ট্রেন যাত্রা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই আমরা যাত্রী সেবা দেয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি।
আমরা ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে দিয়েছি। মোট আসনের বিপরীতে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট যাত্রীদের অনুরোধে কাউন্টার থেকে দেয়া হয়েছে। টিকিটসহ যাত্রী যারা যাচ্ছে তারা যেন তাদের আসনে বসতে পারে এবং যে স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটলো কাউন্টার থেকে সে যেন অন্তত দাঁড়িয়ে হলেও তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। তিনস্তর বিশিষ্ট টিকিট চেকিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রতিটি ট্রেন যেহেতু সঠিক সময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে সেহেতু আমরা চাই যাত্রীরা যেন তার গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছাতে পারে। শনিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত অনেক বেশি যাত্রীর চাপ আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা যাত্রীদের ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ সারাদিন ৪২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন, মেইল লোকাল কমিউটার ২৫ জোড়া এ ছাড়াও তিনটি স্পেশাল ট্রেনসহ ৭০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে। এবং প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ যাত্রী এই কমলাপুর স্টেশন থেকে যাতায়াত করবে।
ছাদে যাত্রীর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই চাই কোনো যাত্রী যেন ছাদে ও ইঞ্জিনে, ব্যাফারে ভ্রমণ না করে তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়েই যেন টিকিট কেটে ভ্রমণ করে। আপনারা জানেন যে টিকিট যার ভ্রমণ তার এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা প্রচুর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তারপরেও এত পরিমাণ যাত্রীদের চাপ, সেটা ঠেকাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। প্রত্যেক যাত্রী যেন তার আসনে বসে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এটা আমরা চেষ্টা করছি।
বছর ঘুরে আবার এলো ঈদুল আযহা। অন্যদিকে প্রাকৃতিক হিসাবে ঋতুচক্রের আবর্তনে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। আষাঢ়ের প্রারম্ভে ঈদ হওয়ায় সবার মধ্যে একটা কৌতূহল, কেমন থাকবে কোরবানির ঈদের দিন আবহাওয়া! সেই কৌতূহলের ব্যাখ্যা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জিলহজ্ব মাসে আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ায় কোরবানির ঈদ অনষ্ঠিত হবে আগামীকাল ১৭ জুন।
অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, ‘বর্ষার শুরুতে দেশের সব অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তাই ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় একেক রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,দেশের ঈদের দিন তিন বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া অন্য বিভাগগুলোরও কোনো কোনো অঞ্চলে কম-বেশি বৃষ্টি থাকতে পারে।’
ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘ঈদের দিন, অর্থাৎ ১৭ জুন দেশের রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাত হবে। একই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বইতে পারে। সাথে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অনেক ভারী বর্ষণ হতে পারে।’
ঈদের দিন বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রার কেমন থাকবে এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।’
সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয়
কোরবানি শুরু হতে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টারও কম সময় রয়েছে। কিন্তু কোরবানির মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত কাঠের গুঁড়ি এবং হোগলা পাতার পাটি বাজার মন্দার কথা জানিয়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ধারদেনার বিনিয়োগ করে চরম বিপাকে পড়েছেন। মুনাফা তো দূরের কথা মূলধন তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কারণে ধার পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন তারা।
কল্যাণপুরে বিগত ১০ বছর ধরে পাটি ও খাটিয়ার ব্যবসা করে আসছেন মাহবুব মিয়া। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে কখনও এমন বাজার দেখিনি। আমি ৬টি ঢোপ (প্রতিটিতে ৪০টি) পাটি এনেছি, এখন পর্যন্ত ১টিও বিক্রি হয় নি। আবার মাংস কাটার খাটিয়া (কাঠের গুঁড়ি) বাজারও খারাপ। ২০০ খাটিয়া এনেছিলাম এখন পর্যন্ত ৫০টিও বিক্রি করতে পারিনি। অথচ অন্যান্য বছর আগের দিন থেকেই বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠতো। ঈদের আগের দিন বিকেলের মধ্যেই বেচাকেনা শেষ হয়ে যেতো।
মাহবুব মিয়ার পাশেই কাঠের গুঁড়ি ও পাটির পসরা সাজিয়ে বসেছেন আসাদুল ইসলাম। বেচাকেনা না থাকায় তারও মুখ মলিন। অন্য সময়ে সবজির ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম ধার করে ৪০ হাজার টাকার বিনিয়োগ করেছেন। এখন পর্যন্ত অর্ধেক পাটিও বিক্রি করতে পারেন নি। পাটি ও কাঠের গুঁড়ি নিয়ে মহা টেনশনে রয়েছেন। ঈদের চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিলেও ধারের টাকা পরিশোধ নিয়ে টেনশন মুক্ত হতে পারছেন না।
আসাদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, অর্ধেকের বেশি যদি বেচা না হয় তাহলে কি করব বুঝতে পারছি না। যেখান থেকে কিনে এনেছি তারাতো ফেরৎ নেবে না। আর এসব রাখবোই বা কোথায়।
তিনি বলেন, প্রতিটি পাটি কিনে এখানে আনতে ৮০ টাকার মতো খরচ পড়েছে। দেড় থেকে দুই’শ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন আরও কমে ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু তারপরও ক্রেতা নেই।
কম বিক্রি হওয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুল ইসলাম বলেন, কোরবানির গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কম কোরবানি দিচ্ছে। কারো কাছে হয়তো ১ লাখ টাকা আছে কিন্তু তাতে হচ্ছে না। আবার ঈদের আগে পরে শুক্রবার শনিবার থাকায় বেশি লোক গ্রামে গেছেন।
এক প্রশ্নের জাবে আসাদুল ইসলাম বলেন, ছেলে-মেয়ের জন্য নতুন কাপড় থাকলো দূরের কথা ঈদের জন্য যে একটু মাংস কিনবো সেই অবস্থা আর থাকলো না। ধারের টাকা ঈদের আগেই শোধ দিতে হবে। সেভাবে ওয়াদা দিয়ে নিয়েছি, এখন খুবই চিন্তা হচ্ছে। আগের বছর যারা ব্যবসা করেছে, তারা অনেক মুনাফা করেছে। তাই শুনে এই পথে নেমে ফেঁসে গেছি।
তেঁতুল কাঠের গুঁড়ি সদরঘাট থেকে আর হোগলা পাতার পাটিগুলো এনেছেন মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ থেকে। সাধারণত কল্যাণপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ও গাবতলীয় থেকে কোরবানির পশু কিনে ফেরার পথে পাটি ও কাঠের গুঁড়ি নিয়ে যান। বেচাকেনা না থাকায় মৌসুমী এসব ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।
প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী করোনা মহামারীর আগপর্যন্ত প্রতিবছর কোরবানি দেওয়া পশুর সংখ্যা বাড়ছিল। ২০১৯ সালে দেশে ১ কোটি ৬ লাখ ১৪ হাজার ২৮১ পশু কোরবানি দেওয়া হয়। করোনার সংক্রমণ দেখা দিলে ২০২০ সালে কোরবানি সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে পশু কোরবানির সংখ্যা আরও কমে (৯০ লাখ ৯৩ হাজারের কিছু বেশি) যায়। তবে ২০২২ সালে কোরবানি দেওয়া পশুর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে হয় ৯৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭২টি। সবশেষ ২০২৩ সালে পশু কোরবানি দেওয়া হয় ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি।
গত ১৬ মে সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এবার ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি, যা গতবারের চেয়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। আর চাহিদার তুলনায় ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি বেশি।